Tip:
Highlight text to annotate it
X
কোনো খবর নেই।
নাইওবি, বা ঘোস্ট, কারোই......
শুধু নীল পিল দেখা যাচ্ছে।
ওদের সাথে কি যোগাযোগ করা উচিৎ?
লাভ নেই।
আমার ধারণা, তারা শেষ।
- আমাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ।
- না, ঐ জাহাজ আমাদের লাগবে।
জানতাম, এটাই বলবেন।
প্রত্যেক পাইপ, গর্ত, ফাটল খোঁজ করো।
যত বেশি জায়গা সম্ভব,
যত দ্রুত সম্ভব।
- লাইনের মধ্যে স্কুইড গিজগিজ করছে।
- তাহলে আরো দ্রুত খোঁজো।
ভাবলাম, তোমার কিছু খাওয়া দরকার।
ধন্যবাদ...
কোন পরিবর্তন?
না...
- ও কেমন আছে?
- ও ঠিকই আছে।
অন্তত, যতক্ষণ জেগে না উঠছে।
- মানে কী?
- ওর জন্য কিছু প্রশ্ন আছে ক্যাপ্টেনের।
ভালো জবাব না থাকলে ও শেষ।
ক্ষতগুলো দেখছো?
আমার ধারণা, এগুলো ওর নিজেরই করা।
- কেন?
- ভিডিটি হয়তো, আমি জানিনা।
কিন্তু যা বললাম,
জবাব ভালো না হলে ও গেছে।
রোল্যান্ড, আমি ম্যাট্রিক্সে একবার খুঁজে দেখতে চাই।
- কাকে?
- নিওকে।
সে ম্যাট্রিক্সে থাকবে কীভাবে?
ও তো সংযুক্ত নেই।
প্লিজ, আমার জন্য......
এটা আমাকে ভাবাচ্ছে...
কী?
ওর স্নায়ুগুলো কোমায় যাওয়া লোকদের মত নয়।
অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে,
আমি এমন প্যাটার্ন সবসময়ই দেখি।
- কোথায়?
- যারা সংযুক্ত আছে, ওদের মধ্যে।
কিছুই নেই।
সে ওখানে নেই।
- স্যার, আমি রিপোর্ট পেয়েছি।
- কতক্ষণ?
ঢোকার রাস্তা আর গতি থেকে মনে হচ্ছে,
মেশিনরা বিশ ঘণ্টার মধ্যে জায়নে পৌঁছে যাবে।
জেসাস ক্রাইস্ট।
ঠিক আছে, শুরু করা যাক।
একে, তুমি ওপরে হলোগ্রাফিকসে থাকো...
মাউজার, সামনে পেছনে বন্দুকগুলোতে
যেন সবসময় কেউ না কেউ থাকে।
যত কম প্যাড ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো।
- জ্বি, স্যার।
- হেই...
- হেই, একটা কল এসেছে।
- কী?
অপারেটর।
সেরাফ...
ওর্যাকল এর পক্ষ থেকে বলছি,
তোমাদের এখনই আসা দরকার।
শুভ সকাল।
- কে তুমি?
- আমার নাম সাতি, তোমার নাম নিও।
বাবা বলেছে, তোমার এখান থাকার কথা না।
তুমি নাকি হারিয়ে গেছো...
তুমি কি হারিয়ে গেছো, নিও?
- কোথায় আমি?
- এটা ট্রেন স্টেশন।
- এটা ম্যাট্রিক্সে না?
- ট্রেনটা ওখানেই যায়।
আমরাও যাচ্ছি, কিন্তু তুমি যেতে পারবে না।
- কেন নয়?
- সে যেতে দেবে না।
- কে দেবেনা?
- ট্রেইনম্যান, ওকে আমার পছন্দ না।
কিন্তু বাবা বলে,
ট্রেইনম্যান যা বলে, সেটাই করতে হবে...
... নইলে সে আমাদেরকে
এখানেই রেখে দেবে, চিরকালের জন্য।
মর্ফিয়াস, ট্রিনিটি,
আসার জন্য ধন্যবাদ...
দীর্ঘ জীবনে আমি একটা জিনিস শিখেছি...
... তুমি যেভাবে চাও, সেভাবে কিছুই ঘটে না।
- কে আপনি?
- আমি ওর্যাকল।
বোঝানোর সহজ উপায় থাকলে ভালো হতো, কিন্তু নেই।
এমনটা হয়েছে বলে আমি দুঃখিত।
তোমাদের স্মৃতিতে যেমন ছিলাম,
তেমন থাকতে না পেরে দুঃখিত...
... কিন্তু এমন হবার কথা ছিলো না।
- কী হয়েছিলো?
আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,
আর সেটার মাশুল আমার হিসাবের বাইরে ছিলো।
কী সিদ্ধান্ত?
তোমাদের সাহায্য করার, নিওকে পথ দেখানোর...
যেহেতু, যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রকৃত পরীক্ষা হচ্ছে,
পুরো মাশুল জেনেও সেটাকে আবার বেছে নেয়া.......
...আমি বেশ সন্তুষ্ট সেই সিদ্ধান্তের প্রতি...
...কারণ, আমি আবারো এখানে !!
- আপনি জানেন, নিওর কী হয়েছে?
- হ্যাঁ।
সে এই দুনিয়া আর মেশিন দুনিয়ার মাঝামাঝি আটকে আছে।
এবং সংযোগটা নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেইনম্যান নামের একটা প্রোগ্রাম।
ম্যাট্রিক্সের ভেতরে বাইরে
প্রোগ্রাম পরিবহনের জন্য সে এটা ব্যবহার করে।
তোমাদের আগে যদি সে নিওকে পেয়ে যায়...
..... তাহলে আমাদের পথ কঠিন হয়ে যাবে।
- কেন?
- কারণ, সে যার জন্য কাজ করে !!
মেরোভিনজিয়ান।
সে তোমাদের ওপর পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।
তোমাদের সবসময় সতর্ক থাকা দরকার।
সেরাফ জানে, কিভাবে ট্রেইনম্যানকে পাওয়া যাবে।
ও তোমাদের সাথে যাবে।
বহু বছর ধরে, ও আমাকে রক্ষা করেছে।
আশা করি, সে তোমাদেরকেও তাই করবে।
প্লিজ, আমার সাথে আসুন...
ওর্যাকল....
জানি, মর্ফিয়াস...
আমি জানি, তুমি সন্দেহে ডুবে আছো।
অনিশ্চয়তায় ঢেকে আছো।
সবকিছুর পর, আপনি কিভাবে
আপনাকে বিশ্বাস করতে বলেন?
আমি বলছিনা...
আমি আশা করি, যা সবসময়ই করে এসেছি:
যাতে তুমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারো।
বিশ্বাস করো আর নাই করো...
আমি এটুকুই বলতে পারি, তোমাদের বন্ধু সমস্যায় পড়েছে,
এবং তোমাদের সাহায্য ওর দরকার।
আমাদের সবার সাহায্য ওর দরকার।
- তুমি কি ম্যাট্রিক্স থেকে এসেছো?
- হ্যাঁ।
না...
- আসলে, আমি ছিলাম।
- চলে গেলে কেন?
- উপায় ছিলো না।
- আমাকেও আমার বাসা ছাড়তে হয়েছে।
সাতি, এদিকে এসো, সোনা।
বেচারাকে শান্তিতে থাকতে দাও...
হ্যাঁ, বাবা......
দুঃখিত, সে এখনো খুবই কৌতুহলী।
- আমি চিনি তোমাকে।
- হ্যাঁ, ফ্রেঞ্চম্যানের রেস্টুরেন্টে...
আমি রমাকান্দ্র।
আমার স্ত্রী, কমলা। আমার মেয়ে, সাতি।
আমরা সবাই দেখা করে বেশ আনন্দিত।
- তোমরা প্রোগ্রাম।
- ওহ, হ্যাঁ......
আমি রিসাইক্লিং পাওয়ার-প্ল্যান্ট সিস্টেমের ম্যানেজার।
আমার স্ত্রী ইন্টারঅ্যাক্টিভ সফটওয়্যার প্রোগ্রামার।
সে খুবই মেধাবী।
তুমি এখানে কি করছ?
তুমি তো এখানকার নও।
কমলা! মাফ করবেন।
আমার স্ত্রী বেশ ঠোঁটকাটা।
না, ঠিক আছে।
আমি জানিনা।
- আমি এও জানিনা এটা কোথায়।
- এই জায়গাটা কোথাও না।
এটা তোমার আর আমার দুনিয়ার
মাঝামাঝি একটা জায়গা...
- ট্রেইনম্যানটা কে?
- সে ফ্রেঞ্চম্যানের হয়ে কাজ করে।
কেন যেন একটুও আশ্চর্য লাগছে না...
ফ্রেঞ্চম্যান কখনো ভোলেনা,
কখনো ক্ষমাও করেনা।
- তুমি তাকে চেনো?
- আমি ততটুকুই চিনি, যতটুকু চেনা দরকার।
আমি এটুকু জানি, যদি তুমি এই দুনিয়া থেকে
তোমার দুনিয়ায় কিছু নিতে চাও......
... যেটা ওখানে নেই,
তোমাকে অবশ্যই ফ্রেঞ্চম্যানের কাছে যেতে হবে।
তোমরা কি এখানে সেটাই করছো?
- রমা, প্লিজ !!
- কঠোর হওয়া ঠিক না, কমলা।
সে হয়তো তার বাকি জীবনে
আর কাউকে দেখবে না।
আমি দুঃখিত।
- তোমাকে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবেনা।
- না, ঠিক আছে।
উত্তরটা খুবই সোজা।
আমি আমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসি।
ওর চেয়ে সুন্দর কিছু আমি কখনো দেখিনি।
কিন্তু আমাদের দুনিয়ায় সেটা যথেষ্ট নয়।
প্রতিটা প্রোগ্রামেরই একটা উদ্দেশ্য লাগে।
না থাকলে, সেটাকে মুছে দেয়া হয়।
আমি ফ্রেঞ্চম্যানের কাছে গিয়েছিলাম
আমার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য।
- তুমি বুঝতে পারছোনা।
- আমি কখনো...
...প্রোগ্রামকে ভালোবাসার কথা বলতে শোনোনি।
- এটা তো মানবিক অনুভূতি।
- না, এটা শুধুই একটা শব্দ।
এটা দিয়ে যে সম্পর্ক বোঝায় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি দেখতে পাচ্ছি, তুমিও কাউকে ভালোবাসো।
সেই সম্পর্কটা ধরে রাখার জন্য
তুমি কী কী করতে রাজি আছো?
সবকিছু।
তাহলে তো এখানে আসার পেছনে তোমার আর
আমার কারণ খুব একটা ভিন্ন নয়।
ওই যে সে।
- সরো! সরো আমার কাছ থেকে!
- আমরা কোন ঝামেলা চাইনা।
- যাও আমার কাছ থেকে!
- আমাদের তোমার সাহায্য দরকার।
- আমি পারবোনা।
- কেউই পারবেনা।
ওহ, না!
ধ্যাত...
- ট্রেন কখন আসবে?
- ইতোমধ্যে দেরি করে ফেলেছে।
ট্রেনম্যান তো দেরি করে না...
তোমার কি মনে হয়,
আমার জন্য এমন হচ্ছে?
কে জানে !!
কার জানা সম্ভব?
শুধু ওর্যাকল ছাড়া...
- তুমি ওর্যাকলকে চেনো?
- সবাই চেনে।
ফ্রেঞ্চম্যানের আগে আমি ওনার সাথে কথা বলেছিলাম।
উনি কথা দিয়েছেন,
আমরা চলে গেলে উনি সাতিকে দেখে রাখবেন।
চলে গেলে?
- তুমি ওর সাথে থাকবেনা?
- সম্ভব না।
- ফ্রেঞ্চম্যান শুধু মেয়ের ব্যাপারেই রাজি হয়েছে।
- আমি ও আমার স্ত্রীকে অবশ্যই আমাদের দুনিয়ায় ফিরে যেতে হবে।
- কেন?
- এটাই কর্মফল।
- তুমি কর্মফলে বিশ্বাস করো?
কর্মফল'ও একটা শব্দ, ভালোবাসার মতোই...
বলার একটি ধরনঃ
"আমি এখানে কী করতে এসেছি।"
কর্মফলে আমার কোন আক্ষেপ নেই।
আমি কৃতজ্ঞ।
কৃতজ্ঞ, আমার সুন্দর স্ত্রীর জন্য,
আমার অপূর্ব মেয়েটির জন্য।
ওরা উপহারের মতো, তাই আমি সবই করবো
যা ওদের সম্মানে করা উচিৎ...
- বাবা, ট্রেন!
- ব্যাগ খুঁজে নাও। জলদি।
তুমি চাইলে এটা আমি নিতে পারি।
ঠিক আছে।
জলদি করো, আমার দেরি হয়ে গেছে।
তুমি কে?
- সে একজন বন্ধু।
- রমা!
আমি তোমাকে চিনি।
- এটাই চেয়েছিলো ওরা...
- আমাকে ফিরে যেতে হবে।
- তুমি যা চাও, আমি দেবো।
- ওহ।
যেভাবেই হোক, আমি এই ট্রেনে উঠবোই।
ওহ, না, না, না।
মেরোভিনজিয়ান না বলা পর্যন্ত
তুমি এখানেই থাকবে।
যদি আমি তাকে চিনে থাকি...
...তোমাকে এখানেই থাকতে হবে, অনেক দিন !!
- আমি তোমার ক্ষতি করতে চাইনা।
- তুমি বোঝোনি...
এ জায়গাটা আমার বানানো...
এখানে নিয়মকানুন আমিই বানাই।
হুমকি দিলে আমিই দিই......
এখানে, আমিই ঈশ্বর।
ট্রেনে ওঠো,
নইলে তুমিও এখানেই থাকবে।
ওর্যাকলের কাছে যাওয়া উচিৎ।
উনি জানবেন, কী করা দরকার।
না। আমরা জানি, কী করতে হবে।
ধ্যাৎ...
ফাইজলামি নাকি?
ডানাকাটা দেবতা !!
বুঝছি...
মরার জন্য আসছে...
আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই...
এই দরজা পার হতে হলে,
আমার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে......
তবে তাই হোক।
এই ক্লাবে যে কোন ধরনের অস্ত্র নিষিদ্ধ।
লিফটের শেষ তলায়,
একটা কোট দেখাশোনা করার মেয়ে থাকবে...
... আর ভাগ্য ভালো হলে
অস্ত্র চেক করার জন্য একজন মানুষ থাকবে।
ভাগ্য খারাপ হলে?
অনেক মানুষ থাকবে।
আমি কি আপনাদের -- ? ওহ খোদা!
কি হয়েছে?
বিশ্বাসই হচ্ছেনা।
হেই! হেই!
ঘরের ছেলে ফিরে এসেছে। ***ফরাসী ভাষা***
তুমি কি পুরষ্কার নিতে এসেছো, সেরাফ?
অনুবাদ আয়োজন -
"অনুবাদকদের আড্ডা"@ফেসবুক গ্রুপ
বলো তো, তোমাদের ওই বন্দুকগুলোতে কয়টা গুলি আছে?
আমি জানি না, তবে মনে হয় না যথেষ্ট আছে।
- আমরা শুধু কথা বলতে চাই।
- ও, হ্যাঁ...
জাহান্নাম অতিক্রম করে এসেছো,
শুধু এই কাজের জন্য, হুম?
আমি বলি, আমি কী করব।
অস্ত্রগুলো ফেলে দাও।
আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবো।
- তিনজনকেই?
- ও, হ্যাঁ, হ্যাঁ...
অবশ্যই।
***ফরাসী ভাষা***
কে ভাবতে পেরেছে, যে আমাদের পরবর্তী সাক্ষাৎ এত তাড়াতাড়ি হবে?
ভাগ্য খুবই সুপ্রসন্ন, হু?
আর যেহেতু তুমি, আমার মিচকে শয়তান,
ওদের এখানে নিয়ে এসেছ...
... ধরে নিচ্ছি, ওর্যাকল নিজের জন্য
আরেকটি খোলস খুঁজে পেয়েছে?
হতাশাজনক, কিন্তু অপ্রত্যাশিত নয়।
যাই হোক, আশা করি,
সে শিক্ষা পেয়েছে ...
... এবং মনে রাখবে যে,
সব কাজেরই একটি ফলাফল থাকে।
আমার কাছ থেকে কিছু নিলে, মূল্য দিতেই হবে।
তুমি জানো, আমরা এখানে কেন এসেছি?
হেহ, এটা কি ধরনের প্রশ্ন?
অবশ্যই আমি জানি।
এটাই আমার কাজ।
অনেকেই মনে করতে পারে
এটা কাকতালীয়, আমি করিনা।
যদিও এটা কিভাবে ঘটলো,
আমি সেটা জানতে আগ্রহী ।
- তুমি জানো?
- না।
না?
আমিও তাই ভেবেছিলাম...
কিন্তু জিজ্ঞেস করাটাই উচিৎ, তাইনা?
আমরা একটা চুক্তি করতে চাই।
সবসময় সরাসরি কাজের কথা,
হুম, মর্ফিয়াস?
ঠিক আছে।
আমার কাছে কিছু আছে, যা তুমি চাও।
একটি চুক্তি করতে ...
... তোমারও কিছু থাকা উচিৎ,
যা আমি চাই, ঠিক?
এবং আসলেই
একটা জিনিস আছে, যা আমি চাই।
এমন কিছু, যা আমি শুরু থেকেই চেয়েছি।
শোনা যায়, সেটা নেয়া যায় না ...
... শুধুমাত্র দিলেই পাওয়া যায়।
কি?
ওর্যাকলের চোখ।
আমি আগেই বলেছি, প্রকৃতি থেকে পালানোর কোন উপায় নেই।
প্রকৃতিই আবার তোমাকে আমার কাছে নিয়ে এসেছে।
যেখানে অন্যেরা দেখে কাকতাল,
আমি দেখি ফলাফল।
যেখানে অন্যেরা দেখে সুযোগ ...
... আমি দেখি দাম।
ওর্যাকলের চোখ এনে দাও ...
... আমি তোমাদের 'ত্রাণকর্তা' কে ফিরিয়ে দেব।
পুরোপুরি নায্য এবং যুক্তিযুক্ত চুক্তি...
হ্যাঁ? না?
এই বালের জন্য আমার সময় নেই।
চুক্তি করতে চাও?
এটা কেমন?
নিওকে ফিরিয়ে দাও, নইলে সবাই একসাথে মরবো,
এখন, এখানেই......
সেইরকম চুক্তি।
এই মানুষটার জন্য তুমি সত্যি মরতে প্রস্তুত?
- বিশ্বাস কর।
- ও করবে।
যদি প্রয়োজন হয়,
ও আমাদের সবাইকে খুন করবে।
ও প্রেমে পড়েছে।
আহা, ভালবাসা আর পাগলামির নমুনায় কত মিল।
সময় শেষ।
কি ভাবলে, মার্ভ?
ওকে... তুমি নিজেকে এখানে এনেছো ...
... নিজেকে বেরও করতে পারবে।
তোমরা আমাদের জন্য প্রস্তুত?
প্রায়, স্যার। এই জায়গার হ্যাক খুবই পুরনো।
- নিওকে পেয়েছেন?
- তুমি ওকে দেখছো না ?
না, স্যার।
কিছু একটা দেখছি, কিন্তু সেটা কি বলা যাচ্ছে না।
আমি এখনই যেতে পারব না।
আমার ওনার সাথে দেখা করতে হবে।
এখন?
এটাই আমার শেষ সুযোগ।
এইতো। এটাই মূল রহস্য।
- তোমাকে হাত ব্যবহার করতে হবে।
- কেন?
সবকিছুর মত কুকিও ভালোবাসা চায়।
নিও!
ভেবেছিলাম, তুমি আসার আগেই
এগুলো শেষ করব। আচ্ছা, ঠিক আছে।
সাতি, আমার মনে হয় এখন চেখে দেখার সময়।
বাটিটা সেরাফের কাছে নিয়ে যাও।
দ্যাখো, ঠিক আছে কিনা।
ঠিক আছে।
- তুমি বেরিয়ে আসাতে আমি খুশি হয়েছি।
- আমিও।
তুমি আমাকে চিনতে পারছো?
- আপনার একটি অংশ।
- হ্যাঁ, এরকমই।
কিছু হারাবে,
কিছু রাখবে।
আমি এখনো আয়নায় নিজেকে চিনতে পারি না...
... কিন্তু আমি এখনও ক্যান্ডি ভালবাসি।
না, ধন্যবাদ।
মনে আছে, তুমি কেমন ছিলে,
যখন তুমি প্রথম আমার কাছে এসেছিলে?
একটি অপরিণত শিশু।
আর এখন, কী হয়েছো তুমি !!
তুমি আমাকে অবাক করেছিলে, নিও।
এখনও করো...
আপনিও আমাকে বেশ কয়েকবার অবাক করেছেন।
আশা করি, আমি সাহায্য করেছি।
আপনি আমাকে এটুকু আসতে সাহায্য করেছেন,
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেন?
কোথায় যাচ্ছে এসব?
- এর শেষ কোথায়?
- আমি জানি না।
- জানেন না, নাকি বলবেন না?
- আমি আগেই বলেছি ...
... সিদ্ধান্ত বোঝার আগে জানা সম্ভব না
সেটা নেয়ার পর কি ঘটবে। কারো পক্ষেই না।
- কিসের সিদ্ধান্ত?
- বাদ দাও, ওটা আমার সিদ্ধান্ত।
আমার যেমন আমারটা আছে,
তেমনি তোমারও।
আমাকে কী বলবেন, কী বলবেন না,
সেটাও কি তার অন্তর্ভুক্ত?
অবশ্যই না।
তাহলে কেন আমাকে
আর্কিটেক্ট এর ব্যাপারে কিছু বলেন নি?
জায়ন বা আমার আগেরগুলো নিয়ে বলেন নি?
কেন সত্যিটা বলেন নি?
- কারণ, তখনো তোমার জানার সময় হয়নি।
- এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিলো?
তুমি জানো, কে...
আমি নিয়েছিলাম।
আমার বিশ্বাস,
আমার এখন আরো কিছু জিনিস জানা দরকার !
আমারো...
কীভাবে আমি সংযোগ ছাড়াই
দেহ থেকে মনকে আলাদা করলাম?
কীভাবে চিন্তাশক্তি দিয়ে চারটা সেন্টিনেল শেষ করলাম?
কী হচ্ছে আমার সাথে?
"দ্যা ওয়ান" এর ক্ষমতা
এই পৃথিবীর বাইরেও বিস্তৃত !!
এখান থেকে ততদূর পর্যন্ত,
যেখানে এটার উদ্ভব হয়েছিলো।
- কোথায়?
- উৎসে !!
সেন্টিনেলগুলোকে স্পর্শ করার সময় তুমি সেটাই অনুভব করেছিলে,
কিন্তু প্রস্তুত ছিলে না।
তুমি মারা যেতে পারতে, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে,
তুমি সেটার জন্যেও প্রস্তুত ছিলে না।
আর্কিটেক্ট আমাকে বলেছে,
আমি যদি আজ উৎসে না যাই....
জায়ন আজ রাতে ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্লিজ। তুমি-আমি হয়তো নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে
ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না...
...কিন্তু ঐ লোকটা কোন সিদ্ধান্তের ভবিষ্যত-ই দেখে না।
- কেন?
- সে এসব বোঝে না, বুঝবেও না।
তার কাছে ওরা সবাই সমীকরণের অংশ।
এক এক করে সে সবগুলো অংশের সমস্যা সমাধান করবে।
এটাই তার উদ্দেশ্য,
সমীকরণের ভারসাম্য রক্ষা করা...
আপনার উদ্দেশ্য কি?
ভারসাম্য গুঁড়িয়ে দেয়া...
কেন? আপনি কী চান?
তুমি যা চাও, আমিও তাই চাই, নিও...
সেজন্য যদ্দূর যেতে চাও, আমিও যাবো।
এই যুদ্ধের সমাপ্তি !!
এই যুদ্ধ কি শেষ হবে?
একভাবে, নয়তো অন্যভাবে...
জায়ন কি রক্ষা পাবে?
আমি দুঃখিত, তোমার এই প্রশ্নের কোন
উত্তর আমার কাছে নেই। কিন্তু....
যদি কোন উত্তর থেকে থাকে,
সেটা শুধু একটা জায়গাতেই পাবে...
- কোথায়?
- তুমি জানো......
আর যদি তুমি উত্তর না পাও....
... তাহলে আমাদের জন্য “আগামীকাল”
বলে কিছু থাকবে না !!
এর মানে কী?
যার শুরু আছে...
... তার সমাপ্তিও আছে।
আমি সমাপ্তি দেখতে পাচ্ছি।
আমি দেখছি, অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে
আমি দেখছি, মৃত্যু।
এবং একমাত্র তুমিই তার পথের কাঁটা !!
স্মিথ !!
খুব শীঘ্রই, সে পুরো পৃথিবী
ধংস করার ক্ষমতা পেয়ে যাবে।
কিন্তু আমার ধারণা,
সে তাতেই থামবে না, থামতে পারবে না।
সবকিছু শেষ করে ছাড়বে সে !!
সে কী আসলে?
”সে” হল তুমি
তোমার বিপরীত, তোমার খারাপ দিক !!
সমীকরণ নিজেই নিজের
ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছে !!
- আর আমি যদি তাকে থামাতে না পারি?
- একভাবে, নয়তো অন্যভাবে, নিও.....
... এই যুদ্ধ অবশ্যই শেষ হবে।
আজ রাতে, দুই পৃথিবীর ভবিষ্যৎই তোমার হাতে.....
...অথবা তার হাতে !!
তোমার কেমন লাগছে?
তুমি কি ঠিক আছো?
আমি একটু একা থাকতে চাই।
- বোঝাই যায়।
- ক্যাপ্টেন রোল্যান্ড?
- কি হয়েছে, ম্যাগি?
- বেন, জ্ঞান ফিরে পেয়েছে।
ভালো। হয়তো সে কিছু জানে...
ম্মম...
ঘ্রাণটা আমার খুব পছন্দ !!
আমি নিশ্চিত, এটা আমার কপালে নেই।
- ওর্যাকল
- আমি জানি...
আমি জানি।
সাথী, সোনা......
কিছু কুকি নাও, আর সেরাফের সাথে যাও...
আমি কি আবার আসতে পারি?
আমি আবার আসতে চাই......
- আমিও চাই তুমি আসো।
- তাহলে আমি আগামীকাল আসব
আমিও তাই আশা করি, সোনা...
আমার ভয় লাগছে, সেরাফ...
এসো...
সে আমাদের অনুসরণ করছে...
বাহ্, অনেকদিন পর দেখা......
মরিচীকার মত ছুটেছি তোমার পেছনে......
আমি আগেও তোমার চোখে ধূলো দিয়েছি...
হ্যাঁ, তা বটে, কিন্তু দেখতেই তো পাচ্ছ,
দিন বদলে গেছে।
আর তুমি হচ্ছো শেষ গিনিপিগ !!
- ওর্যাকল তোমার সম্পর্কে আমাকে বলেছে।
- তাই নাকি?
কি বলেছে আমার সম্পর্কে?
তুমি একটা খারাপ লোক !!
এতোটা খারাপও না,
মিশলেই বুঝবে।
মহান এবং ক্ষমতাশীল ওর্যাকল,
অবশেষে দেখা হলো !!
আমার মনে হয়,
আপনি আমার জন্যেই অপেক্ষা করছিলেন !
সবজান্তা ওরাকল, কখনোই অবাক হয় না !!
কিভাবে অবাক হবে?
উনি তো সবকিছুই জানে !!
তাই যদি হয়, আমি আসবো জেনেও
উনি এখানে কেন?
কেন চলে গেলেন না?
হয়ত আপনি জানতেন, আমি আসবো।
হয়তো জানতেন না......
যদি জানতেন, তার মানে
কুকি রান্না করা, প্লেট সাজানোটা..........
...ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যমূলক...
...তার মানে, আপনার এখানে বসে থাকাটাও
ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যমূলক.....
তুই সাতিকে কি করেছিস?
"সবকিছুর মত কুকিও ভালোবাসা চায়”
হারামজাদা !!
আপনার জানার কথা, মা !!
কি করতে এসেছিস, কর......
জ্বি, ম্যাডাম !
আমি সত্যিই সাহায্য করতে চাই, কিন্তু
আমি..... আমার কিছুই মনে নেই !!
তোমার হাতে কাটা দাগগুলো কিসের?
এগুলো তো একদিনেরও বেশি পুরানো...
হ্যাঁ, অবশ্যই...
আপনি ঠিকই বলেছেন, স্যার...
দেখে মনে হয়, এগুলো নিজেরই করা...
কিন্তু, আমি কেন নিজের এই দশা করব?
অবশ্য যদি আমি আর আমি না থাকি !!
কিন্তু আমি যদি আমি না হই,
তাহলে আমি কে?
- ওকে কি ভিডিটি এর জন্য টেস্ট করা হয়েছে?
- জ্বি, স্যার। নেগেটিভ...
কিন্তু ওর স্নায়বিক
কার্যকলাপ অস্বাভাবিক।
কিছু আন্ত-স্নায়ু গোলযোগ,
এছাড়াও সাম্প্রতিক মানসিক সমস্যা ...
... সাথে পুরো চামড়া জুড়ে নতুন ক্ষতচিহ্ন।
আমি সত্যটা জানতে চাই।
যেভাবে পারো, ওর স্মৃতি ফেরত আনো।
স্যার। আমরা ওকে পেয়েছি।
- লোগোস?
- জ্বি, স্যার।
এবার কিছু ভালো সংবাদ দরকার।
কোন জীবিত প্রাণীর চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে?
না, স্যার, এখনো না।
- জাহাজের কি অবস্থা?
- হলোগ্রাফিকে তো কাঠামো ঠিকঠাকই দেখাচ্ছে।
- নামাও, আর একজনকে বন্দুকে থাকতে বল।
- জ্বি, স্যার।
যত দ্রুত সম্ভব, পুরো জাহাজের খবর নাও।
সাবধান, স্যার।
স্কুইডগুলো চোরা হারামজাদার দল।
এটা ফাঁদও হতে পারে।
কী ওটা?
এইসব বেহুদা জিনিস সরাও।
ওর শুধু একটু চার্জ লাগবে।
- নাইওবি
- মর্ফিয়াস
- তুমি ঠিক আছো?
- হুম। ভাল আছি।
আমরা জানতাম না পরে কি ঘটেছিল ... .
- আমি দুঃখিত।
- ব্যাপার না...
তোমাকে দেখে আমিও আনন্দিত।
- নিওকে বের করতে পেরেছিলে?
- হ্যাঁ...
- তুমি কিভাবে জানলে?
- ওর্যাকল।
- ওনার সাথে দেখা হয়েছিল?
- সেন্টিনেলরা আসার ঠিক আগ মুহূর্তে।
- কি বললেন উনি?
- যা সবসময়ই বলেন।
ঠিক যা আমার শোনা উচিত ছিলো।
১২ ঘণ্টার মধ্যেই, মেশিনরা আমাদের
ডকের ওপর আঘাত হানবে।
প্রত্যেকটা পরীক্ষা থেকেই দেখা গেছে,
মেশিনরা ভিতরে প্রবেশ করলে ...
... আমাদের বাঁচার সম্ভাবনা
ব্যাপকভাবে কমে যাবে।
এক্ষেত্রে, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে...
... ডকের খননযন্ত্রগুলোকে ধ্বংস
বা বিকল করে দেওয়া।
এটা করা গেলে, আমরা হয়তো তাদেরকে
শহরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারব।
যদি না হয়, তাহলে
প্রতিরোধ গড়ে তোলার মত একমাত্র জায়গা...
... হবে মন্দিরের প্রবেশ পথ।
এটি ছোট এবং বেশ সরু...
... যেখানে আমরা বাদবাকী সম্বল একত্র করতে পারবো।
শুনলাম, তুমি অতিরিক্ত
স্বেচ্ছাসেবক এর জন্য আবেদন করেছ।
- জ্বি, ঠিক।
- ঠিক কতজনকে ...
... তুমি ডকে নিয়োগ দিতে চাচ্ছো?
এই মুহূর্তে, পুরো APU বাহিনী
এবং পদাতিকদের অর্ধেক।
- অর্ধেক পদাতিক?
- কাউন্সিলর, যদি আমার ক্ষমতা থাকতো ...
... আমি প্রত্যেক নারী, পুরুষ,
এবং শিশুর হাতে বন্দুক তুলে দিতাম ...
... এবং নিয়ে ডকে দাঁড় করাতাম।
ভালোই হয়েছে যে,
সেই ক্ষমতা তোমার নেই।
সময়ই বলবে, কাউন্সিলর।
কমান্ডার, শুধু আরেকটি প্রশ্ন।
নেব্যুক্যানেজার এর কোনো খবর আছে?
না, আর এই পরিস্থিতিতে অপেক্ষার কোনো কারণও দেখছি না।
হয়তোবা।
কিন্তু, আশা করা যায়।
আমি দুঃখিত, আশা করার
বিলাসিতা আমি করতে পারবো না।
- জি, কি করছ তুমি?
- বোমা বানাচ্ছি।
ওরা আমাদের লেভেল খালি করছে।
আমাদের যেতে হবে।
- আমি যাচ্ছি না।
- কি?
ওরা ডক রক্ষার জন্য
স্বেচ্ছাসেবক ডেকেছে।
বাচ্চারা, এখানে থাকো।
আমি জানি তোমার কেমন লাগছে,
কিন্তু এমন কোরো না...
- আমাকে করতে হবে।
- কেন?
কারণ, আমি তাকে ভালোবাসি।
ভালোবাসি, ঠিক যেমন সে আমাকে বাসে।
আর যদি আমি বাইরে থাকতাম, আর সে এখানে,
আমি জানি সে কি করতো।
কিন্তু, তুমি মারা পড়বে।
এটা পাগলামি, জি।
হয়তো তাই। কিন্তু নিজেকে জিজ্ঞেস করো,
যদি এটা ডোজার হতো ...
... আর তাকে দেখার একমাত্র
উপায় হতো ডক ধরে রাখা ...
... তুমি কী করতে?
বোমা বানাতাম।
হচ্ছেটা কী এখানে, হ্যাঁ?
একটি দুর্ঘটনা, স্যার।
আমি দেখতে পাইনি--
- আমি দুঃখিত।
- তুমি কে হে?
স্বেচ্ছাসেবক, স্যার।
একটা দুধের বাচ্চা আমার বাহিনীতে কী করছে?
আমি আমার অংশটুকু করতে চাই, স্যার।
ডকটাকে ধরে রাখতেই হবে।
- তোমার বয়স কত, বাবু?
- আঠারো।
১৬ বললে, বিশ্বাস করে নিতাম।
ওকে, ১৬
বাহিনীর জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮।
১৬ বেশি ছোটো......
মেশিনদের তাতে কিছু যায় আসে না।
তারা আমাকেও মারবে, অন্যদের মতই......
খাঁটি সত্য কথা।
আমাকে একটা সুযোগ দিন, স্যার।
আপনাকে হতাশ করবো না।
করে দ্যাখো...
...তখন বুঝবে, আমার আর মেশিনের
মধ্যে কেমন মিল !!
ঠিক আছে, ইগনাইটারে চার্জ দাও।
পুনর্জন্ম পেলো !!
অপারেশন সফটওয়্যার রিলোড-এর জন্য
আপলিংক লাগবে, স্পার্কি?
তাহলে জোস হয়।
জানালার কাঁচগুলোও পরিষ্কার করে দাও?
আপলিংক জায়গামতো আছে,
আমি ওকে অনলাইনে ফিরিয়ে আনছি।
ভালই দেখাচ্ছে, শুধু, আহ ......
ম্যাট্রিক্স এর ডাটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে...
না, হচ্ছে না। আমরা যা দেখছি,
তুমিও সেটাই দেখছো।
- হচ্ছেটা কী ওখানে?
- যাই হচ্ছে, ভালো হচ্ছে না।
মেশিনরা একুশ নাম্বার জংশন দখল করে নিয়েছে।
আমার মতে, যদি আমরা এখান থেকে নামা আরম্ভ করি...
... ইন্টারসেক্ট ১৫৩ থেকে, হয়তো তাদেরকে চমকে দিতে পারব।
আমরা আগে যাব, যত জোরে সম্ভব আঘাত
করবো, তারপরই EMP বিস্ফোরণ ঘটাবো
আশা করছি, তোমাদের বের
হওয়ার মত জায়গা করতে পারব...
শুনতে ভালো না লাগলেও আমার মতে,
এটাই একমাত্র রাস্তা।
না, তা নয়...
আরেকটা রাস্তা আছে।
একটা সাপোর্ট লাইন।
এখান থেকে নিচে,
২১ নাম্বার থেকে ১০০০ মিটার দূরে।
ভাগ্য সহায় হলে,
হয়তো ওদের চোখে ধূলো দিতে পারবো।
ওটা একটা যান্ত্রিক লাইন।
এটা অসম্ভব।
- কেউ যান্ত্রিক লাইনে চালাতে পারে না।
- আমি পারি।
- ভুয়া !!
- আমি করেছি।
- সেটা অনেক আগের ঘটনা, নাইওবি
- আমি বললাম, আমি পারব।
তো কি হয়েছে !! শুধু তুমিই পারবে।
তোমাকে অনুসরণ করার মত কেউ নেই।
হাই...
আমি জানি, সময় আমাদের চিরশত্রু।
দুঃখিত, এতো সময় নেয়ার জন্য।
- কিন্তু আমি নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম।
- কোন ব্যাপারে?
- আমি জানি, আমাকে কী করতে হবে।
- কী?
কোন সহজ উপায় নেই,
তাই সরাসরি বলছি...
- আমার একটা জাহাজ লাগবে।
- কি?
কোথায় যাওয়ার জন্য?
মেশিনদের শহরে।
আমি জানি, এটা বোঝা অনেক কঠিন।
না, কঠিন কোথায়? তোমার
মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তবুও আমার যেতেই হবে।
পারবেনা, গত ১০০ বছরে কেউ এটার
১০০ কি.মি. এর মধ্যে যেতে পারে নি......
- কখনোই পারবে না।
- আমাকে চেষ্টা করতে হবে।
- এটাই কি ওর্যাকল তোমাকে বলেছেন?
- না।
এটা বোকামি।
আত্মহত্যা করতে চাইলে, করে ফেল ...
... কিন্তু আমাদের জাহাজ ধ্বংস করা ছাড়া !!
- বিশ্বাস করুন, আমাকে যেতেই হবে।
- ঘোড়ার ডিম!
আমি এই জাহাজের ক্যাপ্টেন।
আমি বলবো, এটা কোথায় যাবে !!
আর তোমার সাথে যাওয়ার আগে,
এটা বরং জাহান্নামে যাবে।
- সে আমারটা নিতে পারে।
- তুমি সেটা করতে পার না।
আমার শিপ নিয়ে আমি কি করবো,
সেই জ্ঞান আমাকে দিতে এসো না ...
... তোমার এই ঐতিহাসিক বক্তব্যের পর।
- ঈশ্বরের দোহাই, নাইওবি--
- এই জাহাজ আমি চালাবো, ও আমারটা নিক।
এক ঘণ্টার মধ্যে বের হলে,
মেশিনদের সাথেই আমরাও জায়ন পৌঁছে যাব।
এটাও ভালো পরিকল্পনা !!
এটা অপচয়, বাজে একটা অপচয়!
দুটো জাহাজ, দুটো রাস্তা।
যেন দৈবযোগ,
তাই না, মর্ফিয়াস?
- "দ্যা ওয়ান" জিনিসটাতে তুমি কখনো বিশ্বাস করোনি।
- এখনো করি না।
তাহলে এটা কেন করছো?
আমি ওকে বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ।
- এটা কেন দিচ্ছ?
- যাতে তোমার বিশ্রাম হয়।
যাতে সহজে মনে করতে পারো।
যদি মনে করতে না চাই?
সেটা কেন চাইবে?
যদি আমিই সেই EMP ফাটিয়ে থাকি?
যদি আমিই ওই জাহাজগুলো ধ্বংস করে থাকি ...
... এবং ওদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হই?
যদি আমি এসব করে থাকি ...
... এটা আমার জন্য খুব একটা নিরাপদ
জায়গা হবে না, তাই না?
অবশ্য, তোমার জন্যেও খুব
একটা নিরাপদ জায়গা হবে না।
আমি তৈরি...
ট্রিনিটি ...
... তোমাকে কিছু কথা বলা দরকার।
কিছু কথা, যা তোমার জানা দরকার।
আমি জানি, আমাকে যেতে হবে।
কিন্তু এর বাইরে ...
... আমি জানি না। আমি ... .
আমি জানি। তুমি ভাবছো,
তুমি আর ফিরে আসবে না।
যখন বললে, যেতে হবে, তখনি বুঝেছিলাম।
তোমার চোখেমুখে সেটা ভাসছিল।
ঠিক যেমন তুমি আমার দিকে
তাকিয়েই বুঝেছিলে যে ...
... আমি যাচ্ছি তোমার সাথে।
আমি ভয় পাচ্ছি, ট্রিন।
আমিও...
এক পায়ের জুতো পরতেই
আমার দশ মিনিট লেগেছে।
কিন্তু, একটা কথা বলি......
ছয় ঘণ্টা আগে,
আমি মেরোভিনজিয়ান কে বলেছিলাম ...
... তোমার জন্য আমি সবকিছু,
আমার সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত।
তুমি কি জানো,
গত ছয় ঘণ্টায় কী পাল্টেছে?
না।
কিছুই না।
- অস্ত্র বোঝাই হয়েছে?
- প্রায়...
জলদি করো, সময় নেই।
তাদের জন্য কিছু রাখছো না?
সে বলেছে, তার কিছু লাগবে না।
বিদায় জানাচ্ছি না।
শুভকামনা জানাচ্ছি...
ধন্যবাদ।
আশা করছি, তুমি জানো,
তুমি কী করছো !!
আমিও।
আমি কৃতজ্ঞ, স্যার !!
না, কৃতজ্ঞতাটা এখনও আমারই...
- আমরা তৈরি, স্যার।
- শেষ পর্যন্ত......
আমরা এমনিতেই পিছিয়ে আছি, ক্যাপ্টেন,
চল, আর দেরি নয়।
বিদায়, সোনা...
ওদের যত্ন নিয়ো।
প্রস্তুত?
ইঞ্জিন তো চলছে।
মনে হয়, ফিউজের সমস্যা। আমি দেখছি...
- আমার বোঝা উচিৎ ছিল, ও আগে কুত্তীটাকেই পাঠাবে।
- বেইন !!
আমার কাছ থেকে কেউই
এতবার পালাতে পারেনি, যতবার তুই পালিয়েছিস।
প্রত্যেকবার ভেবেছি, এবারই শেষ!
প্রত্যেক বার, নিশ্চিত হবার পরেও,
ঠিকই হাত ফস্কে বেরিয়ে গেছিস।
বলে বোঝাতে পারবোনা,
এটা কতটা বিরক্তিকর।
কী বলছো তুমি?
তোকে মেরেও আশা করি,
ওকে মারার মতই আনন্দ পাবো।
নিও, বেইন পাগল হয়ে গেছে!
তোকে এর মাশুল গুণতে হবে।
- আর ২৭ কি.মি. বাকী।
- ক্যাপ্টেন, একটা ঝামেলা হয়েছে।
- কি ব্যাপার, একে?
- ম্যাগি, স্যার।
সে মৃত, নিহত।
মনে হচ্ছে, বেইনের কাজ।
ধুস শালার...
আমি জানতাম, জানতাম সে পাগল হয়ে গেছে।
সেই EMP টা চালিয়েছিলো।
ধ্যাত, আমার উচিৎ ছিলো
ওকে পিটায়ে কথাটা বের করে নেয়া।
আমি পুরো জাহাজ খুঁজেছি,
সে এখানে নেই।
- আমি জানি, সে কোথায়।
- লোগোস এ।
- আমাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ।
- দেরি হয়ে গেছে।
- ওদের যদি আমাদের সাহায্য লাগে?
- এটা খুবই বিপদজনক।
- কেন?
- কারণ, ও যদি ওদেরকে মেরে ফেলে ...
...ওর হাতে আরেকটা EMP থাকবে।
এই মুহূর্তে, ওরা এখন নিজেদেরটা বুঝবে।
আমরাও তাই...
মিঃ এন্ডারসন......
ঐ দুনিয়ার মত,
এটাতেও তুমি সহজেই অনুমেয়।
- কি?
- ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
তোমার এমন মনে হতে পারে।
কিন্তু মিঃ এন্ডারসন আর আমি জানি...
...যে বাহ্যিক আবরণ প্রতারণা করতে পারে।
বিভ্রান্ত, মিঃ এন্ডারসন?
জলদিই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বন্দুকটা নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।
নিচে রেখে দাও...
কোরোনা এটা...
- চালাও, এখুনি চালাও...
- হ্যাঁ, চালাও। পুড়িয়ে দাও আমাদেরকে...
করো, না করলে ও আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে।
দ্যাখো ওর দিকে।
ও জানে, ওর করা উচিৎ, কিন্তু সে করবেনা।
- ও পারবেনা
- করো...
বন্দুকটা থেকে পিছিয়ে যাও,
আর ঘুরে দাঁড়াও......
ওকে ছেড়ে দাও...
পরিচিত দৃশ্য, তাইনা?
আমরা আগেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, মনে আছে?
আমার আছে। আমি শুধু এটাই ভাবি...
- কে তুমি?
- এখনো চিনতে পারলে না?
স্বীকার করি, এই পচনশীল মাংসের মধ্যে
আবদ্ধ থাকার কথা চিন্তাও করা যায় না।
নিঃশ্বাস আটকে যায়,
তাও এটার দুর্গন্ধ পিছু ছাড়ে না...
জঘন্য....
দ্যাখো, এটা কেমন ভঙ্গুর।
এ ধরনের দুর্বল কিছুর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।
- কি চাও তুমি?
- আমি চাই, যা তুমি চাও।
হ্যাঁ, ঠিক তাই, মিঃ এন্ডারসন।
মাংসের গভীরে দ্যাখো...
বিশাল এই চোখের ভেতরে দ্যাখো,
আর চিনে নাও তোমার শত্রুকে...
- না।
- ও হ্যাঁ, মিঃ এন্ডারসন...
- এটা হতে পারে না।
- এমন জায়গা নেই, যেখানে আমি যেতে পারিনা।
এমন জায়গা নেই, যেখানে আমি তোমাকে পাবো না।
- অসম্ভব।
- অসম্ভব নয়।
অবশ্যম্ভাবী।
বিদায়, মিঃ এন্ডারসন।
এটাই সেটা, হতেই হবে...
ওহ, না...
ইস, যদি তুমি নিজেকে দেখতে পারতে, মিঃ এন্ডারসন......
অন্ধ মসীহ...
তুমি তোমার প্রজাতির সবার প্রতীক।
অসহায়...
মর্মান্তিক...
শুধু অপেক্ষায় থাকো, কোনদিন এই দুর্দশা শেষ হবে।
আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি।
খেলা শেষ হয়নি, মিঃ এন্ডারসন...
খেলা শেষ হয়নি।
- ট্রিনিটি!
- নিও।
নিও...
ওহ, না, তোমার চোখ...
আমি ঠিক আছি...
সব ঠিক আছে, ট্রিন...
কিন্তু এখন তোমাকে (জাহাজ) চালাতে হবে।
ভূ-কম্পন বলছে,
২২ মিনিটের মধ্যে আক্রমণ হবে।
ওরা জানেনা যে, আমাদের EMP নেই।
ওরা কয়েকবারে আক্রমণ করবে।
আমরা মূলত খননযন্ত্রগুলোকে আক্রমণ করবো।
সব APU কে জায়গায় আসতে আদেশ দাও।
জ্বি, স্যার...
চলো, চলো...
হুঁশিয়ার।
সময় হয়ে গেছে।
তোমরা সবাই আমাকে চেনো।
তাই, সোজা ভাষায় বলে দিচ্ছি।
মরার সময় এলে, আসুক।
শুধু চাই, এই হারামজাদাগুলোকে
আমাদের জীবন দেয়ার আগে...
... ওদেরকে জাহান্নাম দেখিয়ে ছাড়বো !
- ইয়াহ!
- ইয়াহ!
- ভয় পাচ্ছো, শারা?
- হ্যাঁ।
কিন্তু তোমাকে একটা অফার দেই।
তুমি লোড করবে, আমি গুলি ছুঁড়বো।
সই !!
- হলি ক্রাইস্ট, দ্যাখো দেখি।
- আস্তে...
- আর কত দূর?
- ১.৪ কি.মি.
- আমরা এখনো অনেক উত্তাপ ছড়াচ্ছি।
- ঘোস্ট, সব গৌণ মেশিন বন্ধ করে দাও।
- পুরোপুরি ম্যানুয়াল। চারটা প্যাড বাদ দাও।
- আরো নিচু হয়ে যাবে তো !!
- ধীরে, সোনা...
- ৭০০ মিটার
যদি কাছাকাছিও যেতে পারি...
৬০০ মিটার
ঐ তো...
বাল !!
- সাবধান, তারা আসছে।
- ফুল পাওয়ার দাও।
বন্দুকে বসে যাও,
প্রত্যেকটা তে... যাও !!
ঘোস্ট, তুমি বন্দুকে সবচেয়ে ভালো,
ওদের সাথে যাও। মর্ফিয়াস, ওর জায়গা নাও।
আমি আসছি, মণি...
এই এলো বলে...
- আস্তে, এটা লোগোস না।
- পেটের খাবার পেটেই রাখো, উড়লাম আমরা...
হলি ক্রাইস্ট, আমি জানতাম না,
এই জাহাজের পক্ষে এটা সম্ভব।
হামলা, ডকে হামলা হয়েছে...
অস্ত্র তাক করো...
জায়নের জন্য......
শিট !
চলো এখান থেকে...
অস্ত্র তাক করো...
রিলোড !!
নাইন রিলোড করো।
চলো, চলো, দৌড়াও...
বামদিকে খেয়াল রেখো।
ওদেরকে ঢুকতে দিও না।
জুকা।
হে খোদা...
পদাতিক বাহিনী কোন জাহান্নামে?
আমি চাই, ঐ মেশিনটা ধ্বংস করা হোক।
খুঁড় এইবার...
ধুরো বাল...
- ইয়াহ!
- দুই নাম্বারটা এখন আক্রমণস্থলে!
খোদার মাইর!
শিট, এর পাছা অনেক মোটা !!
- গায়ে লাগতে দিও না!
- ক্রাইস্ট, ঝড় শুরু হয়েছে যেন !!
- ক্যাপ্টেন, দেখতে পাচ্ছেন?
- ওরা রেডিও ভাঙ্গতে চাচ্ছে, থামাও।
ধ্যাত...
হ্যাঁ....
আমার বেল্ট ধরো...
শুধু একটা সই...
ধুস...
শারা...
- কমাণ্ডার, ওরা আসছে!
- পুরা ডকে ওরা ছেয়ে আছে, বলদ!
- স্যার, এটা একটু আলাদা।
- কী?
মনে হচ্ছে, এটা আমাদের।
- অসম্ভব।
- হলোগ্রাফিকস নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
যোগাযোগ করো, একসেস কোড নাও।
চেষ্টা করছি, সাড়া নেই।
এটা একটা কৌশল,
এটা আমাদের না, হওয়া সম্ভব না।
এটা একটা মেকানিক্যাল লাইন,
কেউ মেকানিক্যাল এ চালাতে পারে না।
- সামনের দিকে, ৩০ দিগ্রী, ৮০ পার্সেন্ট
- ৩০ দিগ্রী, ৮০
- ডানদিক নামাও, ৬০ ডিগ্রী, ২০ পার্সেন্ট
- ৬০ ডিগ্রী
- শিট, জলদি করো।
- চেষ্টা করছি তো !
স্যার, হলোগ্রাফিক নিশ্চিত করেছে,
এটা হ্যামার...
কীভাবে সম্ভব?
এটা হামলাগ্রস্ত, ক্ষতি হয়েছে অনেক...
এই বেগে ৩ নং গেটে আসতে ১২ মিনিট লাগবে।
ওদের EMP প্রত্যেক সেন্টিনেলকে
বিকল করতে পারবে।
শুধু তাই না,
আমাদের পুরো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও বিকল করে দেবে।
ভেতরে একটা EMP চালালে,
ডক এর পতন ঘটবে...
স্যার, ইতোমধ্যে ডক এর পতন ঘটেছে।
গেট খোলো...
৩ নং গেট সাড়া দিচ্ছে না,
ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ নেই, খোলা যাচ্ছে না...
ঐ যে নির্গমন পথ...
আমি বললে, ফুল পাওয়ার দেবে,
ডানদিকে আর নিচে, ৯০ ডিগ্রী।
ফুল পাওয়ার...
... ৯০ ডিগ্রী।
এখন!
আরেকটু, সোনা...
তার মায়েরে বাপ, চালাইতে পারে মাইয়্যা !!
এখনো পৌঁছাইনি। গেটের কী অবস্থা ?
সেন্টিনেলরা ডকের ভিতরে..
বেশি দেরি হয়ে গেছে?
- কয়টা APU কাজ করছে?
- তেরোটা, স্যার।
৩ নং গেটের সবচেয়ে কাছেরটাকে যোগাযোগ করো।
রিলোড !
কুত্তার মত চালাচ্ছে...
যাও!
তাকাও, ওরা ঘুরে আসছে!
তোমার পিছনে!
আটকে গেছে!
ভুলে যাও, খোকা! পালাও!
হয়েছে!
ক্যাপ্টেন মিফুনি....
ওহ, না...
ওরা আসছে...
হ্যামার...
কী?
তোমাকে ঐ গেটটা খুলতে হবে।
ঐ চেইনটা কাটো...
তুমি পারবে।
জলদি, সময় নেই।
ক্যাপ্টেন...
... আমি প্রশিক্ষণ শেষ করিনি।
আমিও না....
- বন্ধ করো!
- থামাও এটা!
আমরা পারবোনা.
এখুনি EMP চালিয়ে দিতে হবে।
কেউ একজন, প্লিজ...
ওজন সামনের দিকে রাখো...
পালকের মত হালকা,
পালকের মত হালকা।
হলোগ্রাফিক রিপোর্ট করছে,
ক্যাপ্টেন মিফুনির APU উঠে ৩ নং গেটের দিকে যাচ্ছে।
ট্রিগার জোরে চেপো না....
মিফুনির APU এইমাত্র ৩ নং গেটে পৌঁছালো....
- কতক্ষণ আছে?
- সংঘর্ষের দুই মিনিট বাকী....
- ক্যাপ্টেন মিফুনি, শুনছেন?
- আমার মনে হয়, ওনার রেডিও বিকল, স্যার।
মিফুনি...
... লক বলছি।
জানিনা, শুনতে পাচ্ছো কিনা।
যদি পাও...
... হ্যামার দুই মিনিটের মধ্যেই এসে পড়বে।
দুই মিনিট আছে, ক্যাপ্টেন,
ঐ গেটটা খুলতে...
লিংক....
মেইন ডেকে যাও!
EMP চার্জ দাও!
করো, বাবা....
নিও, আমি বিশ্বাস করি...
- হ্যাঁ !
- আমরা পারবো?
নইলে এদ্দূর এলাম কোন দুঃখে?
প্রায় এসে গেছি......
চালাও, লিংক!
- তুমি পেরেছো
- না
আমরা পেরেছি...
তুমি সেইরকম পাইলট !!
পৃথিবীতে কিছু জিনিস কখনো বদলায় না।
আর কিছু জিনিস বদলায়?
সৌভাগ্যক্রমে...
... কিছু জিনিস বদলায়।
লিংক!
- জি? জি!
- লিংক!
আমি জানতাম, তুমি আসবে। আমি জানতাম !!
আমি ওয়াদা করেছিলাম।
তুমি আসলেই পরেছিলে !!
ফাজলামো নাকি?
আর কোনোদিন খুলছি না...
তিন ক্যাপ্টেন, একটা জাহাজ...
ধরে নিচ্ছি, অন্য শিপগুলোও
একইরকম অর্থহীন কারণে হাতছাড়া হয়েছে।
তোমাকে দেখে ভালো লাগছে, জেসন।
কাউন্সিল তোমাদের ব্যাখ্যা শোনার জন্য বসে আছে।
আমি আসছিনা বলে ক্ষমাপ্রার্থী,
এই ধ্বংসস্তূপ থেকে যা পারি, উদ্ধার করতে হবে।
কী হলো?
আমার তো মনে হলো, আমরা ডক রক্ষা করেছি।
তোমাদেরকে নিয়ে এটাই তো সমস্যা।
নাকের ডগা থেকে পাঁচ মিনিট পরের কিছু চিন্তা করো না।
ঐ EMP আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা যন্ত্র,
প্রত্যেকটা APU বিকল করে দিয়েছে।
আমি মেশিন হলে,
প্রত্যেকটা সেন্টিনেলকে এখানে পাঠিয়ে দিতাম।
ডক রক্ষা করা, ক্যাপ্টেন?
আপনি ওদেরকে এটা রুপোর থালায় সাজিয়ে দিয়েছেন।
জলদি, কাটো এটাকে...
ব্রিজ পরিষ্কার।
শুনতে পাচ্ছো?
লাইনটাকে চালাও!
- সিস্টেমকে অনলাইনে আনো!
- ডক এ আসছে ওরা...
সবাইকে পিছু হটতে বলো।
সুড়ঙ্গ বন্ধ করে দাও, এখুনি...
চলো!
হে খোদা...
- সব খালি...
- করো।
- চলো, পালাও।
- যাও!
তোমার পালা...
তো তুমি ওদেরকে তোমার জাহাজ দিয়েছো?
- ঠিক, কাউন্সিলর, আমি দিয়েছি।
- জানার পরেও যে এটা নিয়ে সে কী করবে?
আর ওর্যাকল এ ব্যাপারে কিছুই বলেনি?
বলেছেন, নিওর আমার সাহায্য লাগবে।
সময় এলে, আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সাহায্য করবো কি না।
কিন্তু ওদের পুরো প্রতিরক্ষা সিস্টেমের বিরুদ্ধে
একটা জাহাজ কী করতে পারবে?
কিছুই না, অসম্ভব।
কিন্তু সে শোনে নি...
সে কোনো অস্ত্রও নেয়নি,
ও পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে !!
না, হয়নি...
নিও তাই করছে, যা সে বিশ্বাস করে।
জানিনা, সে ঠিক করছে কিনা।
জানিনা...
...মেশিনদের শহরে পৌঁছাতে পারবে কিনা !
যদি পারেও, জানিনা আমাদেরকে সে কীভাবে রক্ষা করবে।
কিন্তু আমি জানি, ওর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত...
... সে হাল ছাড়বে না।
আমরাও না...
তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।
এই তো......
আমরা শস্যক্ষেত্রের ওপর, তাইনা?
তুমি কীভাবে জানো?
আমি টের পাচ্ছি।
ঐ যে, ওখানে...
ওটা আমাদের পথ,
দেখতে পাচ্ছো? তিনটা লাইন?
পাওয়ার লাইন।
অনুসরণ করো
তারা কী করছে?
জানিনা।
লেফটেন্যান্ট?
ধ্যাত্তেরি...
কী করবো এখন, কমান্ডার?
এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
মেশিনরা আমাদের শহরের
দেয়াল আক্রমণ করবে।
আমার পরামর্শ, কাউন্সিল যাতে
সিভিলিয়ানদের সাথে মন্দিরে অবস্থান নেন।
কতক্ষণ সময় আছে?
দু ঘণ্টা, হয়তো কম।
আমার বাহিনী প্রবেশ পথে যথেষ্ট শক্তি নিয়ে
শেষ যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিয়েছে।
এর চেয়ে বেশি আমার কিছু করার নেই।
কমান্ডার, আপনার কি মনে হয়,
আমাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে?
আমি হলে, আমাকে জিজ্ঞেস করতাম না।
ওকে জিজ্ঞেস করতাম।
- কেন?
- কারণ, সে অলৌকিকতায় বিশ্বাস করে।
ঐ যে, পর্বতগুলো...
ওটাই...
- তুমি দেখতে পাচ্ছো ওখানে কী আছে?
- হ্যাঁ
তুমি যদি বলো, আমরা পারবো,
আমি বিশ্বাস করবো...
আমরা পারবো।
পারতেই হবে।
সেন্টিনেল।
ওরা অনেক বেশি!
ধরেছি!
- নিও, আমার সাহায্য দরকার!
- ওদেরকে হারাতে পারবোনা।
- কী করবো?
- ওপরে যাও।
- কী?
- আকাশ, এটাই একমাত্র রাস্তা।
তাহলে ওপরেই সই...
চমৎকার।
ইগনাইটার টানো, জাহাজ চালু হবে।
আবার, ধীরে।
এখন!
ট্রিন?
ট্রিনিটি?
- আমি এখানে।
- কোথায়?
এখানে....
আমরা পেরেছি।
তুমি বলেছিলে, আমরা পারবো।
অবিশ্বাস্য, ট্রিন !!
সবদিকে আলো।
যেন সবকিছু আলো দিয়ে বানানো।
ইস, আমি যা দেখছি, তুমি যদি দেখতে।
তুমি আমাকে এমনিতেই অনেক দেখিয়েছো।
কী হয়েছে, ট্রিনিটি? কী সমস্যা?
আমি তোমার সাথে যেতে পারবো না, নিও।
যতদূর পেরেছি, এসেছি।
কী?
ওহ, না...
ওহ, না, না, না...
ঠিক আছে...
সময় হয়ে গেছে...
আমি যা পারতাম, করেছি।
বাকীটা তোমাকে করতে হবে।
তোমাকেই শেষ করতে হবে।
জায়নকে রক্ষা করতে হবে।
আমি পারবোনা।
- তোমাকে ছাড়া।
- হ্যাঁ, তুমি পারবে।
তুমি করবে।
আমি বিশ্বাস করি, সবসময়েই করেছি।
ট্রিনিটি...
ট্রিনিটি, তুমি মরতে পারো না।
পারো না...
হ্যাঁ, পারি...
একবার তুমি আমাকে ফিরিয়ে এনেছো...
এবার না...
তোমার মনে আছে...
... ছাদের ওপর, আমাকে ধরার পরে ...
... শেষে আমি তোমাকে কী বলেছিলাম?
তুমি বলেছিলে, "আমি দুঃখিত"
ইস, যদি না বলতাম...
ওটাই আমার শেষ চিন্তা ছিলো।
ইচ্ছা ছিলো, আরেকটা সুযোগ পাওয়ার...
... বলার, যা বলা দরকার।
যে, আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি !!
কতটা কৃতজ্ঞ আমি,
তোমার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্তের জন্য !!
যখন জানলাম, কথাগুলো কীভাবে বলতে হয়,
অনেক দেরি হয়ে গেল।
কিন্তু, তুমি আমাকে ফিরিয়ে আনলে।
আমার ইচ্ছাপূরণ করলে।
আরেকটা সুযোগ দিলে,
আমি যা বলতে চাই, তা বলার জন্য।
চুমু দাও...
আরেকবার...
... চুমু খাও।
যেখানে থাকার কথা, সেখানে গুলিগুলো নিয়ে যাও!
একটাই সুযোগ...
অনুবাদ আয়োজন -
অনুবাদকদের আড্ডা @ ফেসবুক গ্রুপ
অনুবাদ সম্পাদনা - ফরহাদ হোসেন মাসুম
দাঁড় করাও এটাকে...
- জলদি....
- চলো, চলো, চলো !!
নিও ...
...তুমি যদি কিছু করতে চাও, জলদি করো।
আমি শুধু কিছু কথা বলতে চাই।
এরপর, যা ইচ্ছা করো,
আমি বাধা দেবো না।
বলো।
প্রোগ্রাম স্মিথ তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
শীঘ্রই সে এখানেও ছড়িয়ে যাবে,
যেভাবে ম্যাট্রিক্সে ছড়িয়েছে।
তুমি ওকে থামাতে পারবে না।
- কিন্তু আমি পারবো।
- আমাদের তোমাকে প্রয়োজন নেই।
আমাদের কিছুই প্রয়োজন নেই।
যদি তাই হয়, তাহলে আমি ভুল করেছি,
এখন আমাকে মেরে ফেলো।
কী চাও তুমি?
শান্তি।
কী করছে ওরা?
তুমি কী করছো?
মর্ফিয়াস!
আর যদি তুমি ব্যর্থ হও?
হবো না...
নিও।
সে আমাদের হয়ে লড়ছে।
মিঃ এন্ডারসন, আবারো স্বাগতম।
তোমাকে আমরা মিস করেছি...
এই জায়গাটাকে যা করেছি, পছন্দ হয়েছে?
এটা আজ রাতেই শেষ হবে।
আমি জানি, আমি দেখেছি।
তাই, আমার বাকীরা শুধু উপভোগ করবে...
... কারণ, আমরা জানি,
আমি তোমাকে হারাবো।
টের পাচ্ছো, মিঃ এন্ডারসন?
... ঘনিয়ে আসছে?
হ্যাঁ, আমি পারি...
আমার আসলেই তোমাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ।
কারণ, তোমার জীবন থেকেই...
... আমি সকল জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি।
জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে শেষ হয়ে যাওয়া।
কেন, মিঃ এন্ডারসন?
কেন, কেন, কেন?
কেন এমন করছো?
কেন? উঠছো কেন?
কেন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছো?
তোমার কী মনে হয়,
তুমি কিছু একটার জন্য লড়ছো?
যেটা তোমার জীবনের চেয়েও বেশি?
বলতে পারো, কী সেটা?
তুমি কি জানো?
স্বাধীনতা নাকি সত্য?
হয়তো শান্তি? নাকি ভালোবাসা?
বিভ্রম, মিঃ এন্ডারসন।
শুধু বোঝার পার্থক্য...
দুর্বল মানব মস্তিষ্কের অস্থায়ী চিন্তা,
যা বেপরোয়াভাবে চেষ্টা করছে এমন কিছুর অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি দেয়ার জন্য...
***অনুবাদ টীম***
রেহানা আখতার, মুহাদ্দিন মেসবাহ,
রবিউল হাসান, ফিরোজউদ্দিন আহমেদ, জুনায়েদ কবির,
এবং ফরহাদ হোসেন মাসুম
... যার কোনো অর্থ বা উদ্দেশ্যই নেই!
আর তার সব কয়টাই
ম্যাট্রিক্সের মতই কৃত্রিম...
... যদিও শুধুমাত্র একটা মানবমনই
প্রেমের মত বিস্বাদ কিছু একটা তৈরি করতে পারে।
তোমার এতক্ষণে বুঝে ফেলা উচিৎ, মিঃ এন্ডারসন।
এতক্ষণে জেনে যাওয়া উচিৎ। তুমি জিততে পারবে না।
লড়াই করার কোন যুক্তি নেই...
কেন, মিঃ এন্ডারসন, কেন?
কেন চালিয়ে যাচ্ছো?
কারণ, এটাই আমি বেছে নিয়েছি।
এটা আমার বিশ্ব !! আমার বিশ্ব !!
দাঁড়াও...
এটা আমি দেখেছি।
এই তো, এখানেই শেষ !!
হ্যাঁ, তুমি এভাবেই শুয়ে ছিলে।
ঠিক এভাবেই...
আর আমি... আমি ...
আমি এখানে দাঁড়িয়ে, ঠিক এখানেই।
আমার কিছু একটা বলার কথা...
আমি বলি...
"যার শুরু আছে, তার সমাপ্তিও আছে, নিও"
কী? কী বললাম আমি?
না, না, এটা ঠিক না।
ঠিক হতে পারে না।
সরো আমার কাছ থেকে!
তুমি কিসের ভয় পাচ্ছো?
এটা একটা কৌশল।
তুমিই ঠিক ছিলে, স্মিথ।
সবসময়েই ঠিক ছিলে।
এটা অবশ্যম্ভাবী ছিলো।
শেষ হয়েছে?
ওহ, না, না, না !!
না, এটা ঠিক না।
সমাপ্ত
কী হলো এটা !!
সে পেরেছে...
সে আমাদেরকে রক্ষা করেছে।
শেষ হয়েছে !! সে পেরেছে !! সে পেরেছে !!
সে পেরেছে !! শেষ হয়ে গেছে !!
শেষ হয়ে গেছে !! সে পেরেছে !! সে পেরেছে !!
- কী? কী হয়েছে?
- স্যার, সে পেরেছে, স্যার। নিও, সে পেরেছে...
- কী পেরেছে?
- সে যুদ্ধ শেষ করতে পেরেছে।
মেশিনরা, চলে গেছে।
যুদ্ধ শেষ, স্যার। যুদ্ধ শেষ !!
জায়ন !! জায়ন !!
জায়ন, শেষ হয়েছে !!
শেষ হয়ে গেছে!
যুদ্ধ শেষ হয়েছে!
ওহ!
আমি এই মুহূর্তের স্বপ্ন দেখেছি....
... অনেকদিন ধরে।
এটা কী বাস্তব?
নিও, তুমি যেখানেই থাকো...
... ধন্যবাদ !
শুভ সকাল...
ওরে বাবা, এ কী সারপ্রাইজ !!
তোমার খেলাটা খুবই বিপদজনক ছিলো...
পরিবর্তন সবসময়েই তাই...
কয়দিনই বা এই শান্তি
বজায় থাকবে বলে তুমি মনে করো?
যতদিন পারা যায়।
অন্যদের কী অবস্থা?
কোন অন্যরা?
যারা বেরিয়ে যেতে চায়।
অবশ্যই, তাদেরকে মুক্ত করে দেয়া হবে।
কথা দিচ্ছো?
আমাকে কী মনে হয় তোমার? মানুষ?
ওর্যাকল!
আমরা ভয় পাচ্ছিলাম,
যদি আপনাকে না পাওয়া যায় !!
এখন সব ঠিক আছে।
দ্যাখো, দ্যাখো...
অসাধারণ !!
চমৎকার....
এটা কী তোমার করা?
নিওর জন্য...
খুব সুন্দর।
আমি জানি, সে এটা পছন্দ করতো।
আমরা কী ওকে আর দেখতে পাবো?
আমি তাই মনে করি।
একদিন....
আপনি কি সবসময়েই জানতেন?
ওহ, না, না, জানতাম না...
কিন্তু, বিশ্বাস করতাম...
বিশ্বাস করতাম......