Tip:
Highlight text to annotate it
X
পুরনো প্রভাব যেমন ধর্মীয় ,যৌন , এবং জাতীয় অভিমান,
থেকে নিয়ে উনমত্ত রাষ্ট্রবাদ এখন অকেজো হতে চলেছে "
আমি কে আর আমি ভালো না খারাপ ,আমি সফল হচ্ছি কি না,
সবই জীবনের পথে সীখতে হয়"
"জীবন শুধু একটা যাত্রা
আর আমরা যখন চাই এটাকে পাল্টাতে পারী
এটা শুধু মাত্র একটা বিকল্প . না কোনো কষ্ট ,না কোনো কাজ ,না কোনো চাকরী,না কোনো জমানো পইসা
আমি বুঝতে পারলাম যে আমি খেলা টা ভুল খেলেছিলাম,
খেলা টা ছিল, নিজেকে খুঁজে বের করা যা আমি আগে ছিলাম "
আমরা বলছিলাম যে
কতটা জরুরি
মানুষ-এর মনে আনা
একটা আমূল পরিবর্তন
চেতনার এক চরম বিন্দু তে আছে মানুষের মন
যেই বিন্দু তে কখনো
মেনেনিতে পারবে না পুরনো প্রথা কে
পুরনো আদর্শ কে
পুরনো সংস্কার কে
আর, আজকে দুনিয়া আছে যেমন
সব রকম কষ্ট
সংঘর্ষ
বিনাশকারী হিংসা
উগ্রতা
ইত্যাদি মেনে নিয়ে
মানুষ
সেরকম-ই আছে যেরম সে ছিল
সে এখনো ক্রুর
হিংস্র
উগ্র ,
লোভি,
এবং প্রতিযোগী আছে
এবং সে এই ভিত্তি তে
একটা সমাজ তৈরী করেছে
একটা অসুস্থ সমাজে নিজেকে অনুকুলিত করা তে
কোনো সুস্থতা নেই - জি .কৃষ্ণমূর্তি
সমাজ আজকে,বহুরকম সংস্থা দিয়ে তৈরী
অনেক রকমের সংস্তা দিয়ে তৈরী.
রাজনৈতিক সংস্থা থেকে শুরু করে ,
আইনি সংস্থা,
ধর্মীয় সংস্থা.
থেকে সামাজিক শ্রেণী-র সংস্থা
পারিবারিক মূল্যবোধ ,
এবং কর্মগত দক্ষতা .
এটা খুব পরিষ্কার যে কত প্রভাব ফেলে
এই প্রাচীন পরিকাঠামো গুলি
আমাদের চিন্তাধারা কে তৈরী করা তে
তবু , যত সামাজিক সংস্থা রয়েছে , যার মধ্যে আমাদের জন্ম হযেছে
যেগুলি আমাদের পরিচালনা করেছে
এর মধ্যে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে এতটা মেনে নেয়া হইনি
বা ভুল বোঝা হইনি
যতটা টাকা-পইসার প্রতিষ্ঠান কে করা হয়েছে
প্রায় ধার্মিক অপাতে এই
প্রতিষ্ঠিত টাকা-পইসার সংস্থান রয়েছে
যেটার ওপর এত বেশি আস্থা যে তার ওপর কোনো প্রশ্ন করা যায়না
কি করে টাকা তৈরী হয়, কোন নীতি গুলির দ্বারা এর চালনা করা হয়
যাকে রাজনীতি শাসন করে,
এবং কিরম গভীর ভাবে তার প্রভাব এই সমাজে পরে,
সেটা সংখাগনিষ্ঠ লোকেদের জানার ইচ্ছের বাইরে রয়ে গিয়েছে
একটি পৃথিবী যেখানে এক সতাংশ জনগণ চল্লিশ সতাংশ সম্পত্তি র মালিক
একটি পৃথিবী যেখানে চৌতিরিশ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় প্রতিদিন
দারিদ্রতা ও খুদার্থ থেকে
এবং, যেখানে বিশ্বের ৫০% জনসংখ্যা
প্রতিদিন ৯০ টাকার নিচে জীবন-যাপন করে
একটি জিনিস পরিষ্কার
কোথাও কিছু ভীষণ গণ্ডগোল আছে .
আর আমরা এটা জানি বা না জানি
সমাজ নিজে এবং সমাজের প্রত্যেকটি সংস্থার
রক্ত চালক হলো হচ্ছে টাকা
তাই জন্যে আর্থিক সংস্থার বেপারে বোঝা
খুব দরকার যদি আমরা এটা জানতে চাই যে আমাদের জীবন কেন এরকম যেরম এখন হয়ে আছে.
দুর্ভাগ্যবশত , অর্থনীতি গুলিকে খুব বিরক্তিকর ও বিভ্রান্তির চোখে দেখা হয়
অনবরত কঠিন আর্থিক শব্দকোষের স্রোত
তার সাথে ভয়ংকর অঙ্ক
খুব শীঘ্রই মানুষকে এসবের বোঝার চেষ্টা থেকে ভয় পাইয়ে দেয়
কিন্তু প্রাকৃতিক তথ্হ হলো
আর্থিক ব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে থাকা এই জটিলতা শুধু মাত্র একটা মুখোশ
যা শুধু তৈরী করা হয়েছে সমাজের সবথেকে নষ্ট প্রতিষ্ঠানকে লুকোনোর জন্য
মনুষত্ব যা সজ্জ্হ করেছে
সব থেকে বড় ক্রীতদাস তারাই
যারা মিথ্যে ভাবে বিশ্বাস করে যে তারা স্বাধীন
.- জহান্ন বল্ফ্গাং ভন গেথে - ১৭৪৯-১৮৩২
কিছু বছর আগে ,
আমেরিকার কেন্দ্রীয় bank ,ফেডেরাল রিসার্ভ
Modern Money Mechanics বলে একটি দলিল প্রকাশিত করেছিল
এই দলিলে প্রাতিষ্ট্ঠিত টাকা-পইসা তৈরী করার
প্রথা বিস্তারিত করা হযেছিল যেটা Federal reserve
আর দুনিয়ার অন্যান্য বানিজ্যিক bank গুলো তে ব্যবহার করা হই
দলিলের প্রথম পাতায় এর লখ্য উল্লেখ করা আছে
"এই দলিলের উদ্দেশ্য হলো
Fractional Reserve Banking প্রথা তে
টাকা-পইসা তৈরির মৌলিক পদ্বতি বর্ণনা করা"
এর পর বিভিন্ন banking পরিভাষিক শব্দাবলী দিয়ে
Fractional Reserve পদ্বতি কে বর্ণনা করা হযেছে
যার অনুবাদ হলো এইরকম :
আমেরিকার সরকার সিদ্ধান্ত নেই যে তার কিছু পইসা(ধন) দরকার
তো সে Federal Reserve এর কাছে
10 billion dollar ( দস আরব ) এর জন্য নিবেদন করে
FED বলে :
"ঠিক আছে ,আমরা আপনার কাছ থেকে 10 billion সরকারি bond কিনে নেব
তখন সরকার কিছু কাগজ এর টুকরো নেই
আর তার ওপর কিছু সরকারী মোহর দিয়ে
তাকে treasury bonds বলে ডাকে
তার পর সে এই bonds গুলোর ওপর 10 billion dollar এর মুল্য যোগ করে
আর এগুলো কে FED এর কাছে পাঠায়
এর বদলে FED এর লোকেরা
নিজের থেকে কিছু প্রভাবশালী কাগজের টুকরো বানায়
শুধু এই সময়, এগুলো কে Federal Reserve notes বলা হই
তাছাড়া এতে 10 billion dollar এর মুল্য চিন্নিত করে
FED তার পর সরকারি bonds গুলির বদলে এই note গুলোর ব্যবসা করে
একবার এই বিনিময় পুরো হবার পর
সরকার তখন এই 10 billion dollar Federal Reserve এর কাছ থেকে নিয়ে
এবং ওটাকে একটা bank account এ জমা করে দেয়
আর এই জমা-র পর
সেই কাগজের নোট গুলো আইনত ধন বলে জানা যাই
US এর money supply -এ তখন 10 billion dollar যোগ হলো
আর হযে গেল তৈরী নতুন 10 billion dollar
অবশ্হই, এই উদাহরণ টা সমান্নকরণ করা
কারণ, আসলে, এই লেন দেন টা পুরো পুরি electronically হই
আর কোনো কাগজ ব্যবহার হই না
আসলে , শুধু মাত্র 3 % US money supply কাগজে তৈরী হই
বাকি 97 % থাকে computer -এ
এবার , সরকারি bond কিন্তু প্রথম থেকেই ঋণ-এর উপকরণ
আর যখন FED এই bond গুলি কিনে
তার সঙ্গে টাকা (dollar)বাস্তবে শুধু শুধু -ই তৈরী হই
সরকার আসলে FED কে কথা দিচ্ছে যে সে
টাকা(dollar)FED কে ফিরিয়ে দেবে
.অন্য কথায় ,টাকা টা তৈরী হযেছিল ঋণ থেকে
এই মাথা ঘুরানো বিরোধাভাস ,
যে কি রকম করে টাকা অথবা মুল্য , ঋণ দিয়ে তৈরী করা হই , কিম্বা কি করে এটা একটা বোঝা
সেটা আরো পরিষ্কার হবে যত আমরা এগিয়ে যাব
তো ওই বিনিময়ের পর এখন
10 billion dollar একটা বানিজ্যিক(commercial) bank এ রযেছে
এখান থেকে এটা সত্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাই .
কারণ ,fractional reserve practice এর ভিত্তি তে
এই 10 billion dollar জমা
তখনি bank এর reserve এর অংশ হযে যাই
যেমন সব জমা পইসা হই
আর যেমন reserve প্রয়োজনতা নিয়ে
"Modern Money Mechanics "এ বলা আছে :
"একটি bank কে আইনত নিজের জমা-র নির্ধারিত
শতাংশ -র reserve রাশি রাখতে হবে "
তার পর সেটা কে মাত্র দিয়ে বলে :
"বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ,
বেশিরভাগ লেন-দেন এর ক্ষেত্রে reserve এর প্রয়োজন হলো 10 %"
তার মানে হলো যে 10 billion dollar জমা -র
10 %,অথবা 1 billion ,
প্রয়োজনীয় reserve এ রাখা হই
যখনকি বাকি 9 billion কে অতিরিক্ত reserve বলে ধরা হই
এবং সেটা ব্যবহার হই
নতুন loan এর জন্য
এবার এটা মেনে চলা যুক্তি সম্মত, যে এই 9 billion
উপসথিত 10 billion dollar জমা রাশি থেকেই আসছে
কিন্তু টা বাস্তবে হই না . যা হই সেটা হচ্ছে যে এই 9 billion
শুধু শুধু -ই তৈরী করা হই
উপসথিত 10 billion dollar জমা রাশি তে যোগ করে
এই রকম করে money supply কে ফুলানো হই
যেমন "modern money mechanics" দলিল-এ লেখা আছে" :
"অবশ্যই তারা - bank -এরা - " যা জমা যা হিসেবে পায় তা আসলে loan হিসেবে ভুগতান করেনা
যদি তাই করত, তাহলে নতুন করে ধন রাশি তৈরী হত না
ওরা যখন loan দেয় তখন
ওরা promissory notes গ্রহণ করতে বলে
- loan contracts -
তার বদলে ধারক-এর খাতায় ওরা টাকা (dollar )exchange করে "
অন্য কথায় ,এই 9 billion বিনা কোনো ভিত্তি তেই তৈরী করা যাই
তার কারণ শুদু এটাই যে এই রকম loan এর চাহিদা আছে ,
আর কারণ reserve প্রয়োজনতা বোঝাই রাখার জন্য 10 billion dollar জমা আছে
এবার মেনে নিয়া যাক যে কেও bank -এ এসে
নতুন সেই 9 billion dollar ধার করলো
খুব সম্ভবত তারা সেটাকে নিয়ে নিজেদের
bank account -এ জমা করবে
এই পদ্বতি এর পর বার-বার চলবে
কারণ সেই জমা পইসা bank reserve -এর অংশ হযে যাবে
10 % আলাদা করে রেখে বাকি 9 billion -এর 90 %,
কিম্বা 8 .1 billion এবার নতুন loan এর জন্য উপলব্দ্ধ করা হবে
আর অবশ্যই, সেই 8 .1 billion -এর loan নিয়ে নতুন করে জমা করা যাবে যাতে অতিরিক্ত 7 .2 billion
তৈরী হবে ...তার পর 6 .5 billion ... 5 .9 billlion ....
এইরকম জমা -তৈরী loan cycle -এর কোনো সীমা নেই
এর অংক কষে গড় বের করলে দেখা যাবে যে পুরনো 10 billion দিয়ে 90 billion তৈরী করা যায়
অন্য কথায়, banking system -এ প্রত্যেক জমা টাকা থেকে 9 গুন বেশি টাকা বিনা কোনো ভিত্তি তে তৈরী করা হই
টাকা -কাঁপে .ঋণী bank of আমেরিকা-র কাছে এক বোতোল
নিমেষে আরামদায়ক টাকা(dollar ) চেয়ে নিন
টা-কা --সুবিধাজনক পারসোনাল loan হিসেবে
তো , এবার যখন আমরা বুঝতে পেরেছি কি করে টাকা তৈরী হই fractional reserve banking দ্বারা ,
একটা যুক্তিসম্মত তবু বিব্ভ্রান্ত করা প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে :
এই নতুন টাকা-র মুল্য কিসের থেকে আসছে ?
উত্তর হলো :যে টাকা আগের থেকে রয়েছে সেখান থেকে আসছে
নতুন টাকা গুলো আসলে উপস্থিত টাকা থেকে মুল্য চুরি করে নেয়
কারণ জিনিসপত্রের চাহিদা কে অগ্রাজ্হ করে মোট টাকা কে বাড়িয়ে তলা হই
আর, যেহেতু চাহিদা(ডিমান্ড) ও সাপ্লাই ভার্সাম্মতা চাই ,
জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাই এবং প্রত্যেক টাকার কিনবার ক্ষমতা কমে যাই
এই ঘটনা কে মুদ্রাস্ফ্রিতী বলা হই
আর মুদ্রাস্ফ্রিতী হচ্ছে আসলে জনগনের ওপর একটা লুকোনো tax
সাধারনত তোমরা কি উপদেশ পেয়ে থাক ?সেটা হলো , মুদ্রাস্ফ্রিতী ঘটাও
ওরা বলেনা : মুদ্রার (টাকার) মুল্য কমাও
ওরা বলেনা : সুরাখ্হিত লোকদের ঠ্যকাও. ওরা বলে : সুদের দর কমাও
আসল ছলনা হই তখন যখন আমরা টাকার মুল্য কে বিকৃত করি
যখন বিনা কোনো ভিত্তি তে আমরা টাকা তৈরী করি ,আমাদের তো কোনো সন্চই থাকেনা . তবুও "পুঁজি" বলে কিছু থাকে
তাই, আমার প্রশ্ন হলো : কি করে আমরা মুদ্রাসৃতীর সমস্যা সমাধান করতে পারি ?
মানে: মুদ্রাস্ফ্রিতীর সাথে-সাথে আরো মুদ্রার (টাকার) সাপ্লাই বাড়িয়ে ?"
অবশ্যই, এটা হতে পারে না
কারণ টাকা বাড়ানোর ফ্রাকশনাল রিসার্ভ সিস্টেম নিজের থেকে মুদ্রাস্ফ্রিতী ঘটায়
কারণ অর্থবাবস্থাই , জিনিসপত্রের বৃদ্ধির অনুপাতে যদি
টাকার সাপ্লাই বেসি বাড়ানো হই তাহলে
সবসময় টাকার (মুদ্রার)মুল্য কমে যাবে
বাস্তবে , যদি আমরা US dollar এর ঐতিহাসিক মুল্য গুলো কে money supply এর সাথে তুলনা করি
তো এই বেপার টা খুব পরিষ্কার হবে
কারন দুটোর মধ্যে উল্টো সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক
1913 - এর এক dollar -এর মুল্য 2007 -এর $21.60 -এর মূল্যের সমান
dollar - এর মুল্য 96 % কমেছে জবে থেকে Federal Reserve এসেছে
এবার, যদি এই অন্তনিহিত ও চিরস্থায়ী মুদ্রাস্ফ্রিতী অবাস্তব এবং আর্থিক রূপে অসম্ভব মনে হই
এই ভাবনা কে ধরে রাখুন, কারণ যে রকম করে আমাদের অর্থবাবস্থা চলে অবাস্তব কথা টা খুব ছোট
কারণ আমাদের অর্থবাবস্থা তে টাকা হলো ঋণ
আর ঋণ হলো টাকা
এই হলো একটা chart যেটা 1950 -2006 এর US money supply দেখাচ্ছে
এই হলো একটা chart যেটা একই সময় কালের US এর রাষ্ট্রীয় ঋণ দেখাচ্ছে
কত মজার বেপার যে এই দুটো ঘটনা একই রকম
কারণ যত বেশি টাকা হবে তত বেশি ঋণ হবে
আর যত ঋণ থাকবে তত টাকা থাকবে
অন্য কথায় ,আপনার পকেটের প্রত্যেক টি টাকা কেও না কেও কারো না কারো কাছ থেকে ধার করেছে
কারণ মনে রাখো : শুধু মাত্র loan -এর মাধ্যমেই কিন্তু টাকা অস্তিত্ব তে আসতে পারে
অতয়েব , যদি দেশের সবাই এবং সরকার সব ঋণ শোধ করে দিতে পারে
তাহলে একটা টাকার-ও আর সঞ্চালনা হবে না
"যদি আমাদের অর্থবাবস্থাই কোনো ঋণ না থাকে ,তাহলে কোনো টাকা থাকবে না "
- Marriner Eccles - Federal Reserve এর Governor september 30th ,1941
আসলে ,শেষ বার যখন আমেরিকার ইতিহাসে রাষ্ট্রীয় ঋণ পুরো পুরি শোধ করা হই
সেটা ছিল 1835 যখন রাষ্ট্রপতি Andrew Jackson , federal reserve -এর আগের কেন্দ্রীয় bank কে বন্ধ করে দেয়
আসলে , Jacson এর পুরো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল
কেন্দ্রীয় bank কে বন্ধ করা
একসময় উনি বলেছিলেন : যেই ধৃষ্ট চেষ্টা বর্তমান bank করেছে সরকার কে নিয়ন্ত্রিত করার জন্য ...শুদ্ধু হচ্ছে আমেরিকার মানুষদের ভাগ্যের সতর্কীকরণ
যে তাদিকে এই প্রতিষ্টাপনের অথবা এমনি কোনো অন্য সংস্থানের
নিত্ততার ভ্রান্তি তে থাকতে হবে . " দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওনার এই সংবাদ বেশি দিন টেকে নি
আর আন্তরাষ্ট্রীয় banker -রা সফল হলেন 1913 -এ অন্য একটা কেন্দ্রীয় bank তৈরী করতে
যার নাম Federal Reserve . আর যত দিন এই সংস্থান রয়েছে
ঋণের নিত্যতা থাকবেই
এবার, এতক্ষণ আমরা এই সত্য কে জানলাম যে টাকা ঋণ দিয়ে loan এর মাধ্যমে তৈরী হই
এই loan গুলো bank এর reserve এর উপর ভিত্তিক
এবং reserve জমা টাকার থেকে নেয়া হই . এবং এই fractional reserve সিস্টেম দিয়ে
যে কোনো জমা টাকা কে তার আসল মূল্যর থেকে 9 গুন বেশি তৈরী করা যাই
এর বদলে , টাকার মুল্য কমে যাই এবং সমাজে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে
আর , যেহেতু সব টাকা কে ঋণ দিয়ে তৈরী করা হই
আর বানিজ্য দ্বারা অনিয়মিত ভাবে ছড়ানো হই ,
সাধারণ মানুষ তাদের আসল ঋণ থেকে আলাদা হে যাই
এবং একটা অসামান্জস্সো তৈরী হই যেখানে মানুষদের জোর করে পরিশ্রমের প্রতিযোগিতায় নামতে হই
যাতে টাকার সাপ্লাই থেকে যথেষ্ট টাকা অর্জন করা যাই যাতে তারা
নিজেদের বেঁচে থাকার দাম বের করতে পারে
যতই এ সব বেকার এবং পুরনো লাগুক না কেন
এখনো এই সমীকরণ থেকে একটা জিনিস কে আমরা বাদ দিয়েছি
আর এই পরিকাঠামোর এই তত্বই কিন্তু
এই সিস্টেম এর সত্যিকারের বেইমানির পরিচই দেবে
সুদের প্রয়োগ
যখন সরকার FED থেকে(dollar ) টাকা ধার করে,কিম্বা যখন একটা মানুষ bank থেকে টাকা ধার করে
সেই টাকা কে প্রায় সবসময় একটা সুদের সাথে ফিরিয়ে দিতে হই
অন্য কথায় ,প্রায় প্রত্যেক টি টাকা কে
অন্তত bank কে সুদের সাথে ফিরিয়ে দিতে হই
কিন্তু ,
যদি সব টাকা কেন্দ্রীয় bank থেকে ধার করা হই এবং বানিজ্যিক bank গুলো দ্বারা বাড়ানো হই
আর যদি শুধু মূল ধন(principal )
টাকার সাপ্লাই দিয়ে তৈরী হই
তাহলে সেই সুদের (interest ) এর টাকা যেটা Bank চাই সেটা কথায় ?
কথাও নেই
তার কোনো অস্তিত্ব নেই
এর প্রভাব কিন্তু মাথা ঘোরানোর মত
কারণ bank কে সোদ করার জন্য যত টাকা দরকার সেটা সবসময় সঞ্চালিত টাকার থেকে বেসি হবে
এই জন্যই অর্থব্যস্তায় বরাবর মুদ্রাস্ফ্রিতী থেকে যাই
কারণ নতুন টাকা সবসময় দরকার হবে যাতে সুদ সোদ করার জন্য অন্তর্নিহিত ও
অনবরত থাকা অভাব কে পূরণ করা যেতে পারে
তার মানে এটাও, যে গণিত অনুযায়ী দেউলিয়া অবস্থা গুলি
সিস্টেম- এ অন্তর্নিহিত ভাবে অবস্থিত রয়েছে
আর তাই সমাজে সব সময় কোনো না কোনো গরিব কে এর মাসুল দিতে হই
উপমার রূপে এটি একটি মিউসিকাল চেয়ার-এর মত
কারণ একবার যখন সঙ্গীত থামে ,কেও না কেও হেরে যাই
আর এটাই হলো কেন্দ্র বিন্দু
এই বিন্দু থেকেই ব্যক্তির আসল ধন bank এর কাছে চলে যায়
কারণ , আপনি যদি নিজের বন্ধক-এর জন্য টাকা না দিতে পারেন ,ওরা আপনার সম্পত্তি নিয়ে নেবে
এটি বিশেষ করে আপনাকে রাগিয়ে তুলবে যখন আপনি বুঝবেন যে fractional reserve প্রথা দিয়ে
এইরকম ত্রুটি অনিবার্যই শুধু নই . তবে এটাও কারণ যে
bank যেই টাকা আপনাকে ধার দিয়েছে
প্রথমত সেটার কোনো অস্তিত্য আইনত ছিল না
1969 -এ Minnesota court -এ একটা মোকদ্দমা হয়েচ্ছিল ,তাতে Jerome Daly নামের এক ব্যক্তি
জড়িত ছিলেন , যিনি bank এর দ্বারা নিজের ঘরের নিবারণ(foreclosure) কে challenge করে ছিলেন, যেই Bank ওনাকে ঘর কিনবার জন্য টাকা দিয়েছিল
অনার তর্ক ছিল যে বন্ধকের চুক্তির জন্য প্রয়োজন যে দুই পক্ষে রি ,
তিনি নিজে আর bank - এর ,বিনিময়ের জন্য একটা বৈধ সম্পত্তি কে বন্ধক রাখা প্রয়োজন
আইনি ভাষায় এটা কে consideration বলা হই
consideration (একটা চুক্তির ভিত্তি . একটা চুক্তি তৈরী হই অন্য একজনের consideration এর বিনিময়ে )
Mr.Daly বোঝালেন যে যেই টাকার কথা bank বলছিল সেটা আসলে bank এর সম্পত্তি নই
কারণ সেটাকে bank বিনা কোনো ভিত্তি তে তৈরী করেছিল যখনি loan এর চুক্তি কে sign করা হই
মনে করুন " modern money mechanics " ল্যান এর বিষয়ে কি বলেছে ?
"ওরা যা করে তা হলো , যখন তারা ল্যান দেয় ,তারা promissory notes নিতে বলে ধনের বদলে "
Reserve গুলি ল্যান- এর লেন -দেন-এর কারণে বদলায় না
কিন্তু , জমা ধন banking সিস্টেম -এর মোট জমার সাত্থে যোগ হই
অন্য কথায় , টাকাটা তাদের সম্পত্তির থেকে আসেনা bank শুধু সেটাকে আবিষ্কার korcv
শুধু একমাত্র কাগজের কাল্পনিক দায়িত্ত্য ছাড়া
আদালতের মুকদ্দমা যেমন এগোল , bank এর প্রেসিডেন্ট Mr . Morgan নিজের পক্ষ রাখলেন
এবং বিচারকের ব্যক্তিগত অনুবধকে ,উনি মনে করালেন যে Plaintiff -bank এর অদ্যখ্হ স্বীকার করেছেন যে Federal Reserve এর সাথে মিলে পইসা তৈরী করেছিলেন
এবং ধন কে নিজের হিসেবের খাতায় তুলে ছিলেন
টাকা এবং ধন প্রথম বার অস্তিত্ব তে আসে যখন ওরা তা তৈরী করে . Mr Morgan স্বীকার করলেন যে
US -এ এইরকম কোনো আইন নেই যা তাকে এই অধিকার দেয়
একটা বৈধ কারণ থাকা প্রয়োজন ও প্রস্তুত করা উচিত যাতে বিচারের সমর্থন করা যাই
বিচারক বুঝলেন যে তেমনি কোনো বৈধ কারণ নেই এবং বললেন আমি তা মানি
উনি কাব্য করে বললেন " শুদ্ধু ভগবানই শুন্যতার থেকে কিছু মূল্যবান তৈরী করতে পারেন "
আর, এই অনুভূতির পর আদালত bank এর foreclosure এর দাবি কে খারিজ করে Daly কে তার ঘর ফিরিয়ে দিল
আদালত এর এই সিদ্ধান্তর ইঙ্গিত অনেক রকম হতে পারে
কারণ প্রত্যেক বার যখন আপনি bank থেকে টাকা ধার করেন ,সেটা বন্ধকের ল্যান হোক বা ক্রেডিট কার্ড এর চার্জ
যেই টাকা টা আপনাকে দেয়া হই সেটা শুধু নকলী হই না ,সেটা বেয়ায়নীয় হই
তাই ফিরিয়ে দেয়ার চুক্তি কে নষ্ট করে . কারণ প্রথমত bank এর কাছে সম্পত্তি হিসেবে টাকা ছিলই না
দুভাগ্য জনক ভাবে এমনি আইনত অনুভূতি কে দাবিয়ে দেয়া হই কিম্বা তার উপেক্ষা করা হই
আর অনবরত ধন বদলি আর ঋণের খেলা চলতে থাকে
আর এটা আমাদের কে একটা চরম প্রশ্নই এনে দেয়
কনো?
আমেরিকার গৃহ যুদ্ধের সময় রাষ্ট্রপতি lincoln ইউরোপের bank দ্বারা দেয়া
বেসি সুদের loan কে না নিয়ে সেটা করলেন যেটা সংস্থাপক পিতা রা বলে গিয়েছিলেন
যেটা ছিল একটা স্বাধীন এবং অন্তর্নিহিত ঋণ মুক্ত মুদ্রা তৈরী করা
এটার নাম ছিল "greenback "
এই পদক্ষেপ নেয়ার কিছু সময় পরেই , একটা অভ্যন্তরীণ দলিল
ব্রিটিশ আর আমেরিকার প্রাইভেট banker -দের মধ্যে ছড়ানো হই ,এই বলে :
"... দাসত্ব শুধু শ্রম কে দখল করা আর তার সাথে আসে শ্রমিকের যত্ন নেয়া
তবে ইউরোপীয় যোজনা অনুজাই...পুঁজি দ্বারা শ্রম কে নিয়ন্ত্রিত করা যাই
এবং এটা টাকা কে নিয়ন্ত্রিত করে করা যায়
তাই greenback কে আসতে দেয়া যায় না ...কারণ আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারব না
Fractional Reserve policy
যেটা Federal Reserve দ্বারা
বিশ্ব স্তরে বহু বানিজ্যিক bank গুলো তে ছড়িয়েছে
আসলে হলো একটি আধুক্নিক ধরনের দাসত্বের সিস্টেম
ভেবে দেখুন , টাকা ঋণ দিয়ে তৈরী হই
আর মানুষ ঋণে ডুবে গেলে কি করে ?
ঋণ সোদ করার জন্য তারা নিজেকে চাকরির মুখে ফেলে দেয়
কিন্তু যদি টাকা শুধু loan এর মাধ্যমেই আসতে পারে ,
সমাজ কখনো ঋণ মুক্ত কি করে হতে পারে ?
হতে পারে না আর সেটাই তো যুক্তির কেন্দ্র বিন্দু
আর এটা হচ্ছে নিজের সম্প্পত্তি হারানোর ভই , এবং তার সাথে টিকে থাকার লড়াই
এবং তার সাথে অনবরত ঋণ আর মুদ্রাস্ফ্রিতী
যেটা টাকার সাপ্লাই এর মধ্যে অপরিহার্য ঘাটতি দ্বারা বেড়ে উঠে
আর যেটা তৈরী হই সুদের কারণে যেটা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায়না
যেটা বেতন - দাস কে টিকিয়ে রাখে
যে দাস অসংখ্য লোকেদের মত একটা চলতি চাকার ওপর ছুটতে থাকে
কিন্তু আসলে তারা একটা সাম্রাজ্য কে বল দিচ্ছে
যেটা বাস্তবে তাদেরই লাভ দেয় যারা এই সাম্রাজ্যের মালিক
কারণ , সেশে,
আপনি কার জন্য কাজ করছেন??
bank এর জন্য
টাকা bank এই তৈরী হই আর সেশে bank এই পৌঁছে যায়
এরাই হচ্ছে আসল মালিক ,আর এদের সাথে সেই কোম্পানি এবং সরকার গুলি যাদের এরা সমর্থন করে
শারীরিক দাসত্বের জন্য প্রয়োজন মানুষের একটা আশ্রয় এবং খাবার
আর্থিক দাসত্বের জন্য প্রয়োজন মানুষেরা নিজেদের ভারন-পোষণ নিজেরাই সামলাবে
এটা হলো সমাজ কে নিয়ন্ত্রিত করার সবথেকে কুশল হের ফের
আর এর মূল রূপে
এটা জনগনের বিরুদ্ধে একটা অদৃস্য যুদ্ধ
ঋণ হলো সেই অস্ত্র যা দিয়ে সমাজ গুলো কে জিতে ওদের দাস বানানো হই
আর সুদ হলো তার প্রধান গোলা-বারুদ
আর যত বেশির ভাগ মানুষ এই সত্য থেকে দুরে থাকে
bank গুলি সরকার এবং নিগম (company )গুলির সাথে মিলে
নিজেদের আর্থিক যুদ্ধের রণনীতি কে আরো ভালো এবং বিস্তৃত করতে থাকে
আর বিশ্ব bank এবং আন্তরাষ্ট্রীয় মুদ্রা কোষ (IMF) এর মত
নতুন ভীত তৈরী করে নেই
তাছাড়া এক নতুন ধরনের সৈনিক তৈরী করে
আর্থিক খুনীর (economic hit -man )
একটা দেশ কে দু রকম করে কব্জা করা যায়. এক হলো তরওয়াল দিয়ে নাহলে ঋণ দিয়ে
- জন এডাম্স (John Adams )- 1735 -1826
আমরা ইকোনমিক হিটম্যান রা , সত্যি করে এই প্রথম একটা বিশ্ব সাম্রাজ্য তৈরী করার জন্য দায়ী হযেছি
এবং আমরা বিব্ভিন্ন রকম ভাবে কাজ করি - জন পারকিন্স, প্রাক্তুন প্রধান ইকনমিস্ট ,চাস.T Main Inc . , লেখক - Confessions of an Economic Hitman
কিন্তু বেশিরবাগ সময় আমরা একটা এমন দেশ কে খুঁজে বার করি যার সম্পদ আমাদের কোম্পানি গুলির প্রয়োজন
এবং তার পর বিশ্ব bank থেকে বড় একটা loan এর ব্যবস্তা করে দী
কিন্তু loan এর টাকা টা আসলে কখনো সেই দেশে যায়না
তার বদলে টাকা টা চলে যায় আমাদের বড় বড় কোম্পানি গুলির সেই দেশে শুরু করা প্রজেক্ট গুলি তে
যেমন বিদ্দুত কারখানা , ঔদ্যোগিক উদ্যান , বন্দরগা ....
যেগুলি সেই দেশের কিছু ধনী লোকেদের লাভ এনে দেয়
তাছাড়া আমাদের কোম্পানি গুলিরও লাভ এনে দেয়
কিন্তু আসলে বেশির ভাগ লোকেদের কিছুতেই উপকার হই না . কিন্তু আবার তাদের উপর
এবং পুরো দেশের উপর বিরাট একটা ঋণের বোঝা থাকে যায়
এটা এত বড় ঋণ যে তারা এটা সোদ করতে পারেনা এবং এটাও এই উপায়ের অংশ
যে তারা ঋণ সোদ যেন না করতে পারে
আর আমরা ইকোনমিক হিটম্যান রা এক সময় ওদের কাছে যেয়ে বলি , " দেখো,
তোমরা আমাদের থেকে প্রচুর টাকা ধার নিয়েছ . তোমরা তো ঋণ সোদ দিতে পারবেনা . তাই তোমাদের
তেল আমাদের কোম্পানী কে সস্তায় বিক্রি কর
তোমাদের দেশে আমাদের সেনা-বাহিনীর ভিত তৈরী করতে দাও
কিম্বা ইরাকের মত দেশে সৈন্য পাঠিয়ে আমাদের সাহায্য কর , কিম্বা যুক্ত রাষ্ট্র(UN) তে আমাদের জেতানোর জন্য ভোটে দাও
তাদের বিদ্দুত কোম্পানী কে নিজীকরণ করিয়ে দেয়া হত
এবং তাদের জল ও মল ব্যবস্থা কে নিজীকরণ করা কিম্বা US কোম্পানী কিম্বা অন্য
বহুরাষ্ট্র কোম্পানী গুলি কে বিক্রি করে দেয়া
তো এগুলি খুব ছড়িয়ে পড়ে ছিল এবং IMF ও বিশ্ব bank এগুলোকে এত বিশিষ্ট ভাবে করত
তারা একটা দেশ কে ঋণে ফেলে দিত এবং সেই ঋণ এত বড় হত যে তারা সেটা সোদ করতে পারত না
এবং তার পর তারা তাদের কে নিজের ঋণ কে refinance করিয়ে আরো সুদ বসুল করত
এবং তার পর তারা দাবি করত
কে তাদেরকে(US) কে " সুশাসনের " ব্যবস্তা দেয়া হোক
তার আসলে মানে হচ্ছে যে তারা নিজেদের সম্পদ কে বিক্রি করে দিতে হবে
তার মধ্যে বহু রকমের সমাজ সেবা ,দরকারী কোম্পানী , শিক্ষা ব্যবস্তা
দন্ড ব্যবস্থা
বীমা ব্যবস্থা আছে যেগুলোকে বিক্রি করতে হয়
তো এটা একটা দুগুন, তিন গুন ও চার গুন চুরি
আর্থি খুনির ব্যবহার প্রথম বার 50 এর দশকে হয়
যখন লোকতান্ত্রিক ভাবে মস্সাদেঃ(ইরানের প্রাক্তুন রাষ্ট্রপতি) কে নির্বাচিত করা হয়
ওনাকে পুরো মধ্য পুর্বতে এবং পুরো বিশ্বে লোক্তান্ত্রের ভরসা মনে করা হত
সেই বছর ওনাকে Time -Magazine এ বচ্ছরের মহাপুরুষ বলা হই
কিন্তু ...একটা নীতি যেটাকে উনি লাগু করতে চেয়েছিলেন সেটাছিল যে বিদেশী কোম্পানী গুলোকে
যারা ইরান থেকে তেল বের করে নীয়েজাছে, বেশি দাম দিতে হবে
আর ইরানের জনগণ যেন নিজের তেল থেকে লাভ পায় . অদ্ভূত নীতি
আমরা অবসি সেটা চায়নি .কিন্তু আমরা সেটা করতে ভয় পাচ্ছিলাম যেটা আমরা প্রায় করে থাকি .মানে যুদ্ধ করা
তার বদলে আমরা CIA এর এক গুপ্তচর Kermit Roosevelt কে পাঠালাম ,
এবং ক্র্মিত
উনি মস্সাদেগ কে পদ থেকে নামিয়ে ফেললেন
এবং ইরানের শাহ কে তার বদলে স্থাপিত করলেন , যিনি সবসময় আমাদের অনুকুল ছিলেন .এবং এটা খুব কার্যকরী হযেছিল
সারা তেহরানে দাঙ্গাকারীরা
সেনা অধিনায়কের চিত্কার করছিল যে মস্সাদেগ পদত্যাগ করলেন এবং ইরানে তার একনায়কতন্ত্র শেষ হলো
শাহ এর ছবি সারা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ল
শাহ কে স্বাগত জানানো হলো "
এখানে ওয়াশিংটনে সবাই দেখে খুশি হযে বলল: " বাহ!, এটা তো খুব সস্তা এবং সহজ ছিল !"
অতয়েব এটা রাষ্ট্রগুলোকে ঠোকানোর ও সাম্রাজ্য তৈরী করার এক নতুন উপায় স্থাপিত করলো
একটাই অসুবিধে ছিল যে Kermit একজন CIA এর কার্ড ধারী দালাল ছিল
এবং সে যদি ধরা পড়তো, তাহলে তার পরিনতি খুব খারাপ হত
তাই খুব শীঘ্রই এক শিধ্হান্ত নেয়া হলো যে এর পর থেকে private দালাল কে ব্যবহার করা হবে
যাতে বিশ্ব bank ও IMF ও এইরকম সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাত্থানো যায়
যাতে আমার মত লোক দের আনা যেতে পারে যারা private company তে কাজ করে
যাতে যদি আমরা ধরা পড়ি, তো সরকার এর মধ্যে না জড়ায়
যখন অর্বেন্জ গুয়াতেমালার রাষ্ট্রপতি হলেন , পুরো দেশটা তখন UNITED FRUIT কোম্পানির অধীনে ছিল
আর অর্বেন্জ বলতেন " জানো, আমরা চাই জনগনকে তাদের জমি ফিরিয়ে দিতে "
আর যখন উনি ক্ষমতায় এলেন , উনি এই নীতি গুলি প্রয়োগ করতে লাগলেন যেগুলি
ওখানের মানুষদের জমির অধিকার ফিরিয়ে দিত . UNITED FRUIT কোম্পানি এই সব পছন্দ করেনি
তাই তারা একটা অন্য কোম্পানির সাথে চুক্তি করে আমেরিকায় একটা বিশাল প্রচার শুরু করলো
যাতে আমেরিকার জনগনকে বোঝানো যায় ,
যাতে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমকে বোঝানো যায় , আমেরিকার রাজনৈতিক নেতাদের বোঝানো যায়
যে অর্বেন্জ একজন সোভিয়েতের পুতুল
আর যদি আমরা তাকে ক্ষমতায় থাকতে দী, তাহলে সোভিয়েতরা এই জমিটা দখল করে নেবে
আর এই সময় সবাইকার মনে একটা ভয় চলে এসেছিল , কমিউনিস্ট আতঙ্কের ভই
আর তাই গল্পটাকে ছোট করে বললে, এই প্রচারের মাধ্যমে
CIA ও সেনার ওপর একটা দায়িত্ব এলো অর্বেন্জ কে তার পদ থেকে সরানোর
আর বাস্তবে আমরা তাই করলাম . আমরা জাহাজ পাঠালাম , সৈন্য পাঠালাম ,লোক পাঠালাম
আমরা সবকিছু করলাম ওকে বের করার জন্য আর আমরা সফল হলাম
আর যখনি তাকে তার পদ থেকে সরানো হলো
যেই নতুন লোকটা ওর বদলে এলো আসলে সব কিছু আগের মত বড় বড় কোম্পানি গুলোকে ফিরিয়ে দিল
UNITED FRUIT কেও ফিরিয়ে দিল
ইকুয়াডোর বহু বছর ধরে আমেরিকার গোলাম ছিল , বেশিরভাগ সময় হিন্গশ্র ভাবে
তার পর ঠিক করা হলো যে তারা গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন করাবে
Jamie Roldos নির্বাচনে লড়ছিলেন এবং উনি বললেন , রাষ্ট্রপতি হযে উনি দেখাশুনা
করবেন যেন একুয়াদরের সম্পদ জনসাধারণের কাজে লাগে
এবং উনি জিতে গেলেন
এত বেশি ভোটে জিতলেন যত বেশি এর আগে কেও একুয়াদরে জেতেনি
এবং উনি এই নীতি গুলি প্রয়োগ করতে লাগলেন
যাতে তেল থেকে অর্জন করা লাভ গুলি মানুষের সহযোগিতায় কাজে লাগানো যেতে পারে
কিন্তু ...আমেরিকাতে সেটা আমাদের পছন্দ হইনি
আমাকে পাঠানো হয় অন্যান্য ইকোনমিক হিটম্যান দের মত যাতে রলদস কে পাল্টানো যায়
যাতে ওকে বেইমান বানানো যায় , ওকে জানানো যায় ....তুমি জানো
" দেখো তুমি জানো তুমি অনেক ধনবান হতে পারো, তুমি যদি আমাদের খেলা খেল "
"কিন্তু তুমি যদি এমনি করে তোমার নীতি গুলোকে প্রয়োগ করতে থাক , তুমি শেষ হযে যাবে"
উনি শুনতেন না ...
ওনাকে মেরে ফেলা হলো
যখনি উড়ো জাহাজ টি মাটি তে পড়েগেল, পুরো জায়গাটি ঘিরে দেয়া হলো
শুধু মাত্র দুটি লোককে ভেতরে যেতে দেয়া হলো যারা আমেরিকার সেনাবাহিনীর লোক ছিল
বাকিরা একুয়াদরের সেনাবাহিনীর লোক ছিল
যখন তদন্ত জারি করা হলো
দুই প্রধান সাক্ষী কে তাদের সাক্ষী দেয়ার আগেই
একটি গাড়ির দুর্ঘটনায় মেরে ফেলা হই
জেমি রল্দসের হত্যা কান্ডের চার পাসে
নানারকমের অদ্ভূত ঘটনা ঘটতে লাগলো
আমার মত লোকেরা যারা এই বিষয় কে ভালো করে জানে
কোনরকম সংশয় রাখেনা যে এটা একটা হত্যা কান্ড ছিল
এবং , অবশ্হয় আমি একজন ইকোনমিক হিটম্যান হযে,
সবসময় আশা করতাম যে জেমির সাথে কিছু না কিছু হবেই
হয়ত তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হবে বা মেরে ফেলা হবে , আমি ঠিক জানতাম না, কিন্তু তাকে সরিয়ে ফেলা হবেই
কারণ তাকে বেইমান করা যায়নি, ও নিজেকে বেইমান হতে দেইনি যেরকম করে আমরা ওকে বেইমান করতে চেয়েছিলাম
ওমার তরিজস , পানামার রাষ্ট্রপতি ,
আমার খুব প্রিয় ছিলেন . আমি ওনাকে ভিশন পছন্দ করতাম
উনি খুব প্রতিভাশালী ছিলেন . একজন এমন ছিলেন যে নিজের দেশ কে সাহায্য করবে
আর যখন আমি ওনাকে ঘুস দিয়ে বেইমান করতে চাইলাম , উনি বললেন : "দেখো জন "
উনি আমাকে জানিতো বলে ডাকতেন -
উনি বলতেন: " দেখো জানিতো , আমার টাকার প্রয়োজন নেই . আমি আসলে চাই যে আমার দেশ কে
সম্মান দেয়া হোক
আমি চাই যেন আমেরিকা আমাদের দেশের ধংশের মাশুল দেয়, আমাদের দেশের ধার শোধ করে
আমি এমন একটা জায়গায় থাকতে চায় যেখান থেকে আমি বাকি লাতিন আমেরিকার দেশ গুলির সাহায্য করতে পারি
যাতে তারা এই দেশের মত উত্তরের চাপ থেকে
স্বাধীন ও মুক্ত হতে পারে
তোমরা আমাদের অনেক শোষণ করছ
আমি পানামা কানাল তৈরী করে পানামার জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিতে চায়
আমি সেটাই চাই
এবং আমাকে তোমরা ছেড়ে দাও , আমাকে ঘুস দেয়ার চেষ্টা করনা
১৯৮১ এর মে মাসে জামেস রল্দস কে বিশাসঘাতক্পুর্বক গোপনে হত্তা করা হয়েছিল
এবং অমর এই বেপারে খুব সচেতন ছিল
তর্রিজস অর পরিবারকে একত্রিত করে বলল যে
এর পরে হয়ত আমার পালা , কিন্তু আমি চিন্তা করিনা
কেননা আমি যেই কাজ টি করতে এসেছিলাম সেটা আমার হয়েগেছে
আমি পানামা কানাল কে ফিরিয়ে এনেছি
কানাল এবার আমাদের হাতে থাকবে , আমরা এই মাত্র জিম্মি কার্টারের এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছি
সেই বছর জুন মাসে , কেক মাস পরে
তারও বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়
এর কোনো সন্দেহ ছিলনা যে তাকে CIA এর গুন্ডা রা মেরে ছিল
এর প্রচুর প্রমান ছিল যে
শেষ সময় , তরিজ্জসের রখ্হা কর্মীরা তাকে হাতে কিছু দিয়েছিল
যখন উনি বিমানে চাপতে গেলেন , একটি টেপ রেকর্দর
একটি ছোট্ট টেপ রেকর্দর যার মধ্যে একটি বোমা ছিল
এটা খুব গুরুত্ব পূর্ণ আমার কাছে যে কেমন করে
এই সিস্টেমটা একই রকম রয়ে গিয়েছে
বছর পর বছর ধরে , শুধু মাত্র ইকোনমিক খুনিরা আরো সাংঘাতিক ও চতুর হযে চলেছে
তার পর আমরা দেখলাম , খুব সিঘ্রই , ভেনেজুএলা তে যা হলো
১৯৯৮ এ হুগো শাভেজ রাষ্ট্রপতি হলেন
এনার আগে অনেক রাষ্ট্রপতি ছিলেন
যারা খুব দুশ্চরিত্রের ছিল এবং দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে নষ্ট করে ছিল
আর এদের মধ্যে শাভেজ কে নির্বাচিত করা হয়
শাভেজ মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের সামনে দাড়ালেন
আর উনি দাবি করলেন যেন ভেনেজুএলার তেল
ভেনেজুএলার জনগনের লাভের জন্য ব্যবহার করা হয়
তবে... আমরা সেটা আমেরিকায় পছন্দ করিনি
তায়, ২০০২ সালে
শাসন অধিগ্রহনের একটি ব্যবস্থা সাজানো হলো , যেটা নিস্সন্দেহে ,
আমার ও অন্যদের মনে হযেছিল যে এর পেছনে CIA ছিল
যেইরকম করে দখলের ব্যবস্থা করা হেয়্ছিল
ওটা ভিশন ভাবে মিলে যাচ্ছিল ইরানে যে ভাবে কার্মিত রূস্ভেল্ত দখল করছিলেন
লোকেদের ঘুস দেয়া হযেছিল যাতে তারা রাস্তায় যেয়ে
দাঙ্গা শুরু করে , বিদ্রোহ করে , যাতে তারা বলে যে শাভেজ একজন খারাপ নেতা
তুমি জানো , যদি তুমি কযেক হাজার লোককে এটা করাতে পারো
TV দিয়ে সেটাকে এমন করে দেখানো যায়
জানো সারা দেশ জুড়ে এটা হচ্ছে এবং এটা ছড়াতে থাকে
শুধু মাত্র শাভেজের ক্ষেত্রে , তিনি
খুব চালক ছিলেন আর তার সাথে লোকেরা অনেক শক্ত ভাবে ছিল
তায় তারা এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল
যেটা লাতিন আমেরিকার ইতিহাসে একটা বিরাট উত্সব ছিল
ইরাক , আসলে , একটা স্রেষ্টঃ উদাহরণ যেরকম
করে পুরো সিস্টেম টা চলে . তো , আমরা ইকোনমিক খুনিরা প্রথমে যায়
আমরা যেয়ে সরকার গুলিকে কে ঘুস দিয়ে নষ্ট করি
আর বড় মাত্রায় লোন নিতে বাধ্য করি
যেটাকে আমরা ব্যবহার করি আসলে তাদেরকে কিনে নেয়ার জন্য
যদি আমরা বিফল হয় , যেমন আমি বিফল হইছিলাম পানামা তে এবং একুয়াদরে
মানুষ যারা বিকৃত হতে প্রতাখ্যান করেছিল
তখন আমরা গুন্ডা ও খুনি দের পাঠায়
এরা সরকার কে তুলে দেয় না হয়তো মেরে ফেলে
আর যখন এটা হয়ে তখন একটি নতুন সরকার আসে
কিন্তু সেটা একটা পুতুল হই
কারণ যে নতুন রাষ্ট্রপতি আসে , সে জানে যে কি হবে সে যদি পুতুল না হই
ইরাকে দুই উপায়ই বিফল হই
ইকোনমিক খুনিরা সাদ্দাম হুস্সেন কে কিনে নিতে করতে পারেনি
আমরা খুব চেষ্টা করেছিলাম যাতে ও একটা চুক্তি গ্রহণ করে নেই যেরকম সৌদি সরকার গ্রহণ করে ছিল
কিন্তু ও সেটা গ্রহণ করেনি
তাই গুন্ডা দেরকে পাঠানো হই ওকে বের করে আনার জন্য
কিন্তু তারা সেটি করতে পারেনি . তার নিরাপদ ব্যবস্থা খুব ভালো ছিল
এককালে সে CIA এর জন্য কাজ করত
ওকে ভাড়া করা হযেছিল আগেকার ইরাকী রাষ্ট্রপতি কে খুন করার জন্য
কিন্তু তিনি গোটা বস্তুটি জানতেন
তাই , ১৯৯১ -এ আমরা সৈন্য পাঠায়
আর আমরা ইরাকের সেনা কে নষ্ট করি
তো, আমরা এক সময় মেনে চলেছিলাম
যে সাদ্দাম হুস্সেইন কে আমরা বের করতে পারব
আমরা আগেই ওকে বের করতে পারতাম
কিন্তু সেটা আমরা চায়নি . কারণ ও একজন খুব শক্তিশালী মানুষ ছিল যাকে আমরা চাইতাম
ও নিজের প্রজা কে দমন করে রাখত . আমরা ভেবেছিলাম যে ও কুর্দ দেরকেও দমন করবে
এবং ইরানী দের কে তাদের গন্ডি তে রেখে আমাদের জন্য তেল বের করবে . আর যখন আমরা সৈন্য নিয়েগেলাম
তখনি শুধু তাকে বের করা গেল
ইকোনমিক হিটমানরা ১৯৯০ এ গিয়ে
বিফল হই
যদি তারা সফল হত
তাহলে সে এখনো ইরাককে শাসন করত . আমরা তাকে সব লড়বার বিমান ওকে বিক্রি করে দিতাম
আর বাকি সব কিছু ও যা চেয়েছিল . কিন্তু ইকোনমিক হিটমানরা সফল হইনি
ভাড়াটে গুন্ডারা ওকে বের করতে পারেনি , তাই আমরা সৈন্য পাঠায়
আর এবারে আমরা পুরোপুরি সফল হই
আর এভাবে আমরা একটা আমাদের জন্য তৈরী করেছি
দেশগুলোর সাথে খুব দামী দামী
নির্মানের চুক্তি যাতে ওই দেশগুলো কে আমরা পুনর্নির্মাণ করতে পারি
যেগুলোকে আমরা ধংশ করি . আর এই চুক্তি টা খুব ভালো যদি আপনি
বড় বড় নির্মান কোম্পানীর মালিক হন
তায়, ইরাক এই তিনটি ধাপ আমাদের দেখায়
ইকোনমিক হিটম্যানরা বিফল হই
ভাড়াটে গুন্ডারা বিফল হই ..আর শেষে সৈন্য যায়
আর এইরকম করে আমরা একটা সাম্রাজ্য তৈরী করেছি
কিন্তু খুব চালাকি করে করেছি ...এটা খুব গোপনীয়
আগেকার সব সাম্রাজ্য সেনার ভিত্তিতে তৈরী হযেছিল
আর সবাই জানত যে তারা তৈরী করছে
ইংরেজরা জানত যে তারা তৈরী করছে , ফরাসী রা জানত, জার্মানরা ,রোমানরা , গ্রীকরা ,
আর তারা খুব গর্বিত ছিল এই নিয়ে ...তাদের কাছে সবসময় একটা বাহানা ছিল
যে তারা ধর্ম প্রচার করছে বা তাদের সংস্কৃতি প্রচার করছে ,
এই রকম ই সব,কিন্তু তারা জানত যে তারা সেটি করছে©
আমরা জানিনা
আমেরিকার বেশিরভাগ লোকেদের
কোনো কোনো ধারনায় নেই যে তারা এক গোপন সাম্রাজ্যের লাভের উপর টিকে আছে
তারা জানেইনা যে দুনিয়াতে আগের থেকেও বেশি দাসত্ব রয়েছে
এবার আপনি জানতে চাইবেন , আচ্ছা , যদি এটা একটা সাম্রাজ্য হই , তাহলে এর রাজা কে ?
অবশ্হই আমেরিকার রাষ্ট্রপতিরা রাজা নই
রাজা এমন কেও হই যাকে নির্বাচিত করা হইনা , এবং এক নির্দিষ্টঃ সময় সীমা পর্যন্ত থাকেনা
এবং কারো কাছে জবাব দেইনা
তাই আপনি ওরকম ভাবে আমাদের রাজাদের কে জানতে পারবেননা
আমি এই রাজা কে কর্পরেতক্রেসী বলে সম্বোধন করি
কর্পরেতক্রেসী হলো কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের দল
যারা আমাদের বৃহতম আইনবলে গঠিত যৌথ সংস্থা গুলিকে চালনা করে
এবং এরা সত্যি এক রাজার মত ব্যবহার করে
তারা আমাদের পত্রিকা ও মিডিয়া কে নিয়ন্ত্রণ করে
পত্রিকা গুলি কে কিনে অথবা বিজ্ঞাপনের সাহায্যে
তারা আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করে
কারণ তারা তাদের রাজনৈতিক অভিযানে টাকা দিয়ে সাহায্য করে
কর্পরেশনের মাধ্যমে
অথবা নিজের থেকে দান করে
যেগুলি কর্পোরেশন গুলি থেকে বেরিয়ে এসে
তারা নির্বাচিত হইনা
তারা নির্দিষ্টঃ সময় সীমা পর্যন্ত থাকেনা ,
তারা কারোর কাছে জবাব দায়ী নই
এবং কর্পরেতক্রেসির একদম উপরে কে বসে আছে আপনি টা বলতে পারবেননা
সে যে কোনো নিজ কর্পরেশনের জন্য কাজ করে না
না সরকারের জন্য টা জানা জানা কারণ তারা সব সময় স্থান বদলায়
তাই কখনো এক মুহুর্তে দেখবেন একজন যে হালিবর্তনের মত এক বড়
নির্মান কোম্পানীর রাষ্ট্রপতি
আর পরবর্তী মুহুর্তে সে আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি হযে যাচ্ছে
অথবা রাষ্ট্রপতি যে একটা তেলের ব্যবসা তে যুক্ত ছিল
আর এটা সত্য যতই আপনি ডেমক্রেট দের কে ভোট দিন বা রিপাবলিকান দের কে
একটা ঘুরন্ত দরজা দিয়ে এটা অদল বদল হতে থাকে
আর এরকম করে আমাদের সরকার অনেক সময় আমাদের কাছে অদৃশ্য থেকে যায়
এবং তার নিতী গুলি কোম্পানি গুলির দ্বারা চালনা করা হয়
বিভিন্ন রকম করে ...আর তার পর আবার
সরকারের নিতী গুলিকে
কর্পরেতক্রেচি দিয়ে জালি বানানো হই
আর তার পর সরকারের কাছে প্রস্তুত করা হয়
এবং সেটা সরকারী নিতী হয়ে যায়
এদের মধ্যে একটা দারুন রকমের সম্পর্ক আছে
আর এটা কোনো সরযোন্ত্রর মত নয়
এদের কে এক সাথে হয়ে
ছক করার প্রয়োজন হয়না . এরা সবায়
আসলে একটা প্রধান লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে
যে তারা যেন সর্বোচ্ছ লাভ অর্জন করতে পারে
এমন কি সামাজিক ও পরিবেশএর খতি করেও
কর্পরেতক্রেসির এই ছকের এই পদ্দতি টী
যেটা ঋণ , ঘুস্খরী ও রাজনৈতিক অত্যাচার কে বলা হয় :
বিশ্বায়ণ
ঠিক যে ভাবে ফেডেরাল রিসার্ভ আমেরিকার লোকেদেরকে দাসত্বের
পরিস্থিতী তে ফেলে দেয় , অনবরত ঋণ ও সুদের মাধ্যমে
বিশ্ব বাঁক ও IMF এই কাজ টা বিশ্ব স্তরে করে
এটা খুবই সহজ
একটা দেশ কে ঋণে ডুবিয়ে দাও , তার নিজের মুর্খতার জোরে
অথবা তার নেতাকে ঘুস খাইয়ে
এর পর কিছু শর্ত তাদের উপর চাপিয়ে দাও
যেমন এইরকম
মুদ্রার মূল্য হ্রাস
যখন মুদ্রার মূল্য কমে যায় , বাকি সব কিছুর মূল্য কমে যায়
এই ভাবে দেশের সমস্ত সম্পদ শিকারী দেশের কাছে চলে যায়
খুব কম দামে
সামাজিক যোজনা গুলির উপর খরচা কমিয়ে দেয়া হয়
আর সাধারণত সেগুলো শিখ্যা ও চিকিত্সা ক্ষেত্রে হয়
এতে সমাজের একতা ও সুখের ক্ষতি হয় এবং জনতার উপর
শোষণ হয়
সরকারী সংস্থান গুলির নিজীকরণ করা
এর মানে হলো যে সামাজিক কল্যানের বাবস্থান গুলোকে লাভের জন্য বিদেশী
কোম্পানি গুলির দ্বারা কেনা ও কব্জা করা যাবে
যেমন, ১৯৯৯-এ , বিশ্ব বাঁক জোর দিয়েছিল যাতে বলিভিয়ার সরকার যেন
নিজের তৃতীয় সবথেকে বড় শহরের জল-ব্যবস্থা আমেরিকার এক কোম্পানি -বেকটেল কে বিক্রি করে
যখনি এটা হলো ওখানের বাসিন্দাদের জন্য জলের দাম
আকাশ ছুঁয়ে গেল
জনতার একটা বড় ধরনের বিদ্রোহের পরই বেকটেল চুক্তি কে তুলে দেয়া হলো
ব্যবসার উদারীকরণ করা
দেশের মধ্যে বিদেশী ব্যবসার ওপর সমস্ত রকম প্রতিবন্ধ তুলে দেয়া
এই জন্য নানা রকমের নিন্দাজনক বিত্ত কার্যকলাপ কে ছাড় দেয়া হয়
যেমন ধরুন আন্তরাষ্ট্রীয় কোম্পানি গুলি নিজের তৈরী করা জিনিস-পত্র নিয়ে এসে বিক্রি করে
যার ফলে দেশের ভেতরের উত্পাদন মার খায় এবং সেখানকার ব্যবসা নষ্ট হয়
যেমন ধরুন জামাইকা
যে বিশ্ব বাঁক থেকে ধার নিয়ে এবং চুক্তি মেনে নেয়ার পর
বিদেশী ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় নিজের ফসলের সব থেকে বড় বাজার কে হার মানতে হয়
আজ বহু চাষী কাজ পাচ্ছেনা কারণ তারা বড় কোম্পানী গুলির সামনে
প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে
অন্য রূপে প্রচুর মাত্রায় অগ্রায্য করা এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ও অমানবিক ভাবে
কিছু কল-কারখানা তৈরী হয় যেগুলো এই তৈরী করা আর্থিক কষ্টের সুযোগ নেই
এ ছাড়া অনিয়ন্ত্রিত ভাবে উত্পাদনের জন্য
অনবরত পরিবেশ ধংশ হতে থাকে, যত নির্দয়ী কোম্পানি গুলি
একটা দেশের সম্পদ কে শোষণ করে
এবং বিশাল মাত্রায় ইচ্ছাকৃত ভাবে দূষণ ঘটাতে থাকে
পৃথিবীর সব থেকে বড় পরিবেশ দূষণের আইনি মামলা করা হয় ৩০,০০০ একুয়াদর বাসী ও আমাজোন বাসীদের দ্বারা
তেক্সাকর বিরুধ্যে , যাকে এখন chevron চালায় , তো এটা chevron -এর বিরুধ্যে ,
গণনা করে দেখা যায় যে Exxon Valdez আলাস্কার সমুদ্র অঞ্চলে যত ময়লা ফেলেছিল ,তার তুলনায় এটা ১৮ গুন বেশি দূষণ ঘটিয়ে ছিল
একুয়াদরে কিন্তু এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিলনা . তেল কোম্পানির এটা ইছাক্রিত ভাবে করেছিল . তারা জানত যে তারা এটা দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জায়গায় টাকা বাচানোর চেষ্টা করছে
এ ছাড়া , যদি বিশ্ব-বাঁক এর কাজ কে নিরীক্ষণ করা হয় , এটা জানা যাবে যে ,
দাবি করেছে গরিব দেশের সাহায্য করবে, সে আসলে দুর্ভিক্ষ বাড়ানো ছাড়া কিছুই করেনি
উল্টো সেখানে ধনীদের আরো ধনী করেছে
১৯৬০-এ পাঁচটি ধনী দেশ এবং পাঁচটি গরিব দেশের মাঝে income -gap ছিল ৩০- ১
১৯৯৮ এর মধ্যে সেটি হয়ে যায় ৭৪ -১
১০৭০ থেকে ১৯৮৫ -এর মধ্যে যেখানে বিশ্বের GNP ৪০% বেড়ে যায় , গরিবদের সংখা সেখানে ১৭% বাড়তে থাকে
১৯৮৫ থেকে ২০০০ এর মধ্যে , যাদের আয় দিনে ৫০ টাকারও কম , তাদের সংখ্যা ১৮% বেড়ে যায়
যাদের আয় দিনে ৪৫ টাকারও কম তাদের মাত্রা ১৮ % বেড়ে যায়
এমন কি আমেরিকার যুক্ত আর্থিক কমিটি মেনেছেন
যে বিষয় বাঁক এর সমস্ত প্রজেক্ট-এর
সুফল -এর মাত্রা হলো মাত্র ৪০%
১৯৬০-এর শেষে বিষয় বাঁক
ইচুয়াডোর-এ হস্তক্ষেপ করে প্রচুর লোন দিয়ে
তারপর পরবর্তী ৩০ বছর-এর মধ্যে দুর্ভিক্ষ ৫০% থেকে ৭০% বেড়ে যায়
বেরোজগারী ১৫% থেকে ৭০% বেড়ে উঠে
জনগনের ঋণ ২ হাজার ৪০ লক্ষ্য থেকে বেড়ে যায় ১৬০ হাজার লক্ষ্য ডলার
যখন কি সম্পদের ভাগ গরিব দের জন্য
২০% থেকে ৬ % হয়ে যায়
আসলে , ২০০০ সালেএর মধ্যে ইচুয়াদরের রাষ্ট্রীয় বাজেট
কে তৈরী করা হয় তার ঋণ শোধ করার জন্য
এটা বোঝা খুব জরুরি যে : বিশ্ব বাঁক আসলে হলো ,
একটা আমেরিকার বাঁক , যেটা আমেরিকার জন্য কাজ করে
কারণ আমেরিকা সব সিদ্ধান্তের ওপর জোর খাটাতে পারে
কারণ সে সব থেকে বেসি টাকা বিশ্ব বাঁক কে দেয়
আর কথা থেকে সে এই টাকা গুলো পায় ?
আপনি ঠিক ধরেছেন . শুন্য থেকে
ফ্রাক্সনাল রিসার্ভ বান্কিং প্রথা থেকে
বার্ষিক GDP -র আধারে , বিশ্বের 100 টি উচ্চতম আর্থিক দেশগুলির মধ্যে
৫১ টা হলো কোম্পানি এবং সেই ৫১ টার মধ্যে ৪৭ টি আমেরিকায় অবস্থিত
walmart , general morors, এবং exxon আর্থিক রূপে
সৌদি আরব , পোল্যান্ড , নড়বে, সুঠ আফ্রিকা , ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া
এবং এমনি অনেক দেশের থেকে শক্তিশালী
এবং আর্থিক সুরক্ষার জন্য বানিজ্জিক-বাধা গুলি যত নষ্ট করা হয়
মুদ্রা গুলি কে একসাথে বাজারে নিয়ে পাশা খেলা হয়
এবং যখন রাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থা আন্তরাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের
খুলা প্রতিযোগিতার পক্ষে হয়ে যায় , তখন এই ভয়ংকর রাজ্য ছড়িয়ে পড়ে
আপনি ২১- ইঞ্চি স্ক্রীনএর সামনে দাড়িয়ে
ভারত আর গণতন্ত্র নিয়ে চেঁচাও
এখানে কোনো ভারত নেই , কোনো গণতন্ত্র নেই
এখানে শুধু আছে IBM , ITT এবং AT &T
এবং আছে Dupont , Union Carbide আর Exxon
এরাই হচ্ছে আজকের রাষ্ট্র
আপনার কি মনে হয় রাশিয়ানরা নিজেদের কাউন্সিলে বসে কি নিয়ে কথা বলে ?
কার্ল মার্ক্স ?
তারা নিজেদের গণনা গুলি কঠিন কঠিন অঙ্কের মাধমে
এবং বিভিন্ন রকমের জটিল কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে
এবং সমস্ত রকম দেনা-পাবনা ও নিবেশ যুক্ত
সিদ্ধান্ত গুলো কে কমপিউটারে ঠিক করে ওরা , ঠিক যেমন আমরা করি
আমরা আর রাষ্ট্র এবং সিদ্ধান্তের দুনিয়ায় বাস করিনা মিস্টার বিল
এই পৃথিবী টা হলো একটা কোম্পানি যুক্ত কলেজ
যেটা বানিজ্য এবং ব্যবসার আইনে চলে
এই পৃথিবী টা একটা ব্যবসা মিস্টার বিল
একসাথে গণনা করলে , এই পৃথিবীর যুক্ততা
বিশেষ করে আর্থিক বিশ্ব-ইকরণ এবং
"খুলা-বাজার " নামে এই ভ্রান্তি নিজের মধ্যে একটা
"রাজ্য" কে জন্ম দিয়েছে
খুব কম রাষ্ট্র আসলে বিশ্ব বাঁক , IMF কিম্বা WTO দ্বারা
কঠিন নীতি গুলির থেকে ,
রক্ষা পেয়েছে
এই আন্তরাষ্ট্রীয় আর্থিক সংস্থাগুলি
ঠিক করে বিষ্যয়িকরণ আসলে কী
এই বিষ্যয়িকরণের এতোই ক্ষমতা যে আমরা আমাদের বেছে থাকা কালীন দেখতে পাব
যে বিশ্বের সব আর্থিক সম্পর্ক গুলো এক হয়ে গিয়েছে
একটা বিশ্ব জুড়ে খোলা বাজার পরিনিত করবে
এই বিশ্ব কে কযেকটা বানিজ্যিক শক্তি মিলে কব্জা করে নিতে চলেছে
যারা আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোকে কেড়ে নেয়
এই প্রাকৃতিক সম্পদ গুলিকে অর্জন করার জন্য যা টাকা লাগে সেগুলো কে কেড়ে নেয়
এর শেষ ফল হবে বিশ্ব জুড়ে একনায়কতন্ত্র
যেটা মানুষের জীবনের ওপর ভিত্তিক না হয়ে আর্থিক ও বানিজ্যিক শক্তির ওপর ভিত্তিক হবে
এবং যেমন যেমন অসাম্মতা বাড়বে , স্বাভাবিক যে
আরো বেশি করে লোকেদের আক্রোশ বাড়বে
তাই এই শক্তির প্রতিষ্ঠান বাধ্য হযে একটা নতুন পথ খুঁজে পেল
তাদের দমন করার জন্য যারা এই প্রতিষ্ঠান কে অস্বীকার করে
তায় তারা "উগ্রপন্থী" শব্দ- টির জন্ম দিল
"উগ্রপন্থী" শব্দটি একটি শুন্য পরিচয়
যেটিকে তৈরী করা হয়েছে যেকোনো ব্যক্তি বা সমিতির জন্য
যারা এই প্রতিষ্ঠান কে অস্বীকার করে
এটাকে কিন্তু কাল্পনিক "আল-কায়দার " সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না
যেটা শুধু মাত্র কম্পিউটার-এ রাখা আসলে একটা নাম
যেটা ১৯৮০ সালে আমেরিকা-যুক্ত মুজাহিদীন ছিল
" এটা সত্যি যে , আল-কায়দা বলে কোনো ইসলামিক সেনা বা উগ্রপন্থী সংগঠন নেই
আর এই কথা যে কোনো ভালো ইন্টেলিজেন্স অফিসার জানে
কিন্তু জনগণ কে বিশ্বাসিত করার জন্য যে এই রকম কোনো সংগঠন আছে ,
একটা অভিযান চালানো হচ্ছে... আর এই অভিযানের পেছনে আমেরিকা আছে "
-পিয়ের -হেনরি বুনেল , ফ্রান্সের প্রাক্তুন military ইন্টেলিজেন্স অফিসার
২০০৭ সালে
প্রতিরক্ষা দফতর ১৬১.৮ আরব ডলার পেয়েছিল
যাতে উগ্রবাদের সাথে এই মিথ্যে লড়াই লড়তে পারে
রাষ্ট্রীয় কাউন্টার- টেররিজম সেন্টার অনুজাই
২০০৪ সালে, প্রচলিত উগ্রবাদএর কারণে
প্রায় ২০০০ লোক মারা যায়
তার মধ্যে মাত্র ৭০ জন আমেরিকার নাগরিক ছিল
এই সংখা কে আমরা যদি গড় ধরে চলি তাহলে
আমরা পাব যে তার চেয়ে দুগুন লোক মারাজায়
প্রতিবছর peanut এলার্জির কারণে
আমেরিকা তে মৃত্যুর মূল কারণ হলো
হৃদয় রোগ , যার জন্য প্রতিবছর প্রায় ৪৫০,০০০ লোক মারাজায়
abong ২০০৭ সালে রিসার্চের জন্য সরকার যেই ফান্ড যোগাড় করে
এই বিষয়ে সেটা ছিল ৩ আরব ডলার
তার mane হলো যে আমেরিকা সরকার ২০০৭ সালে
৫৪ গুন খরচা করে উগ্রবাদ কে দমন করার জন্য
যা খরচা সে একটা রোগের দমন করা তে লাগিয়েছে
যেই রোগ উগ্রবাদের তুলনায় ৬৬০০ গুন বেসি মানুষ কে প্রতিবছর মারে
তাছাড়া , যতবার এই দুটি নাম - উগ্রবাদ ও আল কায়দা প্রত্যেকটি খবরে
যখন তখন বসিয়ে দেয়া হয় যেটা শুধু আমেরিকার লাভের জন্য হয়
ততবার এই মিথ্যে প্রচার বাড়তে থাকে
♫২০০৮ সালে আমেরিকার এটর্নি জেনেরাল আসলে কনগ্রেস কে
প্রস্তাবও দিয়ে দিলেন যেন তারা এই কল্পনার বিরুধ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয়
শুধু তাই নয় জুলাই ২০০৮ অবধি প্রায় ১০ লখ্য জন
আমেরিকার উগ্রপন্থী তালিকায় আছে
তথাকথিত "উগ্রপন্থী -দমনকারী-উপায় " গুলির সাথে
আসলে সমাজের প্রতিরক্ষার কোনো সমবন্ধ নেই
তবে সমবন্ধ আছে শুধু আমেরিকার বিরুধ্যে এই বেড়ে উঠা এই আবেগের মাঝে
প্রতিষ্ঠান কে টিকিয়ে রাখার সাথে
দুই ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রীয় ও অন্তরাষ্ট্রীয়
যেটা পুরো দুনিয়া কে শোষণ করছে
আসল উগ্রপন্থী , মাঝ রাত্রে দেখা করেনা
অথবা কোনো হিঙ্গশ্র ঘটনার সামনে " আল্লাহ আকবর " বলে চিত্কার করেনা
আসল উগ্রপন্থী ৫০০০ ডলারের দামী সুট পরে
এবং সরকার , ব্যবসা ও আর্থিক জগতের সব থেকে উছতম স্থান গ্রহণ করে
তাহলে আমরা কি করি ?
কি রকম করে আমরা এই সমাজ কে লোভ এবং দুর্নীতির থেকে বাচাবো ?
যার মধ্যে এত ক্ষমতা ও শক্তি আছে
কি রকম করে এই লোকেদের এই খারাপ ব্যবহার কে থামায় , যার কোনো মায়া-মমতা নেই
যেমন ধরুন লখ্য লখ্য মানুস কে আফগানিস্তানে ও ইরাকে মেরে ফেলা হয়
যাতে কোম্পানি গুলো আরো ধখল করতে পারে
তেলের এবং আফিম উত্পাদনের উপর যাতে Wall Street মুনাফা কমাতে পারে
১৯৮০ সালের আগে আফগানিস্তানে আফিম চাস ০ % হত
তার পর সোভিয়েত -আফঘান যুদ্ধে যখন আমেরিকার সাহায্যে নিয়ে মুজাহিদীন জিতে গেল
১৯৮৬ এর মধ্যে ওখানে ৪০ % হেরোইন সাপ্লাই হতে লাগলো
১৯৮৮ এ তারা বাজারের যা সাপ্লাই তার ৮০ % উত্পাদন তৈরী হতে লাগলো
কিন্তু তারপর কিছু অঘটন ঘটল
২০০০ সালের মধ্যে তালিবান ক্ষমতায় এলো এবং তারা বেশিরভাগ আফিম খেত নষ্ট করে দেয়
উত্পাদন ৩০০০+ টন থেকে মাত্র ১৮৫ টনে নেমে যায় , প্রায় ৯৪% ঘাটতি হয়
সেপ্টেম্বর ৯ ,২০১১ তে আফঘানিস্তানের উপর হামলার পুরো প্লান রাষ্ট্রপতি বুশের তাবিলের উপর চলে আসে
দু দিন পর তাদের কাছে তাদের অজুহাত থাকে
আজকে , আমেরিকা শাষিত আফগানিস্তানে আফিমের উত্পাদন
বিশ্বের ৯০% হেরোইনের থেকেও বেশি
এবং প্রতিবছর নতুন রেকর্ড ভাঙছে
তাহলে কিকরে আমরা এই লোভ এবং দুর্নীতি যুক্ত ব্যবস্থা কে আটকায়
যেটা ফাক্টরী তে গোলামী করা গরিবদের ঘৃণার চোখে দেখে
যা দিয়ে মাদিসন অভেনু লাভ করে
অথবা যেটা সাজানো উগ্রপন্থী ঘটনা ঘটায়
মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য ?
কিম্বা যেটা তৈরী করে কিছু এমন সামাজিক কর্ম
যেগুলি গড়া থেকেই নষ্ট
কিম্বা যেগুলি জনগনের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়
এবং মানব অধিকার কে অবহেলা করে
যাতে নিজেকে নিজের দোষ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে
কিরকম করে তাহলে আমরা অসংখ লুকোনো সংস্থান গুলিকে আটকাবো
যেমন হলো কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশান্স
যেমন ত্রায়লাটারাল কমিশন এবং বিল্দার্বার্গ গ্রুপ
এবং অন্যান্য অগণতান্ত্রিক ভাবে তৈরী গ্রুপ
যেগুলি বন্ধ দরজা পেছনে লুকিয়ে একসাথে যত বেঁধে আমাদের জীয়বনের
রাজনৈতিক, আর্থিক , সামাজিক এবং বাতাবরণের অংশ গুলো কে নিয়ে খেলছে
উত্তর তা খোজার আগে,মূল কারণ গুলি জানা উচিত
এবং মূল কারণ
আসলে হলো যে :
হিংসুটে , নষ্ট , শক্তিশালী ও লোভি লোকেরা
এই সমস্যার আসল স্রোত নয়
এগুলো শুধু মাত্র লক্ষণ
" লোভ এবং দুর্নীতি আসলে মানুষের চরিত্রের ফল নয়
...লোভ এবং অভাবের ভয় আসলে তৈরী করা হয় .....
যার সোজা ফল হলো যে আমাদের বেছে থাকার জন্য আমরা পরসপরের সাথে লড়তে থাকি "
- বার্নার্ড লিয়ার্টার - EU মুদ্রা প্রণালীর প্রতিষ্ঠাতা
-আমার নাম যাক ফ্রেস্কো
আমি একজন ইন্দাস্ত্রিয়াল ডিজাইনার এবং সোশাল ইঞ্জিনিয়ার
আমি এমন একটা সমাজ তৈরী করতে চায়
এবং তৈরী করে চলেছি যেটা টেক্শয় হবে , এবং সকলের জন্য হবে
অতএব, যেমন একটি পারিপাট্যহীন ব্যক্তি বেচে থাকার জন্যে বাধ্য হবে চুরি করতে ,
অতএব, জনগণ সত হতে পারে না। এবং জনগণ একে অপরকে বিশ্বাস করে না।
এক বেক্তি আপনার কাছে এসে বলবে " আমার কাছে ঠিক সেই বাড়িটিই আছে যেমনটি আপনি খুজছেন " ,
সে একজন দালাল।
যখন একটি ডাক্তার বলে, " আমার মনে হচ্ছে আপনার বৃক্কটি বার করতে হবে "
একটি অর্থনৈতিক পদ্ধতিতে জনগণকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন।
আপনি যদি আমার দোকানে আসেন এবং আমি যদি বলি
"এই প্রদীপটা যেটা আমার কাছে আছে সেটা বেশ ভালো, কিন্তু পাশের দোকানের প্রদীপটা আরো বেশি ভালো "
আমি দীর্ঘদিন ব্যবসায় থাকতে পারব না। এইটি কাজ করবে না।
যদি আমি নৈতিক হতাম, তাহলে কাজ হত না।
সুতরাং আপনি যখন বলেন শিল্প জনগনের যত্ন নেয়, সেটা ভুল কথা।
তারা নৈতিক হতে সমর্থই নয়।
আর,এছারা,আজকের অনেক কাজেরই
resource based economy তে কোনো দরকার থাকবে না
যেমন টাকার management,
advertising,এমনকি আইনের ও কোনো দরকার থাকবে না।
কারণ টাকা ছারা,অপরাধের একটা বড় অংশ
যা আজ হচ্ছে,তা আর কোনোদিন হবে না।
মূলতঃ,সব ধরনের অপরাধই
সোজাসুজি ভাবে এই monetary system,
অথবা আরথিক বিতাড়নার ফল
কাজেই,আইন নিজেই ক্রমাগত তার অস্তিত্ত হারাবে।
"সাবধানে গাড়ি চালান" অথবা
slippery when wet"সাইন লাগানোর বদলে,highway তে abrasive ঢেলে দাও
জাতে ওটা ভিজে থাকলেও slippery না হয়
এবং,যদি কেউ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গারিতে ওঠে
ও গাড়ি যদি প্রচন্ড দোলে,
তাহলে একটা ছোট pendulum সামনে ও পিছনে দুলে
গাড়িকে এক ধারে সরিয়ে দেবে
কোনো আইন নয়,একটা সমাধান।
যানবাহনে radar ও sonar লাগিয়ে দাও যাতে তারা একে অন্যকে ধাক্কা না মারতে পারে।
মানুষের বানানো আইন
সর্বদাঘটিত অসুবিধার সঙ্গে বোঝাপড়া করার চেষ্টামাত্র
আর সেগুলোকে কিভাবে solve করা যায় না ভেবেই,
তারা একটা আইন বানায়।
united states,বিশ্বের বৃহত্তম privatized capitalized দেশেই
সাধারণতঃ ভাবেই বিশ্বের ব্রহত্তম কয়েদখানা রয়েছে
যা প্রতি বছর বেরেই চলেছে।
statistically দেখা গেছে এর মধ্যে বেশির ভাগই অশিক্ষিত
এবং গরিব বিতারিত সমাজের অন্তর্ভুক্ত
এবং propagandaর উল্টোমতেই,এই সামাজিক পরস্থিতিই
তাদেরকে হিংস্র ও অসামাজিক কাজে বাধ্য করেছে।
কিন্তু সমাজ এই বিষয়টাকে
অন্য রকমভাবে দেখেছে।
আইন বা শাশ্তিব্যবস্থা,আমাদের সমাজ কিভাবে
আচার আচরণের মূল কারণগুলোকে
পরিক্ষা করাকে এড়িয়ে যায়,তারই উদাহরণ।
প্রতি বছর পুলিশ ও জ়েলখানার জন্যে কটি কটি টাকা খরচ করা হয়
অথচ তার মাত্র কিছু অংশ দারিদ্রতা,
যা এই সমাজবিরধী আচরণের মূল,
তারজন্যে খরচ করা হয়।
যতক্ষণ আমরা এই economic system এর মধ্যে রয়েছি,
যা অভাব ও বিতারণা সুধু তৈরীঈ নয়
তা সাহায্যও করে,অপরাধ কোনো দিনই যাবে না।
incentive
যদি মানুষ জীবণের দরকারী সবকিছুই
চাকরি,ঋণ,আদান-প্রদাণ ছাড়া পেয়ে যায়
তবে তাদের আচরন হবে আলাদা।
তুমি সেইসব জিনিস কোনো দাম ছারাই পেতে চাইবে।
কিন্তু তখন তোমার সামনে রয়েছে একটা price tag.মানুষকে তাহলে কাজে উদ্বুদ্ধ করবে কি?
মানুষ যদি তার চাহিদার সবকিছুই পেয়ে যায়,তবে সে তো সারাদিনই অলস ভাবে কাটাবে।
এটা সুধু মাত্র তাদের ছরানো একটা গুজব।
আমদের সমাজে মানুষদেরকে শিখিয়ে বিশ্বাশ করানো হয়
যে এই মুদ্রানিতী আমদের কাজের উদ্দীপক।
যদি তারা সর্বশ্বকিছুর উত্তরাধিকার পেয়েই যায়,তবে তারা কেন কোনো কিছু করতে চাইবে?
তারা তখন তাদের উত্সাহ হারাবে।
ঠিক এইটাই আমাদের শেখান হয়,এই monetary system কে সমোর্থন করার জন্যে।
যখন দৃশ্যাবলী থেকে টাকাকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে,
তখন কাজের প্রেরণা হবে অন্যরকম...অনেকই অন্যরকম।
যখন মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অনায়াশেই পাবে
তখন তাদের incentiveও পাল্টাবে।
চাঁদ ও তারামন্ডলীর সম্পর্কে তারা উত্সাহিত হবে।
নতুন উত্সাহ জন্মাবে।
যদি তুমি একটা ছবি এঁকে আনন্দ পাও,
তবে তা তুমি অন্যদেরকে দিয়ে আনন্দিত হবে,বিক্রি করে নয়।
education
আমার মনে হয় শিক্ষার অনেকটাই,যা আমি সর্বদা দেখি,
মূলতঃ একটি মানুষকে চাকরীর জন্যে তৈরী করে।
এটা খুবই ব্যাক্তিবিষিষ্ট।তারা মোটেই সার্বজনীন নয়।
মানুষের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত গ্যান্ নেই।
আমার মনে হয় না যে মানুষ অনেক বিষয়ে অনেককিছু
জেনে গেলে তাকে যুদ্ধে পাঠানো সম্ভব হবে।
আমার মনে হয় শিক্ষা অনেকটাই মুখস্থবিদ্যা,
এবং তাদেরকে আবেগপূর্ণ,বা নিজের আওতার
অন্তর্গত সমালোচোনামূলক চিন্তাভাবনা দিয়ে
সমস্যার সমাধান করতেও শেখান হয় না।
কিন্তু resorce based economyতে শিক্ষাব্যাবস্থা হবে অনেকটাই অন্যরকম।
আমাদের সমাজের মূল লখ্যই হল প্রত্যেক্টি মানুষকে
তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় উদ্দীপিত করে তাদের মানষিক উন্নতি ঘটানো।
কারণ আমাদের নীতি হল"মানুষ যত বুদ্ধিদীপ্ত হবে,পৃথিবী ততই উন্নত হবে,
কারণ সকলেই হয়ে যাবে প্রদায়ক"।
তোমার বাচ্চারা যতই smart হবে,আমার জীবণ ততই ভালো হবে
কারণ তারা প্রকৃতিকে ও আমার জীবনকে আরও সুগঠিত ভাবে
নির্মাণ করতে যোগদান করবে।
কারণ resource based economy অন্তর্ভুক্ত
সকল পরিকল্পনাই সমাজে প্রয়োগ করা হবে,এবং তাকে বাধা দেওয়ার জন্য কিছুই থাকবে না।
দেশপ্রেম,অস্ত্র,স্থলসেনা,জলসেনা,
এই সবই একটি চিহ্ন যে মানুষ এখনো সভ্য হয়ে উঠতে পারে নি।
বাচ্চারা তার অভিভাবকদের জিগ্যেশ করবে,
"তুমি যন্ত্রের প্রয়োজন দেখতে পাও নি?
বাবা,তুমি কি বুঝতে পারোনি যে যখন তুমি অভাব তৈরী করবে
যুদ্ধ অবশ্যম্ভবী?এটাই কি স্পষ্ট নয়?"
বাচ্চাটি নিশ্চই বুঝতে পারবে যে তোমাদের মত অবুদ্ধিমানদের
শূধুমাত্রই স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবা করার জন্যে তৈরী করা হয়েছে।
আমরা এতটাই ঘৃণ্য ও অসুস্থ সমাজের,
যে আমাদের ইতিহাসের পাতায় স্থান হবে না।
তারা শুধুমাত্রই বলবে,শক্তিশালী জাতি হিংসা ও বল প্রয়োগ করে
দুর্বল জাতির থেকে জায়গা কেড়ে নিয়েছে।
তুমি দেখবে যে ইতিহাস,যতক্ষণ না পর্যন্ত সভ্য সমাজ গড়ে উঠেছে,
ততক্ষণ সর্বদাই দূর্নীতিমূলক কর্মের কথাই উল্লেখ করে গেছে।
ঠিক তখনি সকল জাতি একত্রে কাজ করতে শুরু করেছে।
পৃথীবির একত্রীকরণ,সর্বসাধারণের কল্যাণের জন্যে কাজ করা
এবং কারো অধীনস্ত না হওয়া
সামাজিক স্তরবিন্যাস ছারা,প্রযুক্তিগত অভিজাততন্ত্র
বা যেকোন আভিজাততন্ত্রই এই পৃথীবির মুখ থেকে নিশ্চিন্হ হয়ে যাবে।
'state'কিছুই করবে না কারণ কোনো 'state'ই থাকবে না।
কারণ কোনো 'state'ই থাকবে না।
যে ব্যাবস্থার আমি প্রবক্তা,resource based বিশ্বায়িতি economy
নির্ভুল নয়,এটি শুধুই আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে বহুগুনে ভালো।
আমরা কখনই perfection অর্জন করতে পারব না।
আমাদের সমাজের সামাজিক মূল্য,
যা অন্তহীন যুদ্ধে স্পষ্টতই প্রতীয়মাণ
দূর্নীতি,অন্যায় দমনকারী আইন,সামাজিক শ্রেণীবিভাগ,অপ্রয়োজনীয় কুসংস্কার
প্রাকৃতিক বিধ্বংশ,এবং এক স্বেছ্বাচারী,
profit প্রিয়,শাশনকারী সামাজিক জাত
এই সবই মানুষের বাস্তব সম্পর্কে
দুই প্রধান উপলব্ধীকে অবগ্যা করার ফল।
প্রাকৃতিক নিয়মের উত্থানশীল ও সংসর্গজনিত দিক।
বাস্তবিক আইনের উত্থানশীল নিয়মই হল যে সব তন্ত্রই
তা সে শিক্ষা,প্রযুক্তি,
নীতিশাশ্ত্র,বা যেকোনো সৃষ্টিকর্মই হোক
যখন প্রথানুগত মানুষের বিরাজমান সামাজিক ও নৈতিক বাধা থেকে মুক্তি পাবে
তখন তা এক প্রবাহমান অনন্ত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হবে।
আধুনিক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যাবস্থা
যা আমরা গতানুগতিক মনে করি
প্রাচীন যুগে তা ধারনাশক্তির ঊর্দ্ধে ছিল।
সেইরকমই,ভবিষ্যতও এমনই প্রযুক্তি,
বাস্তবায়ন এবং সামাজিক কাঠামো
ধারণ করবে যার গভীরতা বর্তমানে আমরা মাপতে পারব না।
আমরা গেছি alchemy থেকে chemistryতে
ভূকেন্দ্রিক থেকে helioকেন্দ্রিক বিশ্বব্রম্হাণ্ডে
এবং ভূতপ্রেত থেকে
আধুনিক চিকিত্সা ব্যাবস্থায়
এই উন্নতির কোনো অন্ত নেই,
এবং এই সেই সচেতনতা যা আমাদেরকে অবিশ্রান্ত ভাবে
বিকাশ ও উন্নতির পথে সারিবদ্ধ করে নিয়ে চলে
স্থিত বাস্তবিক প্রয়োগের কোনো অস্তিত্বই নেই
বরং সকল তত্বের অন্তর্নিহিত উত্থান কেই
আমাদের চিনতে হবে
অর্থাত্,আমরা সবসময়ই নতুন তথ্যেকে স্বীকার করব
যদিও তা আমদের প্রচলিত বিশ্বাস ও পরিচয়কে ভূল প্রমানের সঙ্কেত দেয়
দুঃখজনকভাবেই,সমাজ এটিকে বুঝতে পারেনি,
এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বদাই,সেকেলে কাঠামোকে সংরক্ষণ করে
উন্নতিকে অথর্ব করে গেছে।
একইসঙ্গে,জনতা পরিবর্তনের ভয়ে ভুগে চলেছে
কারণ তাদের চিন্তাশক্তি এক স্থির পরিচয় ধারণ করেছে,
ও নিজের বিশ্বাসের সাথে প্রতিদ্বন্দীতা
স্বভাবতই অপমান ও আশঙ্কায় পরিণত হয়েছে
কারণ ভূল হওয়াকে ভ্রান্ত ভাবেই ব্যার্থতার সাথে জরানো হয়েছে
যখন,বাস্তবিকভাবেই ভূল প্রমাণিত হওয়াকে সম্মানিত করা উচিত
কারণ এটা একজনকে নতুন উপলব্ধিতে উন্নীত করে
সচেতনতা বৃদ্ধীতে সাহায্য করে।
প্রকৃত ঘটনা হল,বুদ্ধিমান মানুষ বলে কিছুই হয় না,
কারণ সময়ানুক্রমে
তাদের ধারণা আধুনিক,পরিবর্তিত ও উদ্ভাসিত হয়।
এবং এই বিস্বাস কে অন্ধভাবে পালন কোরে
সেটাকে সম্ভাব্য নবরুপান্তরিত তথ্য থেকে লুকিয়ে রাখার প্রবনতাও
বুদ্ধিদীপ্ত বস্তুবাদের একটা রূপ।
অর্থনিতী এই বস্তুবাদকে চিরস্থায়ী করে
শুধুমাত্র তার আত্মসংরক্ষিত কাঠামো দিয়েই নয়,
এমনকি তার অসংখ্য অন্ধমনষ্ক ও চিন্তাহীন মানুষের দ্বারাও
যাদের সুধু এই স্থাপত্যগুলোকে সমর্থন করা সেখানো হয়
এবং এইভাবে এই অর্থনিতী
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের স্বনিযুক্ত অভিভাবক হয়ে ওঠে।
ভেড়া যাদের নিয়ন্ত্রন করার জন্যে কোনো কুকুরের দরকার হয় না।
কারণ তারা আদর্শবিরোধীকে বিচ্ছিন্ন করে
একে অপরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বদলকে আটকিয়ে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানদেরকে
পরিচয়,বিলাসিতা,ক্ষমতা ও লাভের স্বার্থে অনুমোদন করার এই প্রবনতা
পুরোপুরিই অসহ্যকর
আর এটা সুধুই বৈষম্য,
ক্ষণ্ডন,বিকৃতি ও ব্যাতিক্রমহীনভাবে
ধ্বংস ই তৈরী করবে।
সময় এসেছে বদলানোর।
শিকারী ও জোগানকারী থেকে,
কৃষীবিপ্লব,
শিল্পবিপ্লব,
উদাহরণ খুবই স্পষ্ট।
সময় এসেছে এক নতুন সমাজ ব্যাবস্থার
যা আমাদের আজকের উপলব্ধীকে প্রতিফলিত করবে।
এই monetary system সেই বিষেশ সময়ের ফল
যখন অভাব ছিল বাস্তব।
আজকের এই প্রযুক্তির যুগে সমাজে এর আর কোনো প্রয়োজন নেই
উধাও হবে অভাবজনিত বিপথগামী ব্যাবহারও।
একইভাবে,ঈশ্বরবাদী ধর্মের মত প্রবল বিশ্ববিবেচনা
সামাজিক অপ্রাসঙ্গিকতা দ্বারাই পরিচালিত হয়।
ইসলাম,খ্রীষ্টধর্ম,ইহুদিধর্ম,হিন্দুধর্ম ও বাকি সবই
ব্যাক্তিগত ও সামাজিক উন্নতির পথে বাধাস্বারূপ অবস্থান করে
কারণ প্রত্যেক গোষ্ঠীই একটা বদ্ধ পৃথীবির ছবি তুলে ধরে
আর তাদের প্রচারিত এই সীমিত উপলব্ধী
এই উত্থানশীল জগতে স্রেফ সম্ভব নয়।
তবুও ধর্ম তার অনুশরণকারীদের ওপর
মানষিক বিকৃতি সঞ্চারিত করে,
তাদের ক্রমবর্ধমান সচেতনতাকে আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে
যেখানে যুক্তিবাদ ও নতুন তথ্যকে
প্রথাগত সেকেলে বিশ্বাসের স্বার্থে বাতিল করা হয়েছে।
ভগবানের ধারণাটা
জিনিসের প্রকৃতিকে বিবরণ করার একটা উপায়মাত্র
প্রাচীনযুগে মানুষ,কিভাবে এসব তৈরী হয়
প্রকৃতি কিভাবে কাজ করে
এসব সম্পর্কে বেশীকিছুই জানত না।
সেইজন্যে তারা নিজেরাই গল্প তৈরী করে,
নিজের আদলে ভগবানকে তৈরী করেছিল।
একটা লোক যে ভীষণই রাগ করে
যখন মানুষ সঠিক আচরণ করে না,সে বন্যা ও খরা স্রষ্টি করে,
এবং তারা বলে যে এসবই ভগবানের কর্ম।
ধর্মের চাপা দেওয়া ইতিহাসের ওপর এক ঝলক দৃষ্টি
দিলেই বোঝা যাবে যে প্রতিষ্ঠিত রূপকথাগুলো হল
সময়ের প্রভাবে বড়ো হওয়া প্রকাশমান শীর্ষবিন্দু
উদাহরণস্বরূপ,খ্রীষ্টধর্ম বিশ্বাসের এক প্রধান মতবাদ হল
যিশুখ্রীষ্টের ম্রত্যু ও তার পূর্ণজন্ম
এই অভিমত এতই গুরুত্বপূর্ণ যে bible নিজেই উল্লেখ করছে,
যদি খ্রীষ্ট না জন্মাতেন,
তবে আমাদের প্রচারণা হত বৃথা এবং তোমার বিশ্বাসও হত বৃথা
তবুও এই বর্ণনাকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর
কারণ পার্থিব ইতিহাসে
এই অলৌকিক ঘটনার কোনো মুখ্য উত্স নেইযে শুধু এই নয়,
মনকি খ্রীষ্টপূর্ব অসংখ্য পরিত্রাতা
যাদেরও ম্রত্যু ও পুর্ণজন্ম হয়েছিল তাদের সচেতনতা
অবিল্মবেই এই গল্পকে সংযোগ দ্বারা এক অবাস্তবিক এলাকায় স্থাপন করে
পৌরানিক church অভিজাতেরা,যেমন tertuillian
এই সংযোগকে ভাঙার জন্যে অনেক দূর গিয়েছিলেন,
এমনকি এও বলেছিলেন যে শয়তান এইসব সাদৃশ্য ঘটিয়েছে
দ্বিতীয় শতকে নিবেদিত,
শয়তান,যার কার্য সত্যকে ভুলপথে চালনা করা,
দৈব ভোজনের পরিস্থিতিকে যথাযথ ভাবে নকল করেছে।
সেঁ তার শিষ্যদের দীক্ষিত করে পাপকে ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দেয়
ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে রুটি নিবেদনাকে সে আনন্দের সঙ্গে উদ্যাপন করে,
এবং পুর্ণজন্মের চিহ্নকে উপস্থাপন করে।
সুতরাং,শয়তান,যে,যা ঐশ্বরিক তার বিশিষ্ট কিছু অনুকরণ করেছে
চলো আমরা তার ছলনাকে স্বীকার কোরে নিই।'
দুঃখজনক অবশ্য এই যে,
যখন আমরা এই ধারণা থেকে বিরত হই যে খ্রীষ্টধর্ম
ইসলাম,হিন্দুধর্ম ও বাকি সবই
হল অতিরঞ্জিত ইতিহাস,
এবং তারা যা তা স্বীকার করে নিই,
যা বিভিন্ন বিশ্বাস থেকে পাওয়া পুরোপুরিভাবে অবাস্তবিক কল্পনামাত্র
তখন আমরা দেখতে পাই যে সব ধর্মই আসলে একই সূত্রের অংশ।
এবং এই সমবদ্ধ আদর্শকেই
চেনা ও সঠিকভাবে উপভোগ করা দরকার।
যে কোনো আদর্শের চেয়ে ধার্মিক আদর্শই সবচেয়ে বেশী
ভাগাভাগি ও সংঘাত ঘটিয়েছে
Christianityর নিজেরই 34হাজারের চেয়ে বেশী উপগোষ্ঠী রয়েছে।
bible হল ব্যাখ্যার অধীন
যখন তা পড়বে,তুমি বলবে
আমার মনে হয় jesus এটা বলেছিলেন।আমার মনে job ওটা বলেছিলেন।
না না!উনি এটা বুঝিয়েছিলেন'
তখন তোমার কাছে থাকবে lutheran,seventh-day adventist,catholic,
এবং একটা আলাদা হওয়া church,আদোলে কোনো churchই নয়।
এবং একটা আলাদা হওয়া church,আদোলে কোনো churchই নয়।
এই বিভাজনের মুহূর্ত
যা সকল ঈশ্বরবিশ্বাসী ধর্মের বৈশিষ্ট
আমাদের এনে পৌছায় আমাদের সচেতনতার দ্বিতীয় ব্যার্থতায়
যেখানে বিভাগের ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে দিয়ে
জীবনের সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ককে বাতিল কোরে দেওয়া হয়
সকল প্রাকৃতিক তত্ত্বই যে ক্রমবর্ধমান,
যেখানে বাস্তবতার সব ভাবধারণাকেই প্রতিনিয়ত উন্নত
পরিবর্তন,এমনকি মূল সমেত তুলে ফেলাও হবে,
এটা উপলবদ্ধী করা ছারাও আমাদের বুঝতে হবে,যে সব তন্ত্রই আসলে
আলাপ আলোচনার খাতিরে আবিষ্কৃত,একটা টুকরো
কারণ এ জগতে স্বাধীনতা বলে কোনো জিনিসই নেই
সম্পূর্ণ প্রকৃতিটাই হল পরস্পরনির্ভর পরিবর্তনশীলতার একটা একত্রিত সংস্থান
প্রত্যেকটাই একটা কারণ ও ফলস্বরূপ এক কেন্দ্রীভূত সম্পূর্নতা হিসাবে বিদ্যমান।
তুমি প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগস্থাপনের কোনো জায়গা দেখতে পাও না
তখন মনে হয় আমরা মুক্ত...চারদিকে ঘুরে বেরাচ্ছি।
oxygen সরিয়ে নাও,আমরা তত্ক্ষণাত মারা যাব
গাছের জীবন নিয়ে নাও,আমরা মৃত
আর সূর্য ছারা,সব গাছই মরে যাবে
সুতরাং আমরা সবাই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত
আমাদের অতিঅবশ্যয়ই এই সমগ্রতাকে হিসাবে নিতে হবে
এটা সুধুমাত্রু মানষিক অভিগ্যতাই নয়
এটা হল এক সার্বিক অনুভূতি
এবং আমরা জানি গাছ ও পশুপাখি ছারা আমরা বাচতে পারব না
আমরা জানি প্রকৃতির চারটে উপাদান ছারা আমরা বাচব না,তাই না?
আর তাই যদি হয়,তাহলে এই বিষয়টাকে আমরা কখন seriously নিতে শুরু করব?
সার্থক হওয়ার জন্য এটাই চাই।
সাফল্য নির্ভর করে কত ভালো ভাবে আমরা নিজেদেরকে পারিপার্শ্বিক সবকিছুর সাথে সম্পর্কিত করতে পারি
আমি এই বিষয় সম্পর্কে খুবই সচেতন যে আমার grandson
একটা অব্যাহত,শান্তিপূর্ণ,সুস্থ,সামাজিক ভাবে ন্যায্য,পৃথিবীর
উত্তরাধিকার হওয়ার আশা করতে পারে না,
যতক্ষণ না পর্যন্ত আজকের
ethiopia,indonesia,bolivia,palestine,israel
এ বেরে ওঠা প্রত্যেকটা শিশুই সেই একই আশা করতে পারে।
তোমাকে নিতে হলে সম্পুর্ণ সম্প্রদায়েরই দায়িত্ব নিতে হবে
নইলে তোমাকে খুবই গুরুতর সমস্যায় পরতে হবে
আর এখন আমাদের বুঝতে হবে যে গোটা বিশ্বটাই সেই সম্প্রদায়
এবং আমাদেরকে সেই ভাবেই একে অন্যের যত্ন নিতে হবে
আর এটা সুধু মানবজাতিরই সম্প্রদায় নয়,
এটা সকল গাছপালা,পশুপাখি ও উপাদানের সমগোষ্ঠী
আর এটা আমাদের অতিঅবশ্যই বুঝতে হবে
এটাই আমাদের সুখও এনে দেবে,আর সাচ্ছ্যন্দও
আমাদের জীবনে এখন ঠিক এইটারই অভাব।
আমরা এটাকে আধ্যাত্মিকতা বলতে পারি,কিন্তু প্রকৃত বিষয়বস্তু হল যে
আনন্দ ওই সংযোগ স্থাপনের পরম সুখ থেকেই আসে
এটাই আমাদের ভগবানপ্রদত্ত শক্তি,এইটাই আমাদের সেই দিক যা
সত্যিকারেরই তা অনুভব করে,আর নিজের ভিতরে তুমি সেটাকে অনুভব করতে পারো
এটাই সেই অদ্ভুত চমত্কার অনুভূতি,এবং তুমি যখন সেটা পাবে,তখন তুমি জানতে পারবে।
তুমি এটা টাকা থেকে পাও না,তুমি এটা পাও সংযোগ থেকে।
একবার যখনই আমরা বুঝে যাব যে আমাদের ব্যাক্তিগত অস্তিত্বের চারিত্রিক শুদ্ধতা
পুরোপুরি ভাবে আমাদের জগতের বাকি সবকিছুর
চারিত্রিক সরলতার ওপরেই নির্ভর করে
তখনই আমরা শর্তহীন ভালবাসার অর্থও সঠিক ভাবে বুঝে যাব
কারণ ভালবাসা হল সম্প্রসারণা এবং সকলকিছুকে নিজের মত
আর নিজেকে সকলকিছুর মত দেখার মধ্যে কোনো শর্তাবলী থাকতে পারে না
কারণ প্রকৃতপক্ষে,আমরা সবকিছু একইসঙ্গে।
"যদি এটা সত্যি হয় যে আমরা সবাই একটা তারার কেন্দ্র থেকে এসেছি,
আমাদের প্রত্যেকটা পরমাণু তারার কেন্দ্রবিন্দু থেকে,
তাহলে আমরা সবাই একই বস্তু
এমনকি একটা coke মেশিন,বা রাস্তায় একটা cigarretteএর বাটও
পরমাণু দিয়ে তৈরী যা তারা থেকেই এসেছে।
তাদের সবাইকে হাজারবার করে recycle করা হয়েছে
যেমন করা হয়েছে আমাকে বা তোমাকে।আর তাহলে,এইখানে শুধু আমিই আছি
তাহলে এখানে ভয় পাওয়ার কি আছে?
সান্ত্বনা দেওয়ার মত এখানে কি আছে?
কিছুইনা।ভয় পাওয়ার মত এখানে কিছুই নেই কারণ এখানে শুধু আমরাই।
সমস্যা হল যে জন্মেই আমাদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে
আর একটা নাম ও একটা পরিচয় দিয়ে স্বতন্ত্র করে দেওয়া হয়েছে
একতা থেকে আমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে,এবং এইটারই ধর্ম নিজের সুযোগে ব্যাবহার করেছে
মানুষের সার্বিক একতার অংশ হওয়ার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে
তাই তারা সেই সুযোগের সদ্ব্যাবহার করেছে।তারা সেটাকে বলে ভগবান,তারা বলে যে তার নিয়মবিধি আছে,
আর আমার মনে হয় সেটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক
আমার মনে হয় এটাকে তুমি অস্তিত্বহীন ধর্মও বলতে পারো।
সময় এসেছে এই একতাকে দাবী করার
যা আমাদের পুরোনো সমাজ ব্যাবস্থা ভেঙে আলাদা করে দিয়েছিল
এবং এক সাথে কাজ করে একটা স্বনির্ভর বিশ্বায়িত সমাজ তৈরী করার
যেখানে সকলের যত্ন নেওয়া হবে এবং সকলেই প্রকৃতপক্ষে মুক্ত হবে
তোমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস,তা সে যাই হোক না কেন
জীবনের প্রয়োজনীয়তার কাছে অর্থহীন।
প্রত্যেক মানুষই নগ্ন
এবং উষ্ণতা,খাদ্য,জল,আশ্রয়ের প্রয়োজন নিয়েই জন্মেছিল।
বাকি সবই হল গৌণ
সুতরাং,এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল
পৃথিবীর সম্পদের বুদ্ধিমান পরিচালনা
এটা কোনমতেই এই monetary systemএ অর্জন করা সম্ভব নয়,
কারণ profitকে অনুসরণ করার মানে নিজের স্বার্থকে অনুসরণ করা
সুতরাং অসামঞ্জস্য স্বাভাবিক।
একইসঙ্গে,রাজনীতিবিদেরাও মূল্যহীন
কারণ আমাদের জীবনের যথার্থ সমস্যাগুলো technical,না কি রাজনৈতিক
এছারাও,ধর্মের মত ভাবধারা যা মনুষ্যত্বকে আলাদা করে
সমাজে তার উপকারিতা,উদ্দেশ্য,
বিষয়ে প্রতিফলন দরকার
তবে আশা করা যায় যে,সময়ের সাথে সাথে
ধর্ম তার বস্তুবাদ ও কুসংস্কারের ভিত্তি হারিয়ে
দর্শনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করবে।
প্রকৃত ঘটনা হল যে সমাজ আজ পিছিয়ে পড়েছে
যেখানে রাজনীতিবিদেরা ক্রমাগত সৃষ্টি,একতা ও উন্নতির বদলে
সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার কথা বলে চলেছে।
US একাই
$500 billion প্রতিবছর নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর খরচ করে।
এই টাকাটা আমেরিকার প্রত্যেক high school seniorকে
একটা collegeএ পাঠানোর জন্যে যথেষ্ট।
1940র manhattan project
বিশ্বের প্রথম প্রকৃত মারণাস্ত্র তৈরী করেছিল।
এই কর্মপত্র 130,000 মানুষকে ,চরম আর্থিক দামে বিনিয়োগ করেছিল
একবার শুধু চিন্তা কর যে আজকে আমাদের জীবন কিরকম হত যদি সেই বৈগ্যানিকের দল
মানুষকে মারার উপায়ের বদলে,
একটা স্বনির্ভর প্রাচুর্যপূর্ণ পৃথিবী তৈরীর জন্যে কাজ করত।
জীবন আজ খুবই খুবই অন্যরকম হত যদি এটাই তাদের উদ্দেশ্য হত।
weapons of mass destructionএর বদলে
সময় এসেছে অনেক বেশী শক্তিশালী কিছুকে অবারিত করার।
weapons of mass creation
আমাদের প্রকৃত দান হল আমাদের সৃষ্টির ক্ষমতা।
এবং জীবনের সামঞ্জস্যপূর্ণ সংসর্গের উপলব্ধীতে সসস্ত্র হয়ে,
ও একই সঙ্গে বাস্তবতার উত্থানশীল রূপের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে,
এমন কিছুই থাকবে না যা আমরা সফলভাবে করতে পারব না
অবশ্য,প্রতিষ্ঠিত শক্তিশালী সংস্থার আকারে
আমাদের কঠিন বাধার সম্মুখীন হতে হবে,যারা পরিবর্তন চায় না।
এইসকল সংস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই monetary system।
আগের কথা অনুযায়ী,fractional reserve policy
ঋণের আকারে এক প্রকার দাসত্ব,
যেখানে সমাজের মুক্তি প্রকৃতপক্ষেই অসম্ভব।
একমুঠো বিশাল ব্যাবসা ও রাজনৈতিক শক্তির সহায়তায়,
একে একে,মুক্ত ব্যাবসার আকারে free market capitalism
ঋণকে কাজে লাগিয়ে গোটা দুনিয়াকে কয়েদ করে দেশগুলোকে নিজের সুবিধার্থে পরিচালনা করেছে।
এইসব পরিষ্কার অনৈতিকতা ছারাও,
system নিজেই প্রতিদ্বন্দীতার ওপরে স্থাপিত,
যা সর্বসাধারনের ভালোর জন্যে কোনো বরমাপের
সহযোগীতার সম্ভবনাকে সঙ্গে সঙ্গেই ধ্বংশ করে দেয়।
এইভাবেই প্রকৃত global sustainabilityর যেকোনো চেষ্টাকেই পঙ্গু করে দেওয়া হয়।
এইসকল অর্থনৈতিক ও corporate সংস্থাগুলো এখন অচল,
এবং তাদেরকে অবশ্যই ছাড়িয়ে যেতে হবে।
আর,আমরা নিশ্চই ছেলেমানুষের মত ভেবে নেবো না
যে ব্যাবসায়িক ও অর্থনৈতিক অভিজাতেরা এই চিন্তাধারায় একমত হবে কারণ
তাহলে তারা নিজেদের শক্তি ও কর্তৃত্ব হারাবে।
সুতরাং শান্তিপূর্ণ ও অত্যন্ত চতুর কর্মোদ্যোগ নিতে হবে।
কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটা খুবই সহজ।
শক্তিশালী সংস্থাকে মানুষের পক্ষ নিতে
বাধ্য করতে আমদের স্বভাবকে বদলাতে হবে।
এই systemকে সমর্থন করা আমাদের বন্ধ করতে হবে।
অসংখ্য ভুল ও corruptionকে সর্বদা স্বীকার করে
অংশীদারিতে অসম্মতি জানানোই হল একমাত্র উপায়
যাতে এই প্রতিষ্ঠান পরিবর্তিত হবে।
আমাদের design বা আমাদের পরামর্শের কারনে
তারা এই monetary systemকে কোনোদিনই ছেরে দেবে না।
এই systemকে ব্যর্থ হতে হবে,
এবং মানুষদেরকে তাদের নির্বাচিত প্রার্থীদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারাতে হবে।
ওইটাই হবে পরিবর্তনের একটা মুখ্য শীর্ষবিন্দু,
যদি venus projectকে এক প্রধান বিকল্প হিসাবে প্রস্তাব করা হয়।
যদি না হয়,তাহলে এর পরিণতিকে আমি যথেষ্ট ভয় করি।
সম্ভবনা আছে যে আমাদের দেশ একটা
দাঙ্গা ও সামাজিক ভাঙণ বাচাতে
military dictatorshipএর দিকে চলে যাবে।
একবার US ভেঙে পরলে,বাকি সকল গোষ্ঠীও সমরূপ পরিস্থিতির
মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত হবে।
এখনকার মতে,বিশ্বের অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো
তাদেরই নিজেদের ব্যর্থতার ফলে অবলুপ্তির মুখে এসে পরেছে।
Comptroller of Currencies 2003তে বলেছিল যে
আমেরিকার জাতীয় ঋণের সুদ
আর দশ বছরের মধ্যেই পোষাণো সম্ভব হয়ে উঠবে না।
এর আনুমানিক অর্থ,US অর্থনীতির সম্পূর্ণ দেউলত্ব
এবং পৃথিবীর জন্যে এর অর্থ বিশাল।
তার আনুমানিক বিস্তারণার শেষ সীমায় পৌছাচ্ছে,
আর এইসকল bankingএর অসফলতা যা তোমরা দেখছ শুধুমাত্র এর শুরু।
ঠিক এই কারণেই মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোয়া হয়ে চলেছে,
ঋণ চরম সীমায়,
এবং সরকার ও FED মিলে এই corrupt systemকে খালাস করার জন্যে
নতুন টাকার রক্তস্রাব করিয়ে চলেছে।
bankকে চালিয়ে রাখার একমাত্র রাস্তাই হল
আরো টাকা বানানো।
টাকা বানানোর একমাত্র রাস্তাই হল আরো বেশী ঋণ ও inflation তৈরী করা।
পরিস্থিতির পরিবর্তনে আর মাত্র কিছু সময় বাকি,
যখন আর কেউই loan নিতে চাইবে না
অভাব বেড়ে চলবে কারণ মানুষের বর্তমান loan শোধ করারই
সামর্থ্য হয়ে উঠবে না।
তখন টাকার বিস্তার বন্ধ হবে আর এমন এক মাত্রায়
সংকোচন শুরু হবে যা আগে কখোনো দেখা যায় নি
যা শতবর্ষীয় pyramid সংকল্পকে শেষ করে দেবে।
এটা,এখনই আরম্ভ হয়ে গেছে।
সুতরাং,এই দুর্বলতাকে আমাদের সুবিধার্থে ব্যবহার করে,এই অর্থনৈতিক ব্যর্থতার
আসল রূপকে অনাবৃত করা দরকার।
এই হল কিছু suggestions:
এক।banking প্রতারণাকে expose কর।
Citibank,JP Morgan Chase,Bank of America
এই অসত্ federal reserve systemএর অন্তর্ভুক্ত
সবচেয়ে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক
এখন সময় এইসব প্রতিষ্ঠানকে বর্জন করার
যদি এদের কারো সঙ্গে কোনো bank account বা credit card থাকে,
নিজের টাকা অন্য bankএ সরিয়ে নাও।
যদি কোনো mortgage থাকে,অন্য bankএর সাথে refinance করো।
যদি তাদের stock কিনে থাকো,বেচে দাও।
যদি তাদের হয়ে কাজ করো,ছেরে দাও।
এই আচরণ,বেসরকারী banking
সংস্থাদের পিছনে প্রকৃত শক্তি,federal reserveএর প্রতি
অবগ্যা প্রকাশ করবে।
এবং banking সংস্থার জোচ্চুরি সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরী কর।
দুই।TV news বন্ধ কর।
তথ্যের জন্যে internetএ উত্থানশীল
স্বতন্ত্র মাধ্যমগুলোকে দেখো
CNN,NBC,ABC,FOX,IBN,এবং বাকি সকলেই
প্রতিষ্ঠানগুলোকে বজায় রাখার জন্যে পুরশোধিত খবর পেশ করে।
যখন সুধু চারটে companyই সকল প্রধান সংবাদ্মাধ্যমকে own করে
তখন প্রকৃত তথ্য সত্যিই অসম্ভব।
এটাই হল internetএর প্রকৃত গুণ
এবং তথ্যের এই মুক্তধারার জন্যে
প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।
আমাদের অবশ্যই সর্বক্ষণ internetকে রক্ষা করতে হবে,
যেহেতু এই মুহূর্তে এটাই আমাদের প্রকৃত পরিত্রাতা।
তিন।কোনো সময়ে নিজেকে,নিজের পরিবারের কাউকে,বা চেনো এমন কাউকে
military join করতে দেবে না।
এটা হল একটা অচল সংস্থা
যাকে এখন বিশেষভাবে অপ্রাসঙ্গিক সংগঠনগুলোকে
বজায় রাখার জন্যে ব্যবহার করা হয়।
US সৈন্য US যৌথবাহিনীর জন্যে কাজ করে,মানুষের জন্যে নয়।
প্রচারণা আমাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে যুদ্ধ হল স্বাভাবিক
ও military হল এক সম্মানীয় প্রতিষ্ঠান।
যদি যুদ্ধ স্বাভাবিকই হয় তবে কেন
18জন আমেরিকান যুদ্ধপ্রবীন,যাদের
post traumatic stress disorder রয়েছে,প্রতিদিন suicide করে?
যদি আমাদের military পুরুষ ও মহিলারা এতই সম্মানিত হন,
তবে কেন 25% মার্কিনি গৃহহীন মানুষেরা হলেন যুদ্ধফেরত প্রবীণ?
চার।বিদ্যুত সংস্থাগুলকে সমর্থন করা বন্ধ করে দাও।
যদি তুমি কোনো বিচ্ছিন্ন বাড়িতে থাকো,বৈদ্যুতিক জাল থেকে বেরিয়ে এসো।
বিশুদ্ধ বিদ্যুত দিয়ে নিজের বাড়িকে স্বনির্ভর করে তোলার
প্রতিটা উপায় খুজে বের কর।
solar,wind,এবং আরো সকল renewable energy
এখন সামর্থ্যপূর্ণ ব্যবহারকারী বাস্তবতা।
আর,চিরাচরিত বিদ্যুতের অনন্ত বেড়ে চলা মূল্যকে বিবেচনা করলে,
সময় অনুযায়ী এটা অনেক সস্তা হবে।
যদি তুমি গাড়ি চালাও,সবচেয়ে ছোট গাড়িটাকে কেনো
আর বহু পরিবর্তিত প্রযুক্তির মধ্যে যেকোনো একটাকে ব্যবহারের বিবেচনা কর,
যা তোমার গাড়িকে hybrid,
electric,বা তেল ছারা যেকোনো কিছুতেই চলতে সাহায্য করে।
পাঁচ।রাজনৈতিক প্রথাকে বর্জন কর।
গণতন্ত্রের ভ্রম আমাদের বুদ্ধিমত্তার অপমান।
monetary systemএ প্রকৃত গণতন্ত্র কোনোদিনই নেই,
কখনও ছিলও না।
আমাদের দুই রাজনৈতিক গোষ্ঠী
একই corporate সদস্যদের দ্বারা অধীকৃত
তারা corporation দ্বারা তাদের জায়গায় স্থাপিত,
এবং তাদের জনপ্রিয়তা তাদের media দ্বারা কৃত্রিমভাবে তৈরী করা।
স্বাভাবিক দূর্নীতির যুগে
প্রত্যেক বছর সরকারী কর্মচারী বদলের
প্রাসঙ্গিকতা খুবই কম।
রাজনৈতিক খেলার যে কোনো প্রকৃত অর্থ রয়েছে,তা ভান করার বদলে
ই অকৃতকার্য হওয়া systemকে ছাপিয়ে যেতে নিজের ক্ষমতাকে নিবদ্ধ কর।
আর ছয়।এই movement join কর।
thezeitgeistmovement.comএ যাও
এবং সমাজের পরিবর্তনের জন্যে আমাদেরকে সাহায্য কর বিশ্বের বৃহত্তম
mass movement গড়ে তুলতে।
বর্তমান বিশ্বের স্বভাবজাত দূর্নীতি
ও একইসঙ্গে একমাত্র প্রকৃত নির্ভরশীল সমাধান সম্পর্কে আমাদের সকলকে
শিক্ষিত ও সমবেত করা আবশ্যক
এছারাও প্রত্যেক মানুষকে পৃথিবীর সমস্ত
প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে,প্রত্যেককে
technologyর প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে সচেতন করা দরকার,
এবং বোঝানো উচিত যে সারা পৃথিবী লড়াইয়ের বদলে একসাথে কাজ করলে
কিভাবে আমরা উন্মুক্ত হব।
পছন্দ তোমার।
এই financial systemএর দাস হয়ে
বিশ্বজুড়ে একটানা যুদ্ধ,বিষাদ এবং অনাচার দেখেও
বৃথা আমোদপ্রমোদ ও materialistic জঞ্জালে
নিজেকে সীমিত রাখতে পারো,
অথবা নিজের ব্যক্তিক্ষমতাকে প্রকৃত,অর্থপূর্ণ,টেকসই পরিবর্তনের ওপর নিবদ্ধ করতে পারো,
কোনো মানুষকে পিছনে না ফেলে প্রত্যেককে
সমর্থন ও মুক্ত করার যার বাস্তবিক ক্ষমতা আছে।
কিন্তু সবশেষে,সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
আগে আসা দরকার তোমার নিজের মধ্যে।
আসল বিপ্লব হল চেতনার বিপ্লব,
এবং প্রথমেই আমাদের প্রত্যেককে নিয়ন্ত্রিত সত্যের আড়ালে
থাকা এই বিভাজিত
বস্তুবাদী গোলমালকে উচ্ছেদ করে,
আমাদের প্রকৃত একতা থেকে আসা সঙ্কেতের সঙ্গে
একমত হয়ে তাকে আবিষ্কার ও প্রশস্ত করা দরকার।
হে হে হে®ব্ব্ব্বব