Tip:
Highlight text to annotate it
X
আমরা ৫০জন মানবাধিকার কর্মীকে প্রশ্ন করলাম কিভাবে তারা তথ্যকে কর্মোদ্যোগে রুপান্তরিত করে
আর আমরা তাদের প্রশ্ন করলাম যে 'ইনফো-এক্টিভিস্ম' বলতে তারা কি বোঝে।
ইনফো-এক্টিভিস্ম বা তথ্য আন্দোলন মানে প্রযুক্তি ব্যবহারের সু্যোগ
এবং প্রযুক্তি দ্বারা তথ্য একত্রিকরণ ও বিতরণ করতে পারার
এক গণতান্ত্রিক ও সংগঠিত উপায়
মানুষকে তথ্য দেওয়া মানে তাদেরকে নানান দিক বিচার করে কোনো কিছুর ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেবার সুযোগ করে দেওয়া
তাদের গোষ্ঠিবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ হতে সাহায্য করা
এবং তাদের আশাবর্ধণ করতে সাহায্য করা
সেই সকল পরিস্থিতিতে যেখানে সেটাই সর্বশেষ পন্থা
সেই সকল মানুষ যারা এতদিন কোনো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পায় নি
প্রজুক্তির মাধ্যমে তাদের আলোচ্যসূচি প্রচার করার
বিস্ময়কর সুযোগ এখন তাদের হাতের মুঠোয়
ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের সাথে এমন সব বিস্ময়কর সরঞ্জাম রয়েছে
যা দিয়ে দ্রুত তথ্য প্রচার করা যায়
আর মনোরঞ্জনকারি সংবাদ বা তথ্য তো আরো দ্রুত ছড়িয়ে পরে
তথ্য হওয়া চাই মানুষভিত্তিক, হওয়া চাই সংযোগকারি
আর তার জন্য নানান যোগাযোগ সরঞ্জামের কৌশলগত ব্যবহার করতে হবে
এইটি ইন্টারনেটের দৌলতে তৈরি হওয়া নতুন সব স্পেসগুলি সঠিকভাবে ব্যবহারের সময়
এবং নতুন মিডিয়াও
আর কমদামি ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারিকরণ
সে তা ভিডিওই হোক বা অন্য প্ল্যাটফর্ম যেমন অনলাইন পাবলিশিং
আর এই সব নতুন তৈরি হওয়া স্পেস সঠিকভাবে ব্যবহার করে
সেই পুরানো এক্টভিস্ম-এর কাজে লাগানো
অংশগ্রহণ
সৃজনশীলতা
পারস্পরিক যোগাযোগ
সঙ্ঘবদ্ধতা
মানুষের মেলবন্ধন
অংশগ্রহণকারী
উপলভ্য
অনুপ্রেরিত
অংশিদারী
সহযোগিতা
কার্য
পরিবর্তন
১০টি কৌশল
তথ্যকে কার্যে রুপান্তরিত করার
একটি ছবি
ট্যাক্টিকাল টেকনোলোজি কালেক্টিভ দ্বারা নির্মিত
তথ্যই শক্তি
যা সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে জীবন উন্নত করে
দুর্নীতি এবং অধিকার অপব্যবহারজনিত কেস ফাঁস করতে সাহায্য করে
এবং ক্যাম্পেনের মাঝে সথিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে
তা সমতা ও সুবিচার পেতে সাহায্য করে
ইনফো-এক্টভিস্ম তাকেই বলে যখন অধিকার প্রবক্তারা তথ্যকে ব্যবহার করে
সমাজে কোনো পরিবর্তন আনার প্রধান মূলমন্ত্র হিসেবে।
যা ঘটে যখন আমরা একটা সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার আনুসংগিক তথ্যকে কার্যে রুপান্তরিত করি
ইনফো-এক্টিভিস্ম হোলো তথ্য ও যোগাযোগ সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির শক্তি একত্রিত করা
একটি গঠনমূলক পরিবর্তনের জন্য
এখানে ১০টি কৌশল
পৃথিবীর নানান প্রান্তে ব্যবহৃত সফল ক্যাম্পেনের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে
যা ব্যবহার করে আপনিও আপনার তথ্যকে কার্যে পরিনত করতে পারবেন
১০টি কৌশল
তথ্যকে কার্যে রুপান্তরিত করার
মানুষকে তাদের প্রাসঙ্গিক ইস্যুর ব্যপারে জাগ্রত ও একত্রিত করা
এর জন্য প্রয়োজন হয় একটি বলিষ্ঠ বার্তা, পরিষ্কার উদ্দেশ্য এবং একটি ভাল পরিকল্পনা।
ভিডিও একটি ক্ষমতাশালী সরঞ্জাম যে জনগণকে একত্রে আনতে ব্যবহার করা যেতে পারে
কিছু করার জ ন্য
আমরা নানান সম্প্রদায়দের ভিডিও তৈরি করতে ট্রেনিং দিয়ে থাকি এবং
এমনই একটি এলাকায়
তারা গুজরাটের একটি সামন্ততান্ত্রিক এলাকায় জমি অধিকারে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছিল
আর এই সব ভিডিও মাত্রই কিছু করার ডাক দেয়
অতএব এই ভিডিওতে মানুষকে আহ্বান করা হচ্ছিল
তাদের জমির অধিকারের জন্য রুখে দাড়াতে
আমার মতে ভিডিও একটি ভাল সরঞ্জাম কারণ অনেক সম্প্রদায়ের মানুষ লেখাপড়া জানে না
আর ইন্টারনেটের মতন অন্যান্য প্রযুক্তি এখনো তাদের নাগালের বাইরে
এই সব কারণে আমি মনে করি যে ভিডিও একটি খুব ভাল মাধ্যম
নানান সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য
কারন এতে আমরা চোখের সামনে নানান ঘটনা ঘটতে দেখি এবং
তা সত্যিই মনে একটা ধাক্কা দেয়
যেমন এই চলচিত্রটি, যা ২৫টির মতন গ্রামে প্রদর্ষিত হয়েছিল, তা দেখে
৭০০র মতন মানুষ একটা মিছিল বের করেছিল
এবং তাদের স্থানীয় প্রশাসনিক দপ্তরে গিয়ে নালিশ (দরখাস্ত) দাখিল করেছিল
যে তাদের জমি দেওয়া হচ্ছে না
যদিও তাদের দরখাস্ত এখনো মঞ্জুর হয় নি, এই যে ৭০০ মানুষ
একত্রিত হয়ে একটা মিছিল বের করল, এটাই একটা বড় ব্যপার
এবং আমাদের কাজের এই একটা বড় প্রভাবের উদাহরণ
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেমন সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটগুলি
ভার্চুয়াল মিটিং স্পেস হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে
সেই সকল জনগণের জন্য যারা একটি নির্দিষ্ট প্রয়োজন অথবা বিষয়ের সম্বন্ধে উদ্বিগ্ন
রেবেকা সাবে সাদে ফেসবুক ব্যবহার করে
লেবাননে সমকামী, উভলিংগ, ও হিজরা সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে
যেহেতু লেবাননে ফেসবুক খুব জনপ্রিয়
সেহেতু তার মাধ্যমে, রেবেকা যে সংগঠনগুলির সাথে কাজ করে তারা
একটি বড় সঙ্খক সম্প্রদায়ের সাথে সংযোগ করতে পারে যারা সামাজিক বৈশম্যের
এবং চাপের শিকার
কিন্তু জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক, যেমন ফেসবুক ব্যবহার করার
নানান অসুবিধাও আছে
আমি যখন এই ধরনের (যারা সমাজে প্রান্তিয়) সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছিলাম কখন ব্যপারটা আলাদা ছিল কারন
যেহেতু চাপটা সামাজিক তাই পরিচয় জানাজানি হওয়াটাই একটা প্রবলেম
তাই আমাদের এই জনপ্রিয় মাধ্যমটি ব্যবহার করার একটা উপায় বের করতে হয়েছিল
এমন এক উপায় যাতে ওদের পরিচয় গোপন থাকে এবং নিরাপত্তার অভাব না হয়
তাই আমরা এমন একটা প্রোফাইল তৈরি করলাম ফেসবুকে
যাতে খুব মৌলিক তথ্য দেওয়া থাকে
লোগো, সংস্থার নাম, দেশ, আর আমরা কোন ইস্যু নিয়ে কাজ করি
যেমন লেবাননের সমকামী ও ট্রান্স সম্প্রদায়।
এই প্রোফাইলের ঊদ্দেশ্য নেটওয়ার্কিং নয়
এর উদ্দেশ্য সেই সকল সমকামি মহিলাদের সাহায্য করা যারা সমর্থন খুজছে
ফেসবুকের এই প্রোফাইলটা আমাদের সংস্থার ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করা আছে। তাই জনপ্রিয় এই মাধ্যম থেকে আমাদের খোজ পায় মহিলারা
আমাদের সংস্থার প্রোফাইল সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
এইসব জনপ্রিয় মাধ্যমগুলি আমরা কাজে লাগাই শুধু মানুষকে আমাদের সংস্থার ওয়েবসাইট সসম্পর্কে জানানোর জন্য
প্রান্তিয় সম্প্রদায়দের সাথে কাজ করে
আমরা জেনেছি যে ফেসবুক একদমই প্রাইভেট নয়
সে তুমি যাই করো না কেন, তা প্রাইভেট থাকবে না
তাই আমরা যদি ফেসবুকে একটা গ্রুপ শুরু করি আর প্রচুর মেয়েরা তাতে যোগ দেয় তাহোলে এটা পরিস্কার হয়ে যাবে
যে এই সব মেয়েরা সম্ভবত সমকামি
তাই আমাদের একটা খুব অনন্য
উপায় বের করতে হয়েছিল যাতে আমাদের সাথে কারো সরাসরি সংযোগ না ধরা পড়ে
ভারতের 'পিঙ্ক চাড্ডি' ক্যাম্পেনেও দেখা গেছে
ফেসবুক ব্যবহারের সুবিধা/ অসুবিধা
চাড্ডি কথাটার অর্থ হিন্দিতে অন্তর্বাস
পিঙ্ক চাড্ডি ক্যাম্পেন শুরু হয়েছিল কিছু মহিলা
যখন শ্রী রামসেনা নামক রাজনৈতিক দল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল শুধু এই কারণে যে
তারা পাবে ড্রিঙ্ক করছিল
পিঙ্ক চাড্ডি ক্যাম্পেন প্রায় ১৬০০০ মানুষকে অনুপ্রেরিত করে
মাত্র তিন দিনে এই ক্যাম্পেনে যোগদান করতে
আর কিছু মাস পরেই প্রায় ৫০,০০০ সদস্য এই ক্যাম্পেনে যোগ দেন
"এক জঘন্য ঘটনাতে নৈতিক বাহিনীর
গুন্ডারা আক্রোশপূর্বক পাবের ভিতরে থাকা কিছু মেয়েদের আক্রমন করে"
এই আক্রমনের প্রচুর ছবি দেশজুরে সমস্ত টিভি ছ্যানেলে দেখানো হয়
এবং তা দেখে প্রচুর মহিলা ও অন্যান্য জনগন রেগে ওঠে
এই রামসেনাদের ওপর
অনলাইন গ্রুপে আমরা দেখতে পাই যে সবার মধ্যে রাগ আর অসন্তোষ জমে ছিল
সেটাকে কার্যে রুপান্তরিত করতে হবে
তার একটা পন্থা হল যে রামসেনার দলনেতা প্রোমোদ মুথালিককে পিঙ্ক চাড্ডি পাঠানো হোলো
এই ঘটনার প্রছুর মিডিয়া কাভারেজ হোলো
এর উত্তরে প্রথমে মুথালিক বল্লেন যে তিনি প্রত্তুত্তরে সবাইকে পিঙ্ক শাড়ি পাঠাবেন
তিনি আমাদের বিপথগামিতা রুখতে চান
শাড়ির মতন একটা সুন্দর জিনিস দিয়ে
আমার মতে পিঙ্ক চাড্ডি ক্যাম্পেন নিশ্ছিতভাবে বিজ়য়ী
কারন তার মাধ্যমে একটা কথোপকথনের জায়গা তৈরি হোলো
সাধারণ মানুষ আরে গোঁড়া হিন্দু এক দলের মধ্যে
যা সব সময়ে হয়ে ওঠে না
এটা একটা অহিংসক প্রত্তুত্তর, এতে
আক্রমনের উত্তরে সেই গুন্ডাদের মারধোর করা হয় নি
যা সাধারনত হয়ে থাকে - সেটা হোতো হিংসাত্তক প্রত্তুত্তর।
এই অনলাইন এক্টিভিস্মের নানান সমষ্যা ছিল যার জন্য এটাকে
অফ্লাইন মোডে নিয়ে সঠিকভাবে নিয়ে আসা সম্ভব হোলো না - তার একটা কারণ
এই যে মাধ্যমটা ছিল ফেসবুক
আর ফেসবুকে গ্রুপের সদস্যদের মেসেজ করা যায় না
৫০,০০০এর ওপর সদস্য হয়ে গেলে। চাই অজান্তে
যখন আমরা ১৬০০০ থেকে ৪০০০০ হয়ে গেলাম
বুঝতে পারলাম যে আর আমরা গ্রুপের সদস্যদের সাতে যোগাযোগ করতে পারছি না
যা কিছু করার তা ওয়াল মেসেজ ও আলোচনা বোর্ডে করতে হচ্ছিল
যা অতটা কার্যকর হচ্ছিল না সবার সাথে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে
পরে পিঙ্ক চাড্ডি ক্যাম্পেনাররা বুঝতে পারে যে
ফেসবুক ব্যবহারের অন্য অসুবিধাও আছে।
যেমন গ্রুপের পেজ হ্যাক হয়, বিকৃত করা হয় এবং
পরে মুছে দেওয়া হয়। তার সাথে সাথে গ্রুপের সৃষ্টিকারিদের বিকৃতরূচির সব মেসেজ পাঠানো হয়
ফেসবুকের কাছে বারবার গ্রুপটি ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেও
এত মাস পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি
এই উদাহরনগুলি আমাদের বোঝায় যে
এক্টিভিস্ম এর জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার মধ্যে সুযোগ এবং ঝুঁকি দুই দিকই আছে, যার জন্য আমাদের সতর্ক থাকা উছিত।
রেকর্ডিং যন্ত্র যত ছোট ও কমদামি হতে থাকছে
সাধারন মানুষ খুব সহজেই তার চারপাশে কোনো অধিকার নংঘন ঘটাকালিন সমইয়েই তা রেকর্ড করতে শুরু করেছে
এই সাক্ষীদের উদ্যোগকে সমর্থন করা
এবং তাদের একটা জায়গা দেওয়া যেখানে তাদের রেকর্ডিং প্রচার করা সম্ভব
এক কার্যকরি কৌশল যা দিয়ে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা তুলে ধরা সম্ভব
এবং তাদের সমাধানের পথ খুলে দেওয়া যায়।
আমার কাছে ভিডিওর ক্ষমতা হল
চাক্ষুষ প্রমাণ দিতে পারা
মানবাধিকার লংঘিতদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে
এখন সব থেকে আলোড়নকারি ব্যপার এই যে মানুষের হাতে মোবাইল ফোন আছে
যা দিয়ে তারা নিজের চোখে দেখা সত্য ঘটনা ক্যামেরা-বন্দি করতে পারে
তাই আজ আর খবর প্রকাশের অধিকার অল্পসঙ্খক
মানুষের মধ্যে সীমিত নেই। সবাই আজ সাক্ষী হতে পারে।
দেখা, রেকর্ড করা, প্রচার, তুলে ধরা
এই কৌশল ব্যবহার করেছিলেন টারগাস্ট স্নাইপার--
মরক্কোর এই অপ্রকাশিতনামা ভিডিও কর্মী
যিনি পুলিশ অফিসারদের মোটর সাইকেল আরোহীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করার ভিডিও তুলেছিলেন
তাই তিনি উক্ত পলিশ কর্মকান্ডের ভিডিও চিত্র আলাদা আলাদা স্থানে, সপ্তাহেরআলাদা আলাদা দিনে তোলেন
cy‡iv mßvn Ry‡o Zviv Nyl wb‡qwQj Zv wZwb aviY K‡ib|
তিনি প্রায় ১০-১৫ জন পুলিশ কর্মীকে একই অপরাধ লিপ্ত থাকার চিত্র ধারণ করেন
মরক্কোর ওই গ্রামগুলোর সড়কগুলোতে।
তিনি ওই ধারণকৃত চিত্র ইউনিটবে প্রকাশ করেন। তিনি প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টি প্রকাশ করেন
উক্ত ভিডিওগুলি হাজার হাজার গ্রাহক দেখেন।
তারা উক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
এবং তারা সরকারের উপর একই পদ্ধতি প্রযোগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
গুপ্ত ক্যামেরার মাধ্যমে রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশদের গতিবিধি পর্যবেণ করার
টারগুইস স্নাইপারের মতন একই পদ্ধতি প্রয়োগ করে।
বার্মায় এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে
নাগরিক দ্বারা তোলা রাষ্ট্রীয় নিগ্রহের ভিডিও প্রমাণপত্র কার্যকর হয়নি
সেখানকার মিলিটারী শাসনের আচরন পরিবর্তনে।
তা সত্ত্বেও ব্লগাররা তাদের প্রত্য অভিজ্ঞতা ধারণ এবং প্রচার করেছেন
এবং সেগুলির দ্বারা বার্মার উপর বৈশ্বিক আলোকপাত ঘটিয়েছেন
যা সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছে বার্মায় ক্রমাগত ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘণের উপর।
বর্তমানে বার্মায় সবকিছুই অবরুদ্ধ।
বিশেষ করে ইন্টানেট, ই-মেইল এবং অনলাইন বিষয়গুলোতে।
কিন্তু বার্মাতে প্রচুর মানুষ এখন ব্লগে লিখছেন।
তাই তারা গল্প, ছবি হাতের কাছে যা পাচ্ছেন ব্লগে দিচ্ছেন।
তার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ববাসী বার্মার বাস্তব চিত্র দেখতে পাচ্ছেন।
ব্লগ এবং কমদামি ডিজিটাল রেকর্ডিং যন্ত্রগুলো
তথাকথিত জাফরান বিপ্লবের, যা বার্মায় সংগঠিত হয়েছিল, অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে দেখা হয়েছিল
বার্মার জনগণ যেভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিল দারিদ্র এবং সামরিক নৃশংসতার বিরুদ্ধে
তা আকার এবং মাত্রায় যেভাবে বেড়েছিল সেভাবে সামরিক দমন পীড়নের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল।
জাফরান রঙ এর কাপড় পরিহিত প্রতিবাদরত সন্নাসী এবং সন্ন্যাসীনীদের ছবি
ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছিল এবং পরে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল
সমগ্র বিশ্বের মূল স্রোতের গণমাধ্যমের, যা সামরিক শাসকদের উদ্ধুদ্ধ করেছিল
সাময়িকভাবে সকল ইন্টারনেট সংযোগ এবং বেশিরভাগ সেলফোন মাধ্যমে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে
আন্দোলনের চরম পর্যায়ে।
তা সত্ত্বেও অং এর ভাষ্যমতে, কমদামি, সাধারণ ক্যামেরার ভূমিকা
একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল তখনকার ঘটনাসমূহ তুলে ধরার কার্যে ।
এবং ব্লগ ছিল সংবাদ এবং ছবি প্রাপ্তিতে এক অমূল্য হাতিয়ার
বহির্বিশ্বে প্রচারের ক্ষেত্রে
মূল ব্যাপার হলো জনগণ এই ঘনটাগুলো তাদের চোখের সামনে ঘটতে দেখেছিল
এবং তারা একটি ক্যামেরা দিয়ে তার ছবি তুলেছিল
তারা যত ছবি, অডিও এবং ভিডিও চিত্র পেয়েছিল সেগুলোকে তারা ব্লগে দিয়ে দিয়েছিল।
এবং তা সাথে সাথেই ব্যাপক সফলতা অর্জন করে।
কিন্তু দমনমূলক শাসনাধীনে সফল অনলাইন তথ্য আন্দোলন
সবসময় সহজে অফলাইন প্রভাবে রুপান্তরিত করা সম্ভব নয়
বার্মায় বর্তমানে অনেক ব্লগারদের চড়ামূল্য দিতে হচ্ছে
জাফরান বিল্পব চলাকালীন তাদের অনলাইন আন্দোলনের জন্য।
অনেককেই কারারুদ্ধ করা হয়েছে ৫০ বছরেরও বেশি শাস্তি মেয়াদ দিয়ে।
এই ঘটনা প্রমান করে কেন অনলাইন আন্দোলনের পরিনতি
অগ্রিম সর্তকতার সাথে চিন্তাভাবনা করে নিতে হবে
তাদের দ্বারা যারা সরাসরি অধিকার লঙ্গন এর উম্মোচন এবং প্রচারের কাজে জড়িত।
মানবাধিকার লংঘনের শিকার এবং উদ্ধারপ্রাপ্তরা এমনিতেই দুর্বল অবস্থানে থাকেন
সুতরাং তাদের চিত্রায়িত করবার সময় তারা যেন দ্বিতীয়বার পীড়িত না হয় তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের এই ব্যাপারটি নিশ্চিত করা জরুরী যে মানুষ ভালভাবে বোঝে কারা এই ছবি বা ভিডিও দেখতে পেতে পারে এবং তার সবচেয়ে খারাপ সাম্ভাব্য ফলের ব্যাপারে সচেতন হতে পারে
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে আমরা ধরে নিতে পারি না যে কোন একটি ভিডিও এর অংশ ইন্টারনেটে দিলে
সেটা প্রতিলিপি করা ইউটিউবে পোষ্ট করা অথবা অপরাধীদের দেখার জন্যে
অথবা অপরাধ সংঘটনে দায়ী ব্যক্তির জন্যেই উম্মুক্ত থাকবেনা তা বলা যায় না
আমাদের মনে হয় যে কি কি হতে পারে তার সাম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত যাতে করে তারা ভেবেচিন্তে তাদের নিজ সিদ্ধান্ত নিতে পারে
যে তারা সত্যিই নিজেদের কথা বলতে চায় অথবা নিজেদের দেখাতে চায় কিনা
তারপর তাদের নিরাপত্তার জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে.
তাই তাদের প্রকৃত পরিচয় বা গলার স্বর গোপন করে অথবা তাদের ছদ্মবেশে রেখে তাদের সুরক্ষার জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া
আমার মতে, তথ্য আন্দোলনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল
আমরা কিভাবে হাজার হাজার মানুষকে উৎসাহিত করতে পারি যারা
এখন মানবাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে ভিডিওর মাধ্যমে
এই ভাবতে যে তারা যাদের কথা তুলে ধরছে, তাদের সজ্ঞ্যান সম্মতি প্রাপ্তির গুরুত্ব ভালভাবে বুঝতে পারছে কিনা
এবং তারা কিভাবে এই বিষয়গুলোকে দেখছে ও বুঝছে
যাতে করে তারা দ্বিতীযবার পীড়নের কারণ না ঘটায় তাদের জন্য যারা ইতিমধ্যে মানবাধিকার দমনের শিকার হয়েছে
মোবাইল রেকর্ডিং যন্ত্রসমূহ, ব্লগ, ভিডিও এবং অনলাইন সম্প্রচারের চ্যানেলগুলো
হচ্ছে কিছু পন্থা যাদের মাধ্যমে তথ্য আন্দোলন কারীরা অধিকার দমনের বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ এবং উন্মোচন করতে পারে
এবং যথাযথ পদক্ষেপগুলোকে সমর্থন করে সেগুলোকে তুলে ধরতে পারে
কিন্তু এই উদাহরণ গুলোতে যেসকল বিপদের সম্ভাবনার উপর আলোকপাত করা হয়েছে সেগুলি মাথায় রেখে বিবেচনা করা জরুরী
মানুষের অজ্ঞ্যাতনামা থাকার প্রয়োজনিয়তা, তাদের গোপনিয়তা রক্ষা করা যাদের আবার নির্যাতনের শিকার হবার সম্ভাবনা আছে
সত্যিকারের অর্থে দর্শকদের দ্রষ্টি আকর্ষন করতে হলে তোমাকে সৃজনশীল হতে হবে
শব্দমন্ডলী বা লেখা দ্বারা মানুষকে আচ্ছন্ন করে না ফেলে
যে কোন বিষয়কে বিভিন্ন ভাবে চিত্রায়িত করা যেতে পারে
এ্যানিমেশন একাটি পদ্ধতি এবং এটি সৃজনশীলতা প্রকাশের একটি মাধ্যম
স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে উন্মোচন করার জন্য।
আমি মনে করি এ্যানিমেশন বিশেষরুপে ভাল হতে পারে
এ্যাডভোকেসিতে তথ্য আন্দোলনের হাতিয়ার
এমন কোন অবস্থায় যেখানে একটি বিস্ফোরক অথবা
কোন স্পর্শকতার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যেখানে তুমি
বিষয়টিকে আভিধানিকভাবে বা সরাসরি পরিচালনা করতে চাওনা
উদাহরণস্বরূপ: জাতি অথবা জেন্ডার ইস্যু নিয়ে যখন তুমি কাজ করছো
তুমি পশু অথবা বস্তু ব্যবহার করতে পারো উদাহরণ স্বরূপ এ্যানিমেশনে
সত্যিকারের মানুষের পরিবর্তে। এটা তোমাকে বৈধতা দেয়
প্রচুর বিষয় তুলে ধরতে যেগুলো তুমি সরাসরি তুলে ধরতে পারো না
প্রথাগত চলচ্চিত্র নির্মানে।
আমার মনে হয়, অ্যানিমেশনের যাদু প্রত্যেকের উপরই আবেদন সৃষ্টি করে।
স্থির বস্তুর নড়াচড়া অথবা এমন কোন বস্তু যা নড়তে পারে বলে তুমি আশা কর না
বেশ আশ্চর্যজনক এবং এটি এমন একটি বিষয় যা মানুষকে আলোড়িত করে।
আমি বর্তমানে কায়রোতে একটি প্রজেক্টে কাজ করছি
দ্য উইমেন অ্যান্ড মেমোরি ফোরাম নামক একটি গ্রুপের সাথে
যারা আরবী পুরাণ অথবা লোককথা নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে পূনর্লিখন করছে।
আমরা একটি তিন মিনিটের এ্যানিমেশন তৈরি করছি
ঐ পূর্ণলিখন গুলোর একটির উপর ভিত্তি করে
যাতে মধ্য প্রাচ্যর নারীদের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্বর এক অন্য চিত্র পাওয়া যায়
মানচিত্র হোলো গিয়ে তথ্য অনুধাবনের অন্য একটি মাধ্যম
মানচিত্রে সময়সীমাহীন এমন কিছু থাকে হতে পারে এই জন্য
এটি এমন একটি মাধ্যম যা মানুষ বিশ্বাস করে।
২০০৬ সালে লেবাননে ইজরাইলের আগ্রাসনে
মানবধিকার এনজিও ’’সেমিডোন”
মানচিত্র ব্যবহার করেছিলো কি ঘটেছে তা মানুষকে বোঝাতে।
আমরা ২০০৬ সালের গ্রীষ্মে কিছু ম্যাপ তৈরি করেছিলাম
লেবাননে ইজরাইলের আগ্রাসনের সময়
দুটি প্রধান মানচিত্র এর একটিতে প্রতিদিন লেবাননে বোমা হামলার বিশদ বর্ণনা থাকতো
এবং এটি রোজ নিয়মিত আপডেট করা হতো।
এবং দ্বিতীয় মানচিত্রটিতে বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ক্ষতির বিশদ বিবরণ থাকতো।
যে সময় আমরা শুরু করেছিলাম
আমরা আসলেই জানতাম না আমরা এসব তথ্য সংগ্রহ করে কি বের করে আনতে চাচ্ছি
কিন্তু আমরা বুঝতে চাইতাম আমরা কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি
যখন আমরা কাজ শুরু করলাম এবং আমাদের প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করতে আরম্ভ করলাম
আমরা এটার অন্যান্য ব্যবহার আবিস্কার করলাম.
যেমন এক্টিভিসম, ত্রাণ সহায়তার কাজে এবং পুনঃ নির্মানে সাহায্যকরনে এটি ব্যবহার করেছিলাম
বার্তা দেওয়ার জন্য তোমাকে কোন নতুন মানচিত্র সৃষ্টি করতে হবে না।
যদি কেউ টুনিশিয়ান রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ দেখতে চেয়ে
গুগল মানচিত্র ব্যবহার করে তাহোলে তারা কিছু অপ্রত্যাশিত তথ্য পাবে
টুনিশিয়ান আন্দোলন কর্মীদের সৌজন্যে যারা
ইনডিপেন্ডেট, কালেকটিভ ব্লগ সাইট Nawaat.org এর সাথে জড়িত।
এখানে এক ভারি সৃজনশীল অভীজ্ঞতা
যা আমরা টুনিশিয়ান ইন্টারনেটে দেখেছি যখন নাওয়াত থেকে আন্দোলন কর্মীরা
তাদের ভিডিওগুলো জিওট্যাগ করে ইউটিউব এ দিয়ে দিত।
জিয়োট্যাগিং বলতে বুঝিয়েছি ভৌগোলিক তথ্য দেয়াকে অথবা
যেখান থেকে তুমি ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করছো সেই স্থানের নাম
এটা করে তুমি তোমার তথ্য, এবং ভিডিওকে
গুগলের ম্যাপিং সাধনিগুলিতে সহজলভ্য এবং দর্শনীয় করে তুলছো।
তাই টুনিশিয়ান আন্দোলন কর্মীরা যা করেছিলো তা হলো
টুনিশিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সকল ভিডিওগুলি জিওট্যাগ করে দিয়েছিল
সেগুলোকে কার্থেজে টুনিশিয়ার রাষ্টপ্রতির প্রাসাদের চারপাশে রেখে।
তাই যখন তুমি গুগল আর্থে গিয়ে টুনিশিয়ার রাস্ট্রপতির প্রাসাদ খুজবে
সেটিকে টুনিশিয়ায় মানবধিকার লংঘন এর ভিডিও দ্বারা বেষ্টিত পাবে।।
তাই তুমি টুনিশিয়ার দুটি দিক দেখতে পারবে।
একপাশে টুনিশিয়ার ঐতিয্যবাহী পর্যটটনের দিক
এবং অন্যদিকে বর্তমান টুনিশিয়ার চিত্র
তার মানবধিকার লংঘন এর চিত্র।
মানচিত্র এবং এ্যামিনেশন অনেক হাতিয়ার এর মধ্যে দুটি হাতিয়ার
যা মানুষকে তথ্যা বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে
দর্শনীয় পন্থায় যা তাদেরকে আকর্ষন করবে
এবং মানুষের মনে চিত্র গেথে দেয় যা অনেক সময় ধরে মানুষের মনে থাকে।
মানবধিকার লঘংন এর বিশাল চিত্রের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সহজ।
তথ্য আন্দোলনে মানুষের ব্যাক্তিগত ঘটনাগুলিকে তুলে ধরা হল
জনগনের অভিজ্ঞতাকে অবহেলা না করার একটি পন্থা।
আমরা তথ্য আন্দোলনে ব্যক্তিগত ঘটনাগুলোকে ব্যবহার করি
কারণ নারী বাদী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যাক্তিগত মতামতই রাজনৈতিক মতামত।
এবং আমাদের জন্য তারা সত্যিকারের বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলোকেই তুলে ধরে
মানবাধিকার এবং নারী অধিকার এর।
উদাহারন স্বরুপ আমরা আমাদের কাজের যেখানে ডিজিটাল গল্প ব্যবহার করেছি
দুটি নারী দলের সাথে একটি ট্রেনিং এ।
এক গ্রুপের নারীরা যৌন নির্যাতন থেকে উঠে আসতে পেরেছে
তাদের যৌন পরিচিতির কারনে।
এবং অন্য গ্রুপের নারীরা যারা পারিবারিক নির্যাতন থেকে মুক্ত হয়েছে।
আমরা তাদের ঘটনাগুলোর সমন্বয়ে একটি ডিভিডি তৈরী করেছি এবং
আমরা একটি বই সহ ভিভিডিটি বিতরন করেছি, বঐটি নির্দেশনা দেয়
কিভাবে মানবাধিকার শিক্ষাকার্যক্রমে এই ঘটনাগুলোকে সমন্বিত করা যায়।
তাই এই ঘটনাগুলো ট্রেনিং ম্যাটারিয়ালের বিকল্প হিসাবে অর্থ বহন করে।
সেসব মানুষের কাছে যারা এই পরিবর্তন সম্পর্কিত ট্রেইনিং দেবার চেষ্ঠা করছে
আমরা আশা করি যে, এগুলো শুধুমাত্র সেসব তথ্যেই অবদান রাখিবে না
বরং নির্যাতন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে এবং তা রোধের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
সেসব গ্রুপের বিরুদ্ধে যাদের নিয়ে আমরা কথা বলছি
এবং নীতিমালা প্রনয়নে সাহায্য করে যা
সত্যিকার অর্থে মানুষের দ্বারা চিহ্নিত করা তাদের সমস্যার সমাধান করে।
এটি একটি নিপীরিত, নীরব গোষ্ঠীর উদাহরণ কিভাবে তারা
তাদের নিজেদের কথা ও ছবির ওপর নিয়ন্ত্রন এনে এমন কিছু তথ্যচিত্র বানিয়েছে
যেখানে তারা তাদের নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেছে
তারা নিজেরাই উপযুক্ত কথা এবং ছবি নির্বাচন করে এবং তারাই নিয়ন্ত্রন রাখে
প্রকৃত যন্ত্রপাতি এবং কম্পিউটারের উপর।
ব্যাক্তিগত ঘটনাবলি বিভিন্ন ভাবে সংকলন এবং বিতরণ করা যেতে পারে।
গ্রাম্য ভিডিওগুলো মানুষের অভিজ্ঞতাকে ধারন করতে পারে
এমন ভাবে যা পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে
আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে এমন একটি গ্রুপের সাথে কাজ করেছিলাম
যেখানে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল।
শিশু সৈনিকদের ব্যবহার একটি বড় সমস্যা
গ্রুপটি তাদের সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করার একটি পথ খুজছিল
যে কেন তারা তাদের বাচ্চাদের সৈনিক হতে দিচ্ছিল তা ভেবে দেখতে।
তাই তারা একটি ভিডিও নির্মাণের কথা ভাবল যা
তাদের কমিউনিটির মধ্যে একটি বিতর্ক তৈরি করবে।
তারা এটি বিভিন্ন কমিউনিটিতে প্রদর্শন করে
পূর্ব কঙ্গোর সব জায়গায় একটি আলোচনা তৈরি করতে।
আমি মনে করি, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন তারা শুধুমাত্র
ঐ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেনি বরং তারা তাদের দর্শকদের নিয়েও চিন্তা করেছিল
তাদের লক্ষ কী এবং তারা কি বলতে চায়।
তারা মানুষকে এই বিষয়ে ভাবাতে সক্ষম হয়েছিল
এবং তারপর তারা অনুভব করল তাদের ক্যাম্পেইনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার
জন্য তাদের কিছু নতুন পন্থার প্রয়োজন ছিল
সেই সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনকারি আদালত তাদের কাছে দাখিল হওয়া প্রথম মামলার শুনানি নিয়ে ভাবতে শুরু করল।
তাই তারা বলল আমরা কীভাবে আদালতকে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করতে পারি যে
একেবারেই ভিন্ন একটি শ্রোতৃমন্ডলী
তাই তারা আলাদা ভিডিও তৈরি করল যাতে উঠে এসেছিল
সরাসরি সেই সব শিশুদের কথা যাদের জোরপূর্বক মিলিটারিতে যোগদান করানো হয়েছিল।
আদালতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেখানোর জন্য।
এবং তারা একটি ভিন্ন কাহিনি নির্বাচন করল।
এটি ততটা খোলামেলা কাহিনি ছিল না, এটা ছিল অনেকটা নির্দেশিত কাহিনি
যা সেই শ্রোতৃমন্ডলীকে জানাচ্ছিল
'আপনাদের এই ব্যাপারে নির্নয় নিতে হবে কারন এটা একটা যুদ্ধাপরাধ
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ'।
আমার জন্য এটি ছিল একটি নিদর্শন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ক্ষমতা সম্পর্কে
স্থানীয় পর্যায়ের মানুষদের দ্বারা ধারণকৃত যারা প্রকৃত ঘটনার খুব কাছাকাছি
বিভিন্ন অভিয়েন্সদের অনুপ্রমাণিত করতে এটি একটি পন্থা হিসাবে কাজ করতে পারে।
বিভিন্ন সময়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনয়নে।
ব্লগের এমন ক্ষমতা আছে যা দূর করতে পারে
ব্যক্তিগত ও সর্বজনবিদিতর মাঝের তফাৎটা
যা তাদেরকে গল্প বলার একটি কার্যকর হাতিয়ারে পরিনত করে।
একটি সম্মিলিত ব্লগ প্রজেক্ট ’ব্ল্যান্ক নয়েজ’
জনগণকে এক ধারাবাহিক আলোচনায় অংশগ্রহনে উদ্ধুদ্ধ করে
ভারতে যৌন নির্যাতন বিষয়ে।
তারা ব্লগারদের তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনার জন্য আমন্ত্রন জানান
শহরে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে।
তারা এটা এমন ভাবে করেছিলে যেখানে, আমি যে বছরে যোগদান করেছিলাম
তারা আমাদের এটা সম্পর্কে বলতে বলেছিলো যেন আমরা কোন সুপারহিরো
তাই শহরে যৌন নির্যাতনের চিত্রায়নটা ছিলো খুবই মনোযোগ আকর্ষনকারি.
এটা কোন প্রতিবেদন ছিলোনা, ছিলো না কোন গল্প এটা ছিলো একধরনের বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিবেশিত।
তাই এটি বিভিন্ন অভিয়েন্সের কাছে পঠনযোগ্য করে তোলার খুবই ভাল একটা পন্থা ছিলো।
আমি মনে করি ব্লগ তথ্য আন্দোলনের একটি ভাল হাতিয়ার
কারণ তারা গল্প বলার পক্ষে উপযুক্ত
ব্লক খুবই ব্যক্তিগত তাই এটা সহজ হতে পারে
ব্যক্তির জন্য তার দৃষ্টিকোনকে তুলে ধরতে।
এবং এটা লেখাও খুব সহজ, ডাইরি লেখার মতন
এটা কোন কিছু লেখা এবং পড়ার জন্য খুবই সহজ একটি মাধ্যম।
তথ্য আন্দোলন এবং এডভোকেসিতে ব্লগ বেশির ভাগ যে কাজ করে
তা হলো ব্লগ কমিউনিটির মাধ্যমে।
কোন একটি নিদৃষ্ট বিষয় নিয়ে ব্লগ কমিউনিটি ফোকাস করে
এবং তারা সাধারণত একটি সময়সূচী ব্যবহার করে যেখানে তারা কোন নিদৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে লিখতে থাকে
ব্লগ, ডকুমেন্টরী, ভিডিও এবং অনলাইন গল্পগুচ্ছ
এই গুলো ব্যক্তিগত ঘটনা ঘটনা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে
মানুষের অভিজ্ঞতাকে বিভিন্ন ধরনের শ্রোতৃমন্ডলীর এর কাছে পৌছে দেয়া কে নিশ্চিত করতে
এবং সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে
একটি ভাল কৌতুক দুর থেকে দুরে ছড়িয়ে যেতে পারে
এবং শক্তিশালী একিট হাতিয়ার এ পরিণত হতে পারে বিশেষ করে যখন এটি ব্যবহৃত হয়
শক্তিশালি কোনো ক্ষমতার ব্যঙ্গ বা সমালোচনা করতে
যেখানে সরাসরি পথে এটি করা কঠিন।
মিশরে যখন আন্দোলন কর্মীরা জনগণকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলো
মুবারক এর শাষনের বিরুদ্ধে
আমরা প্রচুর যোগদান পেয়েছিলাম পেয়েছিলাম অজানা কিছু
তরুনদের কাছ থেকে ইন্টানেটে
মজার কিছু ছবি যা আসলে পূণমিশ্রন করে
ফিল্মপোষ্টার এ রাষ্টপতির মুখকে
জনপ্রিয় খলনায়ক, গুন্ডা এবং চোরের ছবির স্থলে বসিয়ে
কিম্বা অপরাধি দলের সদস্য অথবা এইজাতিয় কারো স্থানে বসিয়ে
বর্তমান পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরতে ব্যবহার করা যায়
খুব অল্প সময়ের মধ্যে
ক্রমাগত হাস্যরস ব্যবহারের কারণে
রাষ্টপতিপতিকে ঘিরে তার ক্ষমতার যে রহস্যময়তা
সম্পূণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো এবং তাকে এখন দেখা হচ্ছে
একজন নিতান্তই বৃদ্ধ মানুষ হিসেবে যে
তার ভূমিকার অত্যন্ত অকার্যকর এবং দুর্বল প্রমাণিত হয়েছে।
এটি এক ধরনের জনগনেরআওয়াজ ওঠানোর প্লাটফরমে পরিনত হয়
কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে যা দাবী করছিল
গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং স্বচ্ছ নির্বাচন ও এরকম আরও অনেক কিছু।
মানুষ শুধুমাত্র ভাল কৌতুকে হাসে না।
তোমার বন্ধুবান্ধব অথবা পরিবারের সাথে কখনও কারাওকে বার এ গিয়েছো?
থাইল্যান্ডে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্কের যৌনকর্মীরা
যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজে কারাওকে ব্যবহার করে
জনপ্রিয় গান এবং ভিডিও ক্লিপ ব্যবহারের মাধ্যমে
যা যৌনকর্মীদের অধিকাররের উপর নতুন ভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করায়।
এটি একটি চতুর কৌশল, যা জনপ্রিয় সংগীত ব্যবহার করে
যৌনকর্মী এবং তাদের সহযোগীদের নিকট তথ্য পৌছি দিতে
এবং তাদেরকে আইন শৃংখলার মধ্যে কী ভূল আছে সে সম্পর্কে ভাবাতে
যা তাদের গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে এবং সেগুলি পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করতে প্রবুদ্ধ করে
আমি ভিডিও কারাওকে ব্যবহার করেছি কারণ এশিয়ায়
জনগণ গান গাইতে এবং ছবি দেখতে ভালোবাসে।
ভিডিও কারাওকে এশিয়াতে খুব জনপ্রিয়
এটা দিয়ে জনগনের দৃষ্টি আকর্ষন করা সহজ ছিল
তাই গানের কলি পালটাবার কথা আমার মাথায় এল
এবং তার দ্বারা যৌনকর্মী বিরোধী নীতিমালার বার্তা পৌছে দেওয়া ছিল সহজ
এবং নতুন ট্র্যাফিকিং আইন
এশিয়া প্যাসিফিক নের্টওয়ার্কে যৌনকর্মীদের জন্য
কারাওকে একটি সর্বজনীন ভাষা হয়ে উঠল যেখানে তাদের
তাদের কাছে সাধারণ ভাবে অন্য কোন ভাষা থাকে না।
গোটা অঞ্চলে গ্রুপের কারাওকে ভিডিওগুলি প্রদর্শন করা হয়
পার্টি, প্রমোদানুষ্ঠানে এবং হাজার হাজার দর্শকের সামনে
আন্তর্জাতিক এইচ আই ভি/এইডস এর কনফারেন্সের মত অনুষ্ঠানে।
একটি ভিডিওর অনলাইনে প্রায় ১০,০০০ দর্শক ছিল
ইউটিউব আর ব্লিপ টিভিতে
রসবোধ কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে এর অন্য একটি উদাহরন হল
বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজেন্ডার লুকাশেস্কো এর কাছে জন্মদিনের উপহার হিসাবে এসেছিল
তিনি ইন্টার নেটেকে খোলাখুলিভাবে অরাজকতার স্থান হিসেবে অভিযুক্ত করার পর
এবং ইন্টারনেটের উপর কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার কথা ঘোষনা করার পর
আন্দোলন কর্মীরা একটি অনলাইন ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে
সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রচারনা যন্ত্রকে উপহাস করেছিল.
কোন ট্যাবু ভাঙতে কৌতুক হল প্রথম ধাপ
এবং ভয় ভাঙাতেও।
তাই মানুষকে ভীতিপ্রদত্ত কোনো বিষয় সম্পর্কে হাসানো
যেমন একনায়কতন্ত্র, দমননীতি ,সেন্সরশিপ
হল এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার প্রথম ধাপ
কিছু বছর আগে বেলারুশে একটি খুবই মজার ক্যাম্পেইন করা হয়।
নাম 'লুচেন্কোকে তার নেট দাও'
কারণ লুচেন্কো ইন্টারনেটকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছিল যে
বেলারুশ সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, 'সেখানে প্রচুর অসত্য তথ্য থাকে'.
তাই বেলারুশের আন্দোলন কর্মীরা ইউটিউব আর লাইভজার্নালের হুবহু কপি তৈরি করেছিল
এবং তাতে নিজেদের তৈরি খুব মজার মজার ভিডিও
এবং প্রেসিডেন্ট লুচেন্কো কে নিয়ে মজাদার সব কার্টুন প্রচার করেছিল.
এই ধরণের সাধনী যা খুব সহজেই
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাথে মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে, কিন্তু তার বিষয়ের পরিবর্তন করে
অর্থাৎ তা দিয়ে কোন রাজনৈতিক বিষয়কে
রসালো করে তুললে তা মজাদার হয়ে ওঠে
এবং এটি রাজনৈতিক ইস্যুকে আরও আগ্রহজনক করে তোলে।
মানুষকে হাসানো হতে পারে অত্যন্ত কার্যকরী একটি পন্থা
ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনয়নের বাধাগুলোকে ভেঙ্গে ফেলতে।
ওয়েবসাইট, কারাওকে ভিডিও ক্লিপ এবং ফিল্ম পোস্টার
এইগুলো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌছে দেওয়ার তিনটি পন্থা মাত্র
আপাতদৃষ্টিতে হালকা হলেও খুব কার্যকরী।
কখনও কখনও তথ্য আন্দোলন কর্মকান্ডের এক উপেক্ষিত বিষয়
হল এক সুস্থ নেটওয়ার্ক গঠন ও তা টিকিয়ে রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া।
আজকের ডিজিটাল যুগে নেটওয়ার্ক হল ক্ষমতা
এবং এটাকে সম্পুর্ণভাবে কাজে লাগানোর জন্য দরকার পরিকল্পনা এবং সময়।
সকল নন-প্রফিট কাজ এবং ক্যাম্পেইনিং এর কাজ হল
জনগন সম্পর্কিত।
এবং যখন তুমি এটাকে কারিগরি ভাষায় বলতে চাও তবে
জনগণ হচ্ছে যোগাযোগ
শুধু মানুষ নয়, প্রতিষ্ঠান, দল
তাদের মধ্যে সম্পর্ক প্রভৃতিও আছে এর মধ্যে।
এই সবই হচ্ছে তথ্য যার উপরে তুমি ভিত্তি করতে পারো
যেটা তুমি তোমার দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য ব্যবহার করতে পারো
এবং তোমার লক্ষবস্তু যারা সেই ব্যক্তিবর্গকেও আকর্ষন করতে পার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সিভিকসিআরএম নামক একটি প্রজেক্ট এর সাথে জড়িত
যেটি একটি অবাধ এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার
যা বিশেষভাবে বানানো হয়েছে নন-প্রফিট সংস্থা এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থাগুলির জন্যে।
এটিকে তৈরি করা হয়েছে এই গ্রুপ গুলোর কাজ থেকে প্রচুর মতামত নিয়ে
আমার মতে এটা একটি চমৎকার উপকরন
যোগাযোগ তথ্য ব্যবস্থা ম্যানেজ করার জন্য।
ফ্রন্টলাইন এস এম এস একটি ভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার
যেটা সমর্থন করে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কে
এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে এস. এম. এস ব্যবহার করে
একটি সংস্থার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ
কিন্তু কোন একজন যার সাথে তুমি যোগাযোগ করছো তার দৃষ্টিকোন থেকে বললে
তারা চায়না যে তাদের কাছে এমন এস এম এস অথবা তথ্য আসুক যা
যা নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই অথবা তাদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।
সুতরাং তুমি যদি একই সাথে অনেকগুলো প্রচার কার্যে জড়িত থাকো
তুমি অবশ্যই বিভিন্ন দলভূক্ত মানুষদের অপ্রাসঙ্গিক বা ভুল বার্তা পাঠাতে চহিবে না।
হয়তো প্রয়োজনে এমন করতে হতে পারে
যে কোন একটি নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে এক নির্দিষ্ট নারীগোষ্ঠিকে এসএমএস বার্তা পাঠান হল
অথবা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে কর্মরত মানবাধিকার কর্মীদেরকে পাঠানো হল
তুমি যদি সঠিক ভাবে মানুষকে চিহ্নিত না করতে পারো
তাহলে তুমি মানুষকে এমন সব তথ্য এসএমএস দ্বারা পাঠাবে যে তথ্য তারা জানতে ইচ্ছুক নয়।
এই ধরনের ভুল শুধু যে তোমার প্রজেক্ট অথবা প্রচারণার কার্যকারিতার ওপর প্রভাব ফেলবে তা নয়
এটা মানুষকে বিরক্ত করতে পারে এবং এর ফল উল্টো হতে পারে।
এর একটি ভালো উদাহরণ হলো কিভাবে ফ্রন্ট লাইন এস.এম. এস ব্যবহার করা হচ্ছে
নির্দিষ্ট লক্ষে এস. এম. এস পাঠিয়ে
নির্দিষ্ট গ্রুপের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, যেটা হয়েছিল এশিয়ান সুনামির পরে পুনর্গঠন জনক কর্মকান্ড চলাকালীন
যেখানে Mercy Corps দ্বারা চালিত একটি প্রজেক্টে তারা চাইছিল
বিভিন্ন দলের মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করে তাদের বিভিন্ন ধরনের বার্তা পাঠাতে
সুতরাং ফ্রন্ট লাইন এস. এম. এস ব্যবহার করে তারা মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণীতে দলভূক্ত করতে পেরেছিল
এই সব শ্রেণীভুক্ত মানুষদের মধ্যে ছিল কৃষকদল যারা জানতে চাইতো বিভিন্ন মার্কেট এ কফির দরদাম।
ছিল সরকারের মন্ত্রীগণ যারা সংক্ষিপ্ত তথ্যাদি চাচ্ছিলো বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন বাজার দরের ব্যাপারে
অন্যান্য মানুষজন জানতে চাচ্ছিলো আবহওয়ার পূর্বাভাস।
ফ্রন্টলাইন এস এম এস ব্যবহার করে, এবং এর মধ্যে নিহীত শ্রেনীবিভাগ করার প্রযুক্তিগত সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে
তারা পেরেছিল মানুষদের বিভিন্ন শ্রেনীতে বিভক্ত করতে
এবং তাদের তথ্য প্রয়োজনিয়তার দিকে খেয়াল রেখে তাদের সেই হিসেবে তথ্য পাঠাতে
একটি এস. এম. এস এর মাধ্যমে যেটা তাদেরকে জানিয়ে দিতো বাজার দর বা আবহাওয়া পূর্বাভাস অর্থাৎ যে তথ্য তারা জানতে আগ্রহী।
তুমি যদি তোমার তথ্য আন্দোলন কর্মকান্ডে ব্যবহৃত যোগাযোগ তথ্য ম্যানেজ করতে চাও
তোমার প্রনালীবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন
তোমাকে চেষ্টা করতে হবে সর্ব স্তরে যা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা সম্মিলিত করতে
কিছু সময় পরে, আমি লুকানোর চেষ্টা করব না - এটি একটি সময়সাপেক্ষা প্রচেষ্টা!
কিন্তু আরও কিছু সময় পরে দেখতে পাবে এর অবিশ্বাস্য প্রভাব
নানান কানেক্সন ও নানান প্যাটার্ন তুলে ধরায়
প্রধানত এটি একটি খুবই শক্তিশালী উপকরন, জানার বা খুজে বের করার জন্য
তোমার চারপাশে কি ঘটছে তা জানার জন্যে এবং একটি শক্তিশালী উপকরন দেবে তোমার লক্ষ অর্জন করার জন্য।
তথ্য ভান্ডার, গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং প্রচুর বাল্ক টেক্সট সম্পন্ন সফটওয়্যার
হচ্ছে তিনটি উপকরন যা তুমি ব্যবহার করতে পারো তোমার যোগাযোগ ব্যবস্থাপনায়
স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকরী সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে
তোমার কাজকে সমর্থন করতে চায় তাদের সাথে
মাঝে মাঝে বিষয়গুলো খুবই জটিল আকার ধারণ করে।
এগুলো এমন সব সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি হতে পারে যা অনেক সময় ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে
অথবা তারা যুক্ত থাকতে পারে বহু ঘটনা এবং বিভিন্ন মানুষ জনের সাথে।
একটি বিষয়কে বোধগম্য করে তোলার জন্য
তোমায় খুজে বের করতে হতে পারে প্রাপ্ত তথ্যাদিতে কী আছে
এবং আদৌ সেই তথ্য ব্যবহার করার তোমার আইনত অধিকার আছে কিনা।
প্রতি বছর আমরা বেশির ভাগ মানুষই সরকারকে কর দিয়ে থাকি
এবং কয়েক বছরের ব্যবধানে আমরা সরকার পরিচালনার জন্যে প্রতিনিধি নির্বাচন করি
এর মাধ্যমে আমরা ক্ষমতা এবং টাকা উভয়ই হস্তান্তরিত করছি
এবং আমাদের জানার আধিকার আছে এই টাকা কিভাবে খরচ হচ্ছে
এবং এই ক্ষমতা কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৮২টি দেশে
তথ্য উপলব্ধ করা অথবা তথ্য স্বাধীনতার আইন
প্রতিটি মানুষকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার এবং সরকারের কাছ থেকে একটি উত্তর পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে।
আন্তর্জাতিক মানদন্ড এই ব্যাপারে খুবই পরিস্কার যে
তথ্যাধিকার প্রনালী হতে হবে সহজ, দ্রুত এবং বিনামূল্যে।
সাধারণত: তাই হয়।
বেশির ভাগ দেশেই তথ্যের জন্য আবেদন বিনামূল্যেই করা যায়।
তাই আমাদের কাছে বিশ্বের অনেক উদাহরন আছে যেখানে
জনগন সরকারের কাছে কোনো প্রশ্ন রেখেছে
তথ্য পেয়েছে এবং সেটি জন-বির্তকে ব্যবহার করেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে
ফার্মসাবসাইডি.অরগ একটি উদ্যোগ যা প্রতিনিধিত্ব করে
সরকারী খামার ভর্তুকির তথ্য উপলব্ধ করার ব্যাপারে
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোতে।
এর লক্ষ হচ্ছে নিশ্চিত করা যে সাংবাদিক এবং সুধী সমাজ
সক্ষম হবে অনুসন্ধান করতে কিভাবে সাহায্যের বিলিয়ন বিলিয়ন হউরো
যা খামার ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ তা খরচ করা হচ্ছে।
যখন ফার্মসাবসিডি.অর্গ এর প্রচারনায় আমরা সাফল্য লাভ করি
আমাদের বলতে গেলে তথ্যের জোয়ারের সম্মুখিন হতে হয়
ঠিক কোন তথ্যাধি মিডিয়ার মনোযোগ আকর্ষণের জন্য বাছাই করা হবে তা ঠিক করা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে
যদি তোমার হাতে বিশাল পরিমাণ তথ্য থাকে
এবং তুমি তথ্যগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার উপায় খুঁজে বার করতে চাও
তাহলে একটি খুবই ভালো উপায় হচ্ছে যে বিষয়টি কে তাদের কাছে প্রাসঙ্গিক করে তোলা
তাদের নিজস্ব অঞ্চলে যে স্থানে তারা বসবাস করে।
এটি করার একটি চমৎকার কৌশল হচ্ছে মানচিত্রের ব্যবহার
গুগল ম্যাপে তথ্য প্লট করে দেওয়া, সেটা করা এখন বেশ সহজ, প্রযুক্তিও বিনামুল্যে পাওয়া যাচ্ছে
আমরা এই রকম করেছি সুইডেন এ
কারন আমরা সুইডেনের জন্য চমৎকার স্থানাঙ্ক তথ্যাদি পেয়েছিলাম
এবং আমরা সমর্থ হয়েছিলাম সুইডেনের সাত বছরের খামার ভর্তুকি পরিশোধ এর তথ্য
একটি গুগল ম্যাপ এ প্লট করতে যাতে জনগণ
ঠিকঠাক মতো দেখে নিতে পারে যে তাদের অঞ্চলে টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে
এবং এই ব্যাপারটি তাদের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যা একিট দীর্ঘ তালিকার দিকে তাকিয়ে থাকার চাইতে অনেক বেশি ভাল
যা শুধুমাত্র পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিরক্তিকর অক্ষরে ভরা থাকে
কিন্তু সরকারী তথ্যাদিতে প্রবেশাধিকার পাওয়া সব সময়ই সহজ নয়
সে তথ্য আইনের স্বাধীনতা বিদ্যমান থাকুক আর নাই থাকুক।
আমার তিন বছর সময় লেগেছে ইউকের খামার ভতুর্কি প্রাপকদের তথ্যগুলো পেতে
এবং আমার অনুরোধ পাঠানোর কাজ এখনও শেষ করতে পারিনি।
সুতরাং তোমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে একটি দীর্ঘ লড়াইএর জন্য
এবং 'হবে না' উত্তরটা মেনে না নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে
এবং যে কোনও ধরনের কৌশল যেটা তোমার জন্য সহজপ্রাপ্য তা ব্যবহার করতে হবে - হয় সেটা তোমার আইনগত অধিকার
অথবা প্রয়োজন হলে রাজনৈতিক চাপ
যেটা তুমি প্রয়োগ করতে পার এমন কারও মাধ্যমে যাকে তুমি চেন এবং যে ওই অঞ্চলে কাজ করছে
অথবা গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়েও
তোমার শুধুমাত্র চাপ সৃষ্টি করতে হবে
তোমার নাগরিকত্তের অধিকার ব্যবহার করে।
অন্য আরেকটি উদাহরণ স্বরূপ প্রযুক্তিবিদ এবং অধিকার আন্দোলন কর্মীরা
বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্যাদি জোগাড় করেন
সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থাগুলি থেকে
তথ্যগুলি নানানরুপে এসেছিল
সুতরাং সবচেয়ে বড় বাধা হয়েছিল এই বিভিন্ন তথ্যকে বৈশ্বিক দর্শকের সামনে সহজ করে তোলা
যারা সেটি দেখে অবস্থানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত।
একটি প্রকল্প যার সাথে আমি জড়িত ছিলাম তা ছিল
দারফুর সংকটের ব্যাপারে নানান ধরনের সংগৃহিত তথ্যগুলো গুগল আর্থে স্থাপন করা।
আমরা ছিলাম প্রায় বার জন মানুষের একটি দল
যাদের একত্রিত করেছিল ইউনাইটেড স্টেট হলোকাস্ট মিউজিয়াম।
তারা একটা খুবই সংযোজনমুলক উপায়ে চাচ্ছিল
সচেতনচা জাগ্রত করতে দারফুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাপারে।
আমরা গুগল আর্থের মাধ্যমে কি কি করা যেতে পারে তার চরম পরিক্ষা করে করে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম
আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে তথ্যাদি ছিল - স্প্রেডশিট, ছবি, ভিডিও
এর সঙ্গে গুগল আর্থএর বেস লেয়ারগুলোও ছিল
যেগুলো ছিল সদ্য সংশোধন করা উপগ্রহের তোলা ছবি
প্রায়ই তাতে দেখা যেত সেই সব গ্রামের ছবি যা দারফুরের সংকটে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
আমরা প্রায় ছয় মাস ওই ডেটাগুলো নিয়ে কাজ করেছিলাম
যাতে করে ওখানকার চলাকালীন পরিস্থিতির প্রতি যথার্থ সম্মান দেখানো হয়
যাতে করে আমরা একটা শক্তিশালী বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারি।
এটি খুব ভালো প্রচারনা পেয়েছিল গুগল এবং গণমাধ্যমেও
এবং হাজার হাজার হয়তো বা লক্ষ লক্ষ মানুষ
দেখেছে ওই গুগল আর্থের ছবিগুলো এবং সেগুলো খুব ভালোভাবে ওই সব বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছে।
আমরা মানুষ জনকে এই কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করবার পদ্ধতিও জানিয়ে দিয়েছিলাম
সুতরাং এই গুগল আর্থের ছবিগুলো থেকে সই জোগার করার পিটিশন এর সাথে সংযোগ করা ছিল
যাতে মানুষ সাক্ষর করে ইস্যুটার সাথে আরও গভীরভাবে সহযোগিতা করতে পারে
তথ্যাধিকার পাওয়া সব সময় খুব একটা সহজ কাজ নয়
এবং তারপর অসংখ্য তথ্যাদি মনোগ্রাহী ভাবে জনগনের সামনে পেশ করার সঠিক উপায় খুঁজে বের করাও খাটুনিসাপেক্ষ
কিন্তু তথ্য আন্দোলনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। ।
তুমি যদি হার না মানো এবংকাজটাতে লেগে থাকতে পার, তবে তুমি ফল পাবেই
উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এর মাধ্যমে যা তোমাকে অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে ।
কিছু দিন আগেও বহু সংখ্যক মানুষের একত্রিত হওয়ার ব্যাপারটি
কঠিন ছিল যদি না তুমি স্বশরীরে ঐ স্থানে উপস্থিত থাকতে
নতুন প্রযুক্তি এটাকে বদলে দিয়েছে।
আমরা এখন কিছু অভাবনীয় সৃজনশীল উদাহরণ দেখতে পাই যেমন "সোয়ার্মিং" (একত্রিকরণ)
এটি হল নানান মানুষের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা যখন
একত্রিকরণ করা হয় তখন তারা একধরনের সমষ্টিক প্রতিক্রিয়ার দিকে ধাবিত হয়
যা তাদের একক প্রভাবের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
যে রকম ২০০৮ সালে মুম্বাই এ হামলা সংঘটিত হওয়ার সময়
টুইটারের মাধ্যমে একটি সোয়ার্ম তৈরি হয়েছিল।
একটি মাইক্রোব্লগ সার্ভিস যা জনগণকে নিজস্ব মতামত পাঠাতে এবং অন্যের মতামত পাড়ার সুযোগ করে দিয়েছিল
ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
যখন মুম্বাই এ সন্ত্রাসী হামলা চলছিল
আমাদের মধ্যে অনেকেই তখন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে ছিল
এবং আমরা আমাদের আবেগ সেখানে ঢেলে দিতে শুরু করেছিলাম
এবং কথা বলেছিলাম যা হচ্ছিল তার ব্যাপার এ
এবং যা আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম টেলিভিশনে তা টুইটারের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলাম
আমাদের মনে হচ্ছিল 'আমাদের এখন কী করা উচিত’?
এবং আমরা আমাদের নিজেদের বাড়িতে একা বোধ করছিলাম কারন আমাদের বাইরে যাওয়ার কোন অনুমতি ছিল না।
এবং টুইটারের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে আমাদের মনোভাব ভাগ করতে পারায় আমরা কম একাকী এবং কম রাগাণ্বিত বোধ করছিলাম
এবং আমরা ঘটনাস্থলের কাছে স্থিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিলাম
প্রয়োজনীয় তথ্যাদি বের করে আনার জন্য।
উদাহরণ স্বরুপ আমাদের লোকজন হাসপাতাল গুলোতে গিয়েছিল
এবং আহত ও মৃতদের তালিকা সংগ্রহ করেছিল
যেগুলো ইন্টারনেটর কোথাও প্রকাশিত হয়নি সেগুলো আমাদেরকে ফ্যাক্স করে দেয়া হয়েছিল
এবং তখন আমরা সেগুলোকে একসাথে জুড়ে দিয়ে দিয়েছিলাম টুইটার লিংক হিসেবে সেই ব্লগে যেটা এই কার্য ক্রমের সমর্থনে ছিল।
অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল সঠিক গ্রুপের রক্ত পৌছে দেবার
বিভিন্ন হাসপাতালগুলো যাদের দরকার ছিল সঠিক গ্রুপের রক্ত।
অতএব এটা হচ্ছে যে কোনো ইস্যুকেন্দ্রিক সম্প্রদায় বা গোষ্ঠিকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে সংঘবদ্ধ করা
তোমার কাছে উপলব্ধ বিভিন্ন ধরণের যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা
যার দ্বারা তুমি ইন্টার্নেটে তোমার চিহ্ন রেখে যেতে পারো
অন্য একটি বিষয় যা মাইক্রোব্লগিং এর এক ধরণের যাদু বলা যেতে পারে তা হোলো
এই বিষয়গুলোর সমাহার
এবং এই বিষয়গুলোর প্রচার
যেহেতু এটি একটি সম্প্রচারের উপকরণ ।
তাই এটি মূলধারার গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষন করতে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল
যা দেখিয়ে দিয়েছিল যে এই ধরনের সংঘবদ্ধতা কতটা কার্যকর হতে পারে
চারপাশে যা ঘটছে তার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে।
যেমন মুম্বাই এ সন্ত্রাসী হামলাকালীন সময়ে দেখা গেছে যে মোবাইল ফোন
দূর্যোগের মুহুর্তে কীভাবে এক অত্যন্ত প্রয়োজনিয় উপকরণ অর্থাৎ মূল যোগাযোগ মাধ্যমে পরিনত হয়েছিল
যেমন মাদাগাস্কারে এ কম্পিউটার সফটওয়ার এর সাথে মোবাইল ব্যবহৃত হয়েছিল
যাতে সাধারণ নাগরিকরা তাদের চারপাশে কি কি ঘটছিল তা যাতে রিপোর্ট করতে সক্ষম হয়
যখন সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চরমে পৌছেছিল।
'ফ্রন্টলাইন এস.এম.এস' নামে একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম
প্রচুর পরিমানে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে
মাদাগাস্কারের বড় সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারকারীদের সাহায্য করেছিল
এবং উসাহিদি সেই সকল প্রাপ্ত বার্তা একটি মানচিত্রে প্লট করে সর্বসমক্ষে তুলে ধরতে সাহায্য করে
২০০৯ সালে মাদাগাস্কারে এ সমস্যা চলাকালীন সময়ে
যেখানে শুনেছি কিছু প্রতিবাদি মানুষ রক্ষী সেনাবাহিনী দ্বারা নিহত হয়েছিল
সেখানে পরিস্কারভাবে এক বড় সুযোগ এসেছিল
সেখানকার তথ্য সংবাদ এবং মানুষের কথা সংগ্রহ করার ও তুলে ধরার
যারা সমস্যার মধ্যে সম্মুখিন হচ্ছিল এবং প্রতিবাদ মিছিলে জড়িত ছিল
এবং যারা ঘটনাবলির শিকার হচ্ছিল।
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তুমি মানুষের সমন্বিত কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরতেপার
সে মানুষ যেভাবেই তথ্য পাঠাক না কেন যেমন এস এম এস বা ই-মেইল,
তারা অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে পারে, তুমি তারপর সেই তথ্যগুলোর সমন্বয় করতে পার
মূলধারার থেকে যে তথ্য আসছে তার সাথে সমন্বয় করে এবং তারপর সবগুলোকে একসাথে তুলে ধরা যায়।
ফলে তুমি আসলে সেই জায়গায় কী ঘটছে সে সম্পর্কে একটি ভাল ধারনা পেতে পার।
উসাহিদি, জনগণের পাঠানো তথ্যের উৎস হিসাবে কাজ করার জন্য 'ফ্রন্টলাইন এস.এম.এস' ব্যবহার করেছিল
যেখানে মানুষকে একটি নম্বর টেক্সট করতে হত এবং তারপর তারা সংবাদ পাঠানোয় অংশগ্রহণ করতে পারত
তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারত এবং ইমেইল পাঠাতে পারত
অথবা তারা ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করতে পারত।
জনগণ সাধারণত সুবিধা এবং গতির কারণে এস এম এস পাঠাতে পছন্দ করে
এবং ’ফ্রন্টলাইন এস.এম.এস’ সেই সমস্ত বার্তা সংগ্রহে ব্যবহৃত হত
তারপর সেগুলোকে "উসাহিদি" সাইটে দিয়ে দেয়া হত
এবং সেখান থেকে সেগুলো অন্যান্য আগত রিপোটগুলোর সাথে সমন্বিত করা হত
মূলধারার গনমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যসহ এই সমস্ত তথ্য তারপর মানচিত্রে বসিয়ে দেওয়া হত
এবং এটি সমস্যার মূল জায়গার চিত্র সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা দিত
এবং এটি দেশে যা ঘটছিল সে সম্পর্কে একটি বৃহত্তর চিত্র ফুটিয়ে তুলত
অন্যান্য সকল বিবরণের চাইতে।
এই উদাহরনগুলো থেকে দেখা যায়, যে মোবাইল ফোন যখন অনলাইনের সাথে সংযোগ হয়ে থাকে
তখন তা অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান সমন্বয়ের একটি শক্তিশালী পন্থা হতে পারে
যা ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তরিৎউন্মেচিত করতে থাকে।
যে প্রযুক্তি আমাদের কথা শোনে সে প্রযুক্তিই আমাদের প্রয়োজনে সাড়া দেয়
প্রত্যেকের নিজস্ব তথ্যে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ি
একটি উদাহরন হল ইনফো নেট এর বাজেট ট্রাকিং প্লাটফরম
যা মানুষকে কিছু জানার জন্য বিনামূল্যে এস এম এস পাঠাবার সুযোগ করে দেয়
স্থানীয় এলাকায় উন্নয়ন কাজে তহবিল বন্টনের খবর জানতে।
নাগরিকরা তারপর সামাজিক সেবক সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারে
ঠিকমত ত্রাণ বন্টিত হচ্ছে কিনা তা মুল্যায়ন করতে।
এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে আমরা এই কাজের জন্য সংক্ষিপ্ত সঙ্কেত এস এম এস (শর্ট কোড এস-এম-এস) ব্যবহার করি
এবং আমরা জনগনকে টাকার পরিমাণ ও ব্যবহার সম্পর্কে জানার জন্য এস. এম.এস করতে উদ্বুদ্ধ করি
যা বরাদ্দ করা হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের প্রকল্প গুলোর জন্য।
এটি একটি দ্বিমুখী প্রক্রিয়া কারণ জনগণ একই সাথে প্রশ্ন তোলে
এবং একই সাথে তারা সেই বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরতে সাহায্য করে
ইনফোনেট এর বাজেট সনাক্তকরণ পন্থাকে ভিত্তি করে বেশ কতকগুলো অসৎভাবে ব্যবহৃত ফান্ডের ছবি সামনে এসেছে
এই পাওয়া তথ্যগুলো সরকার এবং মূলধারার গনমাধ্যমের কাছে লিক করার মাধ্যমে
ইনফোনেট নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছে যে দুর্নীতির বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে
এবং নাগরিকদের প্রচেষ্টাকে সার্থক করা হয়েছে কার্যের মাধ্যমে।
সাম্প্রতিক প্রযুক্তিগত উন্নতি, প্রযুক্তি কিভাবে মানুষের প্রয়োজনের দিকে নজর রাখতে পারে তার সম্ভাবনা অনেক খানি বাড়িয়ে দিয়েছে
এবং দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে তাসাড়া দিতে পারে মানুষের প্রয়োজন অনুসারে।
যেমন আগে টেলিফোন ছিল এমন একটা প্রযুক্তি যা নিয়ন্ত্রিত ছিলো
টেলিকম কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া অধিকার দ্বারা
এবং গত কয়েক বছর ধরে হয়েছে একটি সম্পূর্ণ
নবজীবনলাভ হয়েছে দুরালাপনী প্রযুক্তিতে যেটা এসেছে ভিওআইপি (VoIP)-এর দরুন
এখন তুমি তোমার নিজস্ব ফোন কোম্পানী চালাতে পার ফ্রী সফটওয়ারের মাধ্যমে
তার মানে হচ্ছে যে তুমি পুরো একটা সৃষ্টিশীল কল সেন্টরের সব কিছুই করতে পার
যেমন মিথস্ক্রিয় কণ্ঠস্বর তালিকা বা এই ধরনের কিছু
তোমার নিজস্ব ফোন ব্যবস্থার মাধ্যমে তোমার নিজস্ব কম্পিউটারে
বহু আন্দোলন কর্মী দলের লোকজন এখন অতি সহজেই একটি কল- ইন লাইন তৈরি করে ফেলতে পারবে।
তাদের নিজস্ব ফোন সিস্টেম ব্যবহার করে। যেমন জিম্বাবুয়ের কুবাতানা ট্রাস্ট,
একটি প্লাটফরম তৈরি করে, যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে নাগরিকদের
এস এম এস এর মাধ্যমে জানানো গিয়েছিল যে তারা আসন্ন নির্বাচনে কোথায় গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারে
জিম্বাবুয়েতে গত সাত বছর অথবা তারও বেশি কিছু সময় ধরে আমরা অনেক নির্বাচন দেখেছি
সরকারের একটি কৌশল ছিল এটাকে জটিল করা
মানুষের জন্য ভোটের স্থান এবং রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জানকারি পাওয়ার ব্যপারে
কিন্তু আমরা যেটা করেছিলাম সেটা হল ভোট দেওয়ার স্থান খুঁজে বের করতে মানুষদের সাহায্য করা
অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় যেটা করা সম্ভব হয়েছিল
সেটা হল যে ভোটারদের নাম ও তথ্যকে একটি ডিজিটাল ডাটাবেস-এর অন্তর্ভূক্তকরতে পারা
লোকজন আমাদের এস এম এস এর মাধ্যমে তাদের জাতীয় নিবন্ধনী পরিচিতি পাঠাতে শুরু করল।
আমরা সেই পরিচিতিগুলোকে ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে দেখতাম এবং তারপর আমরা তাদের ফিরতি এস এম এস করে জানাতাম
যে তারা কোথায় গিয়ে ভোট দিতে পারে।
এটা খুবই সফল একটি প্রচারনা ছিল এবং প্রচুর মানুষ এর সুবিধা নিয়েছিল।
যখন হাজার হাজার মানুষ কুবাতানা ট্রাস্ট এর এই পদ্ধতি অনুসরন করতে শুরু করল
সেই একই সাথে জানা গেল যে প্স্বাক্ষরতার অভাব এবং ভাষাগত পার্থক্য
এই এস এম এস সার্ভিস এর ব্যবহারকে আরো জনপ্রিয় হওয়ার থেকে বঞ্চিত করছিল
এটি মাথায় রেখে কুবাতানা এখন ’ ফ্রিডম ফোন’ চালু করতে যাচ্ছে।
এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে টেক্সট নয়, কণ্ঠস্বর ব্যবহারের সুযোগ আছে
মানুষকে তথ্য সরবরাহ করার কাজে।
ফ্রীডম ফোন প্রজেক্ট এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে করে প্রতিটি গ্রুপ
এই সফটওয়্যার এর একটি করে কপি পায় এবং এটাকে তাদের নিজেদের সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারে
এবং মাত্র অল্প কিছু তালিকা তাতে যোগ দেয় যা থেকে বোঝা যায় যে কি ধরণের তথ্য
তারা প্রচার অথবা সংগ্রহ করতে চলেছে।
যারা ফ্রীডস ফোনে কল করে ফ্রীডম ফোনে তাদের তথ্য নিবন্ধন করে এবং ফোন সিস্টেম তাদের ফিরতি কল করে
এবং প্রতিষ্ঠানটিই সকল খরচভার বহন করে
আমি মনে করি যে আর একটি উপকরণ আছে যাকে উন্নয়নের খাতে খুব একটা দৃষ্টিগোচর করা হয়নি
সেটা হচ্ছে ইন্ট্যারাক্টিভ ভয়েস রেসপন্স
আমরা বিশ্বাস করি যে যদি আমরা এটাকে সহজতর করে তুলতে পারি
তাহলে আমরা দেখব যে মানুষ তার নিজস্ব গোষ্ঠীর মধ্যে সহজেই যোগাযোগ করতে পারছে
ডায়াল আপ ইনফরমেশন সার্ভিস ব্যবহার করে, যা হয়ে উঠতে পারে গরীব মানুষের
জন্য ইন্টারনেটের সমান - যখনই তোমার তথ্যের দরকার হবে, তুমি তখনই ডায়াল আপ করে তা পেতে পারো
এমন প্রযুক্তির তৈরীকরণ এবং ব্যবহার, যা পারে মানুষের প্রয়োজন বুঝে উঠতে এবং তা পরিপূরণ করতে
হতে পারে একটি ভাল পন্থা, দ্রুত তথ্যের ফাঁক খুঁজে বের করতে ও তা পরিপূরণ করতে
এবং তথ্য প্রবাহকে উন্নত করতে।
যখন দুর্নীতি এবং অধিকার লংঘন
উচ্চ ক্ষমতাবানদের দ্বারা হচ্ছে
যেমন সরকার, বড় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী, পুলিশ অথবা সেনাবাহিনী
তখন কখোনো কখোনো অনুসন্ধান এবং প্রকাশ করা জরুরী হয়ে পরে
যে কী ঘটছে।
যদিও প্রচুর জানকারি ছিল
মিশর এ পুলিশের নৃশংসতা সম্বন্ধে
এটি এমন একটি ইস্যূ ছিল যার সম্বন্ধে মূলধারার গণমাধ্যম রিপোর্ট করতে চাইত না।
আক্রান্ত বা অনুসন্ধানী নাগরিকদের সাহায্য করতে
প্রতিবেদক নোহা আতেফ "টর্চার ইন ইজিপ্ট" নামে একটি ব্লগ চালু করেন।
ব্লগের বিষয়বস্তু, মিশরে সংঘটিত নির্যাতন সংক্রান্ত নানান বিষয়
এবং পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে
টর্চার ইন ইজিপ্ট এমন সময়ে শুরু হয়েছিল
যখন এই নির্যাতনকে একেবারেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছিল না।
এই ধরণের নির্যাতনমূলক অপরাধ টিভিতে খুব কম দেখানো হত
এটি মূলধারার গণমাধ্যমের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
তাই টর্চার ইন ইজিপ্ট এটার উপর আলোকপাত করল
এবং এটা অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিশেষ করে ব্লগারদের উদ্ধুদ্ধ করেছিল
নির্যাতন সংক্রান্ত ব্যপারে এবং এ নিয়ে তাদের মতামত সম্পর্কে লিখতে।
কারন তারা যা পড়ছিল
টর্চার ইন ইজিপ্টএ তা ছিল সত্যিকার অর্থে মর্মান্তিক
এই ব্লগের মাধ্যমে মানবাধিকার লংঘনের দৃশ্য প্রকাশ করে
নোহা কিছু মারাত্মক অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পেরেছে
২০০৭ সালে এক মহিলা নোহাকে লেখে যে তার স্বামী
১৪ বছর ধরে জেলে আছে
যদিও আদালত তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেছিল
সেই অপরাধের জন্য যার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
আদালত জানায় যে সে দোষী নয়
কিন্তু পুলিশ, একজন নির্দিষ্ট পুলিশ, তাকে বন্দী করে রেখেছে।
এবং সেই পুলিশটা তাকে আটকে রাখার জন্য কাগজপত্র নবায়ন করছে।
এবং আমি এটি নিয়ে বহুবার লিখেছি
এবং আমি এটা চালিয়ে যাচ্ছিলাম
নোহার প্রতিবেদন ইজিপ্টের মূলধারার গণমাধ্যম গুলোতে প্রকাশ করা হয়
অবশেষে যে পুলিশটি এই ব্যপারে জড়িত ছিল সে তাকে লিখল
এই ধরনের পাব্লিসিটি তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে।
এর কিছু দিনের মধ্যেই লোকটি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল
যা তার ১৪ বছর আগেই পাওয়ার কথা ছিল।
টুনিশিয়ায় আরও একটি কার্যকরী অনুসন্ধান চলছিল।
ব্যাপারটা শুরু হয় টুনিশিয়া বিমানের একটি ভিডিও নিয়ে যখন
আমার এক বন্ধু টুনিশিয়ায় আন্দোলন কর্মী এবং ব্লগার
ইন্টারনেট এ বিমান বিষয়ক কিছু ছবি খুঁজছিল
এবং সে টুনিশিয়ার রাস্ট্রপতির বিমানের ছবিটি পায়
জের্টস্পর্টারস নামে একটি ওয়েব সাইটে যেখানে মানুষ বিমানের ছবি ইন্টারনেটে শেয়ার করে যা তারা বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে তুলে আনে
সে খুজতে থাকল এবং ২০টিরও বেশি ছবি পেল
ইউরোপের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ওই একই প্রেসিডেন্সিয়াল বিমানের ছবি
তখন সে টুনিশিয়ান প্রেসিডেন্সিয়াল ওয়েবসাইটে গেল
এবং রাষ্ট্রপতির দাপ্তরিক কাজে ভ্রমনের তালিকা সংগ্রহ করল
এবং সেগুলোকে ইন্টার্নেটে পাওয়া ছবির তারিখ এবং স্থানের সাথে মেলাতে শুরু করল
এবং সেগুলোকে ইন্টার্নেটে পাওয়া ছবির তারিখ এবং স্থানের সাথে মেলাতে শুরু করল
এবং সে দেখল মাত্র একটি ভ্রমন ছিল দাপ্তরিক
তখন সে যে প্রশ্নটি করেছিল সেটা ছিল
টুনিশিয়ান বিমানটি তাহলে অন্য সময়ে কে এবং কেন ব্যবহার করছে?
সে এই নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করল
গুগল আর্থ ব্যবহার করে সেই চিত্র গুলোকে মেলালো
এবং দেখালো কেমন ইউরোপের বিভিন্ন বিমান বন্দরে সেটা উড়ে বেরাচ্ছে
সেসব জায়গায় যেখানে বিমানটি দেখা গেছিল.
সে তারপর সেই ভিডিওটাকে ইউ টিউবে প্রকাশ করে দিল
এবং টুনিশিয়ান ব্লগারদের এই নিয়ে আলোচনা করতে উদ্বুদ্ধ করল
এবং স্বচ্ছতা এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার বিষয়ে তর্কের ঝড় তুলতে সাহায্য করল
ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন এর মত মূলধারার বড় গনমাধ্যম
এটার খবর প্রকাশ করল এবং অনুসন্ধান শুরু করল
এবং জানা গেল যে টুনিশিয়ান বিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল দেশের রাস্ট্রপতির স্ত্রীর দ্বারা
ইউরোপের কিছু বিলাস বহুল দোকানে ব্যক্তিগত বাজার করতে যাওয়ার জন্য
এই ভিডিত্তটি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করায়
টুনিশিয়া সরকার ইউটিউব ব্লক করে দেয়
এবং অন্য একটি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট, ডেইলিমোশন কেও ব্লক করা হয়
তা সত্তেও, এই ঘটনা টর্চার ইন ইজিপ্ট ব্লগ এর মত
দেখায় যে কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতে পারে
ক্ষমতার অপব্যাবহার অনুসন্ধান করার উপকরণ হিসাবে
এবং সত্য প্রকাশ ও প্রচারের কাজে.
ডিজিটাল প্রযুক্তি যত সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে
এবং তাদের ব্যবহার যত সহজতর হচ্ছে
আমাদের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রচারের ক্ষমতাও তত বেড়ে যাচ্ছে
নতুন প্রযুক্তিকে সৃষ্টিশীল চিন্তার সাথে যোগ করে
গোষ্ঠীবৃন্দ এবং তাদের অধিবক্তারা অনায়াসে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে
যা মানবাধিকার রক্ষা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে
’ট্যাকটিকাল টেক’ মানবাধিকার কর্মীদের সাথে কাজ করছে।
প্রায় ১০বছর ধরে কিভাবে তথ্যকে এ্যাডভোকেসির কাজে ব্যবহারের করা যায় তার জন্য
এই ফিল্ম এ আমরা এ্যাডভোকেটদের গল্প সংগ্রহ করেছি
এবং দশটি পন্থা দেখানো হয়েছে যা ব্যবহার করা যায়
তথ্যকে পরিবর্তনের কাজে লাগানোর জন্য
যদি আপনি এই পন্থাগুলোর কোনটি প্রনয়ন করতে চান
আমাদের টুলকিট এবং গাইড ব্যবহারের চেষ্টা করে দেখতে পারেন
যা দেখাবে কীভাবে বিভিন্ন পন্থাগুলোকে ব্যবহার করা যায়।
এবং এটি প্রয়োজনীয় সফটওয়ার এবং উপকরন সরবরাহ করবে।
তারপর চিন্তা করুন কিভাবে আপনার তথ্য- আন্দোলনের গল্পের ডকুমেন্ট তৈরি করবেন
এবং আপনি যখন এটা করে ফেলবেন আমাদের জানান
যাতে করে আমরা গল্পগুলোকে অন্যদের মাঝে প্রচার করতে পারি
তথ্য প্রযুক্তির যুগ এসে গেছে
আর তারই সাথে এসেছে আমাদের সকলের জন্য সামর্থ
পরিবর্তন আনার
আরো জানার জন্য এইখানে ক্লিক করুনঃ http://www.informationactivism.org