Tip:
Highlight text to annotate it
X
0
এখন হযরত মুহম্মদ সম্পর্কে
এসব তথাকথিত ভবিষদ্বানী দেখার পরে
আসুন আমরা সেগুলোকে একটু তুলনা করি,
হযরত ঈসা মসীহ্র সম্পর্কে কিছু ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে,
কারণ সেটা রাত-দিনের পার্থক্য।
হযরত ঈসার বিষয় যেসব ভবিষ্যদ্বানী আছে সেগুলো কত পরিষ্কার,
কার বিষয় সেখানে বলা হচ্ছে তার কোন সন্দেহ নাই।
উদাহরণসরূপ আমরা ইশাইয়া ৫৩ অধ্যায়ে একটু দেখি,
তার কিছু আয়াত পড়িঃ
আমাদের দেওয়া খবরে কে বিশ্বাস করেছে?
কার কাছেই বা মাবুদের শক্তিশালী হাত
প্রকাশিত হয়েছেন?
সত্যি, তিনিই আমাদের সব রোগ তুলে নিয়েছেন
আর আমাদের যন্ত্রণা বহন করেছেন;
কিন্তু আমরা ভেবেছি আল্লাহ তাঁকে আঘাত করেছেন,
তাঁকে মেরেছেন ও কষ্ট দিয়েছেন।
আমাদের গুনাহের জন্যই তাঁকে বিদ্ধ করা হয়েছে;
আমাদের অন্যায়ের জন্য তাঁকে চুরমার করা হয়েছে।
যে শাস্তির ফলে আমাদের শান্তি এসেছে সেই শাস্তি তাঁকেই দেওয়া হয়েছে;
তিনি যে আঘাত পেয়েছেন তার দ্বারাই আমরা সুস্থ হয়েছি।
আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি;
আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি।
মাবুদ আমাদের সকলের অন্যায়
তাঁর উপর চাপিয়েছেন।
তিনি অত্যাচারিত হলেন ও কষ্ট ভোগ করলেন,
কিন্তু তবুও তিনি মুখ খুললেন না;
জবাই করতে নেওয়া ভেড়ার বাচ্চার মত,
লোম ছোঁটাইকারীদের সামনে চুপ করে থাকা ভেড়ীর মত
তিনি মুখ খুললেন না।
জুলুম ও অন্যায় বিচার করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।
সেই সময়কার লোকদের মধ্যে কে খেয়াল করেছিল যে,
আমার লোকদের গুনাহের জন্য তাঁকে জীবিতদের দেশ থেকে শেষ করে ফেলা হয়েছে?
সেই শাস্তি তো তাদেরই পাওনা ছিল।
যদিও তিনি কোন অনিষ্ট করেন নি
কিংবা তাঁর মুখে কোন ছলনার কথা ছিল না,
তবুও দুষ্টদের সংগে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল
আর মৃত্যুর দ্বারা তিনি ধনীর সংগী হয়েছিলেন।
আসলে মাবুদ তাঁর ইচ্ছা অনুসারে
তাঁকে চুরমার করেছিলেন আর তাঁকে কষ্ট ভোগ করিয়েছিলেন।
মাবুদের গোলাম যখন তাঁর প্রাণকে দোষের কোরবানী হিসাবে দেবেন
তখন তিনি তাঁর সন্তানদের দেখতে পাবেন
আর তাঁর আয়ু বাড়ানো হবে;
তাঁর দ্বারাই মাবুদের ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
তিনি তাঁর কষ্টভোগের ফল দেখে তৃপ্ত হবেন;
মাবুদ বলছেন, আমার ন্যায়বান গোলামকে
গভীরভাবে জানবার মধ্য দিয়ে অনেককে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হবে,
কারণ তিনি তাদের সব অন্যায় বহন করবেন।
সেইজন্য মহৎ লোকদের মধ্যে আমি তাঁকে একটা অংশ দেব
আর তিনি বলবানদের সংগে বিজয়ের ফল ভাগ করবেন,
কারণ তিনি নিজের ইচ্ছায় প্রাণ দিয়েছিলেন।
তাঁকে গুনাহ গারদের সংগে গোণা হয়েছিল;
তিনি অনেকের গুনাহ বহন করেছিলেন
আর গুনাহগারদের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
তাই দেখা যায় এখানে একজনের কথা বলা হচ্ছে
যিনি অন্যের পাপের শাস্তি বহন করছে,
যিনি তাদের পাপ নিজের কাধে তুলে নিয়ে
কষ্টভোগ করবে এবং যাকে মানুষ তুচ্ছ করবে
এবং অত্যাচার করবে,
এটা হল হযরত ঈসার আগমন সম্পর্কে
একটা পরিষ্কার পরিষ্কার ভবিষ্যদ্বানী।
এবং সেটা একজন মানুষের কথা বলছে।
এটাকে তুলনা করুন হযরত মুহাম্মদের
তথাকথিত ভবিষ্যদ্বানীর সঙ্গে,
যেগুলো আসলে কোন ভবিষ্যদ্বানীই নয়।
বলা হয়েছে যে তিনি বনি-ইসরাইলদের
একজন ভাই হবেন,
কিন্ত হযরত মুহাম্মদ তা ছিলেন না।
ইশাইয়াতে সেই
তথাকথিত ভবিষদ্বানীতে,
কোন মানুষের আগমনের কথা বলা হচ্ছে না,
এবং সোলায়মানের শীরে একই ব্যাপার।
এবং ইউহোন্নাতে,
পাক-রূহ্র কথা বলা হচ্ছে।
কিন্তু এখানে, পরিস্কারভাবে একজনের কথা বলা হচ্ছে
যিনি আমাদের পাপের শাস্তি বহন করে
কষ্টভোগ করে মারা যাবে।
ঈসা মসীহ্র আরও সুসপষ্ট একটি ছবি
কল্পনা করা যায় না।
তাই মসীহ্র বিষয়ে ভবিষদ্বানী
এবং তথাকথিত মুহাম্মদের বিষয়ে ভবিষদ্বানীর মধ্যে
আকাশ-পাতাল তওফাত আছে।