Tip:
Highlight text to annotate it
X
এ
এই
এই সা
এই সাব
এই সাবটা
এই সাবটাই
এই সাবটাইটে
এই সাবটাইটেল
এই সাবটাইটেলটি
এই সাবটাইটেলটি তৈ
এই সাবটাইটেলটি তৈরি
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করে
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মা
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহ
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমু
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদু
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর র
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহ
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহমা
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহমান
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহমান না
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহমান নাহি
এই সাবটাইটেলটি তৈরি করেছেন মাহমুদুর রহমান নাহিদ
মাহমুদুর রহমান নাহিদ
নতুন নতুন সব মুভি এর বাংলা সাবটাইটেলের জন্য ফেসবুক গ্রুপ
https://www.facebook.com/groups/banglasubtitle1/
এ জয়েন করুন
-অক্টোবর হল আবিস্কারের সময়,
-তো এই মুহূর্তে, STATLER TOYOTA
-এই বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাবসা
-১৯৮৫ সব মডেলের সবধরনের টয়োটা
গাড়ির ব্যাবসা শুরু করেছে ।
-আপনি হিল ভ্যালিতে এর থেকে ভালো গাড়ি পাবেন না
-এত ভালো দামে, সাথে পাবেন যে কোন জায়গায় সেবা ।
-STATLER TOYOTA এখন হিল ভ্যালিতে !
-আশা করা হচ্ছে সিনেট আজ ভোট দিবেন ।
-অন্য খবরে, প্যাসিফিক নিউক্লিয়ার রিসার্চ ফ্যাসিলিটির কর্মকর্তারা
-প্লুটোনিয়াম চুরি হবার গুজবটাকে উস্কে দিয়েছেন ।
-যেটা দুই সপ্তাহ আগে তাদের ভল্ট থেকে চুরি গিয়েছিল ।
-একটা লিবিয়ান দল এর দায় স্বীকার করেছে ............
-হেই, ডক?
-ডক?
-হ্যালো ! কেউ কি বাসায় আছে ?
-আইন্সটাইন , এখানে আসো ।
-কি হচ্ছে ? হায় খোদা ।
-ওহ, জিউস !
-এটা বিরক্তিকর ।
সে কোথায়?
-ওয়াও !
-রক ন রল !
-হ্যাঁ ।
-মার্টি, এটা কি তুমি?
-হেই, হেই, ডক । তুমি কোথায়?
-খোদাকে ধন্যবাদ আমি তোমাকে পেয়েছি ।
-শোন, তুমি কি ১:১৫ তে আমার সাথে টুইন পাইন্স মল এ দেখা করতে পারবে?
-আমি অনেক বড় সাফল্য পেয়েছি,
-আর আমার তোমার সাহায্য লাগবে ।
-এক মিনিট দাঁড়াও।
-রাত ১ টা ১৫?
-হ্যাঁ ।
-ডক, কি হচ্ছেটা কি?
-সারা সপ্তাহ তুমি কোথায় ছিলে?
-কাজ করছিলাম ।
-আইন্সটাইন কোথায়?
-সে কি তোমার সাথে?
-হ্যাঁ, সে এখানেই আছে ।
-তুমি জান, ডক, তোমার সব যন্ত্রপাতি
তুমি সপ্তাহ ধরে ফেলে গেছ ।
-আমার যন্ত্রপাতি ।
-মনে পড়ে গেল, মার্টি ।
-তোমার অ্যামপ্লিফায়ার চালু না করাই ভালো ।
-ওখানে ওভারলোড হবার সামান্য একটা সুযোগ আছে ।
-ঠিকাছে । আমার মনে থাকবে !
-ভালো । আজ রাতে দেখা হবে ।
-ভুলে যেও না ।
-রাত ১ টা ১৫ । টুইন পাইন্স মল ।
-ঠিকাছে ।
-আমি কি আমার ঘড়িগুলো শুনতে পাচ্ছি?
-হ্যাঁ । এটা ৮.০০ ।
-দারুন !
-আমার পরীক্ষা সফল হয়েছে !
-সবগুলো ঠিক ২৫ মিনিট স্লো !
-এক মিনিট ।
-এক মিনিট , ডক ।
-তুমি কি আমাকে বলতে চাইছ এটা ৮ টা ২৫ মিনিট ?
-ঠিক বলেছ ।
-ধেত্তেরি !
-আমি স্কুলের জন্য দেরি করে ফেলেছি ।
-জেনিফার ।
-মার্টি , এই দিকে যেও না ।
-স্ট্রিকল্যান্ড তোমাকে খুঁজছে ।
-যদি তুমি ধরা পড়, তবে টানা চার দিন দেরি করবে ।
-সব ঠিকাছে, আসো ।
-আমার মনে হয় আমরা নিরাপদ ।
-তুমি জান, এইবার আমার ভুল ছিল না ।
-ডক তার সব ঘড়িগুলো ২৫ মিনিট স্লো করে রেখেছিল ।
-ডক ?
-আমি কি এটাই বুঝব তুমি এখনও
ডক্টর এমেট ব্রাউন এর সাথে ঘুরছ, ম্যাকফ্লাই ?
-দেরি করার স্লিপ মিসঃ পার্কার এর জন্য ।
-আর তোমার জন্য একটা, ম্যাকফ্লাই ।
-আমার বিশ্বাস এই নিয়ে টানা চার দিন পেলে ।
-আমাকে তোমায় নিকেল এর সমান
(মার্কিন মুদ্রা) একটা উপদেশ দিতে দাও, বালক ।
-এটা বলা হয়ে থাকে যে ডক্টর ব্রাউন বিপদজনক ।
সে একটা বদ্ধ উন্মাদ ।
-তুমি তার চারপাশে ঘুরছ, তুমিও অনেক
বড় বিপদে পড়ে শেষ হয়ে যাবে ।
-ওহ । জি স্যার ।
-তোমার ব্যাবহারে আসলেই সমস্যা আছে, ম্যাকফ্লাই ।
-তুমি একটা ফাঁকিবাজ ।
-তুমি তোমার বাবার কথা মনে করিয়ে দিলে ।
যখন সে এখানে এসেছিল...
-সেও একটা ফাঁকিবাজ ছিল ।
-আমি কি এখন যেতে পারি মিঃ স্ট্রিকল্যান্ড ?
-আমি দেখেছি তোমার ব্যান্ড লিস্টে আছে
-আজ স্কুলে নাচের মহড়ার পড়ে ।
-তোমার ভাই আছে তো কি হয়েছে?
তুমি কোন সুযোগ পাবে না ।
-তুমি অনেক বেশী তোমার বাবার মত ।
-কোন ম্যাকফ্লাই হিল ভ্যালির ইতিহাসে
-কখনও কোন কিছুতে মূল্য পায় নি ।
-হ্যাঁ, ভাল ।
-ইতিহাস পরিবর্তন হতে যাচ্ছে ।
-পরের জন, প্লিজ ।
-ঠিকাছে , বন্ধুরা ।
-সব ঠিকাছে ।
-আমরা....
আমরা PINHEADS ।
-এক, দুই, তিন ।
-ঠিকাছে, এটাই যথেষ্ট ।
-ধন্যবাদ, বন্ধুগণ ।
-থাম, বন্ধুগণ ।
-আমি দুঃখিত যে তোমরা অতিরিক্ত জোরে করেছ ।
-পরের জন, প্লিজ ।
-পরের গ্রুপ কে আসতে বল, প্লিজ ।
-মেয়র GOLDIE WILSON কে আবার নির্বাচিত করুন ।
-প্রচারনা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে ।
-"অনেক জোরে ।"
-আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না ।
-আমি কখনও কারো সামনে বাজানোর সুযোগ পাব না ।
-মার্টি , একটা ব্যর্থতা মানে সব শেষ নয় ।
-আমি মনে করি না যে আমি গানের জন্য বাদ পড়েছি ।
-কিন্তু, তুমি ভাল করেছ মার্টি ।
আসলেই অনেক ভালো করেছ ।
-তোমার এই অডিশনটা দারুন ছিল ।
-তুমি এটা কোন রেকর্ড কোম্পানিতে পাঠাতে পার ।
-ডক সবসময় এমনটাই বলে ।
-হ্যাঁ, আমি জানি । আমি জানি ।
-"যদি তুমি কোন কিছু মন থেকে চাও,
-তবে তুমি যে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে ।"
-এটা খুব ভালো উপদেশ, মার্টি ।
-ঠিকাছে জেনিফার ।
-কি হবে যদি আমি টেপ পাঠাই আর ওরা এটা পছন্দ না করে ?
-যদি ওরা বলে আমি অতটা ভাল নই ?
-যদি তারা বলে,
"বেরিয়ে যাও বাচ্চা । তোমার কোন ভবিষ্যৎ নাই? "
-আমি সেটা মেনে নিতে পারব না ।
-হায় খোদা ! আমি আমার বাবার মত কথা বলছি ।
-আহ । তিনি অতটা খারাপ নন ।
-অন্তত তোমাকে কাল গাড়িটা ধার দিচ্ছেন ।
-ঐ ৪ x ৪ টা দেখ ।
-ওটা দারুণ ।
-একদিন জেনিফার ।
একদিন ।
-ওটা দারুণ হবে না যদি ওই গাড়িটা লেক এ নিয়ে যাই?
-পিছনে দুটো স্লিপিং ব্যাগ থাকবে ।
-আকাশের তারার নিচে শুয়ে থাকব ।
-আহ থাম !
-কি?
-তোমার মা কি জানে?
কাল রাতের কথা ?
-নাহ, কল্পনার বাইরে ।
-আমার মা ভাবছে আমি বন্ধুদের সাথে ক্যাম্প করছি ।
-আমার মা টাসকি খাবে যদি....
-সে জানত আমি তোমার সাথে সেখানে যাচ্ছি ।
-আর আমাকে অসাধারণ একটা লেকচার শুনতে হত যে...
-তিনি কখনও এমন কাজ করেননি যখন তিনি এমন ছিলেন ।
-আমার মনে হয় , তিনি সন্ন্যাসী হয়ে জন্মেছিলেন ।
-তিনি শুধু তোমাকে দায়িত্বশীল রাখতে চাচ্ছেন ।
-ভাল, তিনি খুব একটা ভাল কাজ করছেন না ।
-ভয়ানক !
-ক্লক টাওয়ার কে বাঁচাও ।
-ক্লক টাওয়ার কে বাঁচাও ।
-মেয়র উইলসন ঘড়িটাকে পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছেন ।
-৩০ বছর আগে টাওয়ারটিতে বজ্রপাত আঘাত করে ।
-আর তারপর থেকে ঘড়িটা আর চলে নি ।
-আমরা হিল ভ্যালি সংরক্ষণ সংঘ
-মনে করি এটা সংরক্ষণ করা উচিত আমাদের
-ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ।
-এই যে , আন্টি ।
-এই যে একটা কোয়ার্টার ।
-ধন্যবাদ ।
-একটা লিফলেট নিতে ভুলবেন না ।
-ঠিক ।
-ক্লক টাওয়ার কে বাঁচাও ।
-আমরা কোথায় ছিলাম ।
-প্রায় এখানে ।
-জেনিফার !
-এটা আমার বাবা । আমাকে যেতে হবে ।
-ঠিকাছে ।
-আমি তোমাকে রাতে ফোন করব ।
-আমি আমার নানীর কাছে থাকব ।
-এই যে , আমাকে নাম্বার টা দিতে দাও ।
-বিদায় ।
-দারুণ !
-সত্যিই দারুণ !
-আমি বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি আমাকে তোমার গাড়ি ধার দিবে
-গাড়িতে যে ত্রুটি আছে সেটা না বলেই ।
-ত্রুটি ?
-আমি মারা যেতে পারতাম ।
-এখন, বিফ শোন, আমি গাড়িটা যখন
-থেকে চালাচ্ছি তখন থেকে আমি কোন ত্রুটি দেখি নি ।
-হাই , ছেলে ।
-কি? তুমি কি অন্ধ মাকফ্লাই?
-এটা এখানে ।
-এই সর্বনাশটার তুমি কি ব্যাখ্যা দেবে?
-বিফ, আমি কি মনে করতে পারি যে
-তোমার ইন্সুরেন্স এই জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে?
-আমার ইন্সুরেন্স?
-এটা তোমার গাড়ি ।
-তোমার ইন্সুরেন্স দেবে ।
-আমি জানতে চাই কে এর ক্ষতিপূরণ দেবে?
-গাড়িটা ধাক্কা খাবার পর বিয়ার ছড়িয়ে পরেছিল ।
-আর পরিষ্কার করার বিলটা কে দেবে?
-আহ.........
-আর আমার রিপোর্ট গুলো কোথায়?
-আসলে , আমি এখনও ওটা শেষ করিনি,
-কিন্তু আমি ওগুলো ঠিক সময় মতই শেষ করব....
-হ্যালো ? হ্যালো ? তোমার মাথায় কি কিছু আছে ? হ্যাঁ ?
-ভাব, ম্যাকফ্লাই । ভাব !
-ঠিকাছে ।
-আমার ওগুলো আবার টাইপ করতে সময় লাগবে ।
-তুমি কি বুঝতে পারছ কি হবে যদি আমি
-তোমার হাতের লেখায় রিপোর্ট জমা দেই?
-আমি বরখাস্ত হব ।
-তুমি তো চাও না এটা হোক, চাও?
-চাও?
-অবশ্যই না , বিফ ।
-এখন, আমি চাই না ওটা হোক ।
-এখন, শোন ।
আমি রিপোর্টটা আজ রাতে শেষ করব,
-আর কাল সবার আগে তোমাকে দিয়ে আসব, ঠিকাছে?
-বেশি সকালে না ।
-আমি শনিবার ঘুমাই ।
-ম্যাকফ্লাই, তোমার জুতা বাধা নেই ।
-ওহ !
-অতি বলদ হইয়ো না, ম্যাকফ্লাই ।
-সবকিছু ঠিক মত কর , ম্যাকফ্লাই ।
-আমি সারা রাস্তা তোমার গাড়ি দড়ি দিয়ে টেনে আনছি
-আর তুমি আমাকে এই সামান্য বিয়ার দিলে?
-তুমি কি দেখছ, মাথামোটা ?
-আমার পক্ষ থেকে তোমার মাকে হাই বল ।
-আমি জানি তুমি কি বলতে যাচ্ছ, ছেলে,
-আর তুমি ঠিক ।
-তুমি ঠিক ।
-কিন্তু বিফ আমাকে তার সহকারী বানিয়েছে,
-আর আমার ধারণা, আমার তার সাথে তর্ক করার সাহস নেই ।
-কিন্তু গাড়িটা, বাবা ।
-আমি বলতে চাচ্ছি, সে এটা ভেঙে ফেলেছে ।
-পুরোপুরি ভেঙে ফেলেছে ।
-আমার কাল রাতে গাড়িটা লাগবে, বাবা ।
-তোমার কি কোন ধারণা আছে
এটা আমার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ?
-তোমার কি কোন যুক্তি আছে?
-আমি জানি, আর আমি যা বলতে পারি , আমি....
-আমি দুঃখিত ।
-বিশ্বাস কর মার্টি,
-তোমার বরং নাচ নিয়ে
-সব মাথাব্যাথা দূর করাই ভাল ।
-সে ঠিকই বলেছে, মার্টি ।
-তোমার এখন যা দরকার তা হল মাথাব্যাথা ।
-বাচ্চারা, আমরা এই কেক তা নিজেরাই খেয়ে ফেলব ।
-তোমাদের আঙ্কল জয়ি আবার মুক্তি পেতে ব্যার্থ হয়েছে ।
-আমার মনে হয় তোমরা তাকে একটু সাহায্য করলে ভাল হত ।
-আঙ্কল জেলখানার পাখি জয়ি?
-সে তোমার ভাই মা ।
-হ্যাঁ, আমি মনে করি এটা খুব বড় অপমান
জেলে একজন মামা আটক থাকা ।
-আমরা সবাই জীবনে ভুল করি, বাচ্চারা ।
-ধেত্তেরি ।
-আমি দেরি করে ফেলেছি ।
-ডেভিড, সাবধানে কথা বল !
-এখানে আস, আর যাবার আগে মাকে কিস কর । আস ।
-ওহ , মা ।
-তাড়াতাড়ি কর, আমি বাস মিস করব !
-আবার দেখা হবে , পপ ।
-তেলটা পরিবর্তন করার সময় হয়েছে ।
-এই মার্টি, আমি তোমার উত্তরদাতা নই ।
-যখন তুমি বাইরে গাড়ি নিয়ে চেঁচামেচি করছিলে,
-জেনিফার পার্কার তোমাকে দুইবার ফোন করেছিল ।
-আমি তাকে পছন্দ করি না মার্টি ।
-যে কোন মেয়েই বিপদের জন্য ছেলেদের ডাকে ।
-আহ মা, একটা ছেলেকে ডাকার মধ্যে কোন সমস্যা নাই ।
-আমি এটা পছন্দ করি না ।
-মেয়েরা ছেলেদের পিছনে ছুটছে !
-যখন আমি তোমার বয়সী ছিলাম, কখনও কোন
ছেলের পিছনে ছুটতাম না বা ডাকতাম না ।
-অথবা কোন ছেলেকে নিয়ে গাড়ি পার্ক করে বসে থাকতাম না ।
-তাহলে কিভাবে আমার কোন ছেলের সাথে পরিচয় হবে ?
-আসলে, এটা হয়ে যায় ।
-যেভাবে তোমার বাবার বাবার সাথে আমার দেখা হয়েছিল ।
-ওটা দারুণ বোকামি ছিল ।
নানা তাকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিল ।
-এটা হয়ে গিয়েছিল ।
-যাই হোক, যদি নানা তাকে ধাক্কা না দিত,
-তবে তোমরা কেউ জন্মাতে না ।
-হুমমমম, ভাল ।
-আমি এখনও বুঝতে পারিনি বাবা
-রাস্তার মাঝখানে কি করছিল ।
-কি করছিলে, জর্জ?
-পাখি দেখছিলে?
-কি, লরেইন? কি?
-যাই হোক, তোমার নানা তাকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেয়
-আর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে ।
-তাকে খুব অসহায় লাগছিল,
-একটা হারান কুকুরছানার মত,
-আমার হৃদয় তার জন্য পাগল হয়ে গেল ।
-হ্যাঁ, মা, আমরা জানি ।
-এই গল্প আমাদের অনেকবার বলেছ ।
-তোমার তার জন্য কষ্ট হচ্ছিল,
-তাই তুমি ঠিক করলে তার সাথে
-FISH UNDER THE SEA DANCE এ নাচবে ।
-না ওটা ছিল
ENCHANTMENT UNDER THE SEA DANCE ।
-আমাদের প্রথম ডেট ।
আমি এটা কখনও ভুলতে পারব না ।
-ঐ রাতে ভয়ানক ঝড় হয়েছিল,
-মনে আছে, জর্জ?
-তোমার বাবা প্রথম বারের মত ড্যান্স ফ্লোরে আমাকে কিস করেছিল ।
-তখন আমি বুঝতে পারি যে
-আমি আমার বাকি জীবন তার সাথে কাটাতে যাচ্ছি ।
-হ্যালো ।
-মার্টি, তুমি তো ঘুমাও নাই? ঘুমাইছ?
-ডক ।
-না । না, এখন ঘুমাই নাই ।
-শোন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
-আমি ভিডিও ক্যামেরা আনতে ভুলে গেছি ।
-তুমি কি আসার সময় আমার বাসা
থেকে ওটা নিয়ে আসতে পারবে?
-হ্যাঁ, আমি আসছি ।
-আইন্সটাইন ! হেই, আইন্সটাইন,
ডক কোথায়? হাহ?
-ডক !
-মার্টি ! তুমি এসে গেছ !
-হ্যাঁ ।
-আমার নতুন পরীক্ষায় স্বাগতম ।
-এটা অনেক বড় একটা,
-এটার জন্যই আমি সারা জীবন অপেক্ষা করেছিলাম ।
-আসলে , এটা একটা DELOREAN....
-একটু ধৈর্য ধর মার্টি ।
-তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেব ।
-রোল কর আর আমরা শুরু করব ।
-ডক,
-এটা কি একটা DEVO স্যুট ?
-এখন কিছু জিজ্ঞেস কর না ।
-এখন না ।
-ঠিকাছে । আমি তৈরি ।
-শুভ সন্ধ্যা ।
-আমি ডক্টর এমেট ব্রাউন ।
-আমি টুইন পাইন্স মল এর পার্কিং করার স্থানে দাঁড়িয়ে আছি ।
-এটা শনিবার সকাল,
অক্টোবর ২৬, ১৯৮৫, ১ টা ১৮ ।
-আর এটা প্রথম পরীক্ষা ।
-এখানে আসো, আইনি ।
-হেই , হেই , এখানে ঢুকে যাও ।
-সাবাস বেটা !
-বসে পড় ।
-সীট বেল্ট পড়ে নাও ।
-এইতো ।
-ঠিকাছে ।
-প্লিজ খেয়াল কর যে আইন্সটাইনের ঘড়ি
-আর আমার ঘড়ির সময় একদম ঠিকঠাক ।
-ঠিকাছে । দেখেছি, ডক ।
-ভাল ।
-একটা ভাল ট্রিপ হোক তোমার আইন্সটাইন ।
-মাথা সরাও ।
-তুমি এটা দিয়ে গাড়িটা কন্ট্রোল করবে?
-দেখে যাও ।
-হ্যাঁ, ঠিকাছে । বুঝেছি ।
-খাইছে !
-আমাকে না !
-গাড়িটা ! গাড়িটা !
-যদি আমার হিসাব নিকাশ ঠিক হয়,
-যখন এটা ঘণ্টায় ৮৮ মাইল বেগে ছুটবে
-তুমি কিছু দারুণ জিনিস দেখতে পাবে ।
-এটা দেখ !
-এটা দেখ !
-আমি তোমাকে কি বলেছিলাম ?
-ঘণ্টায় ৮৮ মাইল বেগ !
-আর ওটা অদৃশ্য হয়ে গেছে
-ঠিক রাত ১ টা ২০ মিনিট আর ০০ সেকেন্ডে !
-হায় খোদা!
-হায় খোদা, ডক !
-তুমি আইন্সটাইনকে টুকরো করে ফেলেছ !
-শান্ত হও, মার্টি ।
-আমি কোন কিছুই টুকরো করি নি ।
-গাড়ি আর আইন্সটাইনের সব অনুই পুরোপুরি ঠিক আছে ।
-তাহলে তারা কোথায়?
-সঠিক প্রশ্ন হবে ,
- " তারা কখন গেছে ? "
-তুমি দেখলে, আইন্সটাইন পৃথিবীর প্রথম
" সময় পরিভ্রমণকারী " ।
-আমি তাকে ভবিষ্যতে পাঠিয়ে দিয়েছি ।
-ঠিক এক মিনিট ভবিষ্যতে থাকে ।
-ঠিক ১ টা ২১ মিনিট ০০ সেকেন্ডে ,
-আমরা তাকে টাইম মেশিন সহ ধরব ।
-এক মিনিট ।
এক মিনিট, ডক ।
-তুমি কি আমাকে বলতে চাচ্ছ যে, তুমি
-DELOREAN কে একটা টাইম মেশিন বানিয়েছ?
-আমি ভেবে দেখলাম,
-যদি তুমি গাড়ীকে টাইম মেশিনে পরিণত করতে চাও
-তবে কেন একই স্টাইলে করবে না?
-অন্যদিকে, স্টেইনলেস ষ্টীল এর
গঠন এমন যে........
-সরে যাও !
-কি হল ? ওটা কি গরম ?
-এটা ঠাণ্ডা । সেইরাম ঠাণ্ডা ।
-আইন্সটাইন, পিচ্চি শয়তান !
-আইন্সটাইনের ঘড়ি ঠিক আমার টা
-থেকে এক মিনিট স্লো আর এখনও চলছে!
-সে ঠিক আছে ।
-সে ভাল আছে ।
-আর তার কোন ধারণাই নাই যে কি ঘটেছে ।
-সে শুধু একটা জিনিস নিয়ে চিন্তিত,
-কেননা ট্রিপটা ক্ষণিকের মধ্যে হয়ে গেছে ।
-আর সেই কারণে তার ঘড়ি আমার টা থেকে এক মিনিট স্লো ।
-সে ঐ মিনিটের উপর লাফ দিয়ে চলে গেছে
-আর সাথে সাথে এই সময়ে এসে পড়েছে ।
-এখানে আসো ।
-এটা কিভাবে কাজ করে তোমাকে দেখাই ।
-ঠিকাছে ।
-প্রথমে, তুমি টাইম সার্কিট চালু করবে ।
-এটা দেখাচ্ছে তুমি কোথায় যাচ্ছ ।
-এটা দেখাচ্ছে তুমি এখন কোথায় ।
-এটা দেখাচ্ছে তুমি সর্বশেষ কোথায় ছিলে ।
-তুমি কীবোর্ড দিয়ে তোমার গন্তব্যস্থলের সময় এখানে দেবে ।
-তুমি কি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণায়
-স্বাক্ষর ( দস্তখৎ ) করা দেখতে চাও?
-নাকি যীশুর জন্ম দেখতে চাও?
-এইতো বিজ্ঞানের ইতিহাসের "রেড লেটার ডে" ।
-৫ই নভেম্বর ১৯৫৫ ।
-হ্যাঁ, অবশ্যই ।
-৫ই নভেম্বর ১৯৫৫ ।
-কি হল? আমি বুঝতে পারি নি ।
-কি হয়েছিল?
-ঐ দিন আমি সময় পরিভ্রমণ আবিষ্কার করেছিলাম ।
-আমার পরিষ্কার মনে আছে ।
-আমি আমার বাথরুমের কিনারায় একটা ঘড়ি ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম ।
-মেঝে ভেজা ছিল ।
-আমি পিছলে গেলাম ,
-আমার মাথাটা বেসিনের কিনারায় আঘাত করল ,
-যখন আমার হুঁশ হল আমার মাথায় একটা দৃশ্য,
-একটা ছবি ভেসে আসল ।
-এটার ছবি ।
-এটা সেই জিনিস যা সময় পরিভ্রমণ সম্ভব করতে পারে ।
" ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর " ।
-ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর?
-এটা আমার থেকে ৩০ টা বছর নিয়ে গেছে ।
-আমি ভাগ্যবান যে পুরো পরিবার আমার
-ঐ দিনের স্বপ্নটা বুঝতে পেরেছিল ।
-হায় খোদা !
-এটা কতো দীর্ঘ ছিল?
-আশেপাশে সবকিছুর পরিবর্তন হয়েছে ।
-আমার মনে আছে এখানে যতদূর
-চোখ যায় সব কৃষিজমি ছিল ।
-বুড়ো পিবদি এসবের মালিক ছিল ।
-তার পাইন গাছের প্রজনন নিয়ে অনেক পাগলামি চিন্তা ছিল।
-এটা খুব দারুণ , ডক ।
-সত্যিই দারুণ ।
-এটা কি সাধারণ অকটেন গ্যাসোলিন দিয়ে চলে?
-দুর্ভাগ্যক্রমে , না ।
-এটা চালাতে লাথি ছাড়াও
-অন্য কিছু লাগবে । প্লুটোনিয়াম ।
( ইউরেনিআম হতে গঠিত মৌল পদার্থ বিশেষ )
-প্লুটোনিয়াম ।
-এক মিনিট ।
-তুমি কি আমাকে বলতে চাচ্ছ এটা নিউক্লীয়?
-হেই, হেই, হেই !
-ভিডিও করতে থাক , ওখানে ভিডিও করতে থাক ।
-না , না , না ।
-এটা ইলেক্ট্রিক্যাল,
-কিন্তু আমার একটা পারমাণবিক বিক্রিয়া দরকার
-আমার দরকারি ১.২১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে ।
-ডক, তুমি কোন দোকানে গেলে আর
প্লুটোনিয়াম কিনলে এমনটাতো করতে পারবে না ।
-নাকি কোথা থেকে সরিয়েছ?
-অবশ্যই । একটা লিবিয়ান জাতীয়তাবাদী
দলের থেকে ।
-তারা চেয়েছিল আমি যেন তাদের একটা বোমা বানিয়ে দেই ।
-তাই আমি তাদের প্লুটোনিয়াম নিলাম, আর পিনবল
-মেশিনের পার্ট দিয়ে একটা নকল বোমা বানিয়ে দিলাম ।
-এদিকে আস । তোমাকে একটা রেডিয়েশন স্যুট পরতে হবে ।
-খাইছেরে !
-আমাদের আবার করার জন্য তৈরি হতে হবে ।
-এটা এখন নিরাপদ ।
-সব নিয়ন্ত্রণে আছে ।
-টেপটা এখন হারাবে না ।
-রেকর্ড হিসেবে আমার ওটা লাগবে ।
-এটা এখানে আবার রেখে দেই । এইতো ।
-আমি তো আমার লাগেজ এর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম ।
-কে জানে ওরা যদি ভবিষ্যতে তুলার
আন্ডারওয়্যার পড়া শুরু করে ?
-আমার সিনথেটিকে এলার্জি আছে ।
-ভবিষ্যৎ ?
-তুমি ওখানে যাচ্ছ ?
-ঠিক, ২৫ বছর ভবিষ্যতে ।
-আমি সবসময় ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি।
-নিজের চোখে মানুষের উন্নতির ধারা দেখে ।
-কেন নয় ?
-আগামী ২৫ বছরে কে জিতেছে তাও দেখতে পাব ।
-ডক ।
-কি?
-ওখানে যেয়ে আমাকে দেখো ।
-অবশ্যই দেখব ।
-শুরু কর ।
-আমি , ডক্টর এমেট ব্রাউন,
-এক ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি ।
-আমি কি ভাবছিলাম?
-আমি তো অতিরিক্ত প্লুটোনিয়াম নিতে ভুলেই গেছি ।
-আমি কিভাবে ফিরে আসব?
-আমি আসলেই খুশিতে পাগল হয়ে গেছি ।
-কি হয়েছে , আইনি?
-হায় খোদা ।
-তারা আমাকে খুঁজে পেয়েছে । আমি জানি
না কিভাবে কিন্তু তারা খুঁজে পেয়েছে ।
-পালাও, মার্টি !
-কে ? কে ?
-তুমি কি মনে করেছ?
লিবিয়ানরা !
-খাইছেরে!
-আমি ওদের গুলি থামাচ্ছি !
-ডক, দাঁড়াও !
-না !
-শয়তান !
-যাও! ধেত্তেরি সোভিয়েত বন্দুক ।
-যাও !
-চল !
-চল, ধেত্তেরি !
-জিউস!
-হায় হায়!
-দেখা যাক শয়তান, তোরা ৯০ এ যেতে পারস কি না ।
-এটা কি?
-এটা কি, প্যাঁ ?
-মনে হচ্ছে একটা ডানা ছাড়া এরোপ্লেন ।
-এটা কোন এরোপ্লেন না ।
-এই দেখ ।
-বাচ্চারা !
-শুনুন.........
-হ্যালো?
-ক্ষমা করবেন ।
-আপনাদের গোয়ালঘরের জন্য দুঃখিত ।
-এটা এর মধ্যেই মানুষ এ রুপান্তরিত হয়ে গেছে !
-গুলি কর !
-মর রূপান্তরিত কুত্তার বাচ্চা !
-সরে যাও !
-ওটাকে গুলি কর, পা !
-আমার পাইন ! কেন তুই........
-মহাকাশের শয়তান !
-তুই আমাদের পাইন মেরে ফেলেছিস !
-ঠিকাছে । ঠিকাছে ।
-সব ঠিকাছে ম্যাকফ্লাই ।
-নিজেকে শান্ত কর ।
-এটা সব স্বপ্ন ।
-খুবই অন্যরকম স্বপ্ন ।
-শুনুন, আপনাকে একটু সাহায্য করতে হবে ।
-থামবে না । উইলবার ! না !
-এমন হতে পারে না ।
-এটা নাটগুলো ।
-চল ।
-দারুণ !
-মনে রাখবের বন্ধুগণ, ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে ।
-আপনারা যদি খুশি থাকেন , তবে মেয়র
রেড থমাস কে আবার নির্বাচিত করুন ।
-প্রচারণা মাঝামাঝি পর্যায়ে ।
-মেয়র রেড থমাস এর প্রচারণা হল
-আরও চাকরি, উন্নত শিক্ষা ,
- উন্নত সমাজ ব্যাবস্থা আর কম ট্যাক্স ।
-নির্বাচনের দিন যোগ্য প্রার্থীকে আপনার ভোট দিন ।
-মেয়র রেড থমাস কে আবার নির্বাচিত করুন ।
-এটা তো আসলেই স্বপ্ন হতে যাচ্ছে ।
-এই বাচ্চা । কি করছ ভেড়ার বাচ্চা?
-কি ?
-জীবন রক্ষাকারি স্যুট কেন পরে আছ ?
-আমি শুধু ফোনটা ব্যাবহার করতে চাই ।
-হ্যাঁ, ওটা পিছনদিকে ।
-ব্রাউন ।
-দারুণ । তুমি বেঁচে আছ ।
-ফোনটা ধর ।
-তুমি কি জান ১৬৪০ রিভারসাইড ..........
-তুমি কি কোন কিছু অর্ডার দেবে বাচ্চা?
-হ্যাঁ, আমাকে একটা ট্যাব দাও ।
-ট্যাব? আমি তোমাকে ট্যাব দিতে পারব না ।
যদি না তুমি অন্য কিছু অর্ডার দাও ।
-ঠিকাছে । আমাকে একটা পেপসি ফ্রি দাও ।
-তুমি একটা পেপসি চাও ছেলে,
তবে তোমাকে এর জন্য টাকা দিতে হবে ।
-আমাকে শুধু এমন কিছু একটা দাও যাতে কোন চিনি নেই ।
-চিনি ছাড়া কিছু ।
-হেই, ম্যাকফ্লাই ।
-তুমি কি করছ বলে ভাবছ?
-বিফ ।
-আমি তোমার সাথে কথা বলছি, ম্যাকফ্লাই,
তুমি একটা আইরিশ ছারপোকা !
-হেই বিফ, হেই দোস্তরা ।
-তোমরা কি করছ ?
-তুমি কি আমার হোমওয়ার্ক শেষ করেছ ম্যাকফ্লাই ?
-আসলে, আমি ওটা সোমবারের আগেই শেষ করব....
-হ্যালো? হ্যালো?
-তোমার মাথায় কি কিছু আছে?
-ভাব, ম্যাকফ্লাই । ভাব !
-ঠিকাছে ।
-আমার এটা তোলার জন্য সময় লাগবে ।
-তুমি কি বুঝতে পারছ কি হবে যদি আমি
-তোমার হাতের লেখায় আমার হোমওয়ার্ক জমা দেই ?
-আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হবে ।
-তুমি তো চাও না এটা হোক, চাও?
-চাও?
-না, অবশ্যই না বিফ ।
-আমি চাই না এটা হোক ।
-তুমি কি দেখছ মাথামোটা ?
-বিফ, এই ছোকরার জীবন রক্ষাকারী স্যুটটা দেখ ।
-ডোরেক মনে করে সে ডুবে যাবে ।
-তাহলে আমার হোমওয়ার্কের কি হবে, ম্যাকফ্লাই ?
-ঠিকাছে বিফ, আমি ওটা আজ রাতে শেষ করব
-আর কাল সকালে তোমাকে যেয়ে দিয়ে আসব ।
-বেশি সকালে না ।
-আমি রবিবারে ঘুমাই ।
-আরে ম্যাকফ্লাই, তোমার জুতার ফিতা খোলা !
-অতি বলদ হইয়ো না, ম্যাকফ্লাই ।
-আমি তোমাকে আর এখানে দেখতে চাই না ।
-আচ্ছা । ঠিকাছে ।
-বিদায় ।
-কি?
-তুমি জর্জ ম্যাকফ্লাই ।
-হ্যাঁ । কে তুমি?
-বল ! কেন তুমি ঐ ছেলেদের তোমার
-আশেপাশে এভাবে ঘোরাঘুরি করতে দাও ?
-আসলে তারা আমার থেকে শক্তিশালী ।
-সাহস রাখ ছেলে ।
-নিজের সম্মান রাখ ।
-তুমি কি জান না, যদি তুমি এখন মানুষকে তোমার উপর দিয়ে
-যেতে দাও তবে সারা জীবনই তারা তোমার উপর দিয়ে যাবে ।
-আমাকে দেখ । তোমার কি মনে হয় আমি
-সারা জীবন এই দোকানে কাটিয়ে দেব?
-এদিকে তাকাও, গোল্ডি ।
-না, স্যার !
-আমি নিজেকে কিছু একটা বানাবই ।
-আমি নাইট স্কুল (নৈশ বিদ্যালয়) ভর্তি হব ।
-আর একদিন, আমি বিখ্যাত কেউ হব ।
-হ্যাঁ আসলেই । সে মেয়র হতে যাচ্ছে ।
-হ্যাঁ, আমি........
-মেয়র !
-এখন এটা একটা ভাল বুদ্ধি !
-আমি মেয়র হতে পারি ।
-একজন সফল মেয়র ।
-আপনি অপেক্ষা করুন, আমি মেয়র হব ।
-আমি হিল ভ্যালির সবচাইতে ক্ষমতাবান ব্যাক্তি হব,
-আর আমি এই শহরকে পরিস্কার করে ফেলব ।
-ভাল । তুমি এই মেঝে দিয়ে পরিষ্কার করা শুরু কর ।
-মেয়র গোল্ডি উইলসন ।
-কথাটা খুব পছন্দ হয়েছে ।
-হেই, বাবা ! জর্জ !
-হেই, বাইকে তোমাকে বলছি !
-সে একটা বিড়ালের বাচ্চা ।
-বাবা !
-হেই, এক মিনিট দাঁড়াও । এক মিনিট ।
-কে তুমি ?
-স্টেলা ! আরেকটা দুষ্টু ছেলে আমার
গাড়ির সামনে লাফিয়ে পড়েছে !
-এখানে বেরিয়ে আস ! তাকে বাসায়
নিতে আমায় সাহায্য কর ।
-মা ? ওটা তুমি?
-এখানে, এখানে, শান্ত হও ।
-তুমি প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ঘুমাচ্ছ ।
-আমি একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি ।
-আমি স্বপ্ন দেখছিলাম যে আমি অতীতে চলে গেছি ।
-এটা অনেক ভয়ের ছিল ।
-ভাল ,
-তুমি এখন নিরাপদে আছ, ১৯৫৫ সালে ফিরে এসেছ ।
-১৯৫৫ ?
-তুমি আমার........
-তুমি আমার........
-আমার নাম লরেইন ।
-লরেইন বেইন্স ।
-হ্যাঁ ।
-কিন্তু তুমি........
-তুমি অনেক........
-তুমি অনেক স্লিম !
-শান্ত হও, ক্যালভিন ।
-তুমি মাথায় বড় আঘাত পেয়েছ ।
-আমার প্যান্ট কোথায়?
-ওখানে, আমার দেরাজের উপর ।
-আমি এর আগে কখনও গোলাপি
আন্ডারওয়্যার দেখি নি , ক্যালভিন ।
-ক্যালভিন ? তুমি আমাকে ক্যালভিন নামে ডাকছ কেন ?
-ওটাই তো তোমার নাম, তাই না?
-ক্যালভিন ক্লাইন?
-এটা তোমার আন্ডারওয়্যারের সব জায়গায় লেখা ।
-ওহ, আমার মনে হয় তারা তোমাকে ক্যাল
নামে ডাকে, তাই না?
-না, আসলে, সবাই আমাকে মার্টি বলে ডাকে ।
-ওহ ।
-তোমার সাথে পরিচিত হয়ে খুশি হলাম ক্যালভিন ।
-মার্টি ।
-ক্লাইন ।
-আমি এখানে বসলে তুমি রাগ করবে?
-নাহ, ঠিকাছে ।
-না, ঠিকাছে ।
-ভালইতো ।
-তুমি এখানে অনেক বড় আঘাত পেয়েছ ।
-লরেইন, তুমি কি উপরে?
-হায় খোদা !
-এটা আমার মা !
-তাড়াতাড়ি !
-তোমার প্যান্ট পড়ে নাও !
-তো, মার্টি, তুমি কতক্ষন পোর্ট (বন্দর) এ থাক ?
-ক্ষমা করবেন ?
-আমার ধারণা তুমি একজন নাবিক ।
-যার জন্য তুমি জীবন রক্ষাকারি স্যুট পড়ে আছ ।
-কোস্ট গার্ড ।
-স্যাম, এই সেই ছেলেটা যাকে তুমি গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলে ।
-সে ঠিক আছে ।
-ধন্যবাদ খোদা ।
-তোমার বয়সী একটা ছেলে রাস্তায় কি করছিলে?
-তার কথায় পাত্তা দিও না ।
-তার মেজাজ এর কোন ঠিক ঠিকানা নাই ।
-স্যাম, ঐ জিনিসটা নিয়ে তুমি বাড়াবাড়ি শুরু করেছ ।
-রাতের খাবার খেতে আস ।
-এখন, তুমি এর মধ্যেই লরেইন কে চিনেছ ।
-এ মিলটন, এ স্যালি, এ টবি,
-আর ওখানে , ওটা হল ছোট্ট বাবু জয়ি ।
-তো, তুমি আমার মামা জয়ি ।
-বাচ্চাদের এখানে রাখা খুবই নিরাপদ ।
-হ্যাঁ, জয়ি ওখানে থাকতে পছন্দ করে ।
-ওখান থেকে বের করলেই সে কান্না শুরু করে ,
-তাই আমরা তাকে সবসময় ওখানে রাখি ।
-তো মার্টি, আশা করি তুমি মাংস পছন্দ কর ।
-শুনুন, আমি আসলেই .........
-এখানে বস, মার্টি ।
-স্যাম, ওটা নিয়ে ফাজলেমি বন্ধ কর ....
-আর তোমার ডিনার খেয়ে নাও ।
-এখন আমরা খেতে খেতে JACKIE GLEASON দেখতে পারব ।
-এটা আমাদের প্রথম টেলিভিশন ।
-বাবা আজই এটা কিনেছে ।
-তোমার কি কোন টেলিভিশন আছে?
-হ্যাঁ, আমাদের দুইটা টেলিভিশন আছে ।
-ওয়াও ! তোমরা নিশ্চয়ই অনেক ধনী ।
-আহ দুষ্টু , ও তোমার সাথে মজা করছিল ।
-কারোরই দুইটা টেলিভিশন নেই ।
-হেই । হেই, আমি এটা দেখেছি ।
-আমি এটা দেখেছি !
-এটা ক্লাসিক ।
-এখানে রালফ মহাকাশচারীর পোশাক পড়েছিল ।
-কিভাবে তুমি এটা দেখলে ?
-এটা মাত্র এসেছে ।
-হ্যাঁ, আসলে আমি ওটার পুনঃপ্রচার দেখেছি।
-পুনঃপ্রচার কি?
-তুমি খুঁজে বের করবা ।
-আচ্ছা মার্টি, তোমাকে খুব পরিচিত লাগছে ।
-আমি কি তোমার মাকে চিনি ?
-আমার মনে হয় আপনি চিনেন ।
-ওহ, তাহলে তাকে তো আমার একটা ফোন দিতে হয় ।
-আমি তাকে চিন্তায় ফেলতে চাই না ।
-আপনি পারবেন না ।
-মানে কেউ বাসায় নেই ।
-ওহ ।
-তাই ।
-ওহ ।
-শুনুন, আপনি কি জানেন রিভারসাইড ড্রাইভ কোথায়?
-এটা শহরের শেষ মাথায় ।
-ম্যাপল এর আগে, শহরের পূর্ব দিকের শেষ মাথায় ।
-এক মিনিট, ম্যাপল এর আগে ।
-তার মানে ওটা জন এফ কেনেডি ড্রাইভ ।
-এই জন এফ কেনেডি কে?
-মা ?
-যদি মার্টির বাবা-মা শহরের বাইরে থাকে,
-তোমার কি মনে হয় না তার আজ রাতে এখানে থাকা উচিত ?
-আমি বলতে চাচ্ছি, বাবা তাকে গাড়ি দিয়ে প্রায় মেরেই ফেলেছিল ।
-এটা ঠিক, মার্টি ।
-আমার মনে হয় আজ তোমার এখানে থাকা উচিত ।
-এটা আমাদের কর্তব্য ।
-আসলে আমি জানি না ।
-আর সে আমার ঘরে ঘুমুতে পারে ।
-আমাকে যেতে হবে !
-আমাকে যেতে হবে !
-অনেক ধন্যবাদ । এটা খুব দারুণ ছিল ।
-আপনাদের সবার সাথে পরে দেখা হবে ।
-অনেক পরে ।
-সে খুব আজব একটা ছেলে ।
-সে একটা বলদ ।
-আকাশতে আইছে ।
-ওর বাপ-মাও সম্ভবত বলদ ।
-লরেইন , তোমার যদি এমন কোন ছেলে হয়
-যে এমন ব্যাবহার করে তবে আমি তোমায় ত্যাজ্য করব ।
-ডক ?
-একটাও কথা বলবে না ।
-আমি তোমার নাম জানতে চাই না ।
-আমি তোমার কিছুই জানতে চাই না ।
-ডক, শোন ......
-চুপ !
-ডক , এটা আমি, মার্টি ।
-আমাকে কিচ্ছু বলবে না ।
-ডক, তোমায় সাহায্য করতে হবে......
-চুপ । চুপ ।
-আমি তোমার চিন্তাগুলো পড়তে চাচ্ছি ।
-এখন দেখা যাক ।
-তুমি অনেক দূর থেকে এসেছ?
-হ্যাঁ ।
-আমাকে বল না !
-তুমি চাও আমি তোমায় শনিবার সন্ধায় একটা
-সাবস্ক্রিপসন কিনে দেই ।
-না ।
-না ! একটা কথাও বলবে না !
-চুপ ।
-দান ! তুমি চাও আমি কোস্ট গার্ড
-ইয়ুথ অক্সিলারিতে কিছু দান করি ।
-ডক ।
-আমি ভবিষ্যৎ থেকে এসেছি ।
-আমি তোমার আবিস্কার করা একটা
টাইম মেশিন এ করে এখানে এসেছি ।
-আর এখন আমায় তোমার সাহায্য করতে
হবে ১৯৮৫ সালে ফিরে যাবার জন্য ।
-হায় খোদা ।
-তুমি কি জান এর মানে কি?
-এর মানে এই ফালতু জিনিসটা একদমই কাজ করে না !
-ডক, আমায় তোমার সাহায্য করতে হবে ।
-তুমিই একমাত্র যে জানে কিভাবে টাইম মেশিন কাজ করে ।
-টাইম মেশিন?
-আমি কোন টাইম মেশিন আবিস্কার করিনি ।
-ঠিকাছে । আমি তোমাকে প্রমাণ দেখাচ্ছি ।
-আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা দেখ । মেয়াদ ১৯৮৭ পর্যন্ত ।
-আমার জন্ম সাল দেখ , আমি এখনও জন্মাইনি !
-আর এই ছবিটা দেখ ।
-আমি, আমার ভাই আর বোন ।
-তার শার্টটা দেখ, ডক ।
-১৯৮৪ সালের ।
-খুবই সুন্দর ফটো এডিট করেছে ।
-তারা তোমার ভাইয়ের চুল কেটে দিয়েছে ।
-আমি সত্যি বলছি, ডক ।
-তোমায় আমার বিশ্বাস করতে হবে ।
-তাহলে আমাকে বল , ভবিষ্যতের ছেলে ,
-১৯৮৫ সালে অমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে?
-রোনাল্ড রেগান ।
-রোনাল্ড রেগান ? অভিনেতা ?
-তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট কে?
-জেরি লুইস ?
-আমার ধারণা যেন ওয়েম্যান হল ফার্স্ট লেডি ।
-ডক, দাঁড়াও !
-আর রাজস্ব-বিভাগের মন্ত্রী হল জ্যাক বেনি ।
-ডক, তোমাকে আমার কথা শুনতেই হবে ।
-এক বিকালে আমি যথেষ্ট কৌতুক শুনেছি ।
-শুভ রাত্রি, ভবিষ্যতের বালক !
-না, দাঁড়াও, ডক, ডক ।
-তোমার কপালের কাটা দাগটা,
আমি জানি ওটা কিভাবে হয়েছে ।
-তুমি আমাকে পুরো ঘটনাটা বলেছ ।
-তুমি তোমার টয়লেটে একটা ঘড়ি ধরে দাঁড়িয়ে ছিলে,
-তুমি পিছলে গেলে আর বেসিনে মাথায় আঘাত পেলে ।
-আর যখন তুমি জেগে উথলে তখন তোমার
মাথায় ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর এর চিন্তাটা আসে ।
-এটা সেই জিনিস যা সময় পরিভ্রমণ সম্ভব করতে পারে ।
-এর স্টার্টিং এ কোন সমস্যা হয়েছে,
তাই আমি এটা এখানে লুকিয়ে রেখেছি ।
-আমি টয়লেটে পড়ে যাবার পর,
আমি এটা এঁকেছি ।
-ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর ।
-এটা কাজ করছে !
-এটা কাজ করছে !
-অবশেষে আমি এমন কিছু আবিস্কার করলাম যা কাজ করছে !
-এই জন্য তোমার পিছনে লাথি মারা উচিত ।
-এটা যেভাবে হোক আমার ল্যাব এ নিয়ে যেতে হবে ।
-আমি তোমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেব !
-এইতো ডক, এটাই সেটা ।
-এখন কিছু না ।
-এখন জিজ্ঞেস কর না ।
-আয় হায় , এইটা আমি ! আমাকে দেখ !
-আমি একটা বুড়ো মানুষ ।
-শুভ সন্ধ্যা । আমি ডঃ এমেট ব্রাউন ।
-আমি টুইন পাইন্স মল এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি ।
-ধন্যবাদ খোদা, আমার তখনও চুল আছে ।
-এটা আমি কি পরে আছি ?
-এটা একটা রেডিয়েশন স্যুট ।
-রেডিয়েশন স্যুট?
-অবশ্যই । মনে হয় পারমানবিক যুদ্ধের কারণে ।
-এটা সত্যিই দারুণ ।
-একটা সহজে বহনীয় টেলিভিশন স্টুডিও.
-অবাক হবার কিছুই নাই, কারণ তোমার
প্রেসিডেন্ট হল অভিনেতা ।
-তাকে টেলিভিশনে খুবই ভাল দেখাবে ।
-ওউ, এইতো সেটা । ঐ অংশটা আসছে ।
-না, না, না, এটা ইলেক্ট্রিক্যাল ।
-কিন্তু আমার একটা পারমাণবিক বিক্রিয়া দরকার
-আমার দরকারি ১.২১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে ।
-আমি এইমাত্র কি বললাম ?
-এটা ইলেক্ট্রিক্যাল,
-কিন্তু আমার একটা পারমাণবিক বিক্রিয়া দরকার
-আমার দরকারি ১.২১ গিগাওয়াট বিদ্যু......
-১.২১ গিগাওয়াট !
-১.২১ গিগাওয়াট ।
-খাইছে আমারে !
-গিগাওয়াট হইলে কি হইছে ?
-আমি এত অসাবধান কিভাবে হলাম ?
-১.২১ গিগাওয়াট !
-টম, আমি কিভাবে এত শক্তি তৈরি করব ?
-এটা তো সম্ভব না, সম্ভব ?
-ডক, শোন, আমাদের যা দরকার তা
হল সামান্য একটু প্লুটোনিয়াম ।
-আমি নিশ্চিত যে ১৯৮৫ সালে,
-সব ওষুধের দোকানেই প্লুটোনিয়াম পাওয়া যায় ।
-কিন্তু ১৯৫৫ সালে সামান্য একটুও পাওয়া দুষ্কর ।
-মার্টি, আমি দুঃখিত,
কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে তোমায় এখানেই থাকতে হবে ।
-হায়, হায় !
-ডক, এখানে থাকব?
-আমি এখানে থাকতে পারি না ।
-১৯৮৫ সালে আমার একটা জীবন ছিল ।
-আমি একটা মেয়ে পেয়েছিলাম ।
-সে কি সুন্দরী ?
-ডক, সে অসাধারণ ।
-সে আমার জন্য পাগল । এটা দেখ ।
-দেখ সে এখানে কি লিখেছে , ডক ।
-এতেই তো সব বুঝা যায় ।
-ডক, তুমি আমার একমাত্র আশা ।
-মার্টি, আমি দুঃখিত, কিন্তু ১.২১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ
-উৎপন্ন করার একমাত্র উৎস হল বজ্রপাত ।
-তুমি কি বললে ?
-বজ্রপাত ।
-দুর্ভাগ্যবশত তুমি কখনও জানতে পারবে
-না কখন বা কোথায় এটা আঘাত করবে ।
-আমরা এখন জানি ।
-এই তো !
-এটাই উত্তর ।
-এখানে বলা আছে যে , একটা বজ্রপাত
-পরবর্তী শনিবার রাত ১০ টা ০৪
-মিনিটে ক্লক টাওয়ারে আঘাত করবে !
-যদি আমরা কোনভাবে বজ্রপাতের সাথে
-ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর এর সংযোগ করে দিতে পারি,
-এটা অবশ্যই কাজ করবে ।
-পরের শনিবার আমরা তোমাকে ভবিষ্যতে ফেরত পাঠিয়ে দেব ।
-হ্যাঁ, ঠিকাছে ।
-শনিবারই ভাল । শনিবারই ভাল ।
-আমি ১৯৫৫ সালে একটা সপ্তাহ কাটাতে পারব ।
-আমি একটু ঘুরে বেড়াবো ।
-তুমি আমাকে আশপাশ ঘোরাতে পার ।
-মার্টি, এটা একেবারেই প্রশ্নের বাইরে ।
-তুমি কখনই এই বাসা ছেড়ে যাবে না ।
-কাউকে দেখবে না বা কারোর সাথে কথা বলবে না ।
-তুমি যাই কর তা ভবিষ্যতকে মারাত্মক ভাবে বদলে দিতে পারে ।
-তুমি কি বুঝেছ?
-হ্যাঁ, অবশ্যই । ঠিকাছে ।
-মার্টি ,
-আজ কি তুমি আমার সাথে ছাড়া আর
কারো সাথে যোগাযোগ করেছ ?
-হ্যাঁ, আসলে, হঠাৎ করেই আমার বাবা-মার
সাথে দেখা হয়ে গেছে ।
-খাইছে আমারে !
-তোমার ভাইয়ের ছবিটা আমাকে আরেকবার দেখতে দাও ।
-আমি যা ভেবেছিলাম ।
-এটা আমার ধারণাকে প্রমাণ করল । তোমার ভাইকে দেখ ।
-তার মাথা চলে গেছে , যেন তা মুছে দেয়া হয়েছে ।
-মুছে গেছে তার অস্তিত্ব থেকে ।
-ওয়াও ।
-তারা আসলেই ভাল পরিষ্কার রেখেছে ।
-একদম নতুন লাগছে ।
-এখন মনে রাখবে ।
-আমার ধারণা অনুযায়ী তুমি তোমার
-বাবা-মার প্রথম সাক্ষাতে বাধা দিয়েছ ।
-যদি তাদের সাক্ষাৎ না হয় তবে তারা
একে অন্যের প্রেমে পরবে না ।
-তাদের বিয়ে হবে না আর বাচ্চাও হবে না ।
-এই কারনেই তোমার বড় ভাই
-ছবি থেকে মুছে যাচ্ছে ।
-তোমার বোনেরও তাই হবে ।
-যদি তুমি ক্ষতিপূরণ করতে না পার
-তবে তুমিও যাবে ।
-কথাটা খুবই শক্ত ।
-ওজনের কাছে তো কিছুই না ।
-কোনটা তোমার বাবা ?
-ঐটা ।
-ঠিকাছে । ঠিকাছে দোস্তরা ।
-আসলেই হাস্যকর । দোস্তরা তোরা অনেক মজার ।
-মনে হয় তুমি আশ্রিত ছিলে।
-ঠিকাছে, অনেক মজা দোস্তরা ।
-আমার বইগুলো তুলে দাও ।
-ম্যাকফ্লাই ।
-ওটা স্ট্রিকল্যান্ড ।
-আশ্চর্য, ঐ লোকটার কি কখনই চুল ছিল না?
-এদিকে ঘুরো ।
-তুমি একটা বলদ ।
-তুমি কি বাকি জীবনটাও বলদ থাকতে চাও?
-না ।
-তোমার মা ঐ ছেলেটার মধ্যে কি পেয়েছিল?
-আমি জানিনা , ডক ।
-আমার মনে হয় সে তার জন্য দুঃখিত ছিল কারণ
-তার বাবা তাকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিল ।
-আসলে আমাকে ধাক্কা দিয়েছে !
-একে ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল এর প্রতিক্রিয়া বলে ।
-এটা তখনই হয় যখন হাসপাতালের
নার্স তার রোগীর প্রেমে পরে ।
-যাও ছেলে ।
-হেই, জর্জ ।
-আমি তোমাকে খুঁজছিলাম ।
-আমাকে তোমার মনে আছে?
-যে গতদিন তোমার জীবন বাঁচিয়েছিল?
-ওহ ।
-হ্যাঁ । ভাল ।
-আমি চাই তুমি একজনের সাথে দেখা কর ।
-লরেইন ?
-ক্যালভিন !
-আমি আমার বন্ধু জর্জ এর সাথে
তোমার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই ।
-হাই । তোমার সাথে পরিচিত হয়ে খুব খুশি হলাম ।
-তোমার মাথার অবস্থা কেমন?
-হ্যাঁ, ভাল ।
-ওহ । আমি তোমায় নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম
-যখন তুমি রাতের বেলা চলে গেলে ।
-তুমি ঠিক আছ তো?
-হ্যাঁ ।
-আমি দুঃখিত ।
-আমাকে যেতে হবে ।
-চল !
-সে কি একটা স্বপ্ন নয়?
-ডক, সে একবারও তার দিকে তাকাল না ।
-আমি যা ভেবেছিলাম এটা তার থেকে ভয়ানক ।
-এখন তোমার মা তোমার বাবার জায়গায়
-তোমার প্রেমে পড়ে গেছে ।
-এক মিনিট ডক ।
-তুমি কি বলতে চাচ্ছ আমার মার
আমার প্রতি প্রেম জন্মেছে?
-অবশ্যই ।
-খাইছে! এটা খুবই কঠিন !
-আবারো এই শব্দটা । "কঠিন" ।
-ভবিষ্যতে জিনিসগুলো কেন এত কঠিন হয়?
-নাকি পৃথিবীর মহাকর্ষে কোন সমস্যা আছে?
-কি?
-তাদের একটা সফল পরিণয়ের
-দিকে নিয়ে যাবার একমাত্র উপায়
-তারা যদি একাকী একত্রে কিছু সময় কাটায় ।
-তাই তোমায় তোমার বাবা-মাকে
-কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে......
-কি? তুমি বলতে চাচ্ছ একটা ডেট?
-ঠিক !
-কোন ধরনের ডেট ? আমি জানি না ।
-৫০ সালের ছেলেমেয়েরা কি করে ?
-তারা তোমার বাবা-মা । তুমি অবশ্যই জান তাদের জান ।
-তাদের সাধারণ আগ্রহ কোন দিকে?
-তারা একসাথে কি করতে পছন্দ করে?
-কিছুই না ।
-এই দেখ ! সামনেই একটা অনুষ্ঠান আসছে ।
-অবশ্যই !
ENCHANTMENT UNDER THE SEA DANCE !
-তাদের সেখানে যাবার কথা ছিল ।
-ওখানেই তারা প্রথমবার কিস করেছিল ।
-ঠিকাছে, ছেলে ।
-তুমি তোমার বাবার সাথে আঠার মত লেগে থাকবে
-আর নিশ্চিত করবে যেন সে তাকে নাচে নিয়ে যায় ।
-হেই জর্জ ।
-যে মেয়েটার সাথে আমি তোমার পরিচয় করিয়ে
দিয়েছিলাম তাকে মনে আছে? লরেইন ?
-তুমি কি লিখছ?
-গল্প ।
-অন্য গ্রহ থেকে যারা পৃথিবীতে এসেছে
-তাদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ।
-কল্পনার বাইরে ! আমি জানিনা কখনো
তুমি সৃজনশীল কিছু করেছ কিনা !
-আমাকে একটু পড়তে দাও ।
-ওহ । না, না, না, না ।
-আমি কক্ষনো আমার গল্প কাউকে পড়তে দেই না ।
-কেন?
-কি হবে যদি তাদের পছন্দ না হয় ?
-কি হবে যদি তারা বলে আমি অতটা ভাল নই?
-আমার মনে হয় এটা অন্যদের বোঝা কঠিন হবে ।
-না । না , একেবারেই কঠিন না ।
-যাইহোক জর্জ, কথা হল লরেইনকে নিয়ে ।
-সে তোমাকে খুবই পছন্দ করে ।
-সে আমায় তোমাকে বলতে বলেছে যে সে চায় তুমি তাকে
-ENCHANTMENT UNDER THE
SEA DANCE এ তোমার পার্টনার হতে বল ।
-সত্যি?
-হ্যাঁ ।
-তোমার এখনই তাকে যেয়ে বলা দরকার ।
-এখানে, এখনই, এই ক্যাফেটেরিয়ায় ?
-কি হবে যদি সে রাজি না হয় ?
-আমি ওটা মেনে নিতে পারব না ।
-আর আমার মনে হয় সে আরেকজনের সাথে যাবে ।
-কেডা ?
-বিফ ।
-দুষ্টুমি কর না । আস ।
-চলে যাও ।
-তুমি এটা চাও ।
-তুমি জান তুমি এটা চাও ।
-তুমি জান তুমি চাও আমি এটা তোমাকে দেই ।
-মুখ বন্ধ রাখ । আমি তেমন মেয়ে নই ।
-মনে হয় তুমি তেমনই শুধু তুমি এটা এখনও জান না ।
-আমার গা থেকে তোমার হাত সরাও ।
-তুমি তার কথা শুনেছ ।
-সে বলেছে তার গা থেকে তোমার হাত সরাতে ।
-প্লিজ ।
-তাতে তোমার কি মাথামোটা?
-তুমি মারামারি করতে চাচ্ছ ।
-তুমি এখানে নতুন, আজ তোমার কপাল খারাপ আছে।
-তাই এখানে গাছের মত দাঁড়িয়ে থেক না,
বেরিয়ে যাও ।
-জর্জ !
-কেন তুমি সারাক্ষন আমাকে ফলো করছ?
-দেখ জর্জ........
-আমি তোমাকে বলছি...........
-তুমি যদি লরেইনকে তোমার সাথে নাচে যেতে না বল,
-আমাকে সারা জীবন পস্তাতে করতে হবে।
-কিন্তু আমি নাচে যেতে পারি না ।
-আমি আমার প্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান মিস করব ।
SCIENCE FICTION THEATRE ।
-হ্যাঁ, কিন্তু জর্জ, লরেইন তোমার সাথে যেতে চায় ।
-তাকে এই কষ্ট দিও না ।
-দেখ, আমি লরেইনকে আমার সাথে নাচতে বলার জন্য প্রস্তুত না ।
-আর তুমি বা এই গ্রহের কেউ আমার মত
-পরিবর্তন করতে পারবে না।
-SCIENCE FICTION THEATRE ।
-কে তুমি?
-চুপ , পৃথিবীবাসী ।
-আমার নাম DARTH VADER ।
-আমি ভলকান এর স্থলজ বাসিন্দা ।
-মার্টি !
-মার্টি ! মার্টি !
-হেই, জর্জ ।
-তুমি স্কুলে নেই । কি ব্যাপার ?
-আমি রাতে বেশি ঘুমিয়ে ফেলেছি ।
-আমি লরেইনকে কথাটা বলতে চাচ্ছি,
-কিন্তু আমি জানি না এটা কিভাবে করতে হয় ।
-ঠিকাছে, শোন, শান্ত হও ।
-সে ঐ ক্যাফেতে আছে ।
-খোদা ! কিভাবে তুমি ........
-কেন তুমি তোমার মত পরিবর্তন করলে জর্জ ?
-গত রাতে ভলকান থেকে DARTH VADER এসেছিল ।
-আর আমাকে বলল যদি আমি লরেইনকে নাচার
জন্য না বলি তবে সে আমার মস্তিস্ক পুড়িয়ে দেবে ।
-এইসব মস্তিস্ক পোড়ানোর চিন্তা বাদ দাও, ঠিকাছে?
-ওহ, হ্যাঁ । হ্যাঁ ।
-ঠিকাছে, ঐ তো সে জর্জ ।
-এখন যাও আর তাকে বল ।
-ঠিকাছে । কিন্তু আমি জানি না কি বলতে হবে ।
-কিছু একটা বল জর্জ ।
-সবাই যা বলে, তোমার মাথায় প্রথমে যা আসে তাই বলবে ।
-আমার মাথায় কিছুই আসছে না ।
-মাইরালা, জর্জ, আমি যে জন্মাইছি এইটাই বিস্ময় ।
-কি ? কি ?
-কিছু না । কিছু না । কিছু না ।
-তাকে বলবে, ভাগ্য তোমাদের একত্র করেছে ।
-তাকে বলবে, সে তোমার দেখা বিশ্বের
সবচাইতে সুন্দরী মেয়ে ।
-মেয়েরা এগুলো পছন্দ করে ।
-তুমি কি করছ জর্জ?
-আমি এটা লিখে রাখছি । এগুলো খুবই সুন্দর কথা ।
-হ্যাঁ, এবার যাও ।
-তুমি কি পারবে?
-হ্যাঁ ।
-লো, আমাকে এক গ্লাস দুধ দাও ।
-চকলেট ।
-লরেইন, আমার ভাগ্য আমাকে তোমার কাছে নিয়ে এসেছে ।
-কি?
Oh.
-ওহ ।
-আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম....
-এক মিনিট । আমি কি তোমাকে চিনি ?
-হ্যাঁ ।
-আমি জর্জ । জর্জ ম্যাকফ্লাই ।
-আমি তোমার ঠিকানা ।
-মানে হল গিয়ে,
-তোমার ঠিকানা ।
-ওহ ।
-হেই, ম্যাকফ্লাই ।
-আমি তোমাকে বলেছিলাম কখনও এখানে না আসতে ।
-তোমাকে এর মূল্য দিতে হবে ।
-তোমার কাছে কত টাকা আছে ?
-তুমি কত চাও, বিফ?
-ঠিকাছে, হতচ্ছাড়া ।
-এখন আমি তোরে.......
-হায়, হায়, বিফ ।
-ওটা কি?
-ওটা ক্যালভিন ক্লাইন । হায় খোদা,
সে আমার স্বপ্ন ।
-বাচ্চারা ! বাচ্চারা, থাম ! থাম !
-হেই !
-আমি এটা আবার তোমাকে ফেরত দেব, ঠিকাছে?
-তুমি ওটা ভেঙে ফেলেছ !
-এখানে ফিরে এস !
-ওয়াও! দেখ সে কিভাবে যাচ্ছে !
-ওরে ধর !
-গাড়িতে ওঠ ! গাড়িতে !
-সে কিসের উপর আছে?
-চাকাওয়ালা একটা কাঠের উপর ।
-সে সত্যিকার স্বপ্ন !
-এদিকে আয় ! এদিকে আয় !
-গাড়িটার দিকে খেয়াল রেখ !
-আমি ওকে গোবরে ফেলব ।
-খাইছে !
-অনেক ধন্যবাদ, বাচ্চা ।
-ঐ কুত্তার বাচ্চারে আমি দেখে নেব ।
-সে কোথা থেকে এসেছে?
-তাইতো, সে কোথায় থাকে ?
-আমি জানি না । কিন্তু আমি খুঁজে বের করব ।
-হায় খোদা ।
-ওরা আমাকে খুঁজে পেয়েছে । আমি জানি
না কিভাবে, কিন্তু তারা পেয়েছে ।
-পালাও, মার্টি !
-হায় খোদা ।
-ওরা আমাকে খুঁজে পেয়েছে । আমি জানি
না কিভাবে, কিন্তু তারা পেয়েছে ।
-পালাও, মার্টি !
-ডক ?
-হাই মার্টি । আমি টের পাইনি তুমি এসেছ ।
-এই ভিডিও ডিভাইসটা অসাধারণ ।
-ডক, শোন ।
-তুমিও মনে হয় কিছু বুঝতে পেরেছ ।
-যে রাতে আমরা এই টেপটা বানিয়েছিলাম
-তোমাকে আমি সেই রাতের কথা বলি নি ।
-প্লিজ মার্টি, আমাকে কিছু বোলো না ।
-কারোরই নিজের গন্তব্য নিয়ে খুব বেশি জানা ঠিক না ।
-তুমি বুঝতে পারছ না ।
-আমি বুঝতে পারছি ।
-যদি আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে
খুব বেশি জেনে ফেলি,
-আমি আমার নিজের অস্তিত্বকেই
হুমকির মুখে ফেলতে পারি ।
-যেমনটা তুমি করেছ ।
-তুমি ঠিক বলেছ ।
-এখন.......
-এখন তোমাকে বাড়ি পাঠানোর প্ল্যানটা আমায় দেখাতে দাও ।
-মডেল এমন হওয়ায় কিছু মনে কর না ।
-আমার এটা স্কেল অনুযায়ী করার বা আঁকার সময় ছিল না ।
-এটা অনেক ভাল ।
-ধন্যবাদ । ধন্যবাদ ।
-এখন......
-আমরা ক্লক টাওয়ার এর একদম
-উপর থেকে বিদ্যুৎ পরিবাহী একটা
-ইলেক্ট্রিক্যাল ক্যাবল দিয়ে নিচে
-রাস্তার এই দুটো ল্যাম্পপোস্টে লাগিয়ে রাখব ।
-অন্যদিকে আমরা টাইম মেশিনে এই
-বড় হুকটা লাগিয়ে দেব যার সাথে সরাসরি
-ফ্লাক্স ক্যাপাসিটরের সংযোগ থাকবে ।
-নির্দিষ্ট সময়ে তুমি রাস্তা থেকে আসা শুরু করবে ,
-সোজা ক্যাবলটার দিকে ড্রাইভ করে,
-ঘণ্টায় ৮৮ মেইল বেগে ।
-লিফলেট অনুযায়ী , একদম রাত ১০ টা ০৪ মিনিট ,
এই শনিবার রাতে ,
-ক্লক টাওয়ারে বজ্রপাত আঘাত করবে, সেটা
ক্যাবলকে বিদ্যুতায়িত করবে,
-যেই মুহূর্তে হুকটা ক্যাবলকে স্পর্শ করবে সাথে সাথে তা
- ফ্লাক্স ক্যাপাসিটরে ১.২১ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়ে দেবে
-আর তোমাকে ১৯৮৫ সালে ফিরিয়ে নেবে ।
-ঠিকাছে, এখন এটা দেখ ।
-তুমি গাড়িটায় চাবি দাও, আমি বললে ছাড়বে ।
-আমি বজ্রপাতটা দিচ্ছি ।
-রেডি ।
-সেট ।
-ছাড় ।
-তুমি আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছ ডক !
-ব্যাপার না ।
-আমি বজ্রপাতের দিকে খেয়াল রাখব ।
-তুমি তোমার বাপের দিকে খেয়াল রাখ ।
-যাই হোক, আজ কি হল?
-সে কি তাকে বলেছে?
-আমার তাই মনে হয় ।
-সে কি বলল?
-এটা তোমার মা !
-সে তোমার পিছু নিয়েছে !
-তাড়াতাড়ি ! টাইম মেশিনটা ঢেকে দাও ।
-হাই, ক্যাল.... মার্টি ।
-মা , লরেইন ।
-তুমি কিভাবে জানলে আমি এখানে আছি ?
-আমি তোমাকে ফলো করেছি ।
-ওহ । এটা আমার ডক......
-আসলে আমার আঙ্কল ,
ডক্টর ব্রাউন ।
-হাই ।
-হাই ।
-মার্টি, এটা একটু বেশিই হতে পারে ,
-কিন্তু আমি ভাবছিলাম তুমি কি শনিবারে ENCHANTMENT
UNDER THE SEA DANCE এ আমার সাথে নাচবে?
-তুমি বলতে চাচ্ছ....
যে তোমাকে কেউ বলে নি?
-না । এখনো না ।
-জর্জ ও না?
-জর্জ ম্যাকফ্লাই ?
-সে অনেক কিউট কিন্তু.......
-আসলে আমি চাই মানুষটা সাহসী হবে,
-যেন সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে আর
-যে মেয়েটিকে সে ভালবাসে তাকে রক্ষা করতে পারে ।
-তুমি কি যাবে?
-হ্যাঁ ।
-আমি এখনো বুঝতে পারছি না ।
-যদি সে এরই মধ্যে তোমার সাথে নাচতে যাচ্ছে
-তবে আমি কিভাবে তার সাথে নাচব?
-আসলে কারণ হল, সে তোমার সাথে যেতে চায় জর্জ ।
-শুধু সে এটা জানে না ।
-এই জন্যই আমরা তাকে দেখাতে চাই
-যে জর্জ ম্যাকফ্লাই , তুমি অনেক সাহসী ।
-তোমাকে তোমার নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ।
-যে তাকে রক্ষা করতে পারবে ।
-হ্যাঁ, কিন্তু আমি জীবনে কখনও মারামারি করি নাই ।
-দেখ, এটা আসলে মারামারি হবে না , বাবা ।
-বাপ, বাপ, বাপরে........
-তুমি তাকে বাঁচাতে আসবে, ঠিকাছে?
-তাহলে প্ল্যানটায় আরেকবার চোখ বুলানো যাক ।
-৮ টা ৫৫ এ তুমি কোথায় থাকবে?
-আমি নাচে থাকব ।
-ঠিক । আর আমি কোথায় থাকব ?
তুমি তার সাথে গাড়িতে থাকবে ।
-ঠিক, তো সে রাত ৯ টার আশেপাশে আমার
উপর অনেক রেগে যাবে ।
-কেন সে তোমার উপর রেগে যাবে?
-আসলে কারণ হল জর্জ, সুন্দরী মেয়েরা তাদের উপর
রেগে যায় যখন ছেলেরা তাদের ব্যাবহার করতে চায় ।
-তুমি বলতে চাচ্ছ তুমি তাকে স্পর্শ করবে.....
-না , না , জর্জ দেখ ।
-এটা পুরোটাই অভিনয় , তাইনা?
-ঠিকাছে । তো ৯ টার সময় তুমি গাড়ি পার্ক করার জায়গায় যাবে ।
-তুমি দেখবে গাড়ির ভেতর আমাদের হাতাহাতি চলছে ।
-তুমি সামনে আগাবে, দরজাটা খুলবে,
তারপর বলবে.......
-তোমার লাইনটা, জর্জ ।
-ওহ !
-হেই, তার উপর থেকে তোমার নোংরা হাত সরাও ।
-তোমার কি মনে আমি পারব ?
-হ্যাঁ, অবশ্যই ।
-সত্যিই জর্জ, তুমি পারবে ।
-ঠিকাছে । তুমি এগিয়ে আসবে ।
-আর আমার পেটে একটা ঘুষি মারবে ।
-আমি তখন তার হিসেবের বাইরে চলে যাব , ঠিকাছে?
-আর তারপর তুমি আর লরেইন সুখে থাকবে ।
-তুমি এমন ভাবে বললে যেন এটা খুব সহজ ।
-আমি চাই আমি যেন ভয় না পাই ।
-জর্জ, এখানে ভয় পাবার কিছু নাই ।
-যা দরকার তা হল একটু আত্মবিশ্বাস ।
-তুমি জান, যদি তুমি কোন কিছু মন থেকে চাও,
-তবে তুমি যে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে ।
-হিল ভ্যালি এলাকার শনিবার রাতের আবহাওয়া পূর্বাভাস ।
-আকাশ পরিষ্কার থাকবে,
সামান্য কিছু মেঘ থাকবে ।
-তাপমাত্রা ৪০ এর উপরে থাকতে পারে ।
-তুমি কি ঝড় সম্পর্কে নিশ্চিত?
-যখন থেকে ভবিষ্যতে আবহাওয়াবিদরা একা
থাকা শুরু করেছে তখন থেকে !
-তুমি জান মার্টি, তোমাকে যেতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে ।
-তুমি আমার জীবনটা অনেক পরিবর্তন করে দিয়েছ ।
-আমাকে টিকে থাকার জন্য কিছু একটা দিয়ে যাচ্ছ ।
-এটা জেনে যে , আমি ১৯৮৫ সাল দেখতে পাব ।
-এটা জেনে যে, আমি এটায় সফল হব !
-এটা জেনে যে, আমি সময় পরিভ্রমণ করার সুযোগ পাব !
-তোমার সাথে গত কিছু দিনে যেসব বিষয় নিয়ে
কথা হয়েছে তার পর আবার
-তোমার সাথে কথা বলার জন্য ৩০ বছর
অপেক্ষা করাটা সত্যিই কঠিন ।
-আমি তোমাকে সত্যিই অনেক মিস করব , মার্টি ।
-আমিও তোমাকে আসলেই মিস করব ।
-ডক, ভবিষ্যতে........
-না !
-মার্টি ! আমরা আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ভবিষ্যৎ
সম্পর্কে জানা অনেক বিপদজনক হতে পারে ।
-তোমার ইচ্ছা ভাল হলেও, এটা
হিতে-বিপরীত হতে পারে ।
-তুমি আমাকে যা বলতে চাচ্ছ, আমি তা
প্রকৃতির সাধারণ সময়ে বের করব ।
-"প্রিয় ডক্টর ব্রাউন,
-যে রাতে আমি অতীতে ফিরে এসেছিলাম,
-সে রাতে তুমি কিছু দেশদ্রোহীর হাতে
গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিলে ।"
-প্লিজ, এই অঘটনটা যেন না হয় সে জন্য
দরকারি পদক্ষেপ নিও ।
-তোমার বন্ধু,
-মার্টি ।"
-শুভ সন্ধ্যা, ডক্টর ব্রাউন ।
-এটা কি?
-ওহ, আবহাওয়া সম্পর্কিত একটা পরীক্ষা ।
-এটার নিচে কি আছে?
-না ! ওটা ধরবেন না !
-একেবারেই নতুন কিছু আবহাওয়া সম্পর্কিত যন্ত্রপাতি ।
-তোমার কি এটা করার অনুমতি আছে?
-অবশ্যই আমার আছে ।
-এক সেকেন্ড, আমি এটা এখানে রেখেছি ।
-আমরা যদি কিছুক্ষণের জন্য পার্ক করি তবে তুমি রাগ করবে?
-এটা দারুণ আইডিয়া ।
-আমার খুব ভাল লাগবে ।
-কি?
-মার্টি, আমার বয়স প্রায় ১৮ বছর ।
-তার মানে এই না যে আমি আগে কখনও পার্ক করিনি ।
-কি !
-মার্টি, তোমাকে খুব নার্ভাস লাগছে ।
-কোন সমস্যা ?
-নাহ ।
-লরেইন ! লরেইন, তুমি এটা কি করছ ?
-আমি এটা বুড়ি মহিলার আলমারি থেকে সরিয়েছি ।
-হ্যাঁ, ভাল, তোমার ড্রিঙ্ক (মদ) খাওয়া উচিত না ।
-কেন নয়?
-কারণ তুমি........
-তোমার পরে এর জন্য পরিতাপ করতে হবে ।
-মার্টি, এমন কথা বল না ।
-সবাই জানে যে সবাই ড্রিঙ্ক করে ।
-মাইরালা, তুমি সিগারেটও খাও?
-মার্টি, তুমি আমার মায়ের মত কথা বলা শুরু করেছ ।
-আমরা একটা ছোট বিরতি নেব ,
-কিন্তু আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসব ,
-তো, কেউ কোথাও যাবেন না ।
-মার্টি ? তুমি এত নার্ভাস কেন ?
-লরেইন ।
-তুমি কি এমন কোন অবস্থায় পড়েছ যেখানে তুমি
-জান তোমাকে একটা নির্দিষ্ট পথে অভিনয় করতে হবে ,
-কিন্তু যখন তুমি সেখানে গেলে,
-তুমি জান না যে তুমি এটা কিভাবে করবে ?
-তুমি বলতে চাচ্ছ কিভাবে প্রথম ডেট করতে হয় ?
-অনেকটা ।
-আমি মনে করি আমি জানি তুমি আসলে কি বুঝাতে চাইছ ।
-তুমি জান ?
-তুমি কি জান আমি ঐ অবস্থায় কি করি ?
-কি ?
-আমি কোন চিন্তা করি না ।
-এর সবই ভুল । আমি জানি না এটা কি ।
-কিন্তু যখন আমি তোমায় কিস করলাম আমার
মনে হচ্ছিল আমার ভাইকে কিস করছি ।
-আমার মনে হয় না এর কোন মান আছে , তাই না ?
-আমায় বিশ্বাস কর, এর আসলেই মানে আছে ।
-কে যেন আসছে ।
-তোর জন্য আমার গাড়ির পেছনে ৩০০
ডলার খরচ হয়েছে, কুত্তার বাচ্চা ।
-এখন আমি ওটা তোর থেকে ফেরত নেব ।
-ওকে যেতে দাও , বিফ ।
-মাতাল কোথাকার ।
-এই, দেখ আমরা কি পেয়েছি ।
-না, না ! তুমি আমার সাথে এখানে থাকবে ।
এদিকে আস লরেইন ।
-আমাকে যেতে দাও !
-ওকে ছেড়ে দে শয়তান !
-ওকে পিছনে নিয়ে যাও, ঠিকাছে?
আমি আসছি ।
-শুধু বল তুমি এটা চাও, বল ।
-এই ওকে নিয়ে যা ।
-কেউ উঁকি দিবি না ।
-হেই, ওকে এখানে রেখে দেই ।
-হ্যাঁ !
-এটা আমার চুল স্পাইক করার জন্য ।
-আমার গাড়ি নিয়ে তোমরা কি করছ ?
-দূরে গিয়া মর । এটা তোর ব্যাপার না ।
-কোন আবালে এই কথা বলছে?
-হেই, হেই, আমার কথা শুনুন........
-আসলে আমি ওটা বলতে চাইনি, ঠিকাছে?
-বাড়ি যাও, ছোকরা ।
-বিফ !
-বিফ, তাড়াতাড়ি !
-আমাকে এখানে থেকে বের কর !
-রেগল্যান্ড, চাবি কোথায় ?
-চাবি তো এখানে ।
-আবার বল তো ?
-আমি বলেছি চাবি এখানে ।
-হেই, তার উপর থেকে তোমার নোংরা হাত সরাও ........
-ওহ ।
-আমার মনে হয় তুমি ভুল গাড়িতে এসেছ, ম্যাকফ্লাই ।
-জর্জ, আমাকে সাহায্য কর !
-প্লিজ !
-এখান থেকে চলে যাও, ম্যাকফ্লাই ।
-প্লিজ, জর্জ !
-তুমি কি কালা, ম্যাকফ্লাই ?
Close the door
and beat it.
-দরজাটা বন্ধ করে চলে যাও ।
-না, বিফ ।
-তুমি ওকে ছেড়ে দাও ।
-ঠিকাছে , ম্যাকফ্লাই ।
-তোমার যা ইচ্ছা সেটাই হবে !
-বিফ, থাম !
-বিফ, তুমি ওর হাত ভেঙে ফেলবে !
-বিফ, না !
-আমার সাথে হাত লাগাও , রেগল্যান্ড ।
-ধেত্তেরি ! আমি আমার নিজের হাত কাইটা ফালাইছি !
-এগুলো কার ?
-আমার ।
-অনেক ধন্যবাদ ।
-বিফ, তুমি ওর হাত ভেঙে ফেলবে !
-বিফ ! বিফ, ওকে ছেড়ে দাও !
-ওকে যেতে দাও !
-ওকে যেতে দাও !
-তুমি কি ঠিক আছ ?
-কে ওটা ?
-ওটা জর্জ ম্যাকফ্লাই ।
-জর্জ ম্যাকফ্লাই ?
-মাফ করবেন ।
-ঝড় !
-শুনুন, আপনাদের তো ফিরে যেয়ে নাচটা শেষ করা দরকার ।
-তুমি মারভিনের হাতের অবস্থা দেখ ।
-হাতের এই অবস্থায় সে কিভাবে গিটার বাজাবে ?
-আর আমরা তাকে ছাড়া শুরু করতেও পারব না ।
-হ্যাঁ, দেখ মারভিন, তোমাকে যেতেই হবে ।
-দেখ, এই ড্যান্স ফ্লোরেই তারা প্রথমবার কিস করেছিল ।
-যদি তোমরা না যাও তবে তারা নাচতে পারবে না ।
-আর যদি না নাচে তবে কিসও করবে না ।
-যদি তারা কিস না করে তবে তারা প্রেমে পড়বে না ,
আর আমি ইতিহাস হয়ে যাব ।
-হেই, নাচ শেষ ।
-যদি অন্য কেউ গিটার বাজাতে না পারে ।
-এটা এখানের সকল প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য ।
-জর্জ, তুমি কি আমাকে কিস করবে না?
-আমি জানি না ।
-কেটে পড় ম্যাকফ্লাই , আমি নাচব ।
-এই ছেলে, তুমি ঠিক আছ?
-আমি বাজাতে পারছি না ।
-জর্জ !
-জর্জ !
-জর্জ ।
-মাফ করবেন !
-ওহ, ছেলে, এটা দারুণ ছিল ।
-চল আরেকটা করি ।
-না । আমাকে যেতে হবে ।
-আহ, কর না । আমাদের আরেকটু আনন্দ দাও ।
-আরেকটু আনন্দ ।
-ঠিকাছে ।
-ঠিকাছে !
-ঠিকাছে, এটা একটা OLDIE, কিন্তু........
-আসলে আমি যেখান থেকে এসেছি
সেখানে এটাকে OLDIE বলে ।
-শুনুন এটা খুবই সহজ ।
-আমাকে দেখে সুর পরিবর্তন করবেন আর,
আমার সাথে তাল মেলাবার চেষ্টা করুন, ঠিকাছে?
-হেই জর্জ, শুনলাম তুমি নাকি বিফকে টাইট দিয়েছ ?
-দারুণ ।
-তুমি কি কখনও ভেবেছিলে তোমার ক্লাসের
ক্যাপ্টেন এর সাথে এমন হবে ?
-চাক ! চাক, আমি মারভিন ।
-তোমার কাজিন , মারভিন বেরি ।
-তোমার মনে আছে তুমি নতুন সুর খুঁজছিলে ?
-ভাল, এটা শোন ।
-আমার ধারণা তোমরা এটার জন্য প্রস্তুত ছিলে না ।
-কিন্তু তোমাদের বাচ্চারা এটা পছন্দ করবে ।
-লরেইন ।
-মার্টি, ওটা খুব সুন্দর গান ছিল ।
-হ্যাঁ ।
-আমার মনে হয় তুমি রাগ করবে না,
-কিন্তু জর্জ আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে চায় ।
-দারুণ ! খুব ভাল লরেইন ।
-তোমাদের দুজনের প্রতি আমার একটা মায়া আছে !
-আমারও আছে ।
-শোন, আমাকে যেতে হবে,
-কিন্তু আমি তোমাকে বলতে চাই যে এখানে
থেকে অনেক কিছু শেখার আছে ।
-মার্টি, তোমার সাথে কি আমাদের আর দেখা হবে না ।
-আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি ।
-ভাল, মার্টি, তোমার সব মূল্যবান উপদেশ গুলোর
জন্য তোমায় ধন্যবাদ দিতে চাই ।
-আমি এগুলো কখনও ভুলতে পারব না ।
-ঠিক, জর্জ ।
-ঠিকাছে, তোমরা ভাল থেক ।
-ওহ !
-আরেকটা কথা ।
-যদি তোমাদের কখনও বাচ্চা হয়,
-আর তাদের মধ্যে একজনের যখন বয়স ৮ বছর থাকবে,
-ভুলবশত বসার ঘরে আগুন লাগিয়ে ফেলবে,
-তার সাথে ভাল ব্যাবহার কোরো ।
-ঠিকাছে ।
-মার্টি । খুব সুন্দর নাম ।
-ধেত্তেরি ! ঐ বাচ্চাটা কই ?
-ধেত্তেরি !
-ধেত্তেরি ! ধেত্তেরি !
-তুমি দেরি করে ফেলেছ !
-তোমার কি সময়ের কোন মূল্য নেই?
-হেই, বুঝতে চেষ্টা কর ।
-আমাকে সব ঠিক করতে হয়েছে ।
-তোমার কি মনে হয় আমি ঐ চিড়িয়াখানার অবস্থায় ফিরে যাব ?
-বাবা সত্যিই দারুণ কাজ করেছে ।
-বুদ্ধিটায় কাজ হয়েছে ।
-সে বিফ কে এক ঘুষিতে শুইয়ে দিয়েছে ।
-আমি জানি না সে এটা কিভাবে করেছে ।
-সে আগে কখনও বিফের সামনে দাঁড়ায় নি ।
-কখনও না ?
-না । কেন ?
-কি হয়েছে ?
-ঠিকাছে ! চল তোমার যাবার সময়টা ঠিক করি ।
-তুমি ঠিক এই সময় ফিরে এসেছিলে ।
-তোমাকে এই সময়েই ফেরত পাঠানো যাক ।
-এতে মনে হবে তুমি কখনও যাও নি ।
-এখন, আমি রাস্তার এক প্রান্তে একটা সাদা দাগ টেনে দিয়েছি ।
-তুমি ওখান থেকে শুরু করবে ।
-আমি একদম সঠিক দূরত্ব হিসাব করেছি ,
-যেটা তোমার গাড়ির ত্বরণ থেকে শুরু করে
একদম বাতাসের বেগের সাপেক্ষে
-ঠিক বজ্রপাত ঘটার মুহূর্ত পর্যন্ত ,
-যেটা ঠিক ৭ মিনিট ০২ সেকেন্ডে ঘটবে ।
-যখন অ্যালার্মটা বেজে উঠবে তুমি গাড়ি স্টার্ট দেবে ।
-ঠিকাছে ।
-তো, আমার মনে হয় এগুলোই সব যা তোমার জানার দরকার ।
-ধন্যবাদ ।
-তোমাকেও ধন্যবাদ ।
-৩০ বছর পর তোমার সাথে দেখা হবে ।
-আমিও তাই আশা করি ।
-চিন্তা কর না !
-যেই মুহূর্তে তুমি ঐ তারের সাথে হুকের
সংযোগ ঘটাবে ঠিক ৮৮ মেইল বেগে,
-আর যদি ঠিক ঐ সময়ে বজ্রপাতটা টাওয়ারে আঘাত করে.......
-সব ঠিকমত হয়ে যাবে ।
-ঠিকাছে ।
-এটার মানে কি ?
-তুমি ৩০ বছরে বের করবে ।
-এটা ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত, তাই না ?
-এটা ভবিষ্যতের তথ্য ।
-এক মিনিট ।
-আমি তোমাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করেছি ছেলে ।
-এটা খুব বিপদজনক হতে পারে !
-ডক, তোমাকে এই ঝুঁকিটা নিতেই হবে ।
-এর উপর তোমার জীবন নির্ভর করছে !
-না !
-আমি এই দায়িত্ব নিতে পারব না ।
-তাহলে আমি তোমাকে সরাসরি বলে দিচ্ছি ।
-খাইছে আমারে !
-তুমি ক্যাবলটা নাও,
আমি উপর থেকে তোমাকে দড়িটা ফেলে দেব ।
-ঠিকাছে ! আমি বুঝতে পেরেছি !
-ডক !
-তাড়াতাড়ি কর, হয়েছে !
-ঠিকাছে ! টান দাও !
-যাও !
-ডক !
-কি?
-আমাকে তোমায় ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতেই হবে ।
-কি?
-আমাকে তোমায় ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতেই হবে !
-কি?
-যে রাতে আমি অতীতে ফিরে এসেছিলাম,
সে রাতে তুমি .......
-ডক !
-যাও !
-না, ডক !
-সময়টা দেখ !
-তোমার আর ৪ মিনিটেরও কম সময় আছে ।
দয়া করে তাড়াতাড়ি কর !
-হ্যাঁ !
-ধেত্তেরি ডক !
কেন তুমি চিঠিটা ছিঁড়ে ফেললে ?
-আমি যদি আরেকটু সময় পেতাম ।
-এক মিনিট । আমার যত ইচ্ছা তত সময় আমি পেতে পারি ।
-আমি একটা টাইম মেশিনে আছি ।
-আমি শুধু একটু আগে যেয়ে তাকে সতর্ক করব ।
-ঠিকাছে । ১০ মিনিটই যথেষ্ট হবার কথা ।
-ঠিকাছে । টাইম সার্কিট চালু আছে ।
-ফ্লাক্স ক্যাপাসিটর ও কাজ করছে ।
-ইঞ্জিন চলছে । সব ঠিকাছে ।
-না । না । না ।
-চলো । এমন সময়ে না ।
-চলো । চলো ।
-চলো ।
-এইতো । এইতো । এইবার । চলো ।
-প্লিজ ! প্লিজ ! চলো !
-ডক ।
-মাতাল ড্রাইভার কোথাকার ।
-ওয়াও !
-সব ঠিকাছে । ফ্রেড ।
-তোমাকে দারুণ দেখাচ্ছে ।
-সবকিছুই দারুণ দেখাচ্ছে ।
-১ টা ২৪ মিনিট । আমার এখনো সময় আছে ।
আমি আসছি , ডক !
-না ! না, আবার না !
-চলো ! চলো !
-লিবিয়ানরা ।
-না ।
-শয়তান !
-যাও ।
-ডক ! ডক !
-না ! না !
-তুমি বেঁচে আছ !
-বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ?
-তুমি কিভাবে জানলে ?
-আমি তোমাকে একবারও বলার সুযোগ পাই নি ।
-তোমার ভবিষ্যৎ জানা নিয়ে ভয় দেখানো কথাগুলো কোথায় গেল ?
-সময়-পরিভ্রমণ নিয়ে ?
-যাই হোক, আমি জেনেছি , তাতে কি হয়েছে ?
-তো তুমি কত দূরে যাচ্ছ ?
-প্রায় ৩০ বছর । খুব সুন্দর একটা সংখ্যা ।
-ওখানে যেয়ে আমাকে দেখ , ঠিকাছে ?
-মনে হয় আমার বয়স প্রায় ৪৭ বছর হবে ।
-আমি দেখব ।
-সাবধানে থেক ।
-তুমিও ।
-ঠিকাছে । বিদায়, আইনি ।
-ওহ । আর সময়ে প্রবেশের সময় সাবধানে থেক ।
-ওখানে সামান্য ঝাঁকি লাগে ।
-তুমি নিশ্চিন্ত থাক ।
-কি ধরনের দুঃস্বপ্ন !
-যদি পল আমাকে ফোন করে, বলবে আমি আজ
অনেক রাত পর্যন্ত কাপড়ের দোকানে কাজ করব ।
-লিন্ডা , প্রথমত , আমি তোমার উত্তরদাতা নই ,
-দ্বিতীয়ত, গ্রেগ বা ক্রেগ নামের কে যেন
-একটু আগে তোমাকে ফোন করেছিল ।
-ভাল, এটা কে ছিল , গ্রেগ না ক্রেগ ?
-আমি জানি না !
-আমি তোমার সব বয়ফ্রেন্ড এর নাম মুখস্ত রাখতে পারব না ।
-হেই ।
-এটা কি ?
-সকালের খাবার ।
-তুমি কি এই কাপড়েই কাল রাতে ঘুমিয়েছিলে ?
-হ্যাঁ, আমি ........
-হ্যাঁ, তুমি এটা কি পরে আছ , ডেভ?
-মার্টি, আমি সবসময় অফিসে কোট পরে যাই ।
-তুমি ঠিক আছ তো ?
-আমার মনে আমাদের আবার চেষ্টা করা উচিত জর্জ ।
-আবার ?
-কেন ? তুমি কি মজা করছ ?
-না ।
-হ্যালো । শুভ সকাল ।
-মা ! বাবা !
-তুমি কি মাথায় ব্যাথা পেয়েছ ?
-মার্টি, তুমি ঠিক আছ তো ?
-তোমাদের দারুণ দেখাচ্ছে ।
মা, তোমাকে দারুণ স্লিম লাগছে ।
-ওহ, ধন্যবাদ মার্টি ।
-জর্জ !
-শুভ সকাল , সোনা ।
-শুভ সকাল, ডেভ, লিন্ডা ।
-শুভ সকাল , মা ।
-মার্টি, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে
জেনিফার পার্কার ফোন করেছিল ।
-আমি অবশ্যই তাকে পছন্দ করি , মার্টি ।
-সে খুব মিষ্টি একটা মেয়ে ।
-আজ রাতেই না তোমার সেই বিখ্যাত ডেট হবার কথা ?
-কি ? কি , মা ?
-তুমি কি আজ রাতে লেক এ যাচ্ছ না ?
-তুমি তো দুই সপ্তাহ ধরে এর জন্য পরিকল্পনা করছ ।
-মা, আমরা তো এই নিয়ে কথা বলেছি ।
-আমি কিভাবে লেক এ যাব ?
-গাড়ি তো ভেঙে গেছে ।
-ভেঙে গেছে ?
-ভেঙে গেছে ?
-কখন এটা হল ?
-আমাকে কেন বলা হয়নি ?
-শান্ত হও ।
-আমি নিশ্চিত যে গাড়িটা ঠিক আছে ।
-কেন এইসব ব্যাপার গুলো আমি সবার শেষে জানি ?
-দেখেছ ? বিফ ওখানে ওটা পরিষ্কার করছে ।
-এখন, বিফ, আমি নিশ্চিত হতে চাই যে
-আমাদের দুটো গাড়িই সময়মত তৈরি আছে ।
-মাত্র একটা না ।
-আমি মাত্র দ্বিতীয়টা শেষ করছিলাম ।
-এখন , বিফ , আমাকে ফাঁকি দিও না ।
-আমি দুঃখিত মিঃ ম্যাকফ্লাই ।
-আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম ,
আমি মাত্র দ্বিতীয়টা শুরু করেছিলাম ।
Biff. What a character.
-বিফ । আজব একটা মানুষ ।
সবসময় ফাঁকি দিতে চায় ।
-আমি স্কুল এর পর থেকে সবসময় তার উপরে ছিলাম ।
-যদিও এটা তার জন্য ছিল না ............
-আমরা কখনও প্রেমে পড়তাম না ।
-এটা ঠিক ।
-মিঃ ম্যাকফ্লাই ! মিঃ ম্যাকফ্লাই, এটা মাত্র এসেছে ।
-ওহ, হাই মার্টি । আমার মনে হয় এটা তোমার নতুন বই ।
-জান ! তোমার প্রথম উপন্যাস !
-যেমনটা আমি তোমায় সবসময় বলেছি,
-"যদি তুমি কোন কিছু মন থেকে চাও,
তবে তুমি যে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে ।"
-ওহ, মার্টি , এইতো তোমার চাবি ।
-আপনাদের সব গাড়িই আজ রাতের জন্য প্রস্তুত ।
-চাবি ?
-একটু ঘুরে আসলে কেমন হয় মিস্টার ?
-জেনিফার ।
-ওহ, তোমাকে কতদিন দেখিনি !
তোমাকে একটু আমায় দেখতে দাও ।
-মার্টি, তুমি এমন ভাব করছ যেন
আমাকে ১ সপ্তাহ ধরে দেখ নি ।
-আমি আসলেই দেখিনি ।
-তুমি ঠিকাছ ?
-সবকিছু ঠিকাছে তো ?
-ওহ, হ্যাঁ ।
-সবকিছুই দারুণ আছে ।
-মার্টি ! তোমায় আমার সাথে ফিরে যেতে হবে !
-কোথায় ?
-ভবিষ্যতে ।
-এক মিনিট ।
-তুমি এটা কি করছ ডক ?
-আমার জ্বালানি দরকার ।
-তাড়াতাড়ি কর ! গাড়িতে ওঠ ।
-না, না । ডক, আমি মাত্র এখানে এলাম, ঠিকাছে ?
-জেনিফার এখানে আছে ।
-আমরা নতুন গাড়িটা নিয়ে একটু ঘুরতে যেতাম ।
-ভাল, তাকেও সাথে করে নিয়ে এস ।
-এটা তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ।
-এক মিনিট , ডক ।
-তুমি কি নিয়ে কথা বলছ ?
-আমাদের ভবিষ্যতে কি হয়েছে ?
-আমাদের কি অনেক বড় বিপদ বা অন্য কিছু হয়েছে ?
-না, না , না , না , মার্টি ।
-তুমি আর জেনিফার দুজনেই ভাল আছ ।
1522
-এটা তোমাদের বাচ্চাকে নিয়ে, মার্টি ।
-তোমাদের বাচ্চাকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে ।
-হেই, ডক , আমরা মনে হয় আরেকটু পিছালে ভাল হয় ।
-আমাদের ৮৮ মাইল বেগ ওঠাবার মত রাস্তা সামনে নেই ।
-রাস্তা ? যেখানে আমরা যাচ্ছি ,
সেখানে আমাদের রাস্তার দরকার নেই ।