Tip:
Highlight text to annotate it
X
"এটা সেই অসক্ষম মানুষদের স্মরণে যারা তাঁদের জীবন শেষ করতে বাধ্য হয়েছে, বেঁচে থাকার আশার আলো দেখতে পাওয়ার অভাবে
জনের একটা দুর্ঘটনা ঘটে একটা সাইকেলে
ভারতবর্ষে,
এটা একটা আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনক ঘটনা,কিনতু সে এখনও বেঁচে আছে ৷
যখন আমি ঠিক ছিলাম, যখন আমার আঘাত ছিল না;
তখন আমি স্বপ্ন দেখতাম শিক্ষক হওয়ার,
শিক্ষক ও খেলোয়াড় হওয়ার
এবং সত্যই একটা বড় স্বপ্ন
আমি একজন বড় খেলোয়াড় হতে চাই কিন্তু
তা সম্ভব নয় এখন ৷
এই দুর্ঘটনার আগে আমি একজন তরুন খেলোয়াড় ছিলাম,
যেমন - ফুটবল, বকসিং, সাঁতার এবং মল্লযুদ্ধ, প্রায় সব খেলাতে ৷
কিন্তু এর পরে আমি জীবন আবিষ্কার করলাম ৷
আমি যখন শয্যাগত ছিলাম চার মাস, আমি তখন ভাবতাম
কেমন লাগবে ঠাণ্ডা জলে স্নান করতে ৷
আমার নাম জনাথন
এবং এই আমি হতে চেয়েছিলাম . .আগে ৷
আরো বেশি হাঁটা
যখন আমি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিলাম আমি এবং আমার কিছু বন্ধুরা মিলে সুযোগ খুঁজছিলাম
দ্রুতম একচাকার খেলা শেখার জন্য ৷
এবং যা আমাদের অসম্ভব মনে হত
কখনও তাও সত্যকারের সম্ভব হয়ে যেত৷
আমি সবে ১৯ বছরে পা দিয়েছিলাম
আমি পড়পড়াশুনা করতে উত্তর ভারতে আসি৷
পার্বত্য অঞ্চল মুশোরিতে,
৪ মাসের জন্য এখানে থাকতে এসেছি
যেটা হিমালয়ের কাছে
কিন্তু একদিন সকালে আমার ক্লাসে দেরি হয়ে যাওয়ার জন্য,
আমি সাইকেলে চড়ে যাই
উচুনিচু বাকা পথে হাঁটার পরিবর্তে ৷
আমার বন্ধুরা তখন সবে তাদের পড়াশুনা ক্লাসে শেষ করেছে, বাইবেলের রোমান ৮:২৮ ৷
"সব কিছু হয় ভালোর জন্য
যারা ভগবানকে ভালবাসে এবং তাঁর ডাকে সারা পায় নির্দিষ্ট কারণে তাদের জন্য"
তারপর তারা একটা ফোন পায় হাসপাতাল থেকে
আমি পাহাড় থেকে প্রায় ৭০ ফুট নীচে পড়ে গেছি,
একটা সরু বাঁকা রাস্তা দিয়ে যাবার সময় আমার সাইকেলের চাকা গ্রিপ হারায়
আমি বেঁচে যাই শুধু একটা কারণে
যেখানে আমি পড়েছিলাম তার কাছেই একটা হাসপাতাল ছিল
এবং ওখানে কর্মরত কিছু মানুষেরা আমায় দেখতে পায় ৷
রাত্রের মধ্যে আমার অস্ত্র-চিকিত্সা হয় দিল্লীতে,
যেটা ৮ ঘন্টা দুরে সেখান থেকে ট্যাক্সির যাত্রাপথে ৷
আমার মেরুদণ্ড অবশ হয়ে যায় (ঠিক মস্তি্ষ্ক আর ৫ম এবং ৬ষ্ট গ্রীবার হাড়ের মাঝখানে)
যার ফলে আমার এক অংগ প্যারালাইজড হয়ে যায়;
আংগুল অবশ হয়ে যায়, বেশীর ভাগ কাঁধের তলা
থেকে কনুই পর্যন্ত৷
৫ সপ্তাহ পর
সেরে উঠি শয্যাক্ষত এবং জীবানূ-ঘটিত মস্তীষ্ক-ঝিল্লীর প্রদাহ থেকে ৷
আমি ভারতীয় বন্ধুদের শুভবিদায় জানিয়ে
আমি কানেক্টিকাটের উদ্দ্যেশে রওনা দিই
যেখানে আমি আড়াই মাস গ্রেফর্ড পুনঃস্হাপন হাসপাতালে থাকি ৷
সেখানে আমার বয়সি এ্যানড্রু নামের এক যুবকের সাথে পরিচয় হয়,
সেও আমার মতন দুর্ঘটনআয় পরেছিল ৩ বছর আগে
এ্যানড্রু বুঝতে পেরেছিল যে আমি কি মানসিক পরিস্থতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি ৷
যেহেতু সে জানত কি করে এই পরিিস্থতিতেও বেঁচে থাকতে হয়
সে আমাকে এবং আমার আরোগ্য বিজ্ঞানীকে দেখাল,
কি করে নিজের যত্ন নিতে হয়,
বাড়ি যাওয়ার পরেও ৷
৩ বছর বাদে আমার অবস্হা এখন একই আছে ৷
কিন্তু আমি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছি
এবং অনেক কাজে নিজেই করতে পারি . . .
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বছর পড়েছি
এবং তারপর ৪ বার ভারতে ফিরে এসেছি
আমি ভারতকে ভুলতে পারি না,
কারণ এখানেই আমার নবজন্ম হয়েছে
একটি হুইলচেয়ারে ৷
ভারতের সব থেকে বড় সামরিক হল পুনায়
অবশাংগদের পুনর্বাসন করার জন্য- শুধুই সামরিক ব্যাবহারের জন্য
সেখান সাধারন মানুষের জন্য কোন তুলনীয় পুনর্বাসন কেন্দ্র নেই
যা বাড়ির বাইরে থাকার ব্যাবস্হা করবে ৷
এই অভাগাদের নিয়ে তাদের সংসারের লোকজন খুব দুসচিন্তিত থাকত
আমরা দুই ভাই এবং দুই বোন৷
আমার মা মারা যায় যখন আমার বয়স ৬ বছর ৷
১৬ বছর বয়সে আমার ভারতীয় নেভিতে চাকরি পাই
এবং দু'বছর পর আমার এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷
যেহেতু আমি বাড়ির প্রথম কর্মরত ছেলে ছিলাম
আমার পরিবারের সবাই আমার উপর নির্ভরশীল ছিল ৷
কিন্তু . . . .
ভগবানের ইচ্ছা . . . কিছুই করার নেই ৷
আমাদের মতন অবস্হার রোগীদের জন্য সামরিকরা অনেক করেছে ৷
কিন্তু তাঁরা সনির্ভর হতে শেখায়নি ৷
কারণ কেউ নিয়মগুলো জানতোনা ৷
তাদের একজনকে প্রয়োজন ছিল যে দেখিয়ে দিতে পারবে যে কি বা কতটা করা সম্ভব৷
যখন পুরো শরীর অবশ হয়ে যায়
তখনো বিছানা থেকে নিজের প্রচেষ্টায় উঠা যায়৷
প্রথম যা দরকার তা হল হুইলচেয়ারের সমান উচ্চতার বিছানা ৷
এবং নিচু জাতে পা মাটিতে ঠেকে ৷
আমার প্রায় একবছর লেগেছিল
কিভাবে বিছানা থেকে হুইলচেয়ারে স্থানানস্তরিত হওয়া যায় সেটি শিখতে ৷
যখন আমি হাসপাতালে ছিলাম
আমি প্রথম শিখেছিলাম কিভাবে হুইলচেয়ারে ওঠা যায় পিছল ত৩ার সাহায্যে,
যেটা একটা সেতুর কাজ করে বিছানা এবং হুইলচেয়ারের মধ্যে৷
সেটাতে শরীর উত্তলোন করতে হয় না;
বিছানা থেকে হুইলচেয়ারে যাওয়া যায়৷
আমি পুনাতে এলাম কারণ এ্যানড্রু আমাকে সঠিক পদ্ধতি শিখিয়েছিল
একটা বড় ভবিষ্যত্ বিজ্ঞ উপদেষ্টা সংগঠন আছে৷
যেটা আমরা এখানে আগ্রহ সহকারে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি
যে তোমার অসক্ষমতাকে তোমার শক্তি
যা হলে ..তুমি একটা বড় সম্পদ হবে
ভবিষ্যতে আর এরকম রুগীদের সাহায্য আসবে৷
এটাই প্রথম যে কেউ কোন অবশাংগ তাকে সাঁতার কাটতে দেখল৷
আমার একটা দুর্ঘটনা ঘটে পুকুরে ঝাঁপ মারতে গিয়ে
আমি মাটিতে আঘাত পাই এবং ঘাড়টা তাতে ভেঙে যায়৷
পুরানো স্মমৃতিগুলো সব ফিরে আসছিল
এবং আমি চিনত্মা করলাম যে আমি
আরো একবার চেষ্টা করি
আমিও সেই জলে ঝাঁপ দিলাম।
-- খেলা সবাইকে সুস্থ রাখে
এবং খুব প্রয়োজনীয় একজন হুইলচেয়ার আরোহীর কাছে একটা আরোগ বিজ্ঞানের অংশ
পক্ষাঘাতেরা খুব সহজে বাস্কেটবল খেলতে পারে,
কারণ তাদের কোমরের উপর অংশ ঠিক থাকে৷
কিন্তু যারা পুরো অবশাংগ তাদের হাত এবং বাহুতে অল্প ক্ষমতা থাকে৷
ফলে তাদের খেলাটা সুবিধে নয়৷
'কাকু আমাকে ঠেল!ঙ
'যাও, নিজেকে ঠেলার চেষ্টা কর নয়তো অকর্মন্য হয়ে যাবে৷
আমরা চেয়ারটা রোজ ১ কিঃ মিঃ বা ২ কিঃ মিঃ ঠেলতাম
এবং সেটাই আমাদের একমাএ ব্যয়াম কর্ম৷
বছরে একবার আমরা খেলতে বেড়ই
হুইলচেয়ারে দৌড়, অথবা বল্লম ছোড়া ৷
অথবা জ্যাভলিন ছোড়া,
আমরা সেরকম কিছু খেলতে পারি না,
যেটাতে উদ্দমশীলতা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন৷
আমি এখানে পুরো অবশাংগদের জন্য খেলার উদ্দোগ নিই
এই ভেবে যে ভারতেও কখনও একটা রুগী বীর দল তৈরী করা যায়৷
এবং আজকে তাদের দেখে ভাল লাগল
আমি মনে করি যে এই খেলাটা
হৃত্পিণ্ড সমন্ধীয় উন্নতি ঘটাতে পারে৷
আমি এক্ষুনি আমার এক রুগীর মন্তব্য জানতে পারি,
যার আমি চিকিত্সা করছি সে বলছে যে সে খিদে অনুভব করছে
এবং সে খেতে চাইছে কারণ সে জানে যে আবার কাল খেলতে হবে
সেই জন্য সে খেতে চাইছে৷
আমরা আগে কখনও ভাবতে পারিনি যে আমরা এতটা করতে পারবো
তাই আমরা এখন সামনের দিকে তাকিয়ে খেলতে চাই
এবং সব থেকে ভালোটা করতে চাই ৷
অনেক জন আছে যেমন - কৃষ্ণনান, সামরিকরা তাকে
সবরকম সাহায্য করেছে একটা সুন্দর জীবন যাপন করার জন্যে ৷
কিন্তু তারা সত্য ধারণা করে যে,
প্রত্যেকদিন সকালবেলা উঠে যারা সামনের রাস্তায় বেড়োয়
এবং তারা এভাবে জীবনযাপনে ভয় পায় না৷
একদিন সকালে আমি ও কৃষ্ণনান বের হলাম।
সুপ্রভাত কষ্ণনান
সুপ্রভাত
সরি একটু দেরী হয়ে গেল৷
ঠিক আছে, কোন ব্যাপার নয়; চলে এবার
প্রথম বার আমি দেখলাম
কিছু ছেলেও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছে৷
সেই ছেলেদের বিয়ে হয়ে গেছে৷
আমি তাদের কাকা; তাদের ছেলে-মেয়েদের কাকা
এবং নাতিদেরও কাকা৷
আমরা এখন তিন বংশধরেরই কাকা৷
আমরা মাইল নির্দেশক প্রস্তরের ন্যায়
আমরা এখন দৃষ্টান্ত চিরদিনের জন্য৷
ভারতীয় মেরুদণ্ডজনীত রোগের চিকিত্সালয় যেখানে যোনাথনের অন্যত্র-চিকিত্সা হয়েছিল (আই.এস.আই.সি.)
আমি একটা সাঁতার প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলাম;
আমি একটা নতুন বিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে . . .
কিন্তু যখন শিক্ষাদাতা আমাকে বলল ঝাঁপ দিতে;
সেই জায়গা অল্প গভীর ছিল
এবং আমি ঝাঁপ দেওয়ার পর আমার ঘাড় ভেঙে যায়
ঘাড় ভেঙে যায় সি-৫ থেকে৷
এখন তোমার বন্ধুরা . . বিদ্যালয়ের..
তুমি তাদের দেখেছ?
না,
না . . . আমি ওদের সংগে দেখা করি না৷
তাদের বাবা-মা'রা তাদের বলেছে,
'তোমরা শুধু তোমাদের পড়াশুনা কর,
নিজেদের মনকে বির৩ কোরো না৷ঙ
সেই জন্য
আমি আর কিছু জানি না . .
এখন আমি এই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছি৷
চেষ্টা কর সেটা করতে৷
খুব ভাল
হুইলচেয়ার রাগবি খেলাটার চিন্তা আসে যখন আমি রাহুলের সংগে দেখা হয়৷
আমার ফেরত যাত্রা পথে আই.সি.এস.আই. তে
ঠিক একবছর দুর্ঘটনার পর৷
আমরা পাঁচজন ছিলাম সবার একই জায়গায় অবশাংগতা . . .
ডিজু, রাজেশ, রাহুল, সমীর এবং আমি৷
কিন্তু তাদের তখনও কেউ দেখায়নি যে
তারা এই দুর্ঘটনা সত্ত্বেও লিখতে পারে, কলম ধরতে পারে
অথবা তারা এদিক থেকে ওদিক যেতে পারে একটা পাটাতনের সাহায্যে৷
সেই জন্যে দুসপ্তাহ ধরে আমি তাদের সবকিছু দেখালাম
যা আমি শিখেছি এবং যা আমাকে অক্ষম থেকে সক্ষম হতে সাহায্য করেছে৷
তারপর আমি বিদ্যালয় ফিরে আসি,
সেখানে প্রতি সপ্তায় আমি রাগবি হুইলচেয়ার খেলি৷
এ্যানড্রু এই খেলার সংগে আমার পরিচয় করায়
যখন আমি হাসপাতালে ছিলাম
এবং যখনই আমরা একসংগে খেলি
আমরা নিজেদের পুরো উজাড় করে দিই
এবং সেটা হুইলচেয়ারে থাকার চিন্তাধারাটাকেই বদলে দেয়৷
ডিসেম্বর ২০০৭-এ
ক্রিষ্টফার রিভ সংস্হার সাহায্যে,
অনেক পরিবার ও বন্ধুদের অনুদানের সাহায্য; অনেক গুলো রাগবি চেয়ার
আই.সি.আই.-তে নিয়ে আসি
এবং এখানে আবার একটু ঠিকঠাক করেনি,
যাতে এখানকার রুগীদের ভারতে প্রথম হুইলচেয়ার রাগবি খেলাতে পারি সরকারিভাবে৷
এরপর থেকে এই খেলাটা হৃদয়ে স্হাপন হয়ে গেছে৷
আই.সি.এস.সি.-তে নতুন খেলায়
বাস্কেটবল খেলার জন
তোমাকে বলটা প্রথমে মাঝখান থেকে দুরের গোলে নিয়ে যেতে হবে,
যখন তোমার দুইচাকা পেরিয়ে যাবে গোল-লাইন, তখন গোল হবে৷
যতটা উপরে দিকে ঘাড়ে আঘাত হবে, তোমার গতিশীলতা কম হবে,
সেই জন্যে খেলোয়াড়দের পয়েন্ট দেওয়া হয় তাদের ঘাড়ের আঘাত দেখে তাদের ক্ষমতা এবং গতিশীলতা
দলে ৪ জন খেলোয়াড় থাকবে
যাতে ৮ পয়েন্ট হয়৷
প্রত্যেক ১০ সেকেণ্ডে বলটাকে মাটিতে লাগাতে হবে এবং সহখেলোয়াড়কে দিতে হবে৷
অধিক শক্তিশালীরা চেষ্টা করবে বলটা নিয়ে এগিয়ে যেতে ;
তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালীরা চেষ্টা করবে সমবেত ভাবে আটকাতে৷
খেলাটা শেষ হয়ে ৪র্থ পর্বের ৮ মিনিট পরে;
এটা প্রচলিত আছে যে নিয়মের বাইরে গিয়ে
তুমি বল দিয়ে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করবে,
এবার অনেক হল . . . আজকের মত শেষ
আমরা সবাই জিতেছি৷
রাহুল রাগবী অভ্যাস করতে আসার পর,
আমার মা ও আমি ওদের বাড়ি গেলাম দিল্লীতে
দেখতে যে ও কতটা উন্নতি করতে পেরেছে বাড়িতে থেকে৷
ওর ছোট ভাই এক জায়গায় পুরো সময় কাজ করত,
কিন্তু রোহিত এখন ঘরে থাকে তার ভাইকে সাহায্য করতে৷
তারা দুজনে তাদের বাবাকে সাহায্য করতে পারে না ছ'জনের পরিবারে৷
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যে ওর পরিবার বন্দোবস্ত করেছে
সবরকম যন্ত্রপাতির;
যেটা আমি মনে করি একটা সুন্দর ব্যপার৷
বেশীরভাগ রুগীরা যখন তারা বাড়ি চলে যায়,
তার আর কিছু করে না৷ এর কারণ অনেক - পরিবারের সাহায্যের অভাব,
কৌশলের অভাব, উপায়ের অভাব, সেই জন্য তারা কিছু করে না৷ তোমরা জানো . . .
যেমন - একটা দাড়ানোর কাঠামো;
এই পরিবারটা কিন্তু খুব সুন্দর
অর্থনৈতিকভাবে, ওর বাবা একজন সরকারি কেরানি
কিন্তু সেই সাময়িক ক্ষমতা সত্ত্বেও,
তারা ওর খুব ভালো দেখাশুনা করেছে৷
সম্ভবতঃ সে আর কিছু বছরের মধ্যেই সক্ষম হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি
একজন যুবক খুব মদ্যপান করেছিল,
আমি যখন সেখানে যাই তাকে কেউ আটকাতে পারছিল না
এবং সে আমার কাকাকে খুব মারছিল মাটিতে ফেলে;
আমি তাকে যেতে বাধ্য করি৷ কিন্তু সেই মাতালটা আবার ফিরে আসে
আমি তাকে সামলানোর চেষ্টা করি কিন্তু এই উত্তেজনার মধ্যে ও আমার উপর পরে
এবং ওর কাধটা আমার ঘাড়ের উপর পরে৷
এই ভাবে আমার মেরুদঊ ভেঙে যায়৷
আমার আর কিছু মনে নেই; তারপর . . .
কোথায় বা কখন
আমি আমার উদ্যাম হারিয়ে ফেলি, এবং আমার বন্ধুরা আমাকে একা ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায়৷
এবং এখন
এই ক্ষতি ঠিক আছে . . . আমি ঠিক আছি,কোন অসুবিধা নেই।
এই ক্ষতি ঠিক আছে . . . আমি ঠিক আছি, কোন অসুবিধা নেই|
এবং আমি শুধু এখন একটা আওয়াজ 'রোহিত! রোহিত! ও রোহিত
সেই মানুষটা, সেই শয়তানটা . . .
পুলিশ ওকে গ্রেফতার করেনি৷
যদি আমি নালিশ করি পুলিশ থানায়..
থানা নালিশ করে আদালতে ...
আর আদালত? আদালত কি করতে
কিন্তু আমার তো ক্ষতি হয়ে গেল . . .
আমার ভাইয়ের খুব খারাপ অবস্থা৷
আমার বাবা খুব খারাপ অবস্হা- . . .
আমার বোনদেরও খুব খারাপ অবস্হা৷
৬ জন মানুষ প্রায়শ্চিত্ত করছে, অন একজনের ভুলের জন্য;৷
আমরা কখনও খুব ভাল কাজ করে কড় পাই;
কিন্তু
ঈশ্বর . . . শয়তানের মাধ্যমে
ভালোকে অপেক্ষাক...ত ভাল করে
৷ যখন প্রভু মারা যান, যিশু বলেছিলেন
এর থেকে কোন ভালবাসা বড় নয়, যাতে একটা মানুষ তাঁর জীবন দিয়েছে তার বন্ধুদের জন্য
রাহুল করেছে তার কাকার জন্য৷
এটা আমার কাছে মনে করিয়ে দেওয়া, যে আমি খৃষ্টান
যেখানে ভালবাসা হারে না৷
এবং আমি বাঁচতে চাই ঈশ্বরের জন্য এবং অন্যান্যদের জন্য৷
প্রভু আমার ভুলকে ভাল কাজে রূপানত্মর করবে৷
কিন্তু যাই বিশ্বাস থাক না কেন, আমাদের মধেধ্য মিল হল
আমাদের অসহোযগীতা এবং আমরা বিশ্বাস করি . . .
এই ভাবনা যে আমরা কিন্তু হারাচ্ছি অন্ধকারে
যেটা আমাদের চিন্তার একটা নিদর্শন হয়ে উঠবে আমাদের বেদনায়৷
দেখো . . . যখন আমি পড়ে যাই, আমি শুধু আমাকেই দেখতে পাই
আকাশ . .কিছু মেঘ ভাসছে৷
তাই আমি ভাবলাম যে আমি স্বর্গলাভ করেছি,
কিন্তু তারপর ডাক্তারের ছোটা দেখে আমি
বুঝতে পারলাম এখানেই আছি৷
আমার মাথার তলার থেকে আর কিছু বুঝতে পারছি না ৷
ব্যাপারটা খুব কঠিন ছিল কারণ
আমি যখন আঘাত পাই তখন ধারণা বা জ্ঞান
কিছুই ছিল না৷
আমাকে নিজেকে নিজের ব্যবস্হ্যা আবিষ্কার করতে হয়েছে প্রায় সব কিছুতে ৷
এখন - এটা বেধক,
এটা এসকালেটার,
এবং এটা ক্লাচ
আমার সংগে নবীনের আলাপ যখন আমরা প্রথম রাগবি চালু করেছিলাম দিল্লীতে ৷
সে একটা সংস্থা চালু করেছিল রাস্তার ছেলেদের নিয়ে
এবং যোগ্য হয়েছিল পূর্ণ অবশাংগদের অসম সাহসিক খেলাতে ৷
সবারই কিছু না কিছু অসক্ষমতা থাকে শুধু আমরা হুইলচেয়ারে বলে
এটা সহজবোধ্য৷
তুমি কষ্টটা বুঝতে পারো
রাস্তার ছেলেদের থেকে বেশী কারণ তোমার এই দুর্ঘটনা
তুমি একটা অসহায় অবস্থায়৷
এটা ঠিক . . . আমি ওদের জন্য ভাবি এবং
ব্যপারটা হল . . .
যদি আমার এই দুর্ঘটনা না হত আমি এখন তাহলে একজন সৈনিক হতাম
হয়ত আমি খুব কম সময় পেলাম
কোন ছোটখাটো কাজ করতাম এদিক-ওদিক,
কিন্তু
এখন আমি পুরো সময়টা দিতে পারি এদের জন্য৷
এবং আমি সেইজন্য অনেক অনেক কিছু করতে পারি৷
আমার দুর্ঘটনার পর আমি অনেক জায়গায় বিভিন্ন রকমের কাজ করেছি ৷
কিন্তু
আমি জীবনটাকে উপলব্ধি করতে চাই
এই কাজের মাধ্যমে৷
আমি একজন নিযুক্ত লোক
সংস্হাথায় কাজ করেছি যারা সামাজিক কাজকর্মে সংযুক্ত৷
আমি প্রায় একটা যথেষ্ট যোগাযোগ সূত্র তৈরী করেছি৷ সাহায্য থেকে প্রায় সব বিষয়
আমি প্রায় একটা যথেষ্ট যোগাযোগ সূত্র তৈরী করেছি৷ সাহায্য থেকে প্রায় সব বিষয়
এবং তারপর আমি মনে করেছি যে আমি এবার এইটা নিয়ে অগ্রসর হব
এবং এটাই ছিল আমার স্বপ্ন৷
এই সব শুরু হয় একদিন
আমি দেখি একটা বাচ্চা মেয়ে
একটা ছেড়া জামা পড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে
এবং লোকেরা দেখেও দেখছে না৷
তখন আমি ভাবলাম, ও এখানে কেন?
তারা নিজেদের জন্য ভিক্ষা করছে না
তারা ভিক্ষে করছে তাদের বড়দের সংসারের জন্য ৷
সেই পরিবার গুলো খুব গরিব, তারা শধমিক
বা দিনমজুর এই ধরণের.
কিন্তু ব্যপারটা হল
যদি একজন শিশু ১০০-২০০ টাকা প্রত্যেকদিন রোজগার করতে পারে,
তাহলে সেই পরিবারেরা চাইবে
আর শিশুদের এই কাজে নিযুক্ত করতে৷
হ্যালো. .
হ্যালো . .
আমি ওদের সমস্যাগুলি খুঁজে বার করলাম
কারণ তারা অতি ঠুনকো
তারা সব থেকে খারাপ অবস্হায় বেঁচে আছে ৷
সেইজন্যে তাদের কাজে লাগানোটা সহজ এবং
যখন আমরা তাদের (শিশুদের)সাহায্য করার চেষ্টা করছি
আমরা আসলে চেষ্টা করছি যাতে ওদের পুরো জীবনের উন্নতি করুক৷
আমি ভাবলাম বোধহয় আমি সত্য স্বর্গলাভ করেছি
তারপর বুঝতে পারলাম আমি এখন বেঁচে আছি ৷
আমি এখন বেঁচে আছি৷
আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত
যে কোন ভাল কারণে আমরা এখন জীবিত?
ভারতবর্ষ এবং অন্যান্য অনেক দেশে
প্রধান সমস্যা হল যে বেশীরভাগই আমরা যারা অক্ষম
জানি না যে আমরা কতটা এবং কী কাজ করতে সক্ষম
অথবা আমরা কতটা এই সমাজকে সচেতন করতে পারি ৷
আমাদের আরও সমাজ সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে
যে আমাদের প্রয়োজন এবং সক্ষমতা কতটা বিদ্যামান এবং প্রয়োজন ৷
সক্ষমভাবে জীবনযাপন করা সকলের সাথে আমাদের অক্ষম থাকা সত্ত্বেও
আমরা সাহায্য করে খুজে বার করতে চাইছি এর সমাধানসূত্র ৷
প্রচুর কাজ এখনও করতে হবে ৷ কিন্তু আমরা যা পারি,তাই করি,
তাহলে আমার মনে হয় যে, আমরা আমাদের জীবনের সব চেয়ে বড় দুর্ঘটনা থেকে আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার দিতে পারবো৷
হয়ত আমরা সবাই কোনদিন হাটতে পারবো না,
কিন্তু ঠিক আছে
কারণ আমাদের লক্ষ্য হল এর থেকে অনেক বেশী ৷
সেটা হল বেঁচে থাকা,
ক্ষমা করা
এবং ভালবাসা আরো বেশীকরে প্রদান করা
আগের থেকেও
নবীন আরো অসক্ষম মানুষদের কাজে নিযুক্ত করছে যাতে রাস্তার গরীব শিশুদের ওর বিদ্যালয়ে পড়াতে পারে৷
রাহুল এবং রোহিত দুজনে মিলে চেষ্টা করছে একটা লোনের জন্যে যাতে ওরা একটা ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে৷
রিয়া এখনও স্বপ্ন দেখে শিক্ষিকা হওয়ার এবং ্ক্রীড়াবিদ হওয়ারও৷
কৃষ্ণনান এবং বুন্ধরা রোজ ভোর ৫টায় উঠে ভ্রমনে বেরোয় ৷