Tip:
Highlight text to annotate it
X
t
tr
tra
tran
trans
transl
transla
translat
translate
translated
translated by
translated by S
translated by Sy
translated by Sym
translated by Symo
translated by Symon
translated by Symon A
translated by Symon Al
translated by Symon Ale
translated by Symon Alex
মানুষ আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করে যে
আমি টাইলার ডার্ডনকে জানি কিনা.
তিন মিনিট.
ব্যস এতটুকুই. শেষ সুযোগ.
কিছু বলতে চাও?
দাঁতের মাঝখানে বন্দুক থাকলে,
কেউ কথা বলতে পারেনা.
আমার মাথায় কিছু আসছেনা.
এক মুহুর্তের জন্য আমি টাইলারের নিয়ন্ত্রিত ধ্বংসযজ্ঞের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম
আর ভাবতে লাগলাম বন্দুকটা পরিষ্কার ছিল কিনা.
মজা তো এখন শুরু হচ্ছে.
কথায় আছে,
মানুষ তাকেই কষ্ট দেয় যাকে সে ভালবাসে.
কিন্ত ওটা দুই তরফা.
আমরা এই গণবিধ্বংসী থিয়েটারের বিশেষ দর্শক.
প্রজেক্ট মেইহেমের উচ্ছেদকারী কমিটি
১ ডজন বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশন কলামে বিস্ফোরক লাগিয়েছে.
দুই মিনিটের মধ্যে,
প্রাথমিক বিস্ফোরণ পুরো গোড়া উড়িয়ে দিবে
আর আশেপাশের এলাকা ধ্বংসযজ্ঞের ধোঁয়ায় ধূমায়িত হয়ে যাবে.
আমি এসব জানি কারণ টাইলার এসব জানে.
আড়াই মিনিট.
নিজের জীবনের স্মৃতিগুলো ভেবে নাও.
হঠাত আমার সবকিছু অনুভব হল,
বন্দুক, বোমা, ক্রান্তি,
মার্লা সিঙ্গার নামে এক মেয়ের সঙ্গে এইসবের সম্পর্ক আছে.
বব. ববের স্তন অনেক বড় ছিল.
এটা এমনকিছু মানুষের দল
যারা টেস্টিকুলার (অণ্ডকোষ) ক্যান্সারে আক্রান্ত.
ঐ মোটা মানুষ যে আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছিল,
সে-ই বব.
আমরা এখনো পুরুষ.
হ্যা, আমরা পুরুষ.
পুরোপুরি ভাবে পুরুষ.
৮ মাস আগে বব তার অণ্ডকোষ বের করেছিল.
হারমন থেরাপি করার পর...
...তার মেয়েদের মত স্তন হয়ে গেল কারণ
টেসটসটেরোন বেশি ছিল,
শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল.
- সে আমাকে ধরে রেখেছিল...
- তারা আবার আমার অপারেশন করবে.
..তার এই বিশাল স্তনদ্বয় দেখে...
...যেকোন মানুষ অবাক হতে পারে.
আচ্ছা, এখন তোমার কাঁদার পালা.
না, দাড়াও.
আমি শুরু থেকে বলছি.
6 মাস যাবৎ আমি ঘুমাতে পারিনা.
একদমই ঘুমাতে পারিনা.
ইনসমনিয়া হলে কোনকিছুই বাস্তব মনে হয়না.
সবকিছুই দুরে দুরে লাগে.
সবকিছুই একে অন্যের কপি
হুবহু কপি.
অন্তরীক্ষে যখন অনুসন্ধান চলে,
তখন সেই কোম্পানির নাম স্পষ্ট থাকে.
দ্য IBM স্টেলার স্ফিয়ার.
দ্য মাইক্রোসফট গ্যালাক্সি.
দ্য প্ল্যানেট স্টারবাক্স.
শীঘ্রই তোমাকে শহরের বাহিরে যেতে হবে,
আমাদের কিছু বিপদজনক জায়গা কভার করতে হবে.
সেদিন সম্ভবত মঙ্গলবার ছিল.
সে নীল রঙের টাই পরেছিল.
তাহলে কি আমি আমার রিপোর্ট ততক্ষণ
আপগ্রেড করবনা যতক্ষণ...
এগুলো প্রাধান্য দাও. এই নাও তোমার টিকেট.
কোন সমস্যা হলে আমাকে ফোন করবে.
সে অনেক উত্তেজনায় ছিল.
নিশ্চয়ই অনেক কফি পান করেছে.
অনেকের দেখাদেখি, আমিও আইকি স্টাইলের
ঘরের দিওয়ানা হতে লাগলাম.
হ্যা. আমি এরিকা পেকারি ডাস্ট রাফল্স...
...অর্ডার দিতে চাই.
- এক মিনিট.
- যদি ইয়েন-ইয়াং আকারের কফি...
টেবিল খুজে পাই, তাহলে সেটা কিনবই.
দ্যা ক্লিপ্স পার্সোনাল অফিস ইউনিট.
দ্যা হোভারট্রেক হোম এক্সারবাইক.
অথবা ওমাশাব সোফা যেটাতে রয়েছে
সবুজ কালারের প্যাটার্ন.
এমনকি রিশলাম্পা ওয়্যার ল্যাম্প যা
পরিবেশ বান্ধব কোরা কাগজ দিয়ে তৈরি.
আমি সূচিপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতাম আর ভাবতাম...
..."আমার জন্য কোন ডাইনিং সেট ঠিক হবে?"
আমি সব কিনেছি. এমনকি ছোট ছোট ডিজাইনওয়ালা ডাইনিং সেটও,
এতে বোঝা যায় যে এটা কর্মঠ মানুষ বানিয়েছে,
যারা উদ্যমী এবং...
- একটু দাঁড়ান.
- ..যাইহোক.
আমরা এডাল্ট বই পড়তাম.
এখন পড়ি ইন্টেরিওর ডিজাইনের বই.
- না. ইনসমনিয়ার কারণে তুমি মরবেনা.
- নার্কোলেপ্সি হলে কী?
আমি ঘুমাই, আর উঠি অদ্ভুত অদ্ভুত জায়গায়.
আমি জানিনা আমি কীভাবে ওখানে গিয়েছি.
- তোমার বিশ্রাম প্রয়োজন.
- আপনি কি আমাকে কোন ওষুধ দিতে পারবেন?
লাল আর নীল টিউনাল, লিপস্টিক লাল সেকোনাল্স...
না. তোমার দরকার সুস্বাস্থ্য আর প্রাকৃতিক ঘুম.
ভ্যালারিয়ান চিবোও (সর্বরোগহর গুল্মবিশেষ)
আর ব্যায়াম করো.
ডাক্তার সাহেব.
- আমি কষ্টে আছি.
- তুমি কষ্ট কী দেখতে চাও?
প্রতি মঙ্গলবার রাতে ফার্স্ট মেথোডিট চার্চে যাও.
ওখানে অণ্ডকোষ ক্যান্সারে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করো.
ওটাকে বলে কষ্ট.
আমি সবসময় তিনটা সন্তান চাইতাম...
দুইটা ছেলে আর একটা মেয়ে.
কিন্ত মিন্ডি চাইত দুইটা মেয়ে একটা ছেলে.
আমরা কোন ব্যাপারে একমত হতাম না.
আমি... আসলে...
আমাদের প্রথম সন্তান গত সপ্তাহে জন্মগ্রহন করেছে.
মেয়ে হয়েছে.
কিন্ত...বাবা... বাবা হল তার নতুন স্বামী.
খোদার শোকরিয়া, আসলে...
আমি খুশি.
সে তার যোগ্য...
আমরা সবাই থমাসকে ধন্যবাদ জানাবো
তার কথা শেয়ার করার জন্য.
ধন্যবাদ, থমাস.
রুমের চারপাশে তাকালে,
আমি সাহস দেখতে পাই.
আর এতে আমার মনোবল বাড়ে.
আমরা একে অন্যের মনোবল বাড়াই.
এখন সময় হয়েছে জোড়া বানানোর.
তো এখন আমাদের উচিৎ থমাসের মত
অন্তরের কথা শেয়ার করা.
নিজের পার্টনার খুজে নিন.
আর এভাবেই আমার আর মোটা ববের সাক্ষাৎ হল.
তার চোখ আগে থেকেই টলমল করছিল.
দুই হাঁটু একসাথে করে সে অদ্ভুত ভাবে হাটত.
- আমার নাম বব.
- বব?
বব ছিল এক চ্যাম্পিয়ন বডিবিল্ডার.
আপনারা নিশ্চয়ই মধ্যরাতে টিভিতে
তাদের বিজ্ঞাপন দেখেছেন?
ওটা তারই আইডিয়া ছিল.
আমি একজন জুসার ছিলাম.
হোটেল স্টেরয়েড.
ডায়াবনাল আর
ওয়েস্ট্রল.
তারা ওটা ঘোড়ায় ব্যবহার করে.
আর এখন আমি নি:স্ব.
তালাকপ্রাপ্ত.
আমার দুই বড় সন্তান
যাদের ফোন করলে ফোন কেটে দেয়.
এরকম ঈমানদার লোকদের দেখে
আমার অন্তর ভারী হয়ে যায়.
তোমার পালা,... কর্নিলিয়াস.
এখন তুমি কাঁদ.
আর তারপর... কিছু একটা হল. আমি কাঁদলাম.
খুব ভালো.
আর নিজেকে হারিয়ে ফেললাম.
অন্ধকার, নি:শব্দ আর সম্পূর্নতা.
আমি স্বাধীনতা খুজে পেয়েছি.
সব আশা হারিয়ে ফেলার নামই তো স্বাধীনতা.
ব্যাপার না.
বাচ্চারাও এত ভালো করে ঘুমায়না.
আমি নেশায় পড়ে গেলাম.
যদি আমি কিছু না বলতাম...
...লোকজন খারাপকিছু ভাবত.
তারা আরও কাঁদতে লাগল... আমিও অনেক কাঁদলাম.
এখন আমরা খুলব সবুজ দরজা,
দ্যা হার্ট চক্র...
আমি মরে যাচ্ছিলাম না.
আমি কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলাম না.
আমি এরকম এক উষ্ণ কেন্দ্র ছিলাম যার চারপাশে
এই পার্থিব জীবন শুরু হয়েছে.
নিজের কষ্টকে সাদা এক গোলাকার বলের আকারে দেখুন.
ওটা আপনার শরীরে ঘুরে বেড়ায় আর সুস্থ করে তুলে.
এখন এটার উপর মনোযোগ দিন. শ্বাস নিতে থাকুন
আর রুমের পিছনের দরজা দিয়ে বের হোন.
এই রাস্তা কোনদিকে যায়?
আপনার গুহার দিকে.
নিজের গুহায়...
...পা রাখুন.
হ্যা.
আপনি আপনার গুহার গভীরে ঢুকছেন.
আর ওখানে আপনি আপনার
পাওয়ার এ্যনিমেল খুজে পাবেন.
শুয়ে পড়.
প্রতি সন্ধ্যায় আমি মৃত্যুবরণ করি.
আর প্রতি সন্ধ্যায় আমি দ্বিতীয়বার জন্মগ্রহন করি.
পুনরুত্থান.
বব আমাকে পছন্দ করত কারণ সে ভাবত আমার অণ্ডকোষ বের করে ফেলা হয়েছে.
সেখানে যাওয়া, তার স্তনে শুয়ে থাকে,
কাঁদতে থাকা.
এসবে আমি অনেক শান্তি পেতাম.
কিন্ত সে
সবকিছু শেষ করে দিয়েছে.
এটা ক্যান্সার গ্রুপ, তাই না?
এই মার্লা সিঙ্গারের কোন...
...অণ্ডকোষ ক্যান্সার ছিলনা.
সে মিথ্যুক ছিল.
আসলে তার কোন অসুস্থতাই ছিলনা.
আমি তাকে ফ্রি এন্ড ক্লিয়ারে দেখেছিলাম,
বৃহস্পতিবারে যেখানে আমি রক্তদান করি.
তারপর হোপে,
আমার দ্বিমাসিক কোষ বৃত্তের ক্লাসে.
আর তারপর, সিজ দ্যা ডে-তে,
শুক্রবারে আমার যক্ষ্মারোগের ক্লাস.
মার্লা,
এক ট্যুরিস্টের মত.
তার মিথ্যাও আমার কাছে মিথ্যা মনে হত.
তারপর হঠাত, আমার সব অনুভূতি চলে গেল.
আমি কাঁদতে পারিনি. তাই আবারও,
আমার ঘুম চলে গেলো.
পরের গ্রুপ, মেডিটেশন করার পর,
যখন আমরা হার্ট চক্র খেলি,
যখন গলা ধরাধরির সময় হয়,
আমি ঐ মার্লা সিঙ্গারকে ধরে চিৎকার করব.
মার্লা, মিথ্যুক কোথাকার!
ট্যুরিস্ট কোথাকার! আমার ওটা দরকার!
আমি 4 দিন ধরে ঘুমাতে পারিনি.
যখন কারও ইমসমনিয়া হয়,
তখন সে সত্যি সত্যি কখনো ঘুমাতে পারেনা.
আর জেগেও থাকেনা.
আজকের আলাপনের শুরুতে,
ক্লোয়ি আপনাদেরকে কিছু বলতে চায়.
ওহ্ হ্যা. ক্লোয়ি.
ক্লোয়িকে দেখত এমন কঙ্কালের মত লাগছিল
যার মুখে হাসি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে,
সবার সাথে বেশি ভাল ব্যবহার করছে.
হ্যাঁ, আমি এখনো বেঁচে আছি.
কিন্ত কবে পর্যন্ত থাকব সেটা জানিনা.
হয়তোবা এর উত্তর কেউ দিতে পারবেনা.
তবে আমার কাছে এক সুসংবাদ আছে.
এখন আমার মধ্যে মৃত্যুর কোন ভয় নেই.
কিন্ত... আমি অনেক একা হয়ে গিয়েছি.
কেউ আমার সাথে সেক্স করবেনা.
আমি মৃত্যুর দুয়ারে এসে পড়েছি,
আর এখন আমার একটু ভালবাসা দরকার.
আমার অ্যাপার্টমেন্টে লিসা আ্যনের পর্ন মুভি আছে,
- আরও আছে খাঁটি নারকেল তেল যা দিয়ে...
- ধন্যবাদ, ক্লোয়ি.
সবাই, ক্লোয়িকে ধন্যবাদ জানাই.
ধন্যবাদ, ক্লোয়ি.
এখন আমরা আমাদের মেডিটেশনের জন্য
প্রস্তত হয়ে যাই.
আপনি আপনার গুহার বাহিয়ে দাড়িয়ে আছেন.
গুহার ভিতরে পা রাখুন আর এগিয়ে যান...
যদি আমার কোন টিউমার হত তাহলে
আমি ওটার নাম রাখতাম মার্লা.
মার্লা.
মুখে বেড়ে ওঠা এমন এক ফোঁড়া যেটা সবসময় যন্ত্রণা দেয়.
..আপনি আপনার গুহায় যান.
আপনি আপনার মধ্যে এক আরোগ্য শক্তি অনুভব করবেন.
এখন আপনি আপনার পাওয়ার এ্যনিমেল দেখুন.
শুয়ে পড়.
আচ্ছা. এখন পার্টনার বানান.
আজ বিশেষ কাউকে বেছে নিন.
Hey.
- তোমার সাথে কথা আছে.
- বল.
- আমি তোমার সব জানি.
- কী?
হ্যাঁ. তুমি অভিনয় করছ. তুমি মরবেনা.
দুঃখিত?
তিব্বতী-দর্শনশাস্ত্র মোতাবেক আমরা সবাই মরব.
- কিন্ত তুমি ক্লোয়ি যেভাবে মরছে সেভাবে মরবেনা.
- তো?
তো তুমি একজন ট্যুরিস্ট.
আমি তোমাকে আগেও দেখেছি. মেলানোমায়,
যক্ষ্মারোগের ক্লাসে.
অণ্ডকোষ ক্যান্সার গ্রুপেও দেখেছি!
আমি তোমাকে প্র্যাকটিস করতে দেখেছি.
- কীসের প্রায়কটিস?
- আমাকে ভয় দেখানোর.
তুমি যেভাবে চেয়েছ সেভাবেই হয়েছে,... রুপার্ট?
আমি তোমার পর্দা ফাঁস করে দিব.
ঠিক আছে. আমিও তোমারটা করব.
একসাথে হোন. মন খুলে কাঁদুন.
ওহ্ গড. তুমি এটা কী করছ?
এটা মুভি দেখার চেয়েও সস্তা এবং
সাথে কফিও পাওয়া যায়.
দেখো, এটা গুরুত্বপূর্ণ.
এরা আমার গ্রুপ.
আমি এখানে প্রায় এক বছর ধরে আসছি.
- কেন?
- আমি জানিনা.
যখন মানুষ জানে তুমি মারা যাচ্ছ তখন
তারা তোমার কথা শুনে...
তারপর নিজের পালার অপেক্ষা করে.
হ্যা. হ্যা.
শেয়ার করুন... সবকিছু.
দেখো, তুমি এসবের মাঝে আসতে যেওনা.
- কারণ এটা নেশায় পরিণত হয়.
- তাই নাকি?
আমি মজা করছিনা. কোন মিথ্যা সামনে
থাকলে আমি কাঁদতে পারিনা.
তোমাকে অন্য কোথাও যেতে হবে.
এটা তোমার সমস্যা.
আমার কিছু করার নেই.
না, দাড়াও. এক মিনিট.
আমরা সপ্তাহ ভাগ করে নেই, ঠিক আছে?
তুমি লিম্ফোমা আর যক্ষ্মারোগ নাও.
যক্ষ্মারোগ তুমি নাও.
আমার ধূমপান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না.
আচ্ছা, ঠিক আছে. চলবে.
অণ্ডকোষ ক্যান্সার কিন্ত আমার থাকবে.
সতি বলতে এখানে আসার হক আমার বেশি.
তোমার অণ্ডকোষ এখনো সাথে আছে.
- তুমি মজা করছ.
- তাই নাকি?
না. না.
- তুমি কী চাও?
- আমি উভয় প্যারাসাইট নিব.
দুইটা নিতে পারবেনা.
ব্লাড প্যারাসাইট নিয়ে নাও.
- আমার ব্রেইন প্যারাসাইট চাই.
- আচ্ছা, তবে ব্রেইন ডিমেনশিয়া আমার চাই.
- ওটা আমার দরকার.
- তুমি সবগুলো নিয়ে পারনা.
তোমার কাছে চারটা. আর আমার মাত্র দুইটা.
আচ্ছা. তুমি উভয় প্যারাসাইট নিয়ে নাও. ওগুলো তোমার.
এখন দুজনের কাছে তিনটা করে আছে...
Hey! তুমি অর্ধেক কাপড় নাওনি.
- তুমি কাপড় চুরি করছ?
- হ্যা!
আমি চুরি করা কাপড় বিক্রি করি!
তো! ছয়দিন কেটে যাবে.
কিন্ত সপ্তম দিনে কী হবে?
আমার বাওয়েল ক্যান্সার চাই (পেটের ক্যান্সার).
সে আগে থেকেই সবকিছু জানত.
না. না. বাওয়েল ক্যান্সার আমার দরকার.
ওটা তোমারও পছন্দের?
- জোর করে হাসিল করার চেষ্টা?
- আচ্ছা, আমরা ভাগ করে নিব.
তুমি মাসের প্রথম আর শেষ রবিবার যাবে.
রাজি.
এখন আমাদের যাওয়া উচিৎ.
এই কথা নিয়ে আর কোন ঝগড়া হবেনা.
কেন নয়?
Hey, মার্লা!
মার্লা!
হয়তোবা আমাদের একে অন্যের
ফোন নাম্বার নিয়ে নেওয়া উচিৎ.
তাই নাকি?
- যদি হঠাত করে শিডিউল পাল্টে যায় তাহলে.
- আচ্ছা.
তো এইভাবে মার্লার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হল.
মার্লার ফিলসফি ছিল যে
সে যেকোন সময় মারা যেতে পারে.
কিন্ত তার অভিমান যে এরকম কখনো হয়নি.
এখানে তোমার নাম লেখা নেই!
কে তুমি? কর্নিলিয়াস? রুপার্ট?
ট্রাভিস? এমনিতেও তুমি প্রতিরাতে নাম পাল্টাও.
আপনি জেগে উঠেন সীট্যাকে.
SFO. LAX.
জেগে উঠেন ও'হ্যারে.
278
00:19:22,540 --> 00:19:24,668
ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ.
BWI.
প্যাসিফিক. মাউন্টেন. সেন্ট্রাল.
মাঝেমধ্যে এক ঘণ্টা আগে মাঝেমধ্যে পরে.
ঐ ফ্লাইটের চেক-ইন টিকেট দুই ঘন্টা পর শুরু হবে, স্যার.
এটা হল আপনার জীবন,
প্রতি মিনিটে মিনিটে কমে যাচ্ছে.
এয়ার হার্বর ইন্টারন্যাশনালে জেগে উঠেন.
যদি আপনি এক অন্য স্থানে
এক অন্য সময়ে জেগে উঠেন
তাহলে কি আপনি অন্য একজন হয়ে জেগে উঠতে পারেন?
আমি যেখানেই যাই,
জীবনটা ছোট মনে হয়.
একটুখানি চিনি সাথে একটু ক্রিম.
মাখনের এক টুকরো.
মাইক্রোওয়েভে রান্না করার খাবার.
শ্যাম্পো, কন্ডিশনারের প্যাকেট পাওয়া যায়.
মাউথওয়াশের স্যাম্পল প্যাক.
আর সাবানের ছোট টুকরাও.
প্রত্যকে ফ্লাইটে আমি যাদের সঙ্গে দেখা করি,
তারা আমার অস্থায়ী বন্ধু হয়ে যেত.
প্লেন উঠা-নামা করার মাঝখানের সময়টা
আমরা একসঙ্গে কাটাতাম.
এতটুকুই সময় পাওয়া যেত.
স্বাগতম!
যখন ফ্লাইট দির্ঘস্থায়ী হয় তখন বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা শূন্যতে চলে আসে.
আমি একজন পুনরাহ্বান সমন্বয়কারী ছিলাম.
আমার কাজ ছিল ফর্মুলা এপ্লাই করা.
এখানেই ঐ বাচ্চা পড়েছিল.
আমার কোম্পানি যখন কোন নতুন গাড়ি বানায়
তখন সেটা 60mph-এ চলে.
পিছনের দিকটাই পার্থক্য হয়.
আর ঐ টিনেজারের ব্রেসলেট ছাইদানিতে গিয়ে পড়েছে.
এটা দিয়ে একটা ধূমপান না করার বিজ্ঞাপন বানানো যেত পারে.
যখন গাড়ি এক্সিডেন্ট করে তখন সেটা পুড়ে যায়
আর সব মানুষ ভিতরে আটকা পরে.
এখন একটু তদন্ত করা যাক.
বাবা নিশ্চয়ই মোটা ছিল.
তার শরীরের চর্বি পুড়ে সিটের সাথে লেগে গিয়েছে.
একদম মডার্ন আর্টের মত দেখতে.
ফিল্ড A-এর গাড়িগুলো ধরুন A.
তারপর সেটা ব্যর্থতার সম্ভাব্য হারের সাথে গুন করুন, B.
আর ফলাফলটা গড় অপ্রচলিত কোর্টের
নিষ্পত্তির সাথে গুন করুন, C.
A x B x C
সমান X.
যদি X পুনরাহ্বানের খরচের চেয়ে কম হয় তাহলে...
...কোম্পানি ইনস্যুরেন্স দিবেনা.
এরকম এক্সিডেন্ট কি সাধারণত হয়?
শুনলে আপনি বিশ্বাস করবেন না.
তুমি কোন কোম্পানিতে কাজ কর?
এক নামীদামী কোম্পানি.
যখন প্লেন উঠা-নামার করার সময় কেপে উঠত,
তখন আমি ক্র্যাশ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতাম...
...অথবা যেকোন কিছু.
যদি বিজনেস ট্রিপে গিয়ে আপনি মারা যান তাহলে লাইফ ইনস্যুরেন্স তিন গুণ করে দেওয়া হয়.
"যদি আপনি জরুরী বহির্গমন সারিতে বসে থাকেন
আর মনে করেন যে সেফটি কার্ডে লেখা
ডিউটি ঠিকমত করতে সক্ষম নন
তাহলে ইন-চার্জ কাউকে বলে সিট বদলে ফেলুন."
এটা অনেক বড় দায়িত্ব.
আপনি সিট বদলাবেন?
না. আমার মনে হয়না আমি এই কাজ করতে পারব.
সুরক্ষার নামে ভাঁওতাবাজি.
হ্যা. হয়তোবা.
আপনি জানেন ফ্লাইটে অক্সিজেন মাস্ক কেন দেয়?
- শ্বাস নেওয়ার জন্য.
- অক্সিজেন আপনাকে উত্তেজক করে তুলে.
ইমারজেন্সির সময় ঘাবড়ে গিয়ে
আপনি গভীর বড় শ্বাস নেন.
হঠাৎ করে আপনার মধ্যে জোশ এসে যায়.
তারপর আপনি নিয়তি মেনে নেন.
এখানে সবকিছু লেখা আছে.
ইমারজেন্সি পানিতে অবতরণ 600mph স্পীডে.
চেহারাতে কোন ভাব নেই, শান্তশিষ্ট.
এটা...
এটা আকর্ষণীয় থিওরি.
- তুমি কী কর?
- মানে?
তুমি কী কাজ করো?
কেন? আগ্রহী হওয়ার অভিনয় করবে?
আচ্ছা.
তোমার হাসিতে অসুস্থ হতাশা প্রকাশ পায়.
আমাদের দুজনের ব্রিফকেস একইরকম.
সাবান.
- দুঃখিত?
- আমি সাবান বানাই এবং বিক্রি করি.
যেটা সভ্যতার মাপকাঠি.
আর এভাবে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হল...
টাইলার ডার্ডন.
তুমি জানো, গ্যাসোলিন আর ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া
অরেঞ্জ জুস মিশিয়ে নাপাম বানানো সম্ভব?
(বোমায় ব্যবহৃত থক্থকে পেট্রল)
- না, আমি জানতাম না. এটা কি সত্যি?
- একদম.
গৃহস্থালির সামগ্রী দিয়েও সব ধরনের
বিস্ফোরক বানানো সম্ভব.
- তাই নাকি?
- যদি কেউ বানাতে চায় তাহলে.
টাইলার, তুমি এখনো পর্যন্ত আমার সবচেয়ে
আকর্ষণীয় অস্থায়ী বন্ধু.
- অস্থায়ী মানে হল প্লেনে সবকিছু একবারই...
- বুঝেছি. তুমি অনেক চালাক.
ধন্যবাদ.
এতে করে তোমার লাভ হচ্ছে?
- কী?
- চালাক হয়ে?
অনেক.
তাহলে এভাবেই থেকো সবসময়.
এক ভদ্রতার প্রশ্ন.
তুমি আমার পিঠ দেখছ নাকি চেহারা?
আমি টাইলারের সাথে কীভাবে থাকতে আসলাম...
নিজের মালপত্র নেওয়ার জন্য
এয়ারপোর্টে এক পলিসি আছে.
- আমার স্যুটকেস থেকে আওয়াজ আসছিল?
- আধুনিক বোমা থেকে আওয়াজ বের হয়না.
- দুঃখিত, এখন কী হবে?
- আমরা ব্যাগেজ হ্যান্ডলার.
কিন্ত যখন কোন স্যুটকেস দেখলে সন্দেহ হয়,
তখন আমরা পুলিশকে ডাক দেই.
- আমার স্যুটকেস ভাইব্রেট হচ্ছিল?
- সাধারণত এটা...
ইলেকট্রিক রেজরের কারণে হয়ে থাকে.
কিন্ত... মাঝেমধ্যে অন্যকিছুও থাকে
বিপদজনক কিছু.
যদি উল্টাপাল্টা কিছু পাওয়া যায় তাহলে কাস্টমসওয়ালারা সহজে ছাড়েনা.
এজন্য বুঝেশুনে মালপত্র নিতে হয়.
বুঝলে?
কিন্ত আমার কাছে...
ঐ স্যুটকেসে সবকিছু ছিল.
আমার শার্ট.
আমার জুতা. আমার প্যান্ট.
কোন ব্যাপার না.
আমার ঘর ছিল 15 তালায়,
আশেপাশে অন্যান্য লোকজনও থাকে.
দেয়াল ছিল কনক্রিটের তৈরি.
এরকম কনক্রিট প্রয়োজন হয়...
...যখন আপনার প্রতিবেশী ফুল ভলিউমে খেলা দেখে.
অথবা কোন বিস্ফোরণ হয় আর আপনার...
... মালপত্র জানালা দিয়ে নিচে পড়তে থাকে.
এরকম কিচ্ছা তো প্রতিদিনই হয়.
ওখানে... কিছুই বাকি নেই.
আপনি ইউনিটে যেতে পারবেন না. এটা পুলিশের অর্ডার.
আপনার সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন করবেন?
কী লজ্জাজনক.
এতসব মসলা কিন্ত কোন খাবার নেই.
পুলিশ পরে বলেছে হয়তোবা ঘরে
পাইলট লাইট অফ হয়ে গিয়েছিল...
...যেখান থেকে অল্প অল্প গ্যাস বের হচ্ছিল.
গ্যাস ধীরে ধীরে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে.
1700 স্কয়ার ঘর, যেটা কয়েকদিন জ্বলতে পারত.
তারপর হয়তোবা রেফ্রিজারেটরের
কমপ্রেসর নষ্ট হয়ে গিয়েছে.
কে?
আমি তোমার শ্বাস শুনতে পাচ্ছি...
যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন, তাহলে সত্যি সত্যি
আমি জানিনা কেন তাকে ফোন করেছি.
- Hello?
- কে বলছেন?
- টাইলার?
- কে তুমি?
আমরা... প্লেনে দেখা করেছিলাম.
আমাদের একরম স্যুটকেস ছিল?
চালাক লোক?
ওহ্ হ্যা. মনে পড়েছে.
আমি এক সেকেন্ড আগে ফোন করেছিলাম.
কেউ ধরলনা.
- আমি পাবলিক ফোন বুথে আছি.
- হ্যা, আমি ফোন করেছি. আমি অন্যের ফোন ধরিনা.
তো কী অবস্থা?
আসলে.
তুমি শুনলে বিশ্বাস করবেনা.
যেকোন কিছু হতে পারত.
যখন তুমি গাড়িতে ঘুমাচ্ছিলে তখন কোন মেয়ে
এসে তোমার পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যেতে পারত.
হতে পারত. জানিনা.
যখন তুমি কোন সোফা কিন তখন বল যে...
এটাই আমার শেষ সোফা.
যেভাবেই হোক, ওটা দিয়ে চলে যায়.
আমার কাছে সব ছিল.
আমার এক স্টেরিও ছিল যেটা খুবই দুষ্প্রাপ্য.
এক ওয়্যারড্রব যেখানে আমার সব কাপড়.
আমার প্রায় সবকিছুই ছিল.
- ইশশ্. এখন সব চলে গিয়েছে.
- সবকিছু.
সব গিয়েছে.
তুমি জানো লেপ কী?
- আরামদায়ক জিনিস.
- এটা একটা চাদর.
শুধু চাদর. কেন তোমার আর আমার মত
মানুষ জানে লেপ কী জিনিস?
এটা কি বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য?
যেমন খাবার-দাবার.
না.
তাহলে আমরা কী?
আমরা হলাম ভোক্তা (গ্রাহক, ক্রেতা).
ঠিক. আমরা হলাম ভোক্তা.
আমরা জীবনশৈলীর নেশায় আচ্ছাদিত হয়ে যাই.
খুন, অপরাধ, দারিদ্র্য.
এগুলো নিয়ে আমি ব্যস্ত নই.
আমি ব্যস্ত সেলিব্রেটি ম্যগাজিন নিয়ে,
500 চ্যানেলওয়ালা টেলিভিশন নিয়ে,
ভালো ভালো ব্র্যান্ডের কাপড়-চোপড়.
ওষুধ. ড্রিঙ্কস.
- মার্থা স্টূয়ার্ট.
- মার্থা স্টূয়ার্টের মায়ের বাপ.
টাইটানিক চমকপ্রদ করে কী লাভ!.
ওটা তো ডুববেই.
এইসব সোফা, পর্দা, দব্যসামগ্রীর কথা ভুলে যাও.
আমি বলব কখনো সম্পূর্ণ হবেনা.
আমি বলব পারফেক্ট হওয়ার বাদ দাও.
ধীরে ধীরে নিজেকে বদলাও.
ভবিষ্যতকে সামনে আসতে দাও.
আমি এরকমই, হয়তোবা আমি ভুল.
হয়তোবা এটা কোন দুর্ঘটনা.
কিছু জিনিস হারিয়েছি. এটা কোন বড়...
কিন্ত তুমি আধুনিক জীবনধারার
অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছ.
তুমি ঠিক বলেছ.
আমি ধূমপান করিনা.
হয়তোবা ইনস্যুরেন্স ক্ষতি মিটিয়ে দিবে, তাই...
কী?
তোমার মালিকানার জিনিস তোমার হাতেই শেষ হবে.
যা মন চায় করো.
ওহ, দেরি হয়েছে.
- Hey, বিয়ারের জন্য ধন্যবাদ.
- হ্যা, অবশ্যই.
আমাকে একটা হোটেল রুম খুঁজতে হবে.
কী?
কী?
- হোটেল?
- হ্যা.
- জিজ্ঞেস করছনা কেন.
- কীসের কথা বলছ?
ওহ্ গড. তিন গ্লাস খেয়েই মাতাল হয়ে গেলে.
কী?
তুমি আমাকে ফোন করেছিলে কারণ
তোমার থাকার জায়গার দরকার ছিল.
- ওহ্, hey. না, না, না.
- হ্যা, তুমি করেছ. জিজ্ঞেস কর.
ত্যানা পেঁচানোর কী দরকার.
তোমার...কোন সমস্যা হবে?
জিজ্ঞেস করতে তোমার সমস্যা আছে?
- আমি কি তোমার ঘরে থাকতে পারি?
- হ্যা.
ধন্যবাদ.
- তোমাকে আমার জন্য একটা কাজ করতে হবে.
- হ্যা, অবশ্যই.
আমি চাই তুমি আমাকে জোরে মারো.
কী?
আমি চাই তুমি আমাকে অনেক জোরে মারো.
তার আগে আমি আপনাদেরকে
টাইলার ডার্ডন সম্পর্কে কিছু বলতে চাই.
টাইলার হল রাতের রাজা.
যখন আমরা সবাই শান্তিতে ঘুমাই তখন সে কাজ করে.
সে প্রোজেক্টশনিস্ট হয়ে পার্ট টাইম জব করত.
পুরো মুভি কখনো এক রিলে হয়না.
কয়েকটা রিল দরকার.
এই জন্য ঠিক সময়ে প্রোজেক্টর সুইচ করার জন্য...
...একজনকে থাকতে হয় যখন এক রিল শেষ হয়ে আরেকটা শুরু হয়.
ধ্যান দিয়ে দেখলে আপনি স্ক্রিনের উপরে
ডানদিকে ছোট ছোট ডট্স দেখতে পাবেন.
ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা এটাকে বলি, সিগারেট বার্ন্স.
এটা হল রিল পাল্টানোর জন্য একটা সংকেত.
তখন সে পাল্টে দেয় আর দর্শকরা সেটা বুঝতেও পারেনা.
এই বেকার চাকরী কেউ কেন করবে?
কারণ সে এই আকর্ষণীয় সুযোগ নিতে পারে.
যেরকম সেক্স সিন বাদ দিয়ে ফ্যামিলি মুভি বানানো.
তো যখন তৃতীয় রিলে একটা কুকুর
আরেকটা বিড়াল যারা সেলিব্রেটির ভয়েস পেয়েছে,
প্রথমবার সাক্ষাৎ করে তখন আপনি টাইলারের কাজের নমুনা দেখতে পারবেন.
কেউ বুঝতে পারেনা যে তারা দেখেছে কিন্ত
তারা দেখে ফেলেছে.
খুব সুন্দর বড় সোনা.
টাইলারের কর্মকান্ডের কথা কেউ জানতনা.
টাইলার মাঝেমধ্যে কোন শানদার প্রেসম্যান
হোটেলে এক ওয়েটারের কাজও করত.
খাদ্য সেবা শিল্পে সে ছিল একটা কলঙ্ক.
তাকিওনা. তাকিয়ে থাকলে আমি করতে পারবনা.
গলদা চিংড়িতে নতুন স্বাদ দেওয়ার জন্য,
ডেজার্টে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য,
সে কোনকিছুই ছাড় দিতনা...
বল, সবকিছু বলে দাও.
বুঝতে পারছেন তো.
- তুমি চাচ্ছ আমি তোমাকে মারি?
- জলদি. এই অনুগ্রহটা করো.
- কেন?
- কারণ জানিনা. কখনো লড়াই করিনি. তুমি করেছ?
- না. কিন্ত ওটা ভাল কাজ নয়.
- কখনো লড়াই না করলে তুমি কীভাবে নিজেকে জানবে!
আমি কোন নিশানা ছাড়া মরতে চাইনা.
- জলদি আমাকে মার. আমার সাহস না চলে যায়.
- ওহ্ গড. এসব পাগলামো.
শুরু করে দাও! জলদি.
- আমি কিছু জানিনা.
- আমিও না.
এতে কী আসে যায়? কেউ কিছু দেখছেনা.
তোমার কী হয়েছে?
দাড়াও. তুমি চাচ্ছ আমি তোমাকে মারি?!
ঠিক তাই.
- কোথায়? তোমার চেহারায়?
- যেখানে মন চায়.
পুরো পাগলামো হচ্ছে.
মাদারচোত!
তুমি আমাকে কানে মেরেছ!
- জিসাস, আমি দুঃখিত.
- ক্রাইস্ট!
- কানে কেন মারলে, দোস্ত?
- গড়বড় করে ফেললাম.
না, একদম ঠিক করেছ.
না, সব ঠিক আছে.
অনেক ব্যথা করছে.
আচ্ছা.
আবার মারো.
না, তুমি আমাকে মারো.
আমাদের এটা আবার করা উচিৎ.
- তোমার গাড়ি কোথায়?
- কোন গাড়ি?
আমি জানিনা টাইলার কোত্থেকে এই ঘর পেয়েছে.
কিন্ত সে বলেছে সে এখানে এক বছর ধরে আছে.
দেখে মনে হচ্ছিল জলদি ভেঙ্গে ফেলা হবে.
বেশীরভাগ জানালাই বন্ধ ছিল.
বাহিরের দরজায় কোন তালাও ছিলনা,
যেকেউ চলে আসতে পারত.
সিড়িও ভাঙ্গার পথে ছিল.
আমি জানিনা ওটা কি তার ঘর নাকি অন্যকারো.
আমি অবাক হইনি.
হ্যা. এখানে তুমি.
ওখানে আমি. টয়লেট ঐদিকে. ঠিক আছে?
হ্যা, ধন্যবাদ.
কী নোংরা জায়গা!
কোনকিছুই কাজ করতনা.
এক রুমের লাইট অন করলে
অন্য রুমের লাইট বন্ধ হয়ে যেত.
প্রতিবেশী বলতে কেউ ছিলনা.
ওখানে শুধু গুদাম আর পেপার মিল ছিল.
ঐ ধোঁয়ার গন্ধ.
কাঠের পোড়া গন্ধ.
আরে ওখানে দেখো!
- Hey, দোস্তরা.
- Hey.
বৃষ্টি হলে আমাদের ঘরের ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করতে হত.
প্রথম মাসের শেষ দিকে
আমি TV-র কথা ভুলে যেতে লাগলাম.
ঐ গরম রেফ্রিজারেটর নিয়ে আমার কোন নালিশ ছিলনা.
এখন আমি আসব?
ঠিক আছে.
আগে টাই খুলো.
রাতে, টাইলার আর আমি এতটা নিঃস্ব হয়ে যেতাম
যে কাউকে খুজে পাওয়া যেতনা.
প্লাস্টার দিয়ে বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ত.
কাঠের সব মালপত্র ভিজে ফুলে গেল.
সবখানে মরিচা ধরে গেল আর স্যাঁতস্যাঁতে ছিল.
যে আগে এখানে থাকত সে নিশ্চয়ই সন্ন্যাসী ছিল.
Hey, কী পড়ছ?
একটু শুনো. এই আর্টিকেল নিজেকে
সম্বোধন করে লেখা হয়েছে.
"আমি হলাম জ্যাকের মেডুলা ওব্ল্যানগ্যাটা.
আমাকে ছাড়া জ্যাক তার হৃদস্পন্দন বা শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি."
এখানে পুরো সিরিজ রয়েছে.
" আমি জ্যাকের দুদু."
- " আমি জ্যাকের মলাশয়."
- "আমার ক্যান্সার হলে. জ্যাককে মেরে ফেলব."
লড়াই করার পর জীবনের সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়.
কী?
- তুমি কোনকিছুর করতে পারবে.
- তুমি ঐ রিপোর্ট পুরো করেছ?
লড়াইয়ের জন্য কাউকে বেছে নিতে দিলে,
তুমি কাকে বেছে নিবে?
হয়তোবা আমার বসকে.
তাই নাকি?
- হ্যা, তুমি কাকে বেছে নিতে?
- আমার বাবাকে.
আমি আমার বাবাকে চিনিনা.
মানে, আমি চিনি, কিন্ত...
যখন ছয় বছরের ছিলাম তখন
আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে.
অন্যকোন মেয়ের সাথে বিয়ে করেছে, বাচ্চাও হয়েছে.
প্রত্যকে ছয় বছরে সে এমনটা করত.
- নতুন শহরে গিয়ে নতুন পরিবার বানাত.
- এরকম খাটাশদের অনেক সঙ্গিও আচে!
আমার বাবা কখনো কলেজে যায়নি.
- এজন্য আমার যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল.
- কাহিনী আগে শুনেছি মনে হয়.
আমি গ্র্যাজুয়েশন করলাম. তারপর তাকে ফোন দিলাম, "বাবা, এখন কী?"
- সে বলল, "চাকরী কর."
- আমারও একই কাহিনী.
এখন আমার বয়স 25. ফোন করব.
"বাবা, এখন কী?"
সে বলবে, "জানিনা. একটা বিয়ে কর."
তুমি বিয়ে করতে পারবেনা.
আমার বয়স 30, কিন্ত এখনো বিয়ে করিনি.
আমরা বড় হয়েছি মহিলাদের হাতে.
আমি ভাবছিলাম আমাদের কি
সত্যিই কোন মেয়ে প্রয়োজন.
সপ্তাহের সবকটা দিন আমরা সাধারণভাবে চলতাম.
কিন্ত প্রতি শনিবার রাতে কাউকে না কাউকে পেয়ে যেতাম.
আমাদের বিশ্বাস হয়ে যাচ্ছিল যে আমরা একা নই.
যখন আমার মন খারাপ কিংবা রাগা হত.
আমি একাকী পথে হাটতাম.
আমার ফার্নিচার পলিশ করতাম.
আমার এক নতুন ঘর খোজা উচিৎ, আমাকে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে লড়াই করা উচিৎ.
আমাকে আমার পোড়া ঘর দেখে রাগ হওয়া উচিৎ.
কিন্ত আমি হইনি.
কোন অফিসকে সাইবারনেটিং করা হল
কার্যক্রম বাড়ানোর ঈশারা.
প্রতি সোমবার সকালে,
আমি পরের সপ্তাহের কথা ভাবতাম.
ঐ আইকনটা কি নীল রংয়ের হতে পারে?
অবশ্যই.
কার্যক্রম বাড়ানো হল আসল কাজ.
কারণ অপচয় হল চোরের মত.
আমি আমার সঙ্গীকে এটা দেখিয়েছি.
তোমার পছন্দ হয়েছে তো?
জীবনে আপনাকে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়.
এসবকিছু চেহারায় স্পষ্ট ছিল.
শুধু টাইলার আর আমিই এটা প্রকাশ করে দিয়েছি.
এটা সবার মুখেই ছিল.
কিন্ত টাইলার আর আমি এটাকে এক নাম দিয়েছি.
আমাদের এখন ঘরে যেতে হবে!
পিছনের দরজা লাগিয়ে দাও.
প্রতি সপ্তাহে, আমরা যেই রুল বানাতাম
টাইলার সেগুলো সবাইকে বলে দিত.
জেন্টলম্যান!
সবাইকে ফ্লাইট ক্লাবে স্বাগতম.
ফ্লাইট ক্লাবের প্রথম রুল হল
আপনি ফ্লাইট ক্লাবের ব্যাপারে কথা বলবেন না.
ফ্লাইট ক্লাবের দ্বিতীয় রুল হল
আপনি ফ্লাইট ক্লাবের ব্যাপারে কথা বলবেন না!
ফ্লাইট ক্লাবের তৃতীয় রুল.
কেউ চিৎকার করলে, লড়াই বন্ধ,
কেউ ক্লান্ত হয়ে গেলে,
লড়াই বন্ধ. চতুর্থ রুল.
এক লড়াইয়ে শুধু দুজন থাকবে.
পাঁচ নাম্বার রুল.
এক সময়ে এক লড়াই.
ষষ্ঠ রুল. শার্ট ও জুতা খুলে লড়াই করতে হবে.
সপ্তম নাম্বার.
যতক্ষণ লড়াই বহাল থাকা উচিৎ ততক্ষণ থাকবে.
আর অষ্টম এবং শেষ রুল.
যদি ফ্লাইট ক্লাবে আজ আপনার প্রথম রাত হয়...
...তাহলে লড়াই করুন.
আমার অফিসের এক ছেলে, রিকি,
অফিসের ছোটখাটো জিনিসও মনে রাখতে পারতনা.
কিন্ত সে যখন কোন রেস্তোরাঁর ওয়েটারকে...
...10 মিনিট মারধোর করার সুযোগ পেল,
তখন সে ১২টা বাজিয়ে দিল.
মাঝে মাঝে শুধু ঘুষাঘুষি আর চিৎকারের
আওয়াজ পাওয়া যেত.
মাঝেমধ্যে তারা রক্তাক্ত হয়ে যেত...
থামো!
ফাইট ক্লাবের আপনি এক অন্য জীবন খুজে পাবেন.
কিন্ত সেই জীবন শুধু ফাইট ক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল.
এখন কেউ যদি আমাকে বলত যে সে ভাল লড়াই করেছে,
তাহলে আমি এটা অন্য কাউকে বলতাম.
ফাইট ক্লাবে আপনাকে যেভাবে দেখা হয়
বাহিরের পৃথিবী আপনাকে সেভাবে দেখেনা.
যখন কেউ ফাইট ক্লাবের প্রথম আসত.
তখন তার শরীর থাকত নরম ময়দার গোলার মত.
আর কয়েক সপ্তাহ পর তা পাথরের মত হয়ে যেত.
যদি তুমি সেলিব্রেটির সাথে লড়াই করতে
তাহলে কাকে বেছে নিয়ে?
- জীবিত না মৃত?
- যে কেউ.
হেমিংওয়ে. তুমি?
শ্যাটনার. আমি উইলিয়াম শ্যাটনারের সাথে লড়াই করতাম.
আমাদের সবার দৃষ্টি পাল্টাতে লাগল.
আমরা যেখানেই যেতাম,
লোকজনদের বাজিয়ে দেখতাম.
আমার তাদের জন্য আফসোস হত...
...যারা জিমে গিয়ে মডেলদের মত হওয়ার চেষ্টা করত.
একজন পুরুষের বেশ কি এমন হওয়া উচিৎ?
আত্মোন্নতির অন্যনাম হল হস্তমৈথুন.
কাম্য - মরণ...
এক্সকিউজ মি.
ফাইট ক্লাবে হার-জিতের কোন ব্যাপার ছিলনা.
কথার ব্যাপারেও নয়.
ঐ চিৎকারের আওয়াজ এতটা ভয়ানক ছিল...
...যেন কেয়ামতের ডাক এসেছে.
- এতটুকুই?
- থামো!
লড়াই শেষে কোনকিছু সমাধান হতনা.
কিন্ত এতে কিছু আসে যায়না.
খুব সুন্দর.
পরে অনুভব হয় যে জানে বেঁচে গিয়েছি.
পরের সপ্তাহে আবার চলবে?
পরের মাসে চলবে?!
এখন তুমি যাও.
নতুন পিচ্চি, তুমি আসো.
কখনো কখনো টাইলার আমার হয়ে কথা বলত.
সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছে.
আমি সিঁড়ি থেকে পরে গিয়েছি.
ফাইট ক্লাবের কারণে আমরা চুল ছোট রাখতাম
আর নখ কাটতাম.
আচ্ছা. কোন ঐতিহাসিক ব্যাক্তি.
হয়তোবা মাহাত্মা গান্ধী-র সাথে.
খুব ভাল.
- তুমি?
- লিংকন.
লিংকন?
বড় সড় মানুষ.
চিকনা মানুষের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে.
ধেত্তেরি!
Hey, তোমার দাত ভেঙ্গে যাচ্ছে.
Hello?
গত আট সপ্তাহ ধরে তুমি কোথায় ছিলে?
মার্লা?
- তুমি আমাকে কীভাবে খুজে পেলে?
- তুমি নাম্বার দিয়ে গিয়েছিলে.
আমি তোমাকে কোন সাপোর্ট গ্রুপে দেখতে পাইনি.
আমরা ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম. মনে নেই?
হ্যা, কিন্ত তুমি তোমার গ্রুপগুলোতেও যাওনি.
- তুমি কীভাবে জানো?
- আমি বাটপারি করেছি.
আম একটা নতুন গ্রুপ পেয়েছি.
- সত্যি?
- শুধু পুরুষদের জন্য.
ঐ অণ্ডকোষের মত?
দেখো, এখন সময়টা ভাল নয়.
আমি ডেবটর্স এ্যনঅনিমাসে যাচ্ছি.
- তুমি অদ্ভুত হয়ে গিয়েছ...
- আমি এখন বাহিরে যাচ্ছি.
আমিও. আমি অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছি.
বোতলে যা ছিল সব.
মনে হয় একটু বেশি হয়ে গিয়েছে.
একটু ভাবুন যে মার্লা সিঙ্গার তার
নোংরা ঘর থেকে লাফিয়ে পরছে.
এটা আত্নহত্যার জন্য না.
আসলে সাহায্যের জন্য কাউকে চাচ্ছিলাম.
তো আজ রাতে তুমি ওখানেই থাকবে?
তুমি আমাকে মৃত্যুর ব্যাপারে কথা বলাতে চাও?
তুমি কি দেখতে চাও যে আমার আত্না
ফোন ব্যবহার করতে পারে কিনা?
তুমি কি আগে কখনো মৃত্যুর শব্দ শুনেছ?
টাইলারের রুমের দরজা বন্ধ ছিল. আমি গত
দুই মাসে টাইলারকে কখনো দরজা বন্ধ করতে দেখিনি.
শুনলে বিশ্বাস করবেনা কাল রাতে আমি কী স্বপ্ন দেখেছি.
গতকাল রাতের কোনকিছুই আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা.
তুমি এখানে কী করছ?
কী?
এটা আমার ঘর.
তুমি আমার ঘরে কী করছ?
মায়েরে বাপ!
তোমার বন্ধু খুবই উদ্ভট!
তবে সুন্দরীও বটে.
কাল রাতে এসে দেখি. ফোন জায়গামত ছিলনা.
আর বলত অন্যপাশে কে ছিল?
সে কিছু বলার আগেই আমি সবকিছু বুঝে ফেললাম.
তুমি কি কখনো মৃত্যুর আওয়াজ শুনেছ?
তুমি জানো এটা কতটা ভয়ংকর?
শুনলে তোমার প্যান্ট ভিজে যাবে না তো?
আত্নাকে খালি করার জন্য প্রস্তত হও.
দশ,
নয়,... আট...
টাইলারের মত মানুষ কীভাবে বুঝতে পারল যে...
...মার্লার মৃত্যু আফসোসের ছিল?
পাঁচ,
চার...
দাড়াও.
তুমি জলদি এসে গিয়েছ.
আমি কি তোমাকে ডেকেছি?
সব প্ল্যাস্টিক দিয়ে ভর্তি.
ভয় পেওনা. ওটা তোমাকে কিছু করবেনা.
ওহ্ ধেত্তেরি!
কেউ পুলিশকে ফোন করে দিয়েছে.
- Hey, 513 কোথায়?
- করিডোরের শেষদিকে.
যেই মেয়েটা ওখানে থাকত সে খুবই সুন্দরী.
সে নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে.
- মিস সিঙ্গার, আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি!
- সে একটা পিশাচীনি!
- আপনার বেঁচে থাকার অনেক কারণ রয়েছে.
- সে মানুষ নামের কলঙ্ক!
- মিস সিঙ্গার!
- তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন!
যদি আমি ঘুমিয়ে যাই,
তাহলে মারা যাব.
তোমার আমাকে সারারাত জাগিয়ে...
...রাখতে হবে.
বিশ্বাসই হচ্ছেনা.
নিঃসন্দেহে সে সামলাতে পেরেছিল.
- তুমি জানো, তুমি তার সাথে সেক্স করেছ.
- না, এরকম নয়.
- কখনো না?
- না.
তাকে তোমার পছন্দ হয়না?
না! গড, একটুও নয়.
আমি ঐ ধরনের মানুষ ছিলাম না.
তুমি নিশ্চিত? চাইলে আমাকে বলতে পার.
বিশ্বাস করো, আমি সত্যি বলছি.
- চাইলে আমাকে গুলি করে উড়িয়ে দাও.
- খুব ভাল কথা.
সে আসলে অভিনয় করছে.
তার থেকে দুরে থেকো.
তার মুখ থেকে আমি যেসব কথা শুনেছি,
অন্যকোন মেয়ে থেকে আগে শুনিনি!
মাই গড.
স্কুলের পর আমাকে এমন করে কেউ চুদেনি.
টাইলার কীভাবে তাকে পছন্দ করতে পারল?
আগের রাতে মনে হচ্ছিল সে বিশ্ব সুন্দরীর জন্য পাগল.
মার্লার কোন প্রেমিক নয় একজন সেক্স করার লোক দরকার.
এটা ভালবাসা নয়, এটা হল আনন্দ.
প্রথম আমার গ্রুপে ঢুকেছে এখন আমার ঘরে.
Hey, hey. বসো.
এখন শুনো.
তুমি তার সাথে আমার ব্যপারে কথা বলবেনা.
আমি কেনই বাঁ...
যদি তুমি তাকে আমাদের ব্যাপারে
কিছু বল তাহলে,... সব শেষ.
- এখন ওয়াদা করো. করো?
- ঠিক আছে.
- হ্যা, ওয়াদা করছি.
- ওয়াদা?
- আমি বলেছি, করলাম, তুমি...
- তুমি তিনবার ওয়াদা করেছ.
যদি আমি কিছুক্ষণ সময় খরচ করে
মার্লার লাশ দেখতে যেতাম...
...তাহলে এসবকিছু হতনা.
জোরে, হ্যা! আহ্, আরও জোরে, উহ্!
আমি অন্যকোন রুমে যেতে পারতাম.
হয়তোবা উপরের তলায় গেলে আমি শান্তিতে থাকতে পারতাম.
কিন্ত আমি যাইনি.
- তুমি কী করছ?
- ঘুমাতে যাচ্ছিলাম.
তাকে চুদতে চাও?
- না. না, ধন্যবাদ.
- আমি সিগারেট খুজে পেয়েছি.
- তুমি কার সঙ্গে কথা বলছ?
- মুখ বন্ধ.
আমি যেন পৃথিবীর শান্তশিষ্ট প্রাণী হয়ে গেলাম.
আমি ছিলাম ঝেন মাস্টার.
আমি ছোট্ট ছোট্ট ছন্দ লিখেছিলাম.
তারপর সবাইকে ইমেইল করে দিলাম.
ওটা কি তোমার রক্ত?
হ্যা, কিছুটা.
তুমি অফিসের ভিতরে ধূমপান করতে পারনা.
আজকের দিনটা ছুটি নিয়ে নাও.
সোমবার পরিষ্কার জামাকাপড় পরে অফিসে আসবে.
নিজেকে সামলাও.
আমি সবার চিন্তিত চেহারায় তাকিয়ে থাকতাম.
"হ্যা, এই দাগগুলো লড়াই করে এসেছে."
"হ্যা, এতে আমার কোন নালিশ নেই."
"আমি সঠিক পথ খুজে পেয়েছি."
আপনি আপনার আরাম আয়েশের জীবন ফেলে দিয়ে,
ভাঙাচোরা নোংরা জায়গায় এসে বসতি করেন,
আর সেখানে এসেও এগুলো সহ্য করতে হয়.
- Hello.
- আমি ডিটেকটিভ স্টার্ন, আরসন ইউনিট থেকে.
আমাদের কাছে আপনার আগের ঘরের দুর্ঘটনা
সম্পর্কে কিছু তথ্য আছে.
হ্যা.
জানিনা আপনি জানেন কিনা, কিন্ত কেউ আপনার ফ্রন্ট ডোরের লকে ফ্রিওন স্প্রে করেছিল.
সে তালা ভেঙ্গে সিলিন্ডার ব্লাস্ট করেছে.
না, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানিনা.
আমি হলাম জ্যাকের ঘাম.
ব্যাপারটা কি আপনার কাছে অদ্ভুত লাগে?
হ্যা স্যার, অদ্ভুত. খুবই অদ্ভুত.
- ওটা দিয়ে ডিনামাইট
- ডিনামাইট?
আ্যমোনিয়ামের অক্সোলাইট পটাশিয়ামের
ক্লোরাইডের অংশবিশেষ রয়ে গিয়েছিল.
- আপনি এর মানে জানেন?
- না, এর মানে কী?
মানে হল, এটা ঘরে বানানো হয়েছিল.
দুঃখিত. আমি এই ব্যাপার কিছুই জানিনা, স্যার.
যে এই বিস্ফোরক বানিয়েছে সে দুর্ঘটনার কিছুদিন আগে আপনার ঘরে গিয়ে সবকিছু করে এসেছিল.
- গ্যাস ছিল শুধু ডেটোনেটর.
- কেউ কেন এরকম করবে?
- আমিও একই প্রশ্ন করছি.
- তাকে বল.
বল যে আমার ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে
সে-ই আমার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে.
এক্সকিউজ মি. আপনি শুনছেন?
আমি শুনছি.
আসলে আমি এই মুহুর্তে কিছুই বলতে পারছিনা.
সম্প্রতি আপনি কি এরকম কারও সাথে দুশমনি করেছেন যে এই ধরনের কার্যকলাপে অভিজ্ঞ?
- দুশমন?
- এইসব সৌখিন জিনিস ভুলে যাও,
জীবন এগুলোর উপর নির্ভর করেনা.
- এটা সিরিয়াস মামলা.
- হ্যা, আমি বুঝতে পারছি.
- এটা মজা নয়.
- হ্যা, এটা সিরিয়ার.
ব্যাপারটা আমার চেয়ে সিরিয়াসভাবে
কেউ নিয়ে পারবেনা.
ঐ ঘর আমার জীবন ছিল.
ওখানের প্রত্যেকটা ফার্নিচারকে আমি ভালবাসতাম.
ওগুলো কোন সাধারণ জিনিস ছিলনা.
- ওগুলো আমিই ছিলাম!
- আমি একাডেমীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই.
- আমি কি আপনাকে ভুল সময়ে ফোন করেছি?
- তাকে বল যে এটা তুমিই করেছ!
তাকে বল এটা তোমার কাজ ছিল!
সে এটাই শুনতে চায়.
- আপনি শুনছেন তো?
- দাঁড়ান. আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন?
না. হয়তোবা আপনার সঙ্গে আবারও কথা বলা
লাগতে পারে, শহরের বাহিরে গেলে আমাকে জানাবেন.
- ঠিক আছে?
- আচ্ছা.
সেক্স করার সময় ছাড়া, টাইলার আর মার্লা
কখনো এক রুমে থাকতনা.
আমার বাবা মা-ও অনেক বছর এরকম কর্মকান্ড করেছে.
কনডম আমাদের প্রজন্মের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস.
অপরিচিতদের সঙ্গে থাকলে এটা বেশি দরকার হয়.
সেক্স...তারপর নাচানাচি.
তারপর সেটা ফেলে দেই.
কনডমকে. সে অপিরিচিতকে নয়.
কী?
এক থ্রিফ্ট শপ থেকে আমি জামাটা মাত্র $1 দিয়ে কিনেছি.
একদম যথাযথ মূল্যের জামা.
এটা বিবাহের কনের ড্রেস.
কেউ একজন এটাকে একদিনের জন্য...
...অনেক ভালবেসেছে.
তারপর উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে.
ক্রিসমাস ট্রি-এর মত.
প্রথমে স্পেশাল.
তারপর
কিছুই না!
রাস্তার পাশে পরে থাকে.
কেউ চেয়েও দেখেনা.
সেক্স শিকারের মত.
হাত পা বাঁধা.
- প্ল্যাস্টিক টেপ দিয়ে লাগানো.
- তোমাকে ওটা সুন্দর মানাচ্ছে.
মন চাইলে মাঝেমধ্যে পরতে পার.
তাকে চলে যেতে বল.
- কী? তুমি বল!
- আমার নাম নিওনা.
আমি আবার 6 বছরে শিশু হয়ে গেলাম,
যে বাবা মা-র কথা একে অন্যকে পৌঁছে দেয়.
- সময় হয়েছে চলে যাবার.
- চিন্তা করোনা, আমি চলে যাচ্ছি.
- তবে চাইলে মাঝমধ্যে ঘুরে যেতে পার.
- তুমি আস্তা পাগল, তোমার সাথে কেউ থাকবেনা.
ধন্যবাদ. বিদায়.
তুমি আসলেই পোলাপান!
তুমি কেন ওর সঙ্গে সময় থেক অপচয় করো?
মার্লার ব্যাপারে আমি বলব যে...
...কমসে কম সে চেষ্টা করছে খারাপ হওয়ার.
আমি নই?
আমার সাথে থাকলে তুমি আমার মত হয়ে যাবেনা.
আজ রাতে আমরা কী করব?
আজ রাতে... আমরা সাবান বানাবো.
তাই নাকি?
সাবান বানানোর জন্য, আমাদের দরকার চর্বি.
ভালো সাবান বানানোর সিক্রেট হল ভালো মানের চর্বি...
...যেটা পাওয়া যায় মানুষের শরীর থেকে.
- দাড়াও, এটা কোন জায়গা?
- লাইপোসাকশন ক্লিনিক.
পেয়েছি!
পৃথিবীর কিছু বিত্তবানদের চর্বি.
যা পার নিয়ে নাও!
না! ওটা টান দিওনা, ওটা টান দিওনা!
- ওহ্ গড!
- আরেকটা দাও.
চর্বিকে জাল দেওয়া হলে সেটা ভেসে থাকে.
বয়েজ স্কাউটের মত.
- তোমাকে বয়েজ স্কাউটের রুপে কেমন দেখাবে.
- চর্বি নাড়াতে থাকো.
চর্বি জমে গেলে উপর গ্লিসারিনের মত
একটা আবরণ তৈরি হয়.
নাইট্রিক এসিড দিলে এটা হয়ে যাবে নাইট্রোগ্লিসারিন.
তারপর ওটাতে সোডিয়াম নাইট্রেট আর
কাঠের মিহি গুঁড়ো মিশিয়ে দিলে হয়ে যাবে ডিনামাইট.
হ্যা, অনেক সাবান বানাতে পারলে হবে এক ধামাকা.
টাইলারের কাছে অনেক ধরনের তথ্য ছিল.
আগের দিনের মানুষরা যদি নদীর এক বিশেষ কিনারায় কাপড় ধৌত করত তাহলে কাপড় বেশি পরিষ্কার হত.
- জানো কেন?
- না.
নদীর পাশে যেই পাহাড় ছিল সেখানে
মানুষকে বলি দেওয়া হত.
শরীর পুড়ে যেত.
আর সেই বিশেষ কিনারায় ক্ষার আশ্লিষ্ট থাকত.
এটা হল ক্ষার.
এট পুড়ে যাওয়ার শরীরের চর্বির সাথে মিশে যেত,
আর এক ধরনের সাদা সাবানের মত জিনিস নদীতে বয়ে যেত.
তোমার হাতটা দেখাও, প্লিজ?
এটা কী?
এটা হল কেমিক্যাল বার্ন.
তোমার এত বেশি ব্যথা হবে যে আগে কখনো এরকম ব্যথা হয়নি.
ক্যান্সারের জন্য যদি মেডিটেশন কাজ করে,
তাহলে এটাও করবে.
- ব্যথাকে চলে যেতে দিওনা.
- ওহ্ গড!
প্রথম সাবান তোমার হাতে তৈরি হচ্ছে,
একটু ব্যথা তো সহ্য করতেই হবে.
এই জগতে ত্যাগ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়না.
আমি কিছুক্ষণের জন্য অন্যকিছু ভাবতে লাগলাম.
- থামাও!
- এটার নাম ব্যথা, এটা তোমার জলন্ত হাত.
আমি আমার গুহায় গিয়ে পাওয়ার এ্যনিমেলকে খুজব.
না! মরা মানুষের মত অভিনয় শুরু করে দিওনা!
- আমি বুঝতে পেরেছি!
- না! তুমি যা অনুভব করছ সেটা অপরিণত জ্ঞানদান.
এটা তোমার জীবনের সেরা মুহুর্ত,
আর তুমি অন্যকিছুতে মনোযোগ দিচ্ছ!
না, আমি করছিনা!
চুপ থাকো!
আমাদের বাবার ছিলেন আদর্শ মানব.
যদি তারা আমাদের ছেড়ে চলে যায়,
তাহলে তুমি কেমন ভাববে?
আমার কথা শুন. তোমার এরকম ভাবতে হবে যে
হয়তোবা খোদা তোমাকে পছন্দ করেন না.
তিনি কখনোই তোমাকে চাননি.
হতে পারে তিনি তোমাকে ঘৃণা করতেন.
তোমার সাথে আরও খারাপ কিছু হতে পার.
আমাদের উনার দরকার নেই!
- আমি মানছি!
- *** damnation, *** redemption.
We are God's unwanted children? So be it!
- আমাকে পানি দাও!
- পানি দিলে ঘা আরও বেড়ে যাবে...
- ঘা ঠিক করার জন্য ভিনেগার ব্যবহার করতে পার.
- দয়া করে আমকে ছেড়ে দাও!
প্রথমে তোমাকে হার মানতে হবে.
ভয়কে দুরে সরিয়ে দিতে হবে,
এটা স্বীকার করতে হবে যে একদিন তুমি মারা যাবে.
তুমি বুঝতে পারছনা আমার কেমন লাগছে!
যখন আমরা সবকিছু হারিয়ে ফেলি,
তখন যা ইচ্ছে করতে পারি.
আচ্ছা.
অভিনন্দন.
পরীক্ষায় তুমি সফল হয়েছে.
টাইলার তার সাবান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে
$20 করে বিক্রি করত.
তারা কত দিয়ে বিক্রি করতে সেটা খোদায় জানে.
- এটা সবচেয়ে ভাল সাবান.
- ধন্যবাদ, সুজান.
বড়ই অদ্ভুত.
বিত্তবান মহিলাদের চর্বি আমরা আবার
তাদের কাছেই বিক্রি করছিলাম.
সে তার হলুদ রংয়ের টাই পড়েছিল.
এখন আমি আর অফিসে টাই পরতাম না.
"ফাইট ক্লাবের প্রথম রুল হল আপনি
ফাইট ক্লাবের ব্যাপার কথা বলবেন না."
আমি আবারও অনিদ্রায় ছিলাম.
মনে হয় ওরিজিনাল কপি আমি মেশিনে রেখে দিয়েছিলাম.
"দ্বিতীয় রুল হল..." এটা কি তোমার?
ধরে নাও তুমি আমার পদে আছ.
আমার মত একজন ম্যানেজার.
যদি তুমি এটা পেতে. তাহলে কী করতে?
আমার আপনাকে বলে দেই,
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনি কার সাথে কথা বলছেন.
কারণ যেই ব্যাক্তি এটা লিখেছে সে খুবই ভয়ংকর.
আর তারপর এই দামী কাপড়ের ভিতর
লুকানো দানব জেগে উঠতে পারে
তারপর সে এক এ্যর্মালাইট AR10 কার্বাইন...
...গ্যাসে চালিত সেমিঅটোমেটিক হাতিয়ার নিয়ে,
এক অফিস থেকে অন্য অফিসে গিয়ে
কলিগদের হত্যাও করতে পারে.
সেই দানব এমন কেউ হতে পারে যাকে আপনি...
বেশ কয়েকবছর ধরে চেনেন.
আমি টাইলারের মত কথাবার্তা বলতে লাগলাম.
আমি একজন ভাল মানুষ ছিলাম.
অথবা ডাস্টবিন থেকে কুড়ানো কাগজ
আমার কাছে না নিয়ে আসা উচিৎ.
- কমপ্লায়েন্স এন্ড লায়াবিলিটি.
- আমার দুধগুলো কেমন যেন করছে.
এখান থেকে যাবেন? আমাকে কথা বলতে হবে.
- তুমি কী বলছ?
- আমি চাই তুমি একটু আমার দুধ হাতিয়ে দেখো.
- হসপিটালে যাও.
- আমি এখন পয়স খরচ করতে পারবনা.
আমি এইসব ব্যাপারে জানিনা, মার্লা.
প্লিজ.
সে টাইলারকে ফোন করেনি.
তার কাছে আমি হলাম নিরপেক্ষ.
খুব ভাল. খাবার নিয়ে যাও Mrs হ্যানিভার
এবং Mrs রেইন্সের জন্য.
আসলে তারা কোথায়?
আফসোস, তারা মারা গিয়েছে.
আমি জীবিত এবং দরিদ্র. তোমার লাগবে?
- না, না.
- আমি তোমার জন্যও এনেছি.
বলেছ এতেই খুশি.
তোমার হাতে কী হয়েছে?
কিছুনা.
এখানে?
- কিছু অনুভব করছ?
- না.
নিশ্চিত হয়ে বল.
হ্যা, আমি নিশ্চিত.
কিছু অনুভব হচ্ছেনা?
না, কিছুনা.
যাক, বাচা গেল. ধন্যবাদ.
- ব্যাপার না.
- যদি আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারতাম.
আমার বংশে পুরুষদের স্তন ক্যান্সার হয়না.
- আমি অন্যকিছুও দেখতে পারি.
- না, আমি ঠিক আছি.
ধন্যবাদ তাহলে.
- কাজ শেষ হয়েছে?
- হ্যা, শেষ.
দেখা হবে... পরে কখনো.
কর্নিলিয়াস?
কর্নিলিয়াস!
আমি! বব!
Hey, বব.
- আমরা ভেবেছিলাম তুমি মারা গিয়েছ.
- না, না. এখনো বেঁচে আছি.
- কী অবস্থা, বব?
- এরকম ভাল আগে কখনো ছিলাম না.
- সত্যি? তুমি এখনো ঐ দলের সঙ্গে?
- না, না.
- আমি ওটার চেয়েও ভাল কিছু পেয়েছি.
- তাই নাকি, কী সেটা?
আসলে...
প্রথম রুল হল,
আমাকে ওটার ব্যাপারে কথা বলা উচিৎ না.
আর দ্বিতীয় রুল হল
আমাকে ওটার ব্যাপারে কথা বলা উচিৎ না.
- আর তৃতীয় রুল হল...
- বব, বব. আমিও একজন সদস্য.
আমার চেহার দেখো, বব.
অস্থির মামা... পুরা অস্থির!
- আমি তোমাকে কখনো দেখিনি.
- আমি সুধু মঙ্গল আর বুধবার যাই.
- আমি শনিবার যাই.
- অভিনন্দন.
আমাদের দুজনকেই অভিনন্দন.
যে এই ক্লাব বানিয়েছে তার ব্যাপারে কিছু জানো?
- হ্যা, আসলে...
- আমি সবকিছু জানি.
শুনেছি, সে নাকি এক মেন্টাল হসপিটালে জন্মগ্রহণ করেছে
আর রাতে শুধু এক ঘন্টা ঘুমায়.
সে এক মহান মানব.
তুমি টাইলার ডার্ডনের ব্যাপারে জানো?
আমি তোমাকে ব্যথা দেইনি তো?
হ্যা, দিয়েছ.
এরজন্য ধন্যবাদ.
ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ.
ফাইট ক্লাব.
এটা আমার আর টাইলারের উপহার ছিল.
পৃথিবীর জন্য আমাদের উপহার.
আশেপাশে তাকালে আমি অনেক
নতুন চেহারা দেখতে পাচ্ছি.
চুপ থাকো!
এর মানে হল তোমাদের অনেকে
ফাইট ক্লাবের প্রথম দুই রুল ভেঙ্গেছে.
ফাইট ক্লাবে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী পুরুষদের দেখতে পাই.
আমি এইসব ক্ষমতা দেখি.
আর সেটা নষ্ট হতেও দেখি.
এক পুরো প্রজন্ম গ্যাস ভরে.
ওয়েটারের কাজ করে.
আরও বিভিন্নরকম কাজ করে.
বিজ্ঞাপন দেখে আমরা গাড়ি, কাপড়চোপড় কিনি.
চাকরী করি, এরকম এরকম জিনিস কিনি
যেগুলোর কোন দরকার নেই.
আমরা ইতিহাসের মধ্যখানের প্রজন্ম.
আমাদের কাছে না আছে লক্ষ্য.
না কোন ঘর, না বিশ্বযুদ্ধ.
না দুর্দান্ত বিষন্নতা.
আমাদের লড়াই হল আধ্যাত্মিক লড়াই.
আমাদের বিষন্নতাই আমাদের জীবন.
আমরা টেলিভিশন দেখে দেখে
এটা ভেবে বড় হয়েছি যে...
...একদিন আমরা কোটিপতি, ফিল্মস্টার, রকস্টার হব.
কিন্ত এরকম হবেনা.
এখন আমরা সত্যটা ধরতে পেরেছি.
আর এখন আমরা অনেক অনেক নারায.
হ্যা!
- ফাইট ক্লাবের প্রথম রুল হল, ফাইট ক্লাবের...
তুমি কে?
- আমি কে?
- হ্যা.
বাহিরে এক বোর্ডে লেখা আছে লুস টাভেন. (রেস্তোরাঁ)
আমিই সেই লু. কিন্ত তুমি কে?
টাইলার ডার্ডন.
তোমাকে কে আমার জায়গা
ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে?
আমরা আরভিনের সাথে চুক্তি করেছি.
আরভিন তো ভাঙ্গা মেরুদণ্ড নিয়ে হসপিটালে আছে.
সে এই জায়গার মালিক নয়. আমি মালিক.
- তোমরা তাকে কত টাকা দিচ্ছ?
- কোন টাকা নাই.
- সবার জন্য ফ্রি.
- কী অদ্ভুত, তাই না?
এটাই সত্যি.
দেখো, বলদের বাচ্চা!
- সবাইকে এই মুহুর্তে চলে যেতে হবে.
- Hey!
তোমাকে আমাদের ক্লাবে জয়েন করা উচিৎ.
শুনতে পাওনি আমি কী বলেছি?
তুমি আর তোমার বন্ধু.
এখন শুনতে পেয়েছ?
না, আমি ঠিকমত শুনিনি, লু.
এখনো না.
আচ্ছা, আচ্ছা, বুঝেছি.
আমি বুঝেছি. ধেত্তেরি, আমার ভুলে গেলাম.
পিছনে যাও! সবাই!
সবাই পিছনে!
Ah, লু!
আরে দোস্ত!
আমরা এই জায়গাটা অনেক পছন্দ করি.
- শাবাশ, লু. নিজের রাগ দেখাও.
- মুখ বন্ধ রাখ.
ওহ্ হ্যা!
এসব মজা মনে হচ্ছে?
ঐ হালায় পুর উন্মাদ.
বিশ্বাসই হচ্ছেনা.
- তুমি জাননা আমি কে, লু.
- ওহ্ মাই গড!
তুমি জাননা তোমার কী রোগ হতে পারে!
আমাদেরকে দিয়ে দাও, লু! প্লিজ, লু!
তুমি এটা ব্যবহার করতে পার! ক্রাইস্ট!
ওয়াদা করো, লু! ওয়াদা করো!
আমার মায়ের কসম খাচ্ছি.
ধন্যবাদ, লু.
পরের সপ্তাহে আবার দেখা হচ্ছে.
এই সপ্তাহে, তোমাদের সবাইকে
একটা হোমওয়ার্ক দেওয়া হবে.
তোমাদের বাহিরে গিয়ে অপরিচিত
কারও সঙ্গে লড়াই করতে হবে.
মারামারি করতে হবে
আর হেরে যেতে হবে.
সুন্দর পছন্দ, স্যার.
Hey! সামলে গাধা!
ব্যাপারটা এতটা সহজ না যেরকম মনে হচ্ছে.
কুত্তারবাচ্চা!
সাধারণ মানুষ মারামারি এড়িয়ে যায়.
এক্সকিউজ মি!
আপনি আমার উপর পানি ঢেলেছেন.
এসবের কোন মানে...
জে! পুলিশকে ফোন কর!
পাইপ নিচে রাখো.
থামাও! থামাও!
দুঃখিত.
আমাদের কথা বলতে হবে.
আচ্ছা.
কোত্থেকে শুরু করতে চাও?
অবিরত অনুপস্থিতি থেকে?
এই উদ্ভট রুপের রহস্য থেকে?
অচিরেই তোমার রিভিউ হবে.
হয়তোবা আমি জ্যাকের অসুস্থতা.
- কী?
- ধরে নিন.
আপনি হলেন পরিবহন দপ্তর, ঠিক আছে?
আর কেউ আপনাকে এসে বলে যে এই কোম্পানি...
...সিটে কমদামী বেল্ট ব্যবহার করে,
যেটা কখনো যাচাই করা হয়না,
এমন ব্রেক লাগায় যেটা 1 হাজার মাইল
চলার পর কাজ করেনা,
আর ইঞ্জেক্টর যেটা বিস্ফোরণ হয়ে
মানুষকে জীবিত পুড়িয়ে দেয়.
তখন কী করবেন?
তুমি আমাকে ধমকি দিচ্ছ?
- না...
- কেটে পর এখান থেকে. তুমি বহিষ্কৃত!
আমার কাছে আইডিয়া আছে. আপনি আমাকে একজন
কনসালটেন্টের পদে চাকরী দিয়ে দিন, আর...
...আমার বেতনের বদলে...
...আমার কাজ হবে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে
কারও সাথে আলাপ না করা.
আমাকে অফিসেও আসতে হবেনা.
আমি এই কাজ ঘরে বসেও করতে পারব.
তুমি... তুমি নিজেকে কী ভাব?
পাগল বেশরম কোথাকার!
- সিকিউরিটি!
- আম হলাম জ্যাকের প্রতিশোধের ভাবনা.
এসব আপনি কী করছেন?
ব্যথা হচ্ছে.
আপনি কেন এসব করছেন?
ওহ্ মাই গড! না! প্লিজ থামুন!
আপনি কী করছেন?
ওহ গড না! প্লিজ! না!
জানিনা কেন, টাইলারের সাথে আমার
প্রথম ঝগড়ার কথা মনে পরে গেল.
না!
এই লোকটা কোনকিছুকেই গুরুত্ব দিচ্ছিলনা,
অশুভ কিছু একটা হতে যাচ্ছে.
দেখুন.
আমাকে আমার স্যালারি চেক দিয়ে দিন,
আমি কখনো আর আপনার সামনে আসবনা.
তারপর আমাদের অতি সুন্দর মুহুর্তে...
খোদার শোকরিয়া!
দয়া করে আমকে মারবেন না.
টেলিফোন, কম্পিউটার,
ফ্যাক্স মেশিন, 52 সপ্তাহের স্যালারি চেক
আর 48 টা এয়ারলাইন টিকেট.
এখন আমাদের কাছে কর্পোরেট স্পন্সরশীপ ছিল.
এভাবেই আমি আর টাইলার প্রতিরাতে
ফাইট ক্লাব চালাতে পারতাম.
এখন, ফাইট ক্লাবের কেন্দ্র হয়ে গেল দুজনের মারামারি.
লিডার অন্ধকারে শোরগোলের পিছন পিছন ঘুরত.
টাইলার প্রেসমেন হোটেলের স্যুপে
প্রসাব পাওয়ার অভিযোগে...
...মামলায় পরে গেল.
আমি হলাম জ্যাকের বেকার জীবন.
ধন্যবাদ, স্যার.
টাইলার হোমওয়ার্কের এ্যসাইনমেন্ট দেখত.
সে ওগুলো খামে ঢুকিয়ে সবাইকে দিত.
- তুমি জানো ডেলাওয়্যার শহরে একটা ফাইট ক্লাব আছে.
- হ্যা, শুনেছি.
পেন্স গ্রুভেও একটা আছে.
বব নিউ ক্যাসেলে আরেকটা খুজে পেয়েছে.
- ওটা তুমি শুরু করেছ, তাই না?
- না, আমি ভেবেছিলাম তুমি করেছ.
না.
- এক মিনিট.
- Hey,কী হয়েছে?
- ঐদিক ঘুর.
- কী করছ?
- হোমওয়ার্ক এ্যসাইনমেন্ট.
- কী ধরনের?
মানুষ বলিদান.
- ওটা কি বন্দুক?
- এটা বন্দুক.
- তুমি কী করছ?
- পিছনে গিয়ে আমার অপেক্ষা করো.
- দাড়াও, থামো!
- পিছনে গিয়ে অপক্ষা করো.
এমন এক সময় আসে,
যখন মানুষ হাসতে হাসতে মৃত্যুর মোকাবেলা করে.
কী করছ তুমি?
হাত পিছে রাখো.
মানিব্যাগ আমাকে দাও.
রেমন্ড K হেসেল.
1320 ব্যানিং, অ্যাপার্টমেন্ট A.
- এক ছোট বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্ট?
- তুমি কীভাবে জানো?
ফালতু অ্যাপার্টমেন্টে তারা নাম্বারের বদলে অক্ষর দেয়.
রেমন্ড! তুমি মারা যাচ্ছ.
না!
এরা কি তোমার বাবা মা?
তারা কোন দয়ালু ডাক্তারকে ফোন করে...
তোমার ডেন্টাল রেকর্ড আনতে বলবে. জানো কেন?
- কারণ তোমার চেহারায় কিছুই থাকবেনা.
- Oh, come on!
এক মেয়াদোত্তীর্ণ কলেজ ID.
তুমি কী পড়, রেমন্ড?
- ক... ক... কিছু.
- কিছু?
পরীক্ষা কঠিন হয়েছিল?
- আমি জিজ্ঞেস করেছি তুমি কী পড়তে!
- জীববিজ্ঞান, বেশীরভাগ সময়.
- কেন?
- আমি জানিনা.
তুমি কী হতে চাইতে, রেমন্ড K হেসেল?!
প্রশ্ন করেছি রেমন্ড,
তুমি কী হতে চাইতে?
উত্তর দাও, রেমন্ড, জিসাস!
- পশুচিকিৎসক. পশুচিকিৎসক.
- পশু.
- হ্যা. পশু প্রাণী.
- হ্যা, বুঝতে পেরেছি.
- তো তোমাকে আরও পড়ালেখা করতে হবে?
- আরও অনেক.
- তুমি কি তার বদলে মরতে চাও?
- না, প্লিজ...
তুমি কি এখানে হাটু গেড়ে বসা অবস্থায়
নিজের দোকানের পিছনে মরতে চাও?
প্লিজ, না.
আমি তোমার লাইসেন্স নিয়ে নিচ্ছি.
আমি তোমাকে নজরে রাখব.
আমি জানি তুমি কোথায় থাকো.
যদি তুমি 6 সপ্তাহের মধ্যে আবার পড়ালেখা শুরু না কর...
...তাহলে তুমি মারা যাবে.
এখন বাসায় যাও.
দৌড়াও, ফরেস্ট, দৌড়াও!
(ফরেস্ট গাম্প মুভির অনুকূল)
আমার শরীর খারাপ লাগছে.
ভাব তার কেমন লাগছে.
এটা মজার ব্যাপার না!
তুমি কেন ওটা করলে?!
আগামীকাল হবে রেমন্ড K হেসেলের
জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন.
ছোট ছোট কাজও তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লাগবে.
কথাটা সত্য ছিল.
- চলো.
- তার কাছে প্ল্যান ছিল.
আর ব্যাপারটা একদিক থেকে সঠিক লাগতে লাগল.
না ভয়. না ক্ষোভ.
ছোটখাটো ব্যাপারে মনোযোগ না দেওয়ার ক্ষমতা...
...ভালই ছিল.
তোমার চাকরী তোমার পরিচিতি নয়.
তোমার পরিচিতি তোমার ব্যাংক ব্যাল্যান্স দিয়ে নয়.
তোমার ব্যাংক ব্যাল্যান্স...
...তোমার মানিব্যাগে থাকা জিনিস দিয়ে নয়.
তোমার পরিচিতি তোমার কাপড় দিয়ে নয়.
তোমরা সবাই হলে পৃথিবীর বেকার জীব.
আমি এখনই চলে যাচ্ছি.
তোমার এখন যাওয়ার দরকার নেই.
ঠিক আছে.
না, মানে... তুমি এখানে থাকতে পার.
তুমি এখনো গ্রুপে যাও?
হ্যা.
ক্লোয়ি মারা গিয়েছে.
বাহ্, ক্লোয়ি.
কবে হয়েছে?
তোমার কী আসে যায়?
জানিনা. অনেকদিন ধরে তার ব্যাপারে ভাবিনি.
হ্যা, আসলে...
যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে.
শুন...
তুমি এসব করে কী লাভ পাচ্ছ?
কী?
মানে, তার সাথে এসব...
তুমি এটা করে সুখ পাও?
হ্যা, কখনো কখনো.
জানিনা. আমি বুঝতে পারিনা.
একজন দুর্বল মানুষ কেন একজন
শক্তিশালী মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে?
এর... কী কারণ হতে পারে?
তুমি এসব করে কী লাভ পাচ্ছ?
না... দুটো দুরকম ব্যাপার.
আমাদের ব্যাপারটা একমদই ভিন্ন ভিন্ন.
আমরা?
"আমরা" বলে তুমি কী বলতে চাচ্ছ?
- আমি দুঃখিত. তুমি কি শুনতে পাচ্ছ?
- কী শুনব?
- এতসব আওয়াজ. একটূ দাড়াও.
- না, থামো!
তুমি কথা পাল্টে দিওনা!
আমি এই ব্যাপারে কথা বলতে চাই.
- তুমি আমার ব্যাপার কথা বলছ না তো?
- না.
- কী?
- ডাক্তার হয়ে আমাকে সাহায্য করেছিলে. আসলে সেটা কী ছিল?
- তোমরা কী নিয়ে কথা বলছ?
- কিছুনা. কিছুনা.
- আমি তা মনে করিনা.
- তুমি কী চাও?
- আমার দিকে তাকাও.
- না. কী?
- এটা কী?!
- কিছুনা. চিন্তা করোনা.
মাই গড. এটা কে করেছে?
- কেউ একজন.
- ছেলে না মেয়ে?
- এতে কী আসে যায়?
- উত্তর দিলে কষ্ট হবে?
- যাও এখান থেকে.
- বলতে ভয় হচ্ছে.
- একদম না. আমাকে যেতে দাও.
- না! আমাকে বল.
ছাড় আমাকে!
- এই কথোপকথন
- এই কথোপকথন
- এখানেই শেষ.
- এখানেই শেষ.
মনে হয় তোমার সঙ্গে পেরে ওঠা অনেক মুস্কিল, তাই না?
Hey, এসব কথাবার্তা বাদ দাও!
এসব... এসব কী?
তোমার কী মনে হয়?
Hey, আমাদের বাঙ্ক বেড কেন লাগবে?
Hey!
তুমি একদম পুলাপাইন.
দুঃখিত.
এসব কী হচ্ছে?
যদি প্রার্থী কমবয়সী হয় তাহলে
তাকে বল সে কমবয়সী.
- বুড়ো হলে বুড়ো. মোটা হলে মোটা.
- প্রার্থী?
যদি প্রার্থী তিন দিন মাথার উপর ছাদ আর
খাবার দাবার ছাড়া অপেক্ষা করতে পারে...
...তাহলে সে এসে ট্রেনিং শুরু করতে পারে.
কীসের ট্রেনিং?
তুমি এটাকে খেলা মনে করছ?
ট্রেনিং নেওয়ার জন্য তুমি অনেক ছোট.
সময় নষ্ট না করে চলে যাও.
দুঃসংবাদ, দোস্ত.
এভাবে হলে হবেনা.
ভুল বোঝাবোঝি হলে আমরা দুঃখিত.
এটা পৃথিবীর অন্ত নয়.
তুমি... চলে যাও.
যাও.
তুমি জোর করে আছ, আমাকে পুলিশ ডাকতে হবে.
আমার দিকে তাকাবেনা!
তুমি এই ঘরে কখনোই ঢুকতে পারবেনা!
কক্ষনো না. কেটে পর এখান থেকে! যাও বলছি!
ধীরে ধীরে, টাইলার যেভাবে চেয়েছিল
আমরা সবাই সেরকম হয়ে যেতে লাগলাম.
আমি ভিতরে গিয়ে কামান নিয়ে আসছি.
- দুইটা কাল শার্ট আছে?
- হ্যা, স্যার.
- দুই জোড়া কালো প্যান্ট?
- হ্যা, স্যার.
- এক জোড়া কালো জুতা? কালো মোজা?
- হ্যা, স্যার.
- একটা কালো জ্যাকেট.
- হ্যা, স্যার.
- মারা গেলে তোমার দাফনের জন্য $300?
- হ্যা, স্যার.
ঠিক আছে.
তুমি অনেক মোটা আর বুড়ো.
তোমার দুধ অনেক বড়.
চলে যাও এখান থেকে.
বব! বব!
এক মানকির মত স্পেসে যাওয়ার জন্য প্রস্তত হও.
(বাঁদর/অন্তরীক্ষ)
স্পেস মানকি.
পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য বলি হবে.
তুমি অনেক ভোটকু!
আর তুমি... তোমার চুল বেশি
সোনালী!
এখান থেকে চলে যাও!
তো এভাবেই চলতে থাকল.
আজাইরা পোলাপাইনরা.
তোমার স্পেশাল কেউ নও.
তোমরা খুব সুন্দর নও আর প্রতিভাবানও নও.
তোমরা অন্য সবার মতই বেকার লোকজন.
টাইলার নিজের জন্য এক সেনাদল বানাচ্ছে.
আমরা হলাম পৃথিবীর সবচাইতে বেকার লোকজন.
আমরা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে.
টাইলার ডার্ডন কেন সেনাদল বানাচছে?
কী লক্ষ্য?
কীসের মঙ্গলের জন্য?
আমরা টাইলারের উপর ভরসা করলাম.
যখন টাইলার বলে,
"তোমার পরিচিতি তোমার চাকরী দিয়ে নয়",
আমি বললাম, "হ্যা!"
Hey, এসব কী?
Hey!
আচ্ছা!
- কী চলছে?
- আমরা উদযাপন করছি.
- কিসের উদযাপন?
- যাও.
- Hey.
- দাও, আমি সবাইকে দিয়ে দিচ্ছি.
Ssh!
তদন্তকারীরা এখানে এসেছেন.
পুলিশ কমিশনার মাত্র এসে পৌঁছেছেন.
আপনি আমাদের বলতে পারবেন এখানে কী হয়েছে?
আমাদের বিশ্বাস
সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন বর্বরতার সঙ্গে...
আন্ডারগ্রাউন্ড বক্সিং ক্লাবগুলোর সম্পর্ক আছে.
আমরা ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখছি.
পুলিশ কমিশনার জ্যাকব
যিনি মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন,
- প্রায় এক ঘন্টা আগে আগুন...
- অস্থির মাল!
এখন ফিরে যাচ্ছি স্টুডিওতে.
- হ্যা!
- হ্যা!
- বাপ্রে বাপ!
- হ্যা!
তোমরা এসব কী করেছ?
স্যার, প্রোজেক্ট মেইহেমের প্রথম রুল হল
আপনি প্রশ্ন করবেন না, স্যার.
অপরাধের বিরুদ্ধের জয় আনা...
...কোন ছেলেখেলা নয়.
এরজন্য দরকার শ্রদ্ধা, মেহনত আর
সবচাইতে বেশি সহযোগিতা.
রাস্তাঘাট এখন নিরাপদ. তবে শহর উন্নয়নের জন্য
আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি...
আমাকে বাথরুমে যেতে হবে.
এটা এক দীর্ঘ যাত্রার পথচলা.
এজন্যই আমরা এই প্রোজেক্ট শুরু করেছি.
বব.
প্রোজেক্টে সফলতা আনার জন্য
পুলিশ আর কমিউনিটি লিডারদের মিলে কাজ করতে হবে.
অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য
এটা হবে এক মোক্ষম অস্ত্র.
- তার শরীর পুরো বেঁধে ফেলো.
- তার ধন পুরো নেতিয়ে গিয়েছে.
Hi. তোমাকে তদন্ত বন্ধ করতে হবে.
তোমাকে ঘোষণা দিতে হবে যে
কোন আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপ নেই
নাহলে এরা তোমার ধন কেটে ফেলবে.
ধন অর্ধেক করে এক অংশ পাঠাবে নিউ ইয়র্ক টাইম্সে
আর অন্য অংশ LA টাইমসে.
দেখো.
তুমি যাদের ধরতে চাচ্ছ তাদের উপরই তুমি নির্ভরশীল.
আমরা তোমার খাবার বানাই. ময়লা ফেলে দেই.
কল কানেক্ট করি.
এম্বুলেন্স চালাই.
তোমার দেখেশোনা করি.
আমদের ফাঁসিয়ে দিওনা.
চেক করো!
বব, তুমি ঐদিক দেখো.
চলো.
আমি হলাম জ্যাকের অতৃপ্ত আত্না.
Hey!
হ্যা!
আমার এমন লাগছিল যেন আমি...
...এক এক করে সকল জীবকে মেরে ফেলব.
আমি সব তেলের ট্যাঙ্কি ফেলে...
...সমুদ্র সৈকত জ্বালিয়ে দিতে চাই.
আমি ধোঁয়ায় শ্বাস নিয়ে চাচ্ছিলাম.
কোথায় চলে গিয়েছিলে?
মন চাচ্ছিল সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য.
তাকে হসপিটালে নিয়ে যাও.
হ্যা.
চিন্তা করবেন না, Mr ডার্ডন.
এয়ারপোর্ট পার্কিং লম্বা সময়ের জন্য.
আগে আপনি, Mr ডার্ডন.
না, আগে আপনি.
- কিছু ভাবছ?
- না.
হ্যা, আমাকে প্রোজেক্ট মেইহেমের ব্যাপারে
কেন কিছু বলা হয়নি?
প্রোজেক্ট মেইহেমের প্রথম রুল হল কখনো প্রশ্ন করেবেনা.
তুমি কেন প্রথমে সবকিছু বলনি?
ফাইট ক্লাব একটা প্রারম্ভ ছিল. এখন এটা বেসমেন্ট থেকে বের হয়েছে আর এটার নাম হল প্রোজেক্ট মেইহেম.
আমরা দুজন মিলে ফাইট ক্লাব শুরু করেছিলাম. মনে আছে?
এটা আমাদের দুজনেরই.
- কথা কি আমার হচ্ছে না তোমার?
- হ্যা. আমরা কি এটা একসাথে মিলে করছিনা?
এটা শুধু আমাদের না.
আমরা স্পেশাল কেউ নই.
বকবক বন্ধ করো. তোমার আমাকে বলা উচিৎ ছিল.
Hey, টাইলার!
- ধেত্তেরি, টাইলার!
- কী চাও তুমি?!
তোমাকে সবকিছু জানাই?
ইমেইল করে পাঠাই?
- ওহ্...
- আগে তুমি ঠিক করো তুমি কতটা সম্পৃক্ত হবে!
অবশ্যই! তবে আগে আমি কিছু জিনিস জানতে চাই!
- প্রোজেক্ট মেইহেমের প্রথম রুল হল...
- চপ করো!
- আমি জানতে চাই তুমি কী প্ল্যান করছ.
- ওসব ভুলে যাও!
ভুলে যাও তোমার জীবনের কথা, বন্ধুত্ব,
আর বিশেষ করে আমার আর তোমার ব্যাপারে.
এসবের মানে কী?
তুমি কী করছ?
তোমরা মরার আগে কী করতে চাও?
- নিজের এক ছবি আঁকাতে চাই.
- একটা ঘর বানাতে চাই.
- আর তুমি?
- জানিনা. কিচ্ছুনা.
- গাড়ি ঠিকমত চালাও.
- তোমাকে জানতে হবে!
যদি তুমি এখন মারা যাও,
তাহলে নিজের জীবনের ব্যাপারে কী ভাবতে?
অবশ্যই ভাল কিছু নয়.
তুমি এটাই শুনতে চাচ্ছিলে তো?
- জলদি!
- এখনো হয়নি.
ফাজলামো বন্ধ করো! টাইলার!
জিসাস ক্রাইস্ট!
ধেত্তেরি! ধেত্তেরি! তুমি পাগল!
তোমার ফাইট ক্লাব আর মার্লার মায়ের বাপ!
আমার আর এসব ভাল লাগছেনা!
ঠিক আছে.
- ঠিকমত গাড়ি চালাও!
- নিজেকে একটু দেখো!
- হুইল ধরো!
- দেখো নিজেকে. পাগল কোথাকার!
- কেন? কেন? তুমি কেন এসব বলছ
- তুমি কেন মনে কর আমি তোমার ঘর ধ্বংস করেছি?
কী?
এমনি এমনি ফলফল জানিয়ে দেওয়া ঠিক না.
এটা কোন সেমিনার না.
সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা বন্ধ করো
আর এটা ছেড়ে দাও!
ছেড়ে দাও!
ঠিক আছে. বুঝেছি.
আচ্ছা.
আমার আগে কখনো গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়নি.
হয়তোবা তাদের এরকমই অনুভব হয়েছে, তারপর...
...তাদেরকে আমি আমার রিপোর্টে দাখিল করেছি.
ধেত্তেরি!
মৃত্যুর কত নিকটে ছিলাম!
আমি কাল্পনিক জগতে,
তুমি এক হরিণ যে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের...
খাঁদে খাঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে.
তুমি লেদারের জামাকাপড় পরিহিত থাকবে
যেটা সারাজীবন টিকে থাকবে.
তুমি সিয়ার্স টাওয়ার থেকে লম্বা লম্বা গাছে উঠবে.
আর নিচে তাকালে দেখতে পাবে
ছোট ছোট মানুষ মসলা বিক্রি করছে,
খাবার রাঁধতে দেখবে আর...
হাইওয়েতে গাড়ি পরিষ্কার করতে দেখবে.
নিজেকে সামলাও.
আর তারপর...
টাইলার?
..টাইলার চলে গেলো.
আমি কি ঘুমাচ্ছিলাম?
সত্যি সত্যি ঘুমাচ্ছিলাম?
সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গেল.
মানুষের শোরগোল বেড়ে যাচ্ছিল.
সবাই যার যার কাজ করছিল.
প্ল্যানেট টাইলার.
আমাকে দেয়াল সামলাতে হল.
আমি স্পেস মানকির ঝঞ্জালে ফেসে গিয়েছিলাম
তুমি এখানে ধূমপান করছ!
তুমি জান এখানে কী আছ?!
সব ধরনের কাজ ভাগাভাগি করে হত.
এক মিনিট দাড়াও.
এটা নিয়ন্ত্রণে আছে, স্যার.
টাইলার কোথায়?
স্যার, প্রোজেক্ট মেইহেমের প্রথম রুল হল...
আচ্ছা... ঠিক আছে.
আমি একদম নিঃস্ব.
আমার বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল.
আর এখন টাইলারও.
আমি হলাম জ্যাকের ভাঙ্গা হৃদয়.
প্রোজেক্ট মেইহেমে সামনে কী হবে
সেটা শুধু টাইলারই জানত.
দ্বিতীয় রুল হল প্রশ্ন না করা.
যাও এখান থেকে!
যাও বলছি!
এরা সবাই কারা?
পেপার স্ট্রীট সোপ কোম্পানি. (সাবান)
আমি কি আসতে পারি?
সে এখানে নেই.
কী?
টাইলার এখানে নেই.
টাইলার চলে গিয়েছে.
সে পালিয়েছে.
কেউ সাহায্য করো!
গুলি লেগেছে!
সবাই সরে যাও!
কী হয়েছে? কী হয়েছে?
আমরা কাজ করছিলাম. আমাদের এক ঢিলে
দুইটা পাখি শিকার করার কথা ছিল.
এক কর্পোরেট আর্ট নষ্ট করার কথা ছিল...
ওপারেশন লেট থান্ডার. শুরু করো!
..এক বড় কফি বার ধ্বংস করার কথা ছিল.
আমরা সবকিছু প্ল্যান করেছিলাম, স্যার.
- সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তখনই...
- পুলিশ! থামো!
- কী?
- তারা ববকে গুলি করেছে.
- তারা মাথায় গুলি করেছে.
- শুওরেরবাচ্চারা!
ওহ্ গড!
- মাদারচোতের দল!
- তোমরা সবাই গাধা.
তোমরা বেশ পাল্টে সবকিছু ধ্বংস করতে চাও?
তোমরা কেন এসব করছ বল আমাকে?!
জলদি! প্রমাণ মিটিয়ে ফেলো.
এই লাশটা লুকিয়ে ফেলতে হবে!
- দাফন করে দাও.
- কী?
তাকে বাগানে নিয়ে দাফন করা হোক.
- চলো, জলদি করো!
- সরে যাও!
- সরে যাও বলছি!
- আপনি এটা কী করছেন?
ও কোন প্রমাণ নয়. ও একজন মানুষ.
ও আমার বন্ধু, তোমরা তাকে দাফন করবেনা!
সে প্রোজেক্ট মেইহেমের সেবায় মারা গিয়েছে, স্যার.
- ও হল বব.
- স্যার, কিন্ত...
প্রোজেক্ট মেইহেমে আমাদের কোন নিজস্ব নাম নেই.
তোমরা আমার কথা শুন.
ও একজন মানুষ আর ওর একটা নাম আছে,
ও হল রবার্ট প্যলসন, ঠিক আছে?
- রবার্ট প্যলসন.
- সে একজন মানুষ...
...আর সে আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছে. বুঝতে পারছ?
পেরেছি, স্যার.
মৃত্যুর পর, প্রোজেক্ট মেইহেমের সদস্যদের...
...নাম দেওয়া হয়.
ওর নাম হল রবার্ট প্যলসন.
ওর নাম হল রবার্ট প্যলসন.
ওর নাম... রবার্ট প্যলসন.
ওর নাম হল রবার্ট প্যলসন..
শুন. প্লিজ. থামো.
ওর নাম হল রবার্ট প্যলসন.
চুপ করো! সবকিছু শেষ!
চলে যাও এখান থেকে.
- টাইলার?
- না, আমি ডিটেকটিভ স্টার্ন, আরসন ইউনিট থেকে.
আপনার সঙ্গে আমার...
আমি টাইলারের জিনিসপত্রের
সাহায্য নিয়ে সব শহরে গেলাম.
জানিনা কীভাবে বা কেন. আমি পৃথক পৃথক
50 টা বারে তাকে খুঁজতে পারতাম.
আমি টাইলার ডার্ডনকে খুজছি.
ওর সাথে কথা বলা খুব দরকার.
যদি আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারতাম,
স্যার.
আমি যেই শহরেই যেতাম,
যখনই প্লেন থেকে নামতাম
আমি জেনে যেতাম যে আশেপাশেই
এক ফাইট ক্লাব আছে.
Hey! Hey!
ট্যাক্সি!
আমার চেহারা দেখো. আমিও একজন মেম্বার.
আমি জানতে চাই যে তুমি টাইলারকে দেখেছ কিনা.
আপনার কাছে কোন তথ্য
শেয়ার করার অনুমতি আমার নেই
আমি চাইলেও সেটা সম্ভব না,... দুঃখিত.
- তুমি একটা পাগল.
- আপনার চলে যাওয়াই উত্তম.
টাইলার দেশ জুড়ে... লোকজন সেটিং করার
কাজে ব্যস্ত ছিল.
আমি কি ঘুমাচ্ছিলাম? আমি ঘুমিয়েছি?
টাইলার কি আমার কোন দুঃস্বপ্ন, নাকি আমিই টাইলার?
- আমরাও ঐ ধরনের কাহিনী শুনেছি.
- কী ধরনের কাহিনী?
- কেউ জানেনা সে কীরকম দেখতে.
- প্রত্যকে তিন বছরের সে মুখে প্ল্যাস্টিক সার্জারি করে.
এরকম উদ্ভট কাহিনী আমি আগে কখনো শুনিনি.
- মায়ামির ফাইট ক্লাবের কাহিনী কি সত্য?
- Mr ডার্ডন কি সত্যি সেনাদল বানাচ্ছেন?
আমি একধরণের ভ্রমের মধ্যে ছিলাম.
যেখানেই যেতাম...
...মনে হত যেন আগেও ওখানে গিয়েছিলাম.
যেন আমি এক অদৃশ্য মানবের পিছু করছিলাম.
শুকনো রক্তের গন্ধ,
নোংরা পায়ের ছাপ গোলাকার হয়ে.
ফ্রাইড চিকেনের মত শুকনো ঘাম.
ফ্লোর দেখে মনে হচ্ছিল যেন
গতরাতে এখানে মারামারি হয়েছে.
আমি সবসময় টাইলারের এক কদম পিছনে থাকতাম.
ওর নাম হল রবার্ট প্যলসন...
স্বাগতম, স্যার.
কেমন আছেন আপনি?
তুমি আমাকে চেনো?
এটা কি কোনধরনের টেস্ট, স্যার?
না. এটা কোন টেস্ট নয়.
গত বৃহস্পতিবার আপনি এখানে এসেছিলেন.
গত বৃহস্পতিবার ?
আপনি ঠিক এখানেই দাড়িয়ে
সিকিউরিটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছিলেন.
সিকিউরিটি অনেক কঠিন, স্যার.
তোমার কী মনে হয় আমি কে?
আপনি নিশ্চিত এটা কোন টেস্ট নয়?
না, এটা কোন টেস্ট না.
আপনি Mr ডার্ডন.
আপনিই আমাকে এটা দিয়েছিলেন.
এখন আমার কাছে সবকিছু স্পষ্ট হতে লাগল,
আমার যাত্রা শেষের পথে ছিল.
- কে?
- মার্লা, আমি বলছি.
- আমরা কি এটা করেছি?
- কী করেছি?
আমরা সেক্স করছি?
এটা আবার কোন ধরনের প্রশ্ন?
জলদি উত্তর দাও, প্লিজ?
- এটা কি নতুন কোন চাল?
- না. আমি জানতে...
তুমি কী জানত চাও, সেক্স করছিলাম নাকি
একে অন্যকে ভালবেসেছিলাম?
- আমরা ভালবেসেছিলাম?
- তুমি ওটাকে এই নাম দিচ্ছ?
উত্তরটা দিয়ে দাও!
হ্যা অথবা না?!
তুমি আমাকে চুদো, তিরস্কার করো.
তুমি আমাকে ভালবাস, আবার ঘৃণা করো.
তুমি উদ্যমী হয়ে যাও,
তারপর আবার গাধার মত আচরণ করো.
আমি তোমাকে আর কী বলতে পারি, টাইলার?
এইমাত্র কেবিন প্রেসার কমে গেল.
তুমি কী বললে?
- সমস্যাটা কী তোমার?
- তুমি আমাকে কী নামে ডাকলে!
টাইলার ডার্ডন! গাধার বাচ্চা!
কী হয়েছে তোমার?
- আমি ওখানে আসছি!
- না, আমি থাকবনা!
তুমি তোমার ওয়াদা ভেঙ্গে ফেলেছ.
জিসাস, টাইলার.
- তুমি তার সঙ্গে আমার ব্যাপারে কথা বলেছ.
- কী চলছে এসব?
আমি শুধু একটা জিনিসই চেয়ে ছিলাম.
একটা ছোট্ট জিনিস.
মানুষ কেন আমাকে তুমি মনে করে?
জবাব দাও!
বসো.
জবাব দাও. মানুষ কেন আমাকে তুমি মনে করে?
হয়তোবা তুমি জানো কেন.
- না, আমি জানিনা.
- হ্যা, তুমি জানো.
কেনই বা মানুষ তোমাকে আমি মনে করবে?
আমি... আমি জানিনা.
- বুঝতে পেরেছ.
- না.
- আমাদের ফাঁসিয়ে দিওনা!
- বল.
কারণ...
বলে ফেলো!
কারণ আমরা দুজন একই ব্যাক্তি.
ঠিক তাই.
আমরা সবাই হলাম পৃথিবীর বেকার জীব.
- Iআমি কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা.
- তুমি নিজের জীবন বদলাতে চাইছিলে.
তুমি একা সামলাতে পারতেনা.
সবসময় তুমি চাইতে যে তুমি...
...আমার মত হও.
তুমি যেরকম দেখতে চাও আমি সেরকম দেখাই,
তুমি যেরকম চুদতে চাও আমি সেরকম চুদি.
আমি স্মার্ট, ক্ষমতাবান আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ...
...আমি সবদিক থেকে স্বাধীন.
ওহ্ না.
- টাইলার এখানে নেই. সে পালিয়েছে.
- কী?
এ অসম্ভব. এসব পাগলামো.
মানুষ সবসময় এটা করে.
নিজের সঙ্গে কথা বলে. নিজেকে সেরকমভাবে
দেখে যেরকম সে দেখতে চায়.
কিন্ত তাদের মধ্যে তোমার মত সাহস নেই.
কখনো কখনো এটা নিয়ে নিজের সাথে লড়াই করে,
তাই যে যেখানে থাকে সেখানেই রয়ে যায়.
- আমাদের এটা আবার করা উচিৎ.
- পরেরবার ভাববে যে তুমি আমকে দেখছ.
যদি ফ্লাইট ক্লাবে আজ আপনার প্রথম রাত হয়,
তাহলে লড়াই করুন.
ধীরে ধীরে তুমি নিজেকে টাইলারের মত বানাচ্ছ
টাইলার ডার্ডন.
আপনার পরিচিতি আপনার ব্যাংক ব্যাল্যান্স দিয়ে নয়!
- না. তোমার এক ঘর আছে.
- সেটা তোমার নামে.
- তোমার কাছে চাকরী আছে, জীবন আছে.
- তুমি রাতে চাকরী করো কারণ তোমার ঘুম হয়না.
অথবা তুমি রাত জেগে সাবান বানাও.
- তুমি মার্লার সাথে চুদাচুদি করতে, টাইলার.
- সত্যি বলতে তুমি করতে. কিন্ত এতে কিছু আসে যায়না.
ওহ্ মাই গড.
এখন সব রহস্য বুঝতে পারছ.
সে সবকিছু জানে.
মনে হচ্ছে আমাদের কথা বলতে হবে, কারণ হয়তোবা আমরা লক্ষ্যে পৌছতে পারবনা.
কী... তুমি কী বলছ?
এসবকিছু ভুয়া. আমি তোমার কথা শুনবনা!
- তুমি পাগল!
- না. তুমি পাগল.
আমাদের এখন বকবক করার সময় নেই.
এটাকে প্রতিশোধ বলে.
মুভি চলছে
কিন্ত মানুষ কিছুই আন্দাজা করতে পারেনা.
- স্যার! আপনি চেক আউট হচ্ছেন?
- হ্যা. বিল করো.
দয়া করে এই ফোন কল লিস্টে সাইন করে দিন.
- এগুলো কে করেছে?
- রাত 2.00 থেকে 3.30 মধ্যে.
আমি কি প্রতিরাতে জলদি ঘুমিয়ে পরতাম?
আমি কি দেরি করে ঘুমাতে যেতাম?
আমি কি অনেক সময় ধরে টাইলার ছিলাম?
এখানে কেউ আছ?
আবারও ঐসব হচ্ছিল.
যথেষ্ট সাবান থাকলে যেকোন কিছু বিস্ফোরণ করা সম্ভব.
ওহ্ মাই গড.
- 1888.
- কে বলছেন?
1888 ফ্র্যাঙ্কলিন. আমি মিস্ত্রী বলছি. Hello?
Hello?
1888 ফ্র্যাঙ্কলিস স্ট্রীট?
হ্যা. আমি কী করতে পারি?
- Hello?
- হ্যা, হ্যা.
আমি আপনাদের সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলতে চাই.
- বলছি.
- আচ্ছা, আমার কথা শুনুন.
আমার মনে হয় আপনার বিল্ডিংয়ে
ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে.
সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে, স্যার.
- এক্সকিউজ মি?
- আমাদের নিয়ে চিন্তা করেবন না, স্যার. সব ঠিক আছে.
2160.
মার্লা! মার্লা! Hey, থামো!
দাড়াও! তোমার সঙ্গে কথা আছে! মার্লা! মার্লা!
তোমার ঐ পাগল বন্ধুগুলো আমাকে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়েছে!
আমার হাত প্রায় ভেঙ্গেই ফেলছিল!
তারা ক্ষার দিয়ে তাদের আঙ্গুল পুড়ে ফেলছিল.
তোমাকে আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে,
আমার কথা শুন.
- আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা.
- বুঝতে পারছি তোমার মেজাজ খারাপ.
আমি তোমার সঙ্গে কোন কথা বলতে চাইনা.
আমি আসলে তোমাকে...
আমাকে কফি দাও, ধন্যবাদ.
স্যার. আপনি এখানে সবকিছু ফ্রী পাবেন, স্যার.
ফ্রী কেন পাব ভাই?
- জিজ্ঞেস করোনা.
- ঠিক আছে.
আমি ক্ল্যাম চোডার, ফ্রাইড চিকেন সাথে
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চকোলেট শিফন পাই চাই.
খাবার যেন পরিষ্কার হয়, প্লিজ.
তাহলে ম্যাডামকে ক্ল্যাম চোডার খেতে নিষেধ করুন.
ক্ল্যাম চোডার আনবেনা. ধন্যবাদ.
তোমার কাছে 30 সেকেন্ড আছে.
আমি জানি আমি যতসব অদ্ভুত কাজকর্ম করছি.
- তুমি নিশ্চয়ই দেখেছ যে আমার অন্য ব্যাক্তিক্ত...
- দুই ব্যক্তিক্ত?
- তুমি একজন ডাক্তার আবার একজন রোগীও.
- জানি. আমি সবকিছু এখন বুঝতে পারছি.
- কী?
- আমি জানতাম না যে আমদের সম্পর্কের...
... ফলাফল কোনদিকে যাচ্ছিল.
- আমি জানি আমি তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছি.
- ঠিক আছে.
না, না. 15 সেকেন্ড, প্লিজ!
15 সেকেন্ড তোমার মুখ বন্ধ রাখো.
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করছি.
আমি অনুভব করেছি যে আমি তোমাকে পছন্দ করি, মার্লা.
আচ্ছা?
সত্যি বলছি.
আর আমি চাইনা যে আমার কারণে তোমার কিছু হোক.
মার্লা, তুমি এখন বিপদে আছ.
কী?
কিছু সময়ের জন্য তোমাকে শহর ছাড়তে হবে.
বড় কোন শহরে যেওনা.
- অন্য কোথাও ক্যাম্পিং..
- তুমি একটা পাগল.
- না. তুমি আমার কারণে ফেঁসে গিয়েছ.
- না. চুপ করো!
- তুমি নিরাপদ নও.
- চুপ!
- শুন, আমি চেষ্টা করছি টাইলার. সত্যি করেছি.
- আমি জানি সেটা.
তোমার মধ্যে একটা জিনিস আমার ভীষণ পছন্দের.
তুমি স্মার্ট, মজার মানুষ.
তোমার সাথে চোদাচুদি করতে মজা.
কিন্ত...
...তোমাকে সহ্য কথা মুস্কিল.
তোমার মধ্যে অনেক আবেগপ্রবণতা আছে.
এরকম বড় সমস্যা যার কারণে তোমাকে
ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ.
- আমি জানি, সেজন্য ক্ষমা চাইছি.
- তোমার আফসোস হচ্ছে, আমারও হচ্ছে. সবারও হচ্ছে.
আমি এভাবে থাকতে পারবনা.
আমি পারবনা.
আর আমি থাকবনা.
আমি যাচ্ছি.
তুমি যেতে পারনা, মার্লা! তুমি নিরাপদ নও!
- মার্লা, তুমি বুঝতে পারছনা!
- ছাড় আমাকে!
- মার্লা, আমি তোমাকে রক্ষা করতে চাইছি!
- ছেড়ে দাও!
- আমি তোমার মুখ কখনো দেখতে চাইনা!
- ঠিক আছে...
এখানে থাকো!
এখানে দাড়াও এক মিনিট! চুপ করো!
এই টাকা নিয়ে বাসে উঠে যাও.
কথা দিচ্ছি আমি আর কোনদিন তোমাকে বিরক্ত করবনা.
একদম চুপ!
প্লিজ, বাসে উঠ. প্লিজ, যাও.
তুমি কেন এসব করছ?
তারা ভাবে তুমি ভয়ানক. আমি তোমাকে
বোঝাতে পারবনা, কিন্ত বিশ্বাস করো!
- যদি জানতে পারি তুমি কোথায় যাচ্ছ তাহলে তুমি নিরাপদ থাকবেনা.
- আমি কিন্ত এটা আর ফিরিয়ে দিবনা.
- ঠিক আছে. শহরের বাহিরে থাকবে.
- টাইলার.
তোমার সাক্ষাৎ পাওয়া আমার জীবনের
সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার ছিল.
Hello. আমি চাই আপনি আমাকে গ্রেপ্তার করেন.
আমি এরকম এক সন্ত্রাসীদলের লিডার...
...যারা এই শহরের বর্বরতা আর আত্নকের জন্য দায়ী.
মেট্রোপলিটন শহরে যেখানে
কমপক্ষে 200 মানুষ বসবাস করে.
আর পাঁচ ছয়টা শহরে শাখাও খোলা হয়েছে.
এতে কোন লিডারের প্রয়োজন নেই.
এটা এরকম এক রহস্যজনক ক্লাব যেটা
কোন লিডার ছাড়াই আরামসে চলতে পারে.
বিশ্বাস না হলে 1537 পেপার স্ট্রীট ঘরে যান.
ঐটা আমাদের হেডকোয়ার্টার.
পিছনে গার্ডেনে দাফন করা একজন লোক পাবেন,
যার নাম হল রবার্ট প্যলসন.
বেসমেন্টে এরকম কিছু বাথটাব পাবেন...
...যেখানে সম্প্রতি ঢের নাইট্রোগ্লিসারিন বানানো হয়েছে.
ওগুলো নিশ্চয়ই এখনো ওখানে আছে.
সম্ভবত প্ল্যান হল ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির হেডকোয়ার্টার আর...
TRW বিল্ডিং উড়িয়ে দেওয়ার.
এই বিল্ডিং আর শুধু ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি কেন?
যদি কার্ডের সব রেকর্ড আমরা ধ্বংস করে ফেলি
তাহলে কাউকে কোন টাকা পরিশোধ করতে হবেনা.
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে.
তার সঙ্গে কথা বলতে থাকো.
আমার এক ফোন করতে হবে.
আপনার কাজ দেখে আমি মুগ্ধ.
কী?
এরকম অর্ডার দেওয়ার জন্য প্রচুর সাহস দরকার.
আপনি হলেন একজন জিনিয়াস, স্যার.
আপনি বলেছেন যে যদি কেউ প্রোজেক্ট
মেইহেমে বাঁ হাত ঢুকায়, এমনকি আপনি হলেও,
তাহলে তার ধন কাটা হবে.
- লড়াই করবেন না.
- পদ্ধতিটা খুব কাজের, Mr ডার্ডন.
- এতে করে আদর্শ সৃষ্টি হয়ে যাবে.
- তোমরা অনেক বড় ভুল করছ!
- আপনি বলেছিলেন যে আপনি এটাও বলতে পারেন.
- আমি টাইলার ডার্ডন নই!
- আপনি বলেছিলেন যে আপনি এটাও বলতে পারেন.
- ঠিক আছে. আমি টাইলার ডার্ডন.
আমার কথা শুন. আমি তোমাকে ডাইরেক্ট অর্ডার দিচ্ছি.
- আমাদের এক্ষুনি এই মিশন বন্ধ করে দিতে হবে.
- আপনি বলেছিলেন যে আপনি এটাও বলতে পারেন.
তোমরা কি পাগল হয়ে গিয়েছ?
তোমরা পুলিশ অফিসার!
মুখ বন্ধ রাখুন.
ধেত্তেরি!
অনেকগুলো তথ্য সঠিক ছিল.
- চলো পেপার স্ট্রীটের ঐ ঘরে যাওয়ার যাক.
- আমি এক্ষুনি আসছি.
Hey, শুনো!
- আমি ধরেছি.
- স্যার ,আমাদের এটা করতেই হবে.
- লড়াই করা বন্ধ করুন!
- রাবার ব্যান্ড কোথায়?
সরে যাও! চাকুটা আমাকে দিয়ে দাও!
পিছনে যাও. মাটিয়ে শুয়ে পর!
মাটিতে শুয়ে পর!
এই দরজা দিয়ে যে-ই যাবে তাকে...
গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিব! বুঝলে?
সরো! সরে যাও!
আমি ততক্ষণ দৌড়ালাম...
যতক্ষণ না আমার শিরা থেকে এসিড না বের হল.
তারপর আমি আরও দৌড়ালাম.
তুমি কী করছ?
এই কাপড় পরে দৌড়াচ্ছ!
একদম পাগলের মত লাগছে!
না. আমি তোমাকে নজরে রাখছি.
আমি জানি কী হতে যাচ্ছে.
তাহলে চল. এমন এক জায়গা আছে যেখান থেকে সবকিছু সুন্দর করে দেখা যাবে.
- ওহ্ ক্রাইস্ট.
- এখন কী করছ?
- আমি এসব বন্ধ করছি.
- কেন?
- তুমি এরকম মহৎ কাজ আগে কখনো করনি.
- আমি এটা হতে দিতে পারিনা.
জানো, আরও 10 বিল্ডিংয়ে আছে 10 টা বোমা আছে.
প্রোজেক্ট মেইহেমে খুনখারাবী কবে থেকে শুরু হল?
বিল্ডিংগুলোতে কেউ নেই.
আমরা কাউকে হত্যা করছিনা.
আমরা সবাইকে স্বাধীনতা দিচ্ছি!
বব মারা গিয়েছে. তারা তার মাথায় গুলি করেছে.
ডিম ভাঁজতে হলে তো ডিম ভাংতেই হবে.
না. আমি তোমার কথা শুনবনা.
আসলে তুমি তো এখানে নও.
আমি হলে এরকম করতাম না.
আগে আমাকে তার সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে.
যদি তুম জেনে থাকো তাহলে আমিও জানি.
আমি ভেবেছিলাম তুমি জানো, তাই আমি
সারাদিন ভুল তারের কথা ভাবতাম.
কী মনে হয়?
আরে না, না. সবুজ রংয়েরটা নয়.
সবুজ রংয়েরটা বাদ দিয়ে যেকোন একটা টান দাও.
আমি বলেছিলাম সবুজটা না!
ধেত্তেরি!
টাইলার, ভ্যান থেকে সরে যাও.
টাইলার, আমি মজা করছিনা!
ভ্যান থেকে সরে যাও!
ধেত্তেরি!
আচ্ছা.
এখন তুমি তোমার কাল্পনিক বন্ধুকে গুলি করছ...
...যার পাশে রয়েছে 400-টা নাইট্রোগ্লিসারিন গ্যালন!
শান্ত হও, টাইলার!
যেওনা!
তিন মিনিট.
ব্যস এতটুকুই.
এটা শুরু হচ্ছে.
শেষ সুযোগ.
আমার মনে হয় আমাদের কাজ এখানেই শুরু হয়েছিল.
তুমি কিছু বলতে চাও?
কী বললে?
আমার মাথায় কিছু আসছেনা.
খুব সুন্দর মজা করলে.
মজা তো এখন শুরু হচ্ছে.
আড়াই মিনিট.
আমরা যা যা হাসিল করেছি সেগুলোর কথা ভাব.
এই জানালাগুলো দিয়ে আমরা বড় বড়
বিল্ডিং ধসে পড়তে দেখব.
অর্থনৈতিক সাম্যাবস্থার দিকে আরও একটি কদম.
সে এখানে কী করছে?
অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে এসেছে.
আমাকে নিচে নামাও, গাধার দল!
- আমি হাতজোড় করছি, এরকম করোনা.
- এসব আমি করছিনা.
- এসব আমরা দুজনে করছি. আমরা এটাই চাই.
- না.
- আমি এটা চাইনা.
- ঠিক আছে. তাহলে এখন "তুমি" শব্দের প্রয়োজন নেই.
- আমাদের এসবকিছু ভুলে যাওয়া উচিৎ.
- তুমি আমার মস্তিষ্কের একটা আওয়াজ.
আর তুমি আমার মস্তিষ্কের আওয়াজ!
- আমি কেন তোমার থেকে মুক্ত হতে পারছিনা?
- তোমার আমাকে প্রয়োজন.
না. একদম নয়. আমার তোমাকে প্রয়োজন নেই.
তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ. আমি কোন অভাগা অহংবোধ সৃষ্টি করিনি যাতে আমি সুস্থ অনুভব করতে পারি.
- অন্তত কিছু দোষের দায় নিয়ে নাও.
- আমি এসবের জন্য দায়ী...
...আর আমি এটা স্বীকার করি.
আমি হাতজোড় করছি,
প্লিজ এটা বন্ধ করে দাও.
আমি কি কখনো তোমাকে নিরাশ করেছি?
আমার জন্য তুমি কোত্থেকে কোথায় এসেছ?!
আমরা ঠিকভাবে এর থেকে বের হব.
সবসময়ের মত, তুমি বিরোধিতা করবে...
...আর শেষে গিয়ে আমাকে ধন্যবাদ জানাবে.
টাইলার. টাইলার.
তুমি আমার জন্য যা করেছ. আমি কৃতজ্ঞ.
কিন্ত এটা সীমার বাহিরে. আমার এটা চাইনা.
তাহলে তুমি কী চাও? সেই আগে চাকরী?
সোফায় বসে বসে হিন্দি সিরায়াল দেখবে?
অসম্ভব! আমি তা হতে দিবনা.
- এটা হতে পারেনা.
- যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, তাই মুখ বন্ধ রাখো!
60 সেকেন্ড আছে, দেখতে পাচ্ছ?
না.
আমি বুঝতে পারছি. তুমি বাস্তব নও.
তোমার হাতের এই বন্দুকটাও নকল...
বন্দুক তো আমার হাতে.
খুব ভাল. তাই বলে কিছু বদলে যাবেনা.
তুমি তোমার মাথায় কেন বন্দুক ধরে রেখেছ?
আমার মাথায় নয়, টাইলার.
আমাদের মাথায়.
জবরদস্ত ব্যাপার.
তুমি কী লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছ?
Hey. এটা তোমার আর আমার ব্যাপার.
বন্ধুত্ব করবে?
টাইলার,
আমি চাই তুমি আমার কথা শুন.
ঠিক আছে.
আমার চোখ খোলা আছে.
দুর্গন্ধটা কীসের?
- সবাই কোথায়?
- ওহ্ না. কী হচ্ছে এখানে?
Mr ডার্ডন!
ওহ্ মাই গড!
আপনি... আপনি ঠিক আছেন, স্যার?
- ওহ্ হ্যা, আমি ঠিক আছি.
- আপনার অবস্থা খারাপ, স্যার.
- কিছুনা, আমি ঠিক আছি.
- না, না, না, স্যার. আপনার অবস্থা খারাপ.
- আপনার একজন ডাক্তার প্রয়োজন.
- আমি ঠিক আছি.
দেখো, আমি... সবকিছু ঠিক আছে.
থামো!
- তাকে ছেড়ে দাও.
- কোথায় নিয়ে এসেছ?
তুমি!
Hi, মার্লা.
- তাকে এখানে রেখে. তোমরা গিয়ে কাজ করো.
- আপনি নিশ্চিত, স্যার?
হ্যা, আমি নিশ্চিত.
বাটপার!তুমি এটা কী ধরনের খেল খেলছ?!
তুমি আমাকে... ওহ্ মাই গড, তোমার মুখ!
হ্যা, আমি জানি.
কী হয়েছে?
- জানতে চেওনা.
- তোমার গুলি লেগেছে.
- হ্যা, লেগেছে.
- ওহ্ মাই গড.
- বিশ্বাস হচ্ছে সে এখনো বেঁচে আছে.
- সে হল আসল চিজ.
এটা কে করেছে?
আমি নিজেই করেছি.
একটা ব্যান্ডেজ খুজো.
তুমি নিজেকে গুলি করেছ?
হ্যা, কিন্ত আমি ঠিক আছি. মার্লা,
আমার দিকে তাকাও.
বিশ্বাস করো.
বিশ্বাস করো. সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে.
তুমি এক অদ্ভুত সময়ে আমার জীবনে এসেছ.
translated by Symon Alex