Tip:
Highlight text to annotate it
X
(সুর)
প্রতিদিন স্কুলগুলোতে
আমরা অনেক সময় ব্যায় করি
কিছু প্রশ্নের উত্তর শিখতে।
কিন্ত, এখন আমরা এর উল্টো কিছু একটা করব।
আমরা সেসব প্রশ্ন নিয়ে ভাবব, যাদের উত্তর শেখা যায়না,
কারণ, ওগুলোর উত্তর কেউ জানেনা।
আমি ছোটবেলায় অনেক কিছু নিয়ে ভাবতাম।
যেমন, আমার কেমন লাগত
যদি আমি একটা কুকুর হয়ে জন্মাতাম?
মাছেরা কি ব্যাথা পায়, বা পোকারা?
বিগ ব্যাং কি কেবলই একটা দূর্ঘটনা ছিল?
এবং, ঈশ্বর বলে কি কেউ আছে?
আর যদি থেকেই থাকে, তবে আমরা কি করে এত নিশ্চিত হলাম যে উনি একজন ছেলে, মেয়ে নন?
কেন এত নির্দোষ মানুষ ও নিরীহ প্রাণিরা ভয়াবহ কষ্টের স্বীকার হয়?
আসলেই কি আমার জীবনের জন্য কোন পূর্বনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে?
ভবিষ্যতে কি হবে তা কি এখনো অনির্দিষ্ট,
না ইতিমধ্যে তা ঠিক করা হয়ে গেছে
কেবল আমরা তা বুঝতে পারছিনা? তাহলে কি আমার স্বাধীন ইচ্ছা আছে?
আমি আসলে কে? আমি কি কেবলই একটি জৈবিক যন্ত্র?
তাহলে, আমি সচেতন কেন?
চেতনা কি? রোবটেরাও কি একদিন সচেতন হবে?
আমি যা বলতে চাচ্ছি, তাহল আমি ধরেই নিয়েছিলাম
যে কোন একদিন কেউ আমাকে এসব প্রশ্নের উত্তর বলে দিবে।
মানে, কেউ নিশ্চয় জানে এগুলোর উত্তর , তাইনা?
কিন্ত, কী আজব? কেউই জানেনা।
এ প্রশ্নগুলো আমাকে এখন আগের চেয়েও বেশী ভাবায়।
কিন্তু, এদের নিয়ে চিন্তা করা অনেক মজার
কারণ এটা আপনাকে জ্ঞানের শেষ সীমায় নিয়ে যায়,
এবং আপনি জানেননা , আপনি সেই সীমানায় কী খুঁজে পেতে পারেন।
অতএব, দুটি প্রশ্ন দিয়ে এই সিরিজটি শুরু করা যায়
যে প্রশ্নগুলোর উত্তর পৃথিবীর কেউ জানেনা।
মোট কতগুলো মহাবিশ্বের অস্তিত্ব রয়েছে?
আমরা কেন ভিনগ্রহের প্রাণিদের অস্তিত্বের প্রমাণ দেখতে পাইনা?