Tip:
Highlight text to annotate it
X
t
tr
tra
tran
trans
transl
transla
translat
translate
translated
translated by
translated by S
translated by Sy
translated by Sym
translated by Symo
translated by Symon
translated by Symon A
translated by Symon Al
translated by Symon Ale
translated by Symon Alex
যদিও পৃথিবীর অন্যান্য দেশুগুলো
এই অপ্রিয় সত্যি অস্বীকার করবে,
কিন্ত আমরা ফরাসীরা এই সত্যিটা জানি:
যে পৃথিবীর সেরা খাবার ফ্রান্সেই তৈরি হয়.
ফ্রান্সের সেরা খাবার হয় প্যারিসে.
আর প্যারিসের সেরা খাবার বানায়
শেফ অগাস্ট গুস্তো.
গুস্তোর রেস্তোরাঁ হল প্যারিসের প্রাণ,
এটা 5 মাস আগেই বুক হয়ে যায়.
আর ফরাসী রন্ধনপ্রণালীর উপর গুস্তোর
এই অভাবনীয় উন্নতি
অন্যান্য রেস্তোরাঁর মালিকদের হিংসুটে করে তুলেছে.
ফাইভ স্টারের মর্যাদা পাওয়া শেফদের মধ্যে
সে-ই সবচেয়ে কমবয়সী শেফ.
তার কুকবুক, আ্যনিওয়ান ক্যান কুক!
একটা সর্বাধিক বিক্রিত বই.
কিন্ত সবাই এই সাফল্যে খুশি নন.
হাস্যকর নাম, আ্যনিওয়ান ক্যান কুক!
আর মজার ব্যাপার হল যে গুস্তো এটা বিশ্বাস করে.
কিন্ত আমি রান্নাবান্নাকে একধরনের শিল্প মনে করি.
নাহ্, আমার মনে হয়না যে কেউ রান্না করতে পারবে.
এটা আমি.
এটা সুস্পষ্ট যে আমাকে আমার জীবন নিয়ে
আবারও ভাবতে হবে.
আমার সমস্যা কী?
প্রথমত, আমি একটা ইঁদুর.
মানে জীবনযাপন খুবই কষ্টকর.
আর দ্বিতীয়ত, আমার মধ্যে শুঁকে দেখার আর
চেখে দেখার এক অসাধারণ ক্ষমতা আছে.
আটা, ডিম, চিনি, ভ্যানিলা...
ওহ! লেবুরও গন্ধ আছে.
তুই এগুলো শুঁকতে পারিস?
অসাধারণ ক্ষমতা.
এ হল আমার ভাই এমিল.
অল্প কিছুতেই মুগ্ধ হয়ে যায়.
শুঁকে বলে দিতে পারে! তো কী হয়েছে?
এ হল আমার বাবা, সে কখনোও মুগ্ধ হয়না.
আর সে আমাদের দলনেতাও বটে.
তো, এই ক্ষমতায় আমার সমস্যা কী?
- আস্তে, আস্তে, আস্তে,! এটা খেওনা!
- কী হয়েছে?
পরে জানতে পারলাম যে
ঐ অদ্ভুত গন্ধটা আসলে ইঁদুর মারার বিষের.
অপ্রত্যাশিতভাবে, বাবা বুঝতে পারল যে
আমার ক্ষমতাটা বেহুদা নয়.
আমি বরঞ্চ আমার ক্ষমতা নিয়ে গর্ব বোধ করছিলাম,
আর বাবা আমাকে কাজ দিয়ে দিল.
পরিষ্কার.
পরিষ্কার.
ঠিক ধরেছ. বিষ পরীক্ষক.
একদম ঠিক.
ভাল.
প্রভুর মত.
মানে হল পরিষ্কার.
কথায় আছে না, পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ...
তুমি বুঝবেনা. যাও.
যাইহোক, বাবা কিছুটা মুগ্ধ হল.
এখন তো তোমার ভাল লাগছে, তাই না?
তুমি একটা নেকীর কাজ করছ.
নেকী? বাবা, আমরা হলাম চোর.
আর আমরা যেটা চুরি করছি,
সত্যি বলতে ওটা হল আবর্জনা.
পরে থাকা জিনিস নেওয়া চুরি নয়.
যদি ওটা পরে থাকে তাহলে কেন আমরা চুরি করছি?
মোদ্দা কথা হল, আমাদের দুজনের চিন্তাধারা এক নয়.
কিন্ত আমার নীতি হল:
খাবার ভাল তো সব ভাল, এইজন্য
আমি শুধু ভাল খাবারই পছন্দ করি.
কিন্ত আমার বাবা...
খাবার হল পেট্রোলের মত.
ট্যাঙ্কি ভরার সময় বেশি চিন্তা করলে
তোমার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে.
এখন চুপচাপ খেয়ে নাও.
যদি আমাদের চুরি করতে হয়,
তাহলে রান্নাঘর থেকে ভাল ভাল খাবার কেন নয়,
যেখানে বিষ থাকার কোন ভয় নেই?
প্রথমত, আমরা চোর নই.
দ্বিতীয়ত, রান্নাঘর আর মানুষের থেকে সবসময় দুরে থাকবে.
এটা বিপদজনক.
আমি জানি আমাকে মানুষদের ঘৃণা করা উচিৎ,
কিন্ত তাদের মধ্যে কিছু একটা তো আছে.
তারা শুধু বেচে থাকেনা.
তারা আবিষ্কার করে, সৃষ্টি করে.
খাবার বানানোর ব্যাপারটাই দেখো.
কিভাব বলব?
ভাল খাবার হল সঙ্গীত যেটা আপনি চেখে
দেখতে পারবেন, রঙ যেটার ঘ্রাণ আপনি পাবেন.
যার সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে আছে.
আপনাকে শুধু ব্যাপারগুলো বুঝতে হবে.
ওহ, গুস্তো ঠিকই বলেছে.
Oh, mmm, yeah.
ওহ্, অসাধারণ .
প্রত্যেকটার স্বাদ একদম ভিন্ন ভিন্ন.
কিন্ত যদি দুইটা একসাথে করা যায়,
তাহলে এক নতুন স্বাদ সৃষ্টি হবে.
তো এইভাবে শুরু হল আমার সিক্রেট লাইফ.
আর এই গোপন ব্যাপারটা শুধুমাত্র এমিল জানে.
Hey, এমিল. এমিল.
আমি একটা মাশরুম পেয়েছি.
তুই তো খাবার লুকিয়ে রাখতে ওস্তাদ.
এটাকে লুকানোর কোন জায়গা দেখা.
সে আমাকে বুঝতে পারেনা, কিন্ত আমি
যেরকমই থাকি সে এটা পছন্দ করে.
তুই এভাবে হাটছিস কেন?
আমি বারবার হাত ধুতে চাইনা.
ভেবে দেখ আমরা যেই হাত দিয়ে চলি
সেটা না ধুয়েই খাবার খাই.
চিন্তা করে দেখ কত নোংরা জিনিস
আমাদের মুখে যায়.
সবসময়.
নোংরা জিনিস আমি মুখে দিতে পারিনা.
আচ্ছা, চল.
কিন্ত বাবা যদি তোকে এভাবে হাটতে দেখে
তাহলে অনেক রাগ করবে.
তুই এটা কী নিয়ে যাচ্ছিস?
Ah, oh, oh...
তুই পনির পেয়েছিস?
এটা কোন সাধারণ পনির নয়.
উন্নতমানের!
এটার সাথে মাশরুমটা অনেক সুস্বাদু লাগবে.
আর...
এই ধনিয়া পাতা! এই ধনিয়া পাতা!
আর সাথে এই ঘাসের শিশির.
তারপর এই দুইটাকে আবর্জনার
সাথে মিলিয়ে ফেল... তারপর...
আমরা কেন আবর্জনার সাথে এটা মিলাব.
এটা স্পেশাল খাবার.
সূর্য ডোবার আগেই আমাদেরকে কলোনিতে
যেতে হবে, নাহয় বাবা...
এমিল!
এটাকে অনেক সুস্বাদু করা যাবে.
তবে আগে এটাকে রান্না করতে হবে.
তবে কিভাবে রান্না করব সেটা একটু মুশকিল...
হ্যা.
এটাকে আস্তে আস্তে ঘুরাতে হবে.
যাতে করে ধোঁয়ার গন্ধটা মিশে যায়.
তুফান আসছে.
Hey, রেমী, সম্ভবত আমাদের এ্যন্টেনা থেকে দুরে...
এটা খেয়ে দেখ!
এটা... কী সুস্বাদু...
একদম মোলায়েম, সুস্বাদু...
ধোঁয়ার গন্ধ নেই. এটা... এটা একদম ভিন্ন...
এটার স্বাদ একদম "অস্থির". তাই না?
- এই স্বাদটার কী নাম দেওয়া যায়?
- বিজলীত?
হ্যা. এটা বিজলীত!
আমরা এটা আবার তৈরি করব.
পরে যখন তুফান আসবে,
আমরা আবার ছাদে যাব...
কিন্ত একটা জিনিসের কমতি আছে! জাফরান!
একটুখানি জাফরান হলে অনেক মজা হত!
জাফরান. আমার এরকম কেন মনে হচ্ছে যে
- ওটা রান্নাঘরে থাকবে?
- ওটা রান্নাঘরে থাকবে.
জাফরান.
জাফরান.
ব্যাপারটা ভাল ঠেকছেনা. সে উঠে পড়বে.
আমি এখানে হাজারবার এসেছি.
কুকিং চ্যানেল দিয়ে, সে আর উঠেনা.
তুই এখানে হাজারবার এসেছিস?
সত্যি বলছি, জাফরান খুব ভাল জিনিস.
গুস্তো অনেক পছন্দ করে.
গুস্তোটা আবার কে?
পৃথিবীর সেরা শেফ.
এই বইটা সে-ই লেখেছে.
আগেই না. তুই পড়তে পারিস?
- হ্যা, খুব বেশি নয়.
- ওহ, রেমী. বাবা কি জানে?
বাবা কী কী জানেনা সেটা নিয়ে তো
একটা বই লেখা যাবে.
আর এমনিতেও আমি অনেক বই পড়েছি.
এটা আমাদের একটা সিক্রেট.
আমি সিক্রেট পছন্দ করিনা.
রান্না করা, বই পড়া আবার TV দেখা
বই পড়া, রান্না করা.
মনে হচ্ছে তুই আমাকে কুকর্মে শামিল করছিস,
আর আমি তোকে করতে দিচ্ছি.
আমি তোকে কেন করতে দিচ্ছি?
বাচ্চাদের আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন?
আহ্, খাটি জাফরান. ইটালিয়ান. বুঝলে?
দাদীমা খাবার ভালই চিনে...
এটা শুধুমাত্র আপনার রান্না.
Hey! ঐতো গুস্তো. এমিল, দেখ.
নিস্তেজ প্রাণ ভাল খাবার বানাতে পারেনা.
নিস্তেজ প্রাণ ভাল খাবার বানাতে পারেনা.
আপনার মধ্যে চিন্তাশক্তি থাকতে হবে, দৃঢ় প্রাণ.
ফল ভাল না হলেও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে.
আপনি কী এটা কখনো আপনার সীমা হতে দিবেন না
মনে রাখবেন.
আপনার সীমা আপনি নিজেই.
আমি সবসময় বলি. যেকেউ রান্না করতে পারে.
কিন্ত শুধুমাত্র নির্ভীকই সফল হতে পারে.
Pure poetry.
কী মুগ্ধকর!
এটাই উনার শেষ কথা ছিল.
ফ্রান্সের টপ ফুড ক্রিটিক আ্যন্টন ইগোর
কঠোর পর্যালোচনার পর, গুস্তোর
রেস্তোরাঁর ১ স্টার কমে গিয়েছে.
যেটা গুস্তোর জন্য গুরুতর আঘাত ছিল,
যা এই মহান শেফ বরদাশত
করতে না পেরে মারা গিয়েছেন,
আফসোস যে এভাবে আমরা আরো একটা স্টার হারিয়ে ফেলেছি.
গুস্তো মারা গিয়েছে?
ওহ্!
ওহ্! ওহ্!
ওহ্!
পালা!
না, সে কলোনির সন্ধান পেয়ে যাবে!
- বাচাও, রেমী, বাচাও!
- এমিল! ঐটা লাইটটা ধরে রাখ!
- বাচাও, রেমী, বাচাও!
- এমিল! ঐটা লাইটটা ধরে রাখ!
আমি তোকে ধরে নিবো.
এমিল, আমার দিকে আয়.
জলদি পালাও! সবাই নৌকার দিকে.
ঐ বই.
ঐ বই.
এক্সকিউজ মি. সড়, যাও.
যাও, যাও, যাও, যাও. জলদি, জলদি.
সবাই জলদি কর!
জনি! দ্রুত!
জলদি.
ধরে রাখো!
- আমার বাচ্চা!
- তোমার হাত দাও.
আমার জন্য দাড়াও!
সবাই এসেছে?
কেউ বাকি নেই তো?
- রেমী কোথায়?
- এখানে. আসছি.
আমি আসছি!
ভয় পেওনা, বাবা.
ধরার জন্য তাকে কিছু দাও.
আসো বাবা. জলদি করো.
আসো. এটা ধরো.
তুমি পারবে.
- রেমী!
- বাবা!
আসো. তুমি পারবে.
তুমি পারবে.
দাড়াও. থামো!
রেমী. আসো. জলদি.
দাড়াও! আমার জন্য অপেক্ষা করো.
বাবা?
বাবা?
কোন দিকে?
আমি অপেক্ষা করছি
কারো ডাকের,
কেউ একজন ডাকুক,
কোন পন্থা,
যেকোন কিছু.
যদি তুমি ক্ষুধার্ত হও,
তাহলে উপরে চলে যাচ্ছনা কেন, রেমী.
তুমি এরকম করছ কেন?
আমি আমার পরিবারকে হারিয়ে ফেলেছি,
সব বন্ধুদেরকেও,
হয়তোবা চিরদিনের জন্য.
- তুমি কিভাবে জানলে?
- আমি...
আপনি শুধুমাত্র একটা ছবি.
আমি কেন আপনার সাথে কথা বলছি?
কারণ তুমি তোমার পরিবারকে হারিয়ে ফেলেছ,
তুমি একা হয়ে গিয়েছ.
হ্যা. কিন্ত আপনি মারা গিয়েছেন.
কিন্ত তুমি নিজের চিন্তা করো.
যদি তুমি আগের কথা নিয়েই ব্যস্ত থাকো,
তাহলে সামনের জিনিস কখনও দেখবেনা.
এখন যাও, উপরে দেখো.
ওহ!
শ্যাম্পেন!
তুমি কী করছ?
আমি ক্ষুধার্ত.
আমি জানিনা আমি কোথায়,
আর আমি কখন খাবার পাব.
রেমী, তুমি একজন বাবুর্চি.
বাবুর্চি রান্না করে. আর চোর চুরি করে.
আর তুমি চোর নও.
কিন্ত আমার ক্ষুধা লেগেছে.
তুমি খাবার পাবে, রেমী.
যে রাঁধতে ভালবাসে সে খাবার পায়.
- তুমি ভাবছ আমি মশকরা করছি?
- তুমি পাগল হয়ে গেছ.
প্যারিস?
এতদিন আমি প্যারিসে ছিলাম?
বাহ্.
কী সুন্দর.
সবচেয়ে সুন্দর.
গুস্তো? আপনার রেস্তোরাঁ?
আপনি আমাকে আপনার রেস্তোরাঁয় নিয়ে এসেছেন.
মনে হচ্ছে তো তাই. হ্যা.
ঠিক বলেছ! আমি তোমাকে নিয়ে এসেছি!
রান্নাঘরে যেতে হবে.
৭ নাম্বার টেবিলের খাবার তৈরি.
স্যুপ হতে আর ৫ মিনিট লাগবে.
আমার আরো মাংস লাগবে.
আর কুঁচি পেঁয়াজ.
দুইটা মাছ, তিনটা সালাদ.
সালাদের তিনটা অর্ডার তৈরি.
দুইটা মাছের অর্ডার নিয়েছি.
আমাকে তিনটা প্লেট দাও, খাবার তৈরি.
৭ নাম্বার টেবিলে স্যুপ রেডি.
Hello, শেফ স্কিনার.
সন্ধ্যাটা কেমন কাটছে?
- Bonjour, শেফ.
- Hello, শেফ স্কিনার.
-শুভসন্ধ্যা শেফ.
Hey, বস, দেখো কে এসেছে.
আলফ্রেডো লিঙ্গুঈনি, রেনাটার ছেলে.
- Hi.
- বড় হয়ে গিয়েছ, হুহ?
রেনাটার কথা মনে আছে,
গুস্তো'র পুরনো গার্লফ্রেন্ড?
- হ্যা. তুমি কেমন আছ...
- লিঙ্গুঈনি.
হ্যা, লিঙ্গুঈনি. এসে ভালই করেছ.
কেমন আছে...
- আমার মা?
- রেনাটা.
- হ্যা, রেনাটা. সে কেমন আছে?
- ভাল.
আসলে না... ভালই আছে. মানে...
মারা গিয়েছে.
ওহ্.
আফসোস.
ব্যাপার না. সে ধার্মিক ছিল.
তো এখন সে খোদার কাছেই আছে!
- এটা কী?
- মা এটা আপনার জন্য রেখে গিয়েছিল.
সে ভেবেছিল আপনি আমাকে...
এখানে একটা... চাকরি পাব.
হ্যা, অবশ্যই.
গুস্তো কখনোই মানা করতনা.
তাছাড়া রেনাটার ছেলে...
হ্যা, এটাকে রেখে দিচ্ছি,
যখন কোন লোকের দরকার হবে...
আমরা তাকে রেখে দিয়েছি.
কী? তোমার সাহস কত তুমি আমার অনুমতি ছাড়াই...
আমাদের একজন কাজের ছেলের দরকার ছিল.
ওহ, কাজের ছেলে. আচ্ছা...
সমস্যা তাহলে মিটে গেল.
আহ্...
আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা.
কী সুন্দর রেস্তোরাঁ,
আমার চোখের সামনে.
তুমি আমার বই পড়েছ.
দেখা যাক, তুমি কী শিখেছ?
এদের মধ্যে শেফ কে?
ওহ! উহ্...
- ওহ্, ঐযে .
- একদম ঠিক.
তারপর দায়িত্বে কে?
উমমম. ঐযে.
যখন শেফ কিচেনে থাকেন না
তখন সবকিছু সে-ই সামলায়.
ও সসের জিম্মায় আছে.
খুবই গুরুত্বপূর্ণ.
ঐযে সুপার ভাইজার, আর তার সহযোগী,
দুজনেই গুরুত্বপূর্ণ.
তারপর বাবুর্চি, যে রান্নাবান্না করে.
এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ.
তুমি খুবই চালাক ইঁদুর. এখন বল ও কে?
ওহ্, ও? ও কেউ না.
ও বেকার নয়. সেও এই কিচেনের অংশ.
না, সে কাজ করে.
সে প্লেট পরিষ্কার করে, ময়লা ফেলে.
বাবুর্চি নয়.
- কিন্ত হতে পারে.
- উহ্, না.
কেন নয়?
আমি সবসময় কী বলেছি?
যেকেউ রাঁধতে পারে.
হ্যা, পারবে. কিন্ত এর মানে
এইনা যে সবাই রাঁধবে.
কিন্ত তবুও তাকে আটকানো যাচ্ছেনা. দেখো?
সে কী করছে?
না. না! না, আরে ও কী করছে!
সে স্যুপটা নষ্ট করছে.
আর কেউ তাকে দেখছেনা?
এটা আপনার রেস্তোরাঁ. কিছু একটা করুন.
আমি কী করতে পারি?
আমি তো শুধু তোমার কল্পনা.
কিন্ত সে স্যুপ নষ্ট করে ফেলছে!
কাউকে বলতে হবে যে...
কিন্ত সে স্যুপ নষ্ট করে ফেলছে!
কাউকে বলতে হবে যে...
৫ নাম্বার টেবিল রেডি.
আহ্!
ওভেন খুলো!
আহ্!
আসছি.
ওহ্!
শেফ, মাংস রান্না হয়ে গিয়েছে.
আরও দুইটা স্যুপ তৈরি করো.
- ৫ মিনিট সময় দাও.
- ওহ্ গড.
- ওহ্!
- আহ্!
হমম.
৮ নাম্বার টেবিলের খাবার তৈরি.
নিয়ে যাও!
আচ্ছা, শেফ.
রেমী! তুমি অপেক্ষা করছ কেন?
আপনি কি আমাকে এভাবেই ভয় দেখাতে থাকবেন?
তুমি জানো তোমার কী করতে হবে.
এখনই সুযোগ.
স্যুপ! স্যুপ কোথায়?
সড়ে যাও.
দূর হ, কাজের পোলা!
তুই রান্না করছিস?
আমার কিচেনে রান্না করার সাহস কিভাবে হল?
তুই কোত্থেকে এসেছিস
এরকম অহেতুক আর অকর্মার ঢেঁকিকে কে জন্ম দিল?
এখন তোকে কেই বাচাতে পারবেনা!
তুই শাস্তি পাবি. আইন আমার পক্ষে আছে.
লারৌস, এই পোলার জামা কাপড় সব
খুলে রাখবি, এর সবগুলা টেঙ্গি আমি ভেঙ্গে ফেলব.
- কি বলতে চাচ্ছিস?
- স্যুপ!
স্যুপ?
ঐ স্যুপটা আটকাও!
না!
ওয়েটার.
লিঙ্গুঈনি!
তোর চাকরী শেষ!
এক্ষুনি চোখের সামনে থেকে দূর হ!
সে শেফের সাথে দেখা করতে চাচ্ছে.
কিন্ত ও...
- সে কী বলল?
- সে সাধারণ কেউ নয়. সে ক্রিটিক ছিল.
- ইগো?
- সলিন লিক্লেয়ার.
- লিক্লেয়ার? সে কী বলল?
- সে স্যুপটা অনেক পছন্দ করেছে.
- দাড়াও.
- মানে কী, "দাড়াও"?
আপনার কারণেই আমি এই ঝামেলায় ফেসেছি.
তোমার স্যুপ নিয়ে কথা হচ্ছে.
তুই কোন খেল খেলছিস?
এখনো কি আমার চাকরি নেই?
- আপনি তাকে বের করতে পারেন না.
- কি?
লিক্লেয়ার স্যুপ পছন্দ করেছে?
আর সে এটার অনেক প্রশংসাও করেছে.
যদি সে এই ব্যাপারে লেখে
আর জানা যায় যে আপনি তাকে বের করে দিয়েছেন...
- ও তো কাজের ছেলে.
- যার রান্না করা স্যুপ সে পছন্দ করেছে.
আমরা গুস্তোর নাম কিভাবে ধরে রাখতে পারব
যদি না আমরাই উনার নীতি না মানি?
কোন নীতি বেগম?
"যে কেউ রাঁধতে পারে."
মনে হচ্ছে আমি এই কাজের ছেলের উপর
একটু বেশি চটে গিয়েছিলাম.
সে সুন্দর চেষ্টা করেছে
আর শেফ গুস্তোর মত আমরাও তাকে পুরষ্কার দিব.
যদি সে নিজেই গভীর সমুদ্রে ঝাপ দিতে চায়,
তাহলে আমরা কেন বাঁধা দিব?
- তুমি পালাচ্ছিলে?
- ওহ্, হ্যা.
যেহেতু তুমিই তাকে কাজে রাখার সুপারিশ করেছ,
তাই আজ থেকে তুমি তার জিম্মাদার.
আর কোন সুপারিশ?
যাও কাজ করো.
হয়তোবা তুমি ভাগ্যবান নয়তোবা দুর্ভাগা.
কারণ তুমি আবার স্যুপ রান্না করবে, আর এইবার
আমি তোমার উপর কড়া নজর রাখব.
আর কোন খেল চলবেনা.
তারা তোমাকে বাবুর্চি ভাবছে.
কিন্ত আমি না, লিঙ্গুঈনি.
তুমি জোর করে কিচেনে এসেছ ঠিক ঐভাবে যেভাবে...
ইঁদুর!
- ইঁদুর!
- ইঁদুরটা ধরো.
লিঙ্গুঈনি. তাকে আটকাও.
- এখন কী করব?
- মেরে ফেলো.
- এখানেই?
- না, কিচেনে নয়, পাগল নাকি?
যদি কেউ জানতে পারে আমাদের কিচেনে ইঁদুর ছিল
তাহলে জানো কী হবে?
এই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাবে.
এমনিতেই আমাদের অনেক বদনাম হয়েছে.
এখান থেকে নিয়ে যাও. অনেক দূরে.
মেরে ফেলো. এর প্রাণ বলি দাও. যাও!
Whoa!
Doh!
এভাবে তাকিওনা!
বিপদে তুমি একা পড়নি.
তারা চায় আমি আবার স্যুপ রান্না করি!
কিন্ত ওটা আমি বানাইনি.
আর বানাতেও চাচ্ছিলাম না.
আমি তো শুধু বিপদ থেকে দুরে থাকতে চাচ্ছিলাম.
বরঞ্চ তোমারই মসলা দিয়ে খেলার শখ হয়েছিল!
তুমি কী দিয়েছিলে? Oregano?
না? কি? ধনিয়া?
ধনিয়া তো মসলা, তাই না?
তুমি ধনিয়া দাওনি?
তাহলে তুমি অমন করে কী ফেলছিলে...
এই চাকরীটা আমার দরকার.
অনেক কিছু হারিয়েছি.
এমনিতেই রান্না করতে জানিনা, আবার এই
ইঁদুরের সাথে এমনভাবে কথা বলছি যেন...
তুমি মাথা নাড়িয়েছ?
তুমি মাথা নাড়িয়েছিলে?
তুমি আমার কথা বুঝতে পার?
তো আমি পাগল নই!
এক সেকেন্ড, এক সেকেন্ড.
আমি রান্না করতে পারিনা, তাই না?
কিন্ত তুমি...
তুমি পার, ঠিক?
এত লাজুক থেকনা.
তুমি একটা ইঁদুর, যে নাকি বাবুর্চি!
তুমি যা-ই বানিয়েছ তারা সেটা পছন্দ করেছে.
হ্যা. ব্যাপারটা মন্দ নয়.
Hey, তারা স্যুপটা পছন্দ করেছে!
তারা স্যুপটা পছন্দ করেছে.
তুমি কি স্যুপটা আবার রান্না করতে পারবে?
আচ্ছা, এখন আমি তোমাকে বের করে দিব.
কিন্ত এখন আমরা পার্টনার. ঠিক আছে?
আচ্ছা.
তো এটাই আমার ঘর.
এটা বিশেষ কিছু নয়, আসলে...
কিছুই না.
কিন্ত তবুও.
এখানে হিটার আছে, লাইট আছে,
সোফা আছে, TV আছে.
তো যাকিছু আমার ঐ সবকিছুই তোমার.
সত্যি বল...
424
00:32:35,184 --> 00:32:37,484
এটা বাস্তব নাকি স্বপ্ন?
এটা এক চমৎকার স্বপ্ন প্রিয়তমা .
আমাদের দুজনের স্বপ্ন.
কিন্ত এখানে কেন?
এখনই কেন?
কেন এখানে নয়?
কেন এখন নয়?
এটাই তো স্বপ্নের শহর, প্যারিস.
শুভসকাল, পিচ্চি শেফ. সকাল হয়ে...
ওহ্, না.
বোকা কোথাকার! আমি জানতাম এরকমই হবে!
এক ইঁদুরকে ঘরে এনে বলি
যাকিছু আমার ঐ সবকিছুই তোমার!
ডিম উধাও!
আস্তা বেক্কল! সে খাবার নিয়ে কেটে পড়েছে!
আর কীইবা আশা কর যায়?
ইঁদুরকে বিশ্বাস করলে এরকমই...
Hi. ওটা কি আমার জন্য?
Mmm!
ভালই. কী দিয়েছ?
কোথায় পেলে?
দেখো, এটা সুস্বাদু. কিন্ত চুরি করবেনা.
আমি কিনে নিয়ে আসব, ঠিক আছে?
ওহ্, না. দেরি হয়ে যাচ্ছে. আজ প্রথম দিন!
চল, পিচ্চি শেফ!
"যদিও আমি অন্যান্য ক্রিটিকদের মত,
"গুস্তোর মৃত্যুর পর তাদের সম্বন্ধে
লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম,
"কিন্ত ঐ স্যুপটা অনেক সুস্বাদু ছিল.
মসলায় ভরপুর কিন্ত স্বাদে কোন কমতি ছিলনা."
- সলিন লিক্লেয়ার?
- হ্যা!
"বলতেই হয় যে অনেকদিন পর
গুস্তোর রেস্তোরাঁয় স্বাদের দেবতা ফিরে এসেছে.
"আর বাকীটা অদূর ভবিষ্যতই বলে দিবে."
আচ্ছা...
কী করব.
জানি, ব্যাপারটা হাস্যজনক,
কিন্ত আর কিছুই করার নেই,
আমাদেকে একসাথে থাকতে হবে?
তুমি আমার সাথে আছে?
তাহলে চল শুরু করা যাক!
আমি...
জাহান্নামে সুস্বাগতম.
এখন স্যুপটা আবার রান্না কর.
যত সময় দরকার নিতে পার.
চাইলে পুরো সপ্তাহ.
স্যুপ.
তুই...
Ow!
হারাম...
তোকে...
এভাবে হবেনা, পিচ্চি শেফ!
এভাবে চললে আমি পাগল হয়ে যাব.
আমাদের অন্যকোন পন্থা বের করতে হবে.
যেন আমার শরীরে তোমাকে আর চলতে না হয়,
নাহলে তুমি আমার মাংস খেয়ে ফেলবে.
কাটা যাবেনা! দৌড়ানো যাবেনা!
দৌড়ানো যাবেনা, কিচ্ছু করা যাবেনা,
বুঝলে পিচ্চি শেফ?
পিচ্চি শেফ?
ওহ্, তোমার ক্ষুধা লেগেছে.
অন্যকোন পন্থা বের করা যাক.
তুমি রান্না করতে পার আর
আমি ভাববঙ্গি করতে...
পারি.
আমাদেরকে এমন এক পন্থা বের করতে হবে,
যাতে করে তুমি রান্না করতে পার
মানে আমার লাগাম তোমার হাতে.
তুমি আমার কথা শুনছনা কেন? আমি পাগল!
আমি পাগল! আমি পাগল!
নামীদামী এক রেস্তোরাঁর গোডাউনে
এক ইঁদুরের সাথে কথা বলছি.
- এরকম করলে চলবেনা!
- লিঙ্গুঈনি?
আমাদের তালমিল ঠিক রাখতে হবে.
তোমার হ্যা কিংবা না বলার অপেক্ষার
আমি থাকতে পারবনা...
ইঁদুর! আমি দেখেছি!
- ইঁদুর?
- হ্যা, ইঁদুর. তোমার সামনেই.
তুমি এখানে কী করছ?
আমি দেখছিলাম কোনটা কোনজায়গায়
রাখা আছে, সবজি, তরকারী.
দূর হও.
আর সবজি, তরকারীর জায়গার সাথে
এত সম্পর্ক না রাখাই ভাল!
একটুর জন্যে বেচে গেলাম. তুমি ঠিক আছ তো?
Whoa!
এটা তুমি কীভাবে করলে?
এটা তো একদম অনৈচ্ছিক!
আমি বুঝে গিয়েছিলাম আমরা দুজনেই
একই চিন্তা করছিলাম.
ঠিক আছে.
হুহ?
কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? থামো.
Whoa!
দাড়াওt. দুঃখিত.
Whoa!
আচ্ছা.
Mmm-hmm...
আচ্ছা.
Whoa!
Whoa!
চিয়ার্স!
ঠিক আছে.
শাবাশ.
Mmm.
অভিনন্দন. তুমি তোমার ঐ দুর্ঘটনাবশত সাফল্য
আবারও তৈরি করতে পেরেছ.
কিন্ত যদি তুমি আমার কিচেনে থাকতে চাও তাহলে
স্যুপ ছাড়াও আরো কিছু জানা থাকতে হবে.
কোলেটের জিম্মা রইল এটা শেখানোর
যে এখানে কীভাবে কাজ-কর্ম করা হয়.
এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় যে
আপনার অধীনে কাজ করতে...
না! তুমি শুন. আমি তোমাকে জানিয়ে দিতে চাই
যে তুমি কার পাল্লায় পড়েছ.
এই কিচেনে কয়জন মেয়েকে দেখছ?
আসলে, আমি...
- শুধু আমি. জান কেন?
- আমি...
কারণ আগের দিনে রান্নাবান্নার কিছু রীতি নীতি ছিল
যেগুলো কিছু খাটাশ পুরুষরা লিখেছিল.
এরকম রীতি করেছিল যে মেয়েদের
এই রেস্তোরাঁর জগতে আসাটাই অসম্ভব ছিল.
কিন্ত তবুও আমি এখানে. জান কীভাবে?
কারণ, আসলে, কারণ...
কারণ আমিই এই কিচেনের সবচেয়ে কঠিন বাবুর্চি.
এই পর্যন্ত আসার জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি
আর আমি আমার সাফল্য এক কাজের ছেলের
হাতে নষ্ট হতে দিবনা.
বুঝলে?
Wow!
রান্না করা ইজি. খাওয়া ইজি.
গুস্তোর চাইনিজ ফুড
চাইন-ইজি.
- খুব সুন্দর কাজ, সবসময়ের মতই.
- খুব ভাল, তাই না?
কিন্ত এখন তুমি আমার নতুন ফ্রোজেন ফুডের পাবলিসিটির জন্য নতুন কিছু ভাব.
গুস্তো'র কর্ন পাপিস.
শিক কাবাবের মত, কিন্ত ছোট.
নখের সাইজ.
কিন্ত জিনিসটা কী?
শিকটা সস্তা সস দিয়ে মেখে মাখন মিশিয়ে
ফ্রাই করা. আমেরিকানদের মত.
শিকটা সস্তা সস দিয়ে মেখে মাখন মিশিয়ে
ফ্রাই করা. আমেরিকানদের মত.
নতুন কিছু ভাব.
হয়তোবা ভিজা লুঙ্গি আর ছেড়া টুপিতে গুস্তো.
অথবা একটা বড় কাবাব কুকুরের আকৃতিতে.
হ্যা. চলবে কিন্ত স্টাইলের সাথে.
আমার উকিলকে ডাকো!
হ্যা, উনার অসিয়তে স্পষ্ট লেখা আছে যে
মৃত্যুর দুই বছর পর্যন্ত যদি কোন ওয়ারিশ না আসে
তাহলে গুস্তোর রেস্তোরাঁ,
ভাইস শেফের মালিকানায় চলে যাবে.
তার মানে আপনি.
আমি জানি এখানে কী লেখা আছে.
আমি জানতে চাচ্ছি যে এই চিঠি...
এই ছেলেটা কি সবকিছু পাল্টে দিতে পারে!
চেহারায় অতটা মিল নেই.
একটুও মিল নেই.
সে গুস্তো'র ছেলে নয়.
গুস্তো'র কোন সন্তান নেই,
আর কি আজব সময়ে এই আপদ হাজির হল!
এই অসিয়তের মেয়াদ এই মাসেই শেষ হবে!
আর হঠাত এক অদ্ভুত ছেলে হাজির হয়
যার হাতে তার মরা মায়ের চিঠি
যেখানে লেখা যে গুস্তো তার বাবা?
ব্যাপারটা খুবই সন্দেহজনক!
- এটা গুস্তো'র?
- হ্যা, হ্যা, হ্যা.
- আমি কি?
- অবশ্যই.
কিন্ত ছেলেটা কিছুই জানেনা.
তার মা তাকে কিছুই বলেনি, গুস্তোকের নয়,
আর আমাকেও বলতে না করেছে.
- তাই নাকি? সে আসলে কী চাচ্ছিল?
- ছেলের জন্য একটা চাকরী.
- শুধু একটা চাকরী?
- হ্যা.
তাহলে এত চিন্তা করার কী আছে?
যদি সে এখানে কাজ করে,
আপনি তাকে দেখে রাখতে পারবেন
আর আমিও কিছু খোঁজখবর নিব.
সত্যটা বের করে ফেলব.
আমার ঐ ছেলেটার DNA স্যাম্পল লাগবে
একটা চুল হলেই হবে.
আমি আবারও বলছি.
ব্যাপারটা খুবই সন্দেহজনক.
নিশ্চয়ই কিছু গড়বড় আছে.
শান্ত হোন, সে শুধুমাত্র কাজের ছেলে.
আপনি নিশ্চয়ই তাকে হ্যান্ডল করতে পারবেন.
তুমি কী করছ?
আমি সবজি কাটছি.
আমি সবজি কাটছি?
না! তুমি সময় নষ্ট করছ!
তুমি মনে কর রান্না করা খুব আনন্দের কাজ,
যেরকম আম্মু কিচেনে থাকে?
কিন্ত আম্মুকে কখনোই এভাবে
কাজ করতে হয়না, এত দ্রুত অর্ডার আসে,
প্রত্যেকটা ভিন্ন ভিন্ন পদের আর,
রান্না করার স্টাইলও ভিন্ন ভিন্ন,
আর হ্যা, খাবার সময়মত কাস্টমারের টেবিলে
পরিবেশন করা হবে গরম গরম!
এখানে প্রত্যেকটা সময় মূল্যবান,
তুমি আম্মু হতে পারবেনা!
এটা কী? নিজের টেবিল পরিষ্কার রাখো!
যখন বেশি অর্ডার আসবে,
তখন কী করবে?
টেবিল নোংরা থাকলে কাজ দ্রুত হয়না.
আর অর্ডার জমা পরে যায়. খুবই খারাপ.
এই কথাগুলো সমসময় মনে রাখবে.
টেবিল পরিষ্কার রাখবে,
নাহলে জানে মেরে ফেলব!
দেখে মনে হচ্ছে ঘর মোছার ত্যানা.
হাত ভিতরে রাখবে, শরীরের কাছে. এভাবে. দেখলে?
সবসময় এভাবে থাকবে.
যদি হাত বাড়িয়ে দাও তাহলে
আগুনের ভাবে পুড়ে যাবে.
তাই হাত ভিতরে রাখবে তাহলে কিছু হবেনা
আর আস্তিনও পরিষ্কার থাকবে.
ভাল বাবুর্চি মানে হল:
দাগহীন আ্যপ্রন, পরিষ্কার আস্তিন.
গুস্তো'রও এই নীতি ছিল.
প্রত্যেকটা পদে গুস্তো নতুন কিছু আবিষ্কার করত.
আমি তোমাকে দেখাব.
উনার সব রেসিপি আমার মনে আছে.
- সবসময় নতুন কিছু করতে হবে.
- না. রেসিপি অনুযায়ী চলো.
- কিন্ত তুমি তো এখনই বললে...
- না, না, না.
নতুন কিছু করা ওর কাজ ছিল.
আমাদের কাজ হল...
- উনার রেসিপি অনুযায়ী চলা.
- উনার রেসিপি অনুযায়ী চলাe.
না শুঁকে বলতে পারবে রুটি তাজা নাকি বাসি?
না শুঁকে, না দেখে,
শুধু কড়কড়ে আওয়াজ শুনে.
শুন.
কড়কড়ে শব্দ.
শুধুমাত্র ভাল রুটিটেই পাওয়া যায়.
খাবার ভাল হওয়ার জন্য সবজি তাজা থাকা চাই
আর তাজা জিনিস পাওয়ার দুইটা পন্থা আছে.
নিজেই তৈরি করো, নাহলে কৃষককে হাতে রাখো.
দেখলে! সেরা রেস্তোরাঁ তাজা জিনিস পায়.
লোকে বলে রন্ধন সুস্বাদু হয় .
কিন্ত বাবুর্চির মধ্যেই কিছু থাকতে হয়.
লালো ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়েছে.
সার্কাসে খেলা দেখাত.
আর তারপর
রিং মাস্টারের মেয়ের সাথে প্রেম করার কারণে
বের করে দেওয়া হয়েছে.
হর্স্ট জেলে খেটেছে.
কেন?
কেউ জানেনা. যখনই জিজ্ঞাসা করি,
সে নতুন কোন কাহিনী বলে.
এক বড় কোম্পানিকে পথে বসিয়েছিলাম.
শুধুমাত্র একটা কলমের সাহায্যে
ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ব্যাংক লুট করেছি.
এক স্যাটেলাইট উড়িয়ে দিয়েছি.
আমি একজনকে খুন করেছি এই আঙ্গুল দিয়ে.
ঐ পম্পিডোর সাথে কখনো তাস খেলবেনা.
লাস ভেগাস আর মন্টে কার্লো তাকে ব্যান করেছে.
- আর লারৌস আন্ডারওয়ার্ল্ডের সদস্য ছিল.
- কোন গ্যাংয়ের?
জানিনা. কিন্ত সেও জেল খেটেছে.
তো দেখলে.
আমরা হলাম শিল্পী, জলদস্যু.
আমরা শুধু বাবুর্চিই নয়ই.
- আমরা?
- হ্যা. এখন তুমিও আমাদের একজন, তাই না?
হ্যা. ধন্যবাদ, তুমি আমাকে এইসব উপদেশ দিলে.
- তোমাকে ধন্যবাদ.
- তা কেন?
বোঝার জন্য.
Huh?
ঐ ইঁদুর!
- কিন্ত ঐ...
- আমার চাবিটা ফেলে দিয়েছিলাম.
আপনারা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
- আপনাদের স্যুপটা অসাধারণ. কিন্ত...
- কিন্ত আমরা সবসময় ঐটা অর্ডার করি.
- আপনাদের কাছে আর কী কী আছে?
- আমাদের কাছে স্পেশাল তন্দুরি গ্রিল আছে.
আমি জানি.
অনেকবার খেয়েছি, অনেক সুস্বাদু.
এইবার শেফকে বল নতুন কিছু পরিবেশন করতে?
- কাস্টমার নতুন কিছু চাচ্ছে!
- নতুন?
হ্যা, তারা নতুন কিছু চায়.
- তুমি তাদেরকে কী বলেছ
- আমি বলেছি জিজ্ঞাসা করে বলছি!
কী নিয়ে চিল্লাচিল্লি করছ?
- কাস্টমাররা নতুন পদ চাচ্ছে.
- আমি তাদেরকে কী বলব?
- তুমি কী বলেছ?
- আমি বলেছি জিজ্ঞাসা করে বলছি!
একদম সহজ ব্যাপার.
গুস্তোর পুরনো রেসিপি বের করো,
যেটা এখনো বানানো হয়নি...
তারা সব জানে. তার নতুন কিছু চায়.
যেমন লিঙ্গুঈনি স্যুপ.
তাহলে তাদের লিঙ্গুঈনির বানানো খাবার চাই?
ব্যাপারটা সত্যি, অনেক কাস্টমারই
স্যুপটা পছন্দ করেছে.
ঠিক আছে তাহলে. যদি তারা লিঙ্গুঈনির খাবারই চায়
তাহলে তাদের বল শেফ লিঙ্গুঈনি
তাদের জন্য স্পেশাল খাবার তৈরি করছে.
এরকম কিছু যেটা মেনুতে নেই.
ওহ্, এটা বলতে ভুলে যেওনা যে...
- এটা লিঙ্গুঈনি পদ.
- হ্যা, শেফ.
এখন সময় হয়েছে তোমার
এই অসীম প্রতিভা দেখানোর, লিঙ্গুঈনি.
আমাদের মহান শেফের হারানো পদ,
sweetbread à la Gusteau.
- কোলেট তোমাকে সাহায্য করবে.
- হ্যা, শেফ.
জলদি করো. তারা ক্ষুধার্ত হয়ে বসে আছে.
আপনি কী বলছেন?
ওটা তো একটা ফালতু রেসিপি.
গুস্তো নিজেই বলেছিলেন.
এই উঠতি বাবুর্চির জন্য এটাই মোক্ষম সুযোগ.
"Sweetbread à la Gusteau.
"সবজি, সামুদ্রিক মাছ
"নোনা পানির ছোট মাছ, টম্যাটো ভর্তা,
"কোয়েলের ডিম, শুকনো সাদা ছত্রাক?
"আর শুকনো মাছের সস."
এই রেসিপিটা অদ্ভুত,
কিন্ত যেহেতুর গুস্তো'র, তাই...
লালো! আমাদের কাছে ভেড়ার পেটের মাংস আছে,?
হ্যা! আনছি.
ভেড়ার পেটের মাংস?
ওহ্!
আচ্ছা.
আমি আসছি...
পেয়েছি... Hey!
কিছু মনে করোনা.
আমার এটা এক্ষুনি লাগবে.
দেখা যাক, ঐদিকে...
এক্ষুনি আসছি.
ধন্যবাদ.
এক্সকিউজ মি. আসলে আমার...
আমার এটা লাগবে. কাজ শেষ হওয়া...
ঐটা আমার দরকার.
একটু মসলা পেয়েছি.
আচ্ছা.
তুমি কী করছ? তোমাকে গুস্তো'র
রেসিপি অনুযায়ী রান্না করতে হবে.
এটাই রেসিপি.
এই রেসিপিতে সিরকা ছিলনা!
তুমি আর কী কী...
তুমি রেসিপি মেনে চলছনা?
এখন এক্সপেরিমেন্ট করার সময় না.
কাস্টমাররা অপেক্ষা করছে.
একদম ঠিক. তোমার কথাই মানা উচিৎ!
- থামাও!
- কী থামাব?
আমাকে পাগল করা!
তুমি যাকিছু করছ, থামাও.
- স্পেশাল অর্ডার হয়েছে?
- আসছি!
- ভেবেছিলাম আমরা একসাথে কাজ করছি.
- অবশ্যই.
- তাহলে তুমি কী করছ?
- ব্যাপারটা বোঝানো মুশকিল.
- স্পেশাল?
- নিয়ে যাও!
সস দিতে ভুলে গিয়েছি.
- তোমার সাহস কত.
- আমি না, আমি না. আমি...
দুঃখিত.
লিঙ্গুঈনির পদ তৈরি হয়েছে?
সেরকমই খারাপ যেরকম আগে ছিল.
এইমাত্র নিয়ে গেল.
- তুমি চেখে দেখেছিলে?
- অবশ্যই, তবে পাল্টে দেওয়ার আগে.
ভাল. কী বললে? সে কী পাল্টেছে?
দরজা দিয়ে যাবার সময়ই!
Ow!
তারা পছন্দ করেছে!
অন্যান্য সবাই একই খাবার অর্ডার দিচ্ছে,
লিঙ্গুঈনি পদ.
আমি সাতটা অর্ডার নিয়ে এসেছি!
বড়ই সুন্দর.
স্পেশাল অর্ডার!
ওটা কী?
স্পেশাল অর্ডার! স্পেশাল অর্ডার!
স্পেশাল অর্ডার!
লিঙ্গুঈনির নামে.
- অভিনন্দন, Mr. লিঙ্গুঈনি.
- অভিনন্দন?
এখন ফুর্তি করো.
বিশ্রাম করে নাও, পিচ্চি শেফ.
একটু হাওয়া লাগিয়ে এসো.
আজ তুমি অসাধারণ কাজ করেছ!
Dah!
টুপি পেয়েছি!
অনেক মজা হয়েছে.
আমি তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাই,
লিঙ্গুঈনি, আমার অফিসে.
- কোন সমস্যা হয়েছে?
- সমস্যা? না.
একটু ওয়াইন, আর কথাবার্তা. তুমি আর আমি.
এখন আর সে তোমার কাছে আসবেনা,
তাই না কোলেট?
যেখানে যাবার সে চলে গিয়েছে.
তোমার সাফল্যের নামে, লিঙ্গুঈনি?
সাফল্যের খাতিরে.
আপনি দিয়েছেন তাই নিলাম.
কিন্ত আসলে আমি মদ্যপান করিনা.
একদম ঠিক বলেছেন. এরকম
আলতু ফালতু জিনিস আমিও পান করিনা.
কিন্ত সে নিশ্চয়ই পাহাড় সমান মক্কেল হবে
যে এই ৫০ বছর পুরনো শানদার মদকে
না পান করবে.
আর আপনি, মিস্টার লিঙ্গুঈনি,
এরকম মক্কেল নন.
তাহলে হয়ে যাক আপনার আক্কলের খাতিরে!
- রেমী!
- এমিল?
বিশ্বাস হচ্ছেনা! তুই বেচে আছিস!
- বাহ্!
- আমি ভেবেছিলাম আর কোনদিন দেখা হবেনা!
আমরা ধরে নিয়েছিলাম তুমি ডুবে গিয়েছ.
তুই কী খাছিস?
আম জানিনা.
মনে হয় কোন কালে এটা ঠোঙ্গা ছিল.
কি? না.
তুই এখন প্যারিসে আছিস. আমার শহর.
আর আমার শহরে আমার ভাই আবর্জনা খাবেনা.
রেমী! চুরি করছ?
লিঙ্গুঈনি তোমাকে বিশ্বাস করেছিল.
- সবকিছু ঠিক আছে. ও আমার ভাই.
- কিন্ত তার চাকরী চলে যাবে.
সাথে আমারটাও.
সবকিছু ঠিক আছে.
- আরো ওয়াইন?
- উচিৎ না, কিন্ত... ঠিকাছে.
তাহলে ট্রেনিং কোথায় নিয়েছ, লিঙ্গুঈনি?
ট্রেনিং? আচ্ছা.
এখন এটা বলনা যে আজই
তুমি প্রথমবার রান্না করেছ.
- ঠিক বলেছেন.
- আমি জানতাম!
আজ আমার... দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ...চতুর্থ দিন.
755
00:54:23,785 --> 00:54:25,385
সোমবার আমি প্রথম রান্না করেছি.
কিন্ত তার আগে আমি
অনেক পরিষ্কারের কাজ করেছি...
হ্যা, হ্যা. আরো ওয়াইন নাও.
তাহলে লিঙ্গুঈনি, তোমার আর কী কী পছন্দ.
পশুপাখি?
কি?
পশুপাখি? কী ধরনের?
এমনিতেই, কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, গিনিপিগ,
ইঁদুর.
তোমার জন্য কিছু...
না, না, না, না!
এক্ষুনি মুখ থেকে বের কর!
- এভাবে রাক্ষসের মতো নয়!
- দুঃখিত.
এই নে.
আস্তে আস্তে চিবোও.
আর স্বাদের কথা ভাব.
- দেখলি?
- না.
এটার স্বাদ সবাইকে পাগল করে দিবে.
চোখ বন্ধ কর. এখন এটা খাও.
একদম ভিন্ন স্বাদ, তাই না?
মিষ্টি, কুড়কুড়ে, আর অল্পখানি কটা.
- আচ্ছা.
- এখন দুইটা একসাথে খা.
আচ্ছা.
কিছুটা অনুভব করছি.
- মিস্টি.
- দেখলি?
- আর একটু কটাও.
- হ্যা.
এখন ভাব যদি পৃথিবীর সব স্বাদকে একসাথে করা যায়
তাহলে কী মজাদার খাবার হবে.
আজপর্যন্ত কেউ চেষ্টা করেনি!
অনেক কিছু আবিষ্কার করা যায়!
আমার মনে হয়...
- আবার শেষ হয়ে গেল.
- হ্যা.
কিন্ত ব্যাপারটা ভালই ছিল.
আমার খাওয়া সেরা আবর্জনা...
Hey! আমরা কী করছি?
বাবা জানেনা তুই বেচে আছিস!
আমাদের জলদি কলোনিতে যাওয়া উচিত!
সবাই খুব খুশি হবে!
- হ্যা! কিন্ত...
- কী?
ব্যাপারটা হল, এখানে আমাকে...
নিজের পরিবার থেকে আর কী বড় আছে?
এখান কোন লাড্ডু পাবি?
আসলে আমি...
একবার ঘুরে আসতে কোন সমস্যা নেই.
- তুমি কি কখনো ইঁদুর পেলেছ
- না.
- কখনো ইঁদুরের ল্যাবে কাজ করেছ?
- না.
তাহলে হয়তোবা এর আগে তুমি জঙ্গলে থেকেছ?
না বলেছি, না বলেছি, না.
নিশ্চয়ই তুমি ইঁদুরের সম্পর্কে কিছু জান!
তুমি জানো যে তুমি জানো!
You know who know do whacka-doo.
Ratta-tatta.
- Hey! এই নাম কে রেখেছে?
- কী?
রাটাটূই. এটা একটা পদ, তাই না?
তাহলে এরকম নাম কেন রেখেছে?
যদি রাখতেই হয়,
তাহলে এরকম নাম রাখা উচিৎ
যেটা শুনলেই সুস্বাদু মনে হয়.
রাটাটূই সুস্বাদু শোনায়না. অনেকটা হাস্যকর.
শুনলেই হসি পায়.
আফসোস যে আমাদের ওয়াইন শেষ হয়ে গিয়েছে.
আমার ছেলে ফিরে এসেছে!
আর তোমার জায়গা যারাই
বিষ পরিক্ষক হিসবে ছিল সবাই ফালতু.
খোদার শোকরিয়া যে কোনকিছুতে বিষ ছিলনা,
তবুও ভয় লাগত.
- কিন্ত তুমি ব্যাপারটা অনেক সহজ করে দিয়েছিলে.
- জানি. আমি দুঃখিত, বাবা.
যাইহোক, মূল কথা হল তুমি ফিরে এসেছ.
হ্যা, আসলে, ঐ ব্যাপারে...
তুমি অনেক শুকিয়ে গিয়েছ. ব্যাপার কী?
খাবার পাওনি নাকি শুধু আবর্জনা খেয়েছ?
এই পৃথিবীতে একা থাকাটা অনেক কষ্টের, তাই না?
হ্যা, কিন্ত আমি তো আর বাচ্চা নই.
- Hey. Hey. কী হয়েছে?
- নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারি.
অবশ্য কাছেই একটা ভাল জায়গা পেয়েছি,
তাই আসা যাওয়া চালু থাকবে.
হ্যা, তো আমি বলছিলাম যে এই পৃথিবীতে একা...
- আসা যাওয়া?
- আমি আসব. প্রায়ই.
- এখানে থাকবেনা?
- না. কিন্ত এতে কিছু আসে যায়না, বাবা. আমি...
আমি তো আর সারাজীবন
তোমার সাথে থাকতে পারবনা, তাই না?
সব পাখিকেই একদিন না একদিন নীড় ছেড়ে যেতে হয়.
আমরা পাখি নই. আমরা ইঁদুর.
আমরা আমাদের বাসা ছেড়ে চলে যাইনা.
বরঞ্চ ওটা আরো বড় করি.
- হয়তোবা আমি একটু আলাদা টাইপের.
- হয়তোবা তুমি ইঁদুরই নও.
হয়তোবা ব্যাপারটা ভালই.
Hey! আজ রাতে তো অনেক মজা হবে, তাই না?
আমরা শুধু নেই, বাবা.
এটা আমার পছন্দ নয়.আমি কিছু দিতে চাই.
আমি এই পৃথিবীর জন্য কিছু করতে চাই.
- তুমি মানুষের মত কথা বলছ.
- যারা কিনা এতটা খারাপ নয় যেরকম তুমি ভাব.
- তাই নাকি? এটা তুমি কীভাবে জানলে?
- এবার থামো.
আমি দেখেছি তাদের সাথে থেকে
তাদের কাছে থেকে.
- তাই? কত কাছ থেকে?
- যথেষ্ট.
আরা তারা এতটা খারাপ নয় যেরকম তুমি বল.
আমার সাথে চলো.
আমি তোমাকে কিছু দেখাতে চাই.
তোমরা যাও, আমি এখানেই আছি.
যাওয়ার আগে সবকিছু পরিষ্কার করে দিও.
কী. আপনি চাচ্ছেন আমি পরিষ্কার করি?
কোন সমস্যা?
- না.
- শাবাশ. কাল দেখা হচ্ছে.
এই দেখো.
ভাল করে দেখো, রেমী.
যখন একটা ইঁদুর মানুষের কাছে যায়
তখন তার পরিণাম এমনই হয়.
আমরা এক নির্দয় পৃথিবীতে বসবাস করি.
আমাদেরকে অনেক সাবধানে থাকতে হয়.
আমাদেরকে একে অন্যের খেয়াল রাখতে হয়, রেমী.
কারণ শুধুমাত্র আমাদের আপনজনই
আমাদের উপকারে আসবে.
- না.
- কী?
না. বাবা, আমি মানিনা
তুমি বলছ যে আমার ভবিষ্যৎ...
ভবিষ্যতে এরকমই হবে?
হ্যা, এরকমই চলে আসিছে.
আমরা আমাদের ভাগ্য কীভাবে পাল্টাব.
কিন্ত পাল্টানটাই প্রকৃতি.
আরা আমরা কর্তৃত্ব করতে পারব.
আর আমরাই এর শুরু করব, বাবা.
- কোথায় যাচ্ছ?
- সামনে, ভাগ্যের উপর নির্ভর করে.
Hey! হ্যা.
থামো.
শুভসকাল.
শুভসকাল.
তো, গতরাতে শেফ তোমার সাথে আড্ডা দিয়েছিল?
অনেক ভাল.
অনেক ভাল. সে কী বলেছিল?
কী?
তুমি আমাকে বলতে পারবেনা?
ওহ্!
মাফ করে দিও, আমি তোমার আর শেফের
ব্যাক্তিগত সম্পর্কে বাম হাত ঢুকিয়েছি.
ওহ্, এখন বুঝতে পারছি.
তুমি বসকে খুশি করার জন্য আমার কাছ থেকে
টিপস নিয়ে তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়েছ?
উঠ. উঠ.
আমি ভেবেছিলাম তুমি স্পেশাল.
আর তোমার জন্য আমিও স্পেশাল.
আমি ভেবেছিলাম...
নিজের কথা চিন্তা করলে!
আমি কখনোই তোমাকে সাহায্য করতাম না,
মরার জন্য ছেড়ে দিতাম!
কিন্ত...
আমি চেয়েছিলাম তুমি সফল হও.
আমি তোমাকে পছন্দ করেছিলাম.
আমারই ভুল ছিল.
কোলেট. দাড়াও, থামো. কোলেট!
সব শেষ, পিচ্চি শেফ.
সে রাগ করেছে.
কোলেট! থামো, না!
ভটভটি চালিওনা.
দেখো, আসলে আমি কথা বলতে জানিনা.
আর রান্না করতেও জানিনা.
তোমাকে ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না.
মিথ্যা প্রশংসা আমার পছন্দ নয়.
আর যে মিথ্যা বলে তাকেও নয়.
- তোমার প্রতিভা আছে.
- না, আমার নেই! সত্যি! এটা আমি না.
যখন আমি তোমার রেসিপির সাথে
অন্য মসলা দিয়ে দিয়েছিলাম,
ওটাও আমি ছিলাম না.
- মানে?
- মানে, আমি এরকম করতাম না.
আমি তোমার রেসিপি অনুযায়ী চলতাম.
শুধু তোমার কথাই মানতাম.
এই পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত
আমি তোমারই কথা মানতাম.
- কারণ আমি ভালবাসি তোমা..কথা.
- কিন্ত...
কিন্ত আমি...
বলে দিওনা.
আমার এক সিক্রেট আছে.
ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত.
- আমার কাছে...
- কী? তুমি...
- আমার এক ই...
- তোমার এক ইচ্ছা আছে?
না, না, না. আমার কাছে...
এক পিচ্চি...
ছোট...
এক পিচ্চি শেফ আছে যে আমাকে সাহায্য করে.
এক পিচ্চি শেফ?
হ্যা. হ্যা. সে...
- সে এখানে আছে.
- তোমার ব্রেন?
তোমার সাথে কথা বলা এত কঠিন কেন?
আচ্ছা. শুন তাহলে.
আমি তোমাকে সবকিছু বলব.
আমি এই ঝুঁকি নিব.
আমি এই ঝুঁকি নিব কারণ
আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাগল.
জানতে চাও আমি কীভাবে এত দ্রুত শিখে ফেলি?
আর এত দ্রুত এত ভাল বাবুর্চি কীভাবে হলাম?
হেসনা! আমি তোমাকে দেখাচ্ছি!
না! না!
- কী ব্যাপার, আ্যমব্রিস্টার?
- গুস্তো.
- শেষ পর্যন্ত বন্ধ হচ্ছে, তাই না?
- না.
- অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে?
- না, আসলে...
তাহলে কী রাস্তায় বসে ফুচকার ব্যবসা শুরু করেছে?
কী? কী? জলদি বল.
তারা আবার উঠছে.
- কয়েক বছর আমি তাদেরকে নিয়ে লেখিনি.
- না, স্যার.
আমার সর্বশেষ লেখাই ছিল
- তার মৃত্যুর কারণ.
- হ্যা, স্যার.
লিখেছিলাম, "শেষপর্যন্ত গুস্তো ইতিহাসে তার নিজের স্থান খুজে পেয়েছে
"তার কবর এক বিখ্যাত বাবুর্চির সাথে আছে যার নাম,
"মিস্টার বয়ার্ডে."
হ্যা, স্যার.
কথা অতটুকুই ছিল.
ওটাই আমার শেষ বাণী ছিল.
- আমার শেষ বাণী.
- হ্যা.
তাহলে বল, আ্যমব্রিস্টার,
তারা কীভাবে বিখ্যাত হল?
না, না, না, না, না, না, না!
DNA মিলেছে, বয়সও ঠিক আছে,
সবকিছু চেক করেছি.
সে গুস্তো'র ছেলে.
এ হতে পারেনা!
এইসবকিছুই প্ল্যান করা!
ছেলেটা সবকিছু জানে!
তাকে দেখো,
যেন ভাজা মাছটাও উল্টিয়ে খেতে পারেনা.
সে আমার মাথাকে নিয়ে খেলছে..টেনিস বলের মত.
- ক্রিকেট?
- হ্যা! খুবই চালাক.
- আমার সাথে ইঁদুর নিয়ে খেলছে.
- ইঁদুর?
হ্যা. সেও তার সাহায্য করছে.
আর এটা বোঝাতে চাচ্ছে যে ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ.
- ঐ ইঁদুর.
- একদম ঠিক!
ঐ ইঁদুরটা গুরুত্বপূর্ণ?
অবশ্যই না!
কিন্ত ছেলেটা এরকমই চাচ্ছে.
আমি তার নাটক বুঝতে পারছি.
প্রথম দিন একটা ইঁদুর ধরেছিলাম আর
আমি তাকে মেরে ফেলতে বলেছিলাম.
আর সে এখন চায় যাতে আমি সবজায়গায় ইঁদুর দেখি.
Ooh!
এটা এখানে! না, ওখানে নয়, এখানে!
এটা কি আমার ভ্রম, আমি কি পাগল?
এটা কি সত্যি ইঁদুর নাকি কোন ভুত?
কিন্ত, ওহ্, না!
আমি ইঁদুর কলে আটকা পড়া ইঁদুর নই...
এই ব্যাপারে কি আমার কোন হাত আছে?
আপনার কাছে?
Huh?
তাকে বের করাও যাবেনা.
সবাই তাকে পছন্দ করে.
যদি আমি তাকে বের করে দেই,
তাহলে সবাই কারণ জানতে চাইবে.
আর আমি চাইনা যে
কেউ তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেক.
আপনি কেন চিন্তা করছেন?
সাংবাদিকদের এটা বলা ভাল হবেনা?
গুস্তোর নাম যদি হেডলাইনে আসে,
তাহলে কি ভাল হবেনা?
এই নির্বোধের চেহারার সাথে একদমই নয়!
গুস্তোর চেহারা তো আছেই,
সেটা একটু মোটা, সুন্দর আর বিখ্যাত.
আর এতে করে আমার রোল বিক্রি হয়!
কোটি কোটি রোল বিক্রি হয়!
তিনদিন পরেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে.
তারপর যখন সে আপনার কাজে না আসবে
বের করে দিতে পারবেন
আর কেউ কিছু জানতেও পারবেনা.
আর আপনার দেওয়া ঐ চুলটা নিয়ে
আমি একটু চিন্তিত.
- সেটা আবার ল্যাবে পাঠাতে হয়েছে.
- কেন?
কারণ প্রথম রিপোর্ট অনুযায়ী ওটা ইঁদুরের চুল ছিল.
- না, না, না.
- কী?
এটা দেখো. এটা অনেক ভাল.
Whoa!
ইঁদুর!
নোংরা প্রাণী.
আমার অনুভব হয়েছে আমার অস্তিত্ব কী.
পৃথিবী আমাকে ঐ চোখেই দেখে.
আর আস্তে আস্তে সময় ভালই কাটছে.
রেমী!
রেমী!
Psst! Psst!
Hey, hey, hey, পুঁচকে ভাই!
আমরা তো ধরেছিলাম যে তুই আজ আসবিনা.
- Hey, রেমী! কী অবস্থা?
- তুই তাদেরকে বলে দিয়েছিস?
এমিল, আমি বলেছিলাম কাউকে না বলতে!
কিন্ত তুই তো এদের জানিস.
তারা আমার বন্ধু.
তাদেরকে তো বলতে হতই.
আমি দুঃখিত.
এই কথা আমাকে না বলে তাদেরকে বল.
- কোন সমস্যা হচ্ছে?
- না, কোন সমস্যা নেই.
এখানেই থাক.
এটা তালা দেওয়া?
Hmm...
রেমী, তুমি এখানে কী করছ?
হ্যা. এমিল এসেছে...
তাকে বলেছিলান না বলতে...
কিন্ত সে সব বলে দিয়েছে...
আর সবাই এসে পড়ল.
যাইহোক, তারা ক্ষুধার্ত, আর খাবার তালা দেওয়া,
আমি চাবি খুজছি.
- তারা চায় তুমি চুরি কর?
- হ্যা. না! আসলে...
- তারা চায় তুমি চুরি কর?
- হ্যা. না! আসলে...
ব্যাপারটা মুশকিল. তারা আমার আপনজন.
তাদের কাছে আপনার মত আদর্শ নেই.
আদর্শ?
যদি এরকম বাবুর্চুর কাছে আদর্শ থাকত,
তাহলে কি আমি অলিগলিতে প্যাটিস বেচতাম?
অথবা ফুচকা-চটপটি?
অথবা শিক কাবাব?
যেটা মাংসে ভরপুর!
আমি আসছি শীঘ্রই!
আমরা নতুন ব্যবসা পদ্ধতি শুরু করছি.
খাবার অনেক সুস্বাদু হবে, তাই না?
আমি আমার বদনাম আর সইতে পারবনা, রেমী.
- আমি মারা গিয়েছি!
- সবাই চুপ করো?
চিন্তা করে নেই! যদি তাদের মুখ বন্ধ না করি.
তাহলে গিয়ে সবাইকে বলে দিবে,
আর তারপর পুরো কলোনি আমার পিছনে পড়বে...
এইত পেয়েছি.
Hey. আপনার অসিয়ত!
- কী লেখা থাকতে পারে. আমি কি...
- কেন নয়.
লিঙ্গুঈনি?
আপনার অসিয়তের ফাইলে লিঙ্গুঈনির ছবি কেন?
একসময় এটা আমার অফিস ছিল.
সে আপনার ছেলে?
- আমার এক ছেলে আছে?
- আপনি কীভাবে জানলেন না?
আমি তো শুধু তোমার কল্পনা.
তুমি না জানলে আমি কীভাবে জানব?
তাহলে তো আপনার ছেলেই
এই রেস্তোরাঁর আসল মালিক!
তাহলে তো আপনার ছেলেই
এই রেস্তোরাঁর আসল মালিক!
না! না! ঐ ইঁদুর!
- দুঃখিত, শেফ.
- ঐ ইঁদুর! আমার ফাইল চুরি করেছে!
চলে যাচ্ছে!
তুমি!
- আমার অফিস থেকে বের হও.
- সে আপনার অফিসে নয়. আপনি ওরটায় আছেন.
তোমার নামে, লিঙ্গুঈনি!
চিয়ার্স.
শেফ! শেফ!
শেফ লিঙ্গুঈনি!
আপনি অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন,
কোনরকম ট্রেনিং ছাড়াই.
আপনার এই সাফল্যের রহস্য কী?
রহস্য? আপনারা সত্যটা জানতে চান?
আমি গুস্তোর ছেলে.
আর আমার বাবার রক্তই আমার শরীরে রয়েছে.
আপনি কি এই কথা এখনই জানতে পারলেন?
না.
আপনি আজই এই রেস্তোরাঁর মালিক হয়েছেন.
আপনি এটা কীভাবে জানতে পারলেন?
অনেকটা আগেই জানতাম.
গুস্তো বলেছিল, হ্যা?
- আর আপনি কোত্থেকে প্রেরণা পেয়েছেন?
- প্রেরণার অনেক ধরণ রয়েছে.
- আমার প্রেরণা হল, কোলেট.
- কী?
দাতে কিছু আটকে গিয়েছে.
হেল্থ ইনস্পেক্টর.
আমি ইঁদুরের রিপোর্ট করতে চাই.
ঐ ইঁদুর আমার রেস্তোরাঁ...
গুস্তো'র রেস্তোরাঁ.
গুস্তো, এহ্?
আমি আসব. দেখি কবে পারব.
৩ মাস পর.
এক্ষুনি আসুন!
এটা একটা বিখ্যাত রেস্তোরাঁ!
মিস্টার, সব ফিক্স করা.
যদি কোনটা বাতিল হয় তাহলে আগে আসব.
কিন্ত ঐ ইঁদুর!
আপনি জলদি...
আমার ফাইল চুরি করেছে.
রেস্তোরাঁ খোলার সময় হয়ে গিয়েছে.
এটা ১ ঘন্টা আগেই শেষ হবার কথা ছিল.
কী অবস্থা, জানেমন. বসে পর.
আমরা প্রেরণা নিয়ে কথা বলছিলাম.
হ্যা, সে এটাকে তার পিচ্চি শেফ বলে.
না, জান. আমি তোমার কথা বলছিলাম.
- সে এসেছে.
- ইগো?
আ্যন্টন ইগো!
ওটা কি ইগো?
হতেই পারেনা.
- তুমিই মিস্টার লিঙ্গুঈনি?
- Hello.
তোমরা এই অকাল পক্ব আনন্দ উদযাপনের
সময়ে বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত,
যেহেতু তুমি এই খেলায় নতুন এসেছ, তাই ভাবলাম
তোমাকে একটা সুযোগ দেওয়া যেতে পারে.
- খেলা?
- হ্যা.
তুমি প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই খেলছিলে.
আর সেটা নিয়মের বরখেলাপ, এটা তুমিও জানো.
আপনি আ্যন্টন ইগো.
তুমি এত ধীর অথচ নিজেকে বাবুর্চি বল.
আর আপনি এত চিকন যে আপনার খাবার পছন্দ.
খাবার শুধু পছন্দ করিনা. খাবার ভালবাসি.
আর যদি না ভালবাসি তাহলে সেটা গিলিনা.
আগামীকাল রাতে আমি অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আসব.
প্রার্থনা কর যাতে নিরাশ না হই.
বেআদবির জন্য মাফ করবেন,
কিন্ত আমাদের যেতে হবে.
সে বলতে চাচ্ছে,
"এখন খাওয়ার সময় তাই যেতে হবে."
এভাবে তাকিওনা.
সাংবাদিকদের সামনে তুমি আমাকে বিরক্ত করছিলে.
যদি তুমি আমার চুল ধরে টানতে থাক
তাহলে আমি কীভাবে কথা বলব?
আর এটা অন্য ব্যাপার.
ওখানে শুধু তোমার রায়ই সবকিছু নয়.
কোলেটও রান্না করতে জানে, ভুলে গিয়েছ.
ব্যস, অনেক হয়েছে!
তোমার ছুটির সময় হয়েছে, পিচ্চি শেফ.
আমি কলের পুতুল নই,
আর তুমি আমাকে দিয়ে
পুতুল নাচ দেখাতে পারবেনা!
ঐ ইঁদুরটাই বাবুর্চি.
প্রথমে নিজের মাথা ঠান্ডা করে এসো,
পিচ্চি শেফ.
প্রথমে নিজের মাথা ঠান্ডা করে এসো,
পিচ্চি শেফ.
ইগো আসছে, আমাকে তার প্রস্ততি নিতে হবে!
বোকা...
বাহ্. আমি এরকম আগে কখনো দেখিনি.
হ্যা, মনে হচ্ছিল তুমি ওর পোষ্য.
আমি দুঃখিত, রেমী.
আমি ওদেরকে বলেছিলাম...
- যে এতজন...
- কী হয়েছে?
সব ঠিক আছে. আমি নিজেই ভুল ছিলাম.
- তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত?
- এটাও কি জিজ্ঞাসা করতে হয়?
ঠিক আছে. আজ আমি খাওয়াব.
রেস্তোরাঁ বন্ধ হওয়ার পরেই যাব.
- আসলে...
- হ্যা.
...বাবাকে বল পুরো কলোনিকে নিয়ে আসতে.
পিচ্চি শেফ?
কী খুশির খবর, বাবা.
এখানে কাজ করো. খাদ্য ভান্ডারে.
Oof!
পিচ্চি শেফ?
পিচ্চি শেফ?
Hey, পিচ্চি শেফ.
আমি ভেবেছিলাম তুমি ঘরে ফিরে গিয়েছ.
তারপর যখন তোমাকে পেলাম না,
আমি...
আমরা যাকিছু করেছি সেটা
এভাবে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ না, তাই...
দেখো, আমি ঝগড়া করতে চাইনা.
তুমি জান আজকাল কাজের চাপ খুব বেশি.
অনেক কম সময়ে অনেক কিছু
পাল্টে গিয়েছে, তাই না?
এখন আমি গুস্তো'র ছেলে.
আর আমাকে অনেক কিছু করে দেখাতে হবে,
নাহলে মানুষ নিরাশ হবে.
ব্যাপারটা অদ্ভুত.
আজ পর্যন্ত আমি কাউকে নিরাশ করিনি,
কারণ আজ পর্যন্ত কেউ আমার থেকে
কিছু আশা-ই করেনি.
আর এখন মানুষ আমার কাছ থেকে যা আশা করছে
তার কারণ শুধু তুমি.
আমি তোমার সাথে ভাল আচরণ করিনি.
আমার এটা ভুলা উচিৎ ছিলনা যে
তুমিই আমার সাফল্যের কারণ.
তুমি এক ভাল বন্ধু.
অনেক সৎ বন্ধু যে নাকি বিপদে বন্ধুর...
কে এখানে?
কী হচ্ছে এসব?
কি...
Hey...
তুমি...
তুমি খাবার চুরি করছিলে? কীভাবে সম্ভব?
আমি তোমাকে আমার বন্ধু ভেবেছিলাম!
তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম!
বের হয়ে যাও! তুমি আর তোমার ঐ চোর জাতি!
আর কখনোও ফিরে আসবেনা
নাহলে সবাই ইঁদুরের সাথে যেরকম আচরণ করে
আমিও সেরকম আচরণ করব!
তুমি ঠিক ছিলে, বাবা. আমি কাকে পর ভেবেছিলাম?
আমরা এটা ভুলতে পারবনা যে, আমরা ইঁদুর.
সে এখনই চলে যাবে, তারপর
সবাই ভিতরে যেতে পারবে.
যা মন চায় চুরি করতে পারবে.
- তুমি আসছনা?
- আমার ক্ষুধা চলে গিয়েছে.
তাহলে আপনি কী খাবেন, স্যার?
হ্যা, তোমার কলিজার ভুনা খাব, অনেক মজা করে.
আসো!
আজকের দিনটা বিশেষ দিন.
তোমার কিছু বলা উচিৎ.
- কী বলব?
- তুমি বস. তাদেরকে প্রেরণা দাও.
শুনুন.
শুনুন সবাই.
আজকের রাত অনেক বিশেষ.
সেই ভয়ানক ভক্ষক আসছে,
নিজের সাথে অনেক অহং নিয়ে.
মানে ইগো. সে আসছে. ক্রিটিক.
আর সে অর্ডার দিবে এরকম কিছু.
এরকম কিছু যেটা আমাদের মেন্যুতে আছে.
আর আমাদেরকে সেটা রান্না করতে হবে.
তুই তাদেরকে ছাড়া থাকতে পারবিনা,
তাই না?
রেস্তোরাঁ যখন খোলা থাকে
তখন তোর আসা উচিৎ না. এটা বিপদজনক.
আমার ক্ষুধা লেগেছে!
আর পেট ভরার জন্য
আমি যেকোন কিছুই খেতে পারি.
চাই খাবারটা ভিতরের হোক কিংবা বাহিরের.
- এই দেখ.
- না, থাম!
- ওহ্ না! না, না! এখন কী করব?
- আমি বাবাকে নিয়ে আসছি.
নিজেকে যত বড় শেফ ভাব না কেন
এটা ভুলে যেওনা তুমি আসলে একটা ইঁদুর.
এটা ঠিক যে তার লেখার কারণেই
আমরা স্টার হারিয়েছি.
এটা ঠিক যে তার কারণেই মরেছে... আমার বাবা.
- উনার কথা মনে পরে গেল.
- কিন্ত আমি একটা কথা বলে দিচ্ছি...
- ইগো এসে পড়েছে.
- ইগো? এসে পড়েছে?
আ্যন্টন ইগো আমাদের জন্য শুধুমাত্র
একজন কাস্টমার. চল কাজ শুরু যাক!
হ্যা! চল...
আচ্ছা.
চল একটা চুক্তি করা যাক.
তুমি আমার জন্য নতুন পদ্ধতিতে
শেফ স্কিনার ফ্রোযেন ফুড বানাবে.
আর তার বদলে আমি তোমাকে মারবনা.
শুভেচ্ছা রইল, ইঁদুর!
আপনি কী খাবেন, স্যার?
হ্যা, ঐটাই ভাবছি.
তোমাদের নতুন শেফের লম্বাচওড়া
প্রশংসা শোনার পরে,
জানতে চাও আমি কী চাই?
এক নতুন ভাবনা.
ব্যস. সুস্বাদু তাজা এক নতুন ভাবনা.
আর তার সাথে ভাল এক ওয়াইন দিতে পারবেনা?
- কিসের সাথে, স্যার?
- এক নতুন ভাবনার সাথে.
আমি...
ঠিক আছে তাহলে. যেহেতু তোমার কাছে
কোন নতুন ভাবনা নেই
আর যদিও এই শহরের আর কারো কাছে নেই,
চল আমরা একটা চুক্তি করি.
তুমি আমার খাবারের খেয়াল রাখো,
আর নতুন ভাবনা আমার উপর ছেড়ে দাও.
তবে তার সাথে স্পেশাল ওয়াইন
Cheval Blanc 1947 আনতে ভুলে যেওনা.
মাফ করবেন, আমি...
আপনার ডিনারে কী দিব?
যাও শেফ লিঙ্গুঈনিকে বল আজ
সে আমাকে স্পেশাল কী দিতে পারবে.
তাকে বল তার সবচেয়ে ভাল পদ পরিবেশন করতে.
সে যা নিচ্ছে আমিও তা-ই নিব.
- তাহলে আমরা হের গেলাম.
- এভাবে কেন বলছেন?
আমরা একটা খাচার ভিতর, গাড়ির পিছনে
ভবিষ্যতে ফ্রোজেন ফুডের ভাগ্য খুলব.
না, খাচায় আমি রয়েছি. আমি হেরেছি.
আপনি মুক্ত.
আমি ততটাই মুক্ত যতটা তোমার কল্পনা.
ওহ্ প্লিজ. ঢং করতে করতে আর ভাল লাগছেনা.
বাবার সাথে ঢং করব যেন আমি এক ইঁদুর.
লিঙ্গুঈনির সামনে মানুষ হওয়ার ঢং.
আর সবচেয়ে বড় ঢং হল
আমি আপনার সাথে কথা বলছি!
আপনি তা-ই বলেন যা আমি আগেই জানি!
আমি জানি আমি কে!
তাহলে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কী লাভ?
আমি কেন এসব ঢং করব?
ঠিক বলেছ, রেমি.
তুমি এখন বুঝেছ.
না. আমার বা দিকে!
বাবা? বাবা, আমি এখানে!
আমি ভিতরে! আরে...
বাব!
- Hey, ছোট ভাই!
- এমিল!
কী মজা!
কোথায় যাচ্ছ?
রেস্তোরাঁয়. আমাকে ছাড়া তারা হেরে যাবে.
- তোমার কী আসে যায়?
- কারণ আমি একজন বাবুর্চি!
এটা তোমার রেসিপি.
আর তুমি কীভাবে তোমার রেসিপি জাননা?
এটা আমি লিখে রাখিনি.
হঠাত করে মনে এসেছিল.
তাহলে হঠাত করেই আবার নিয়ে এস, বুঝলে?
কারণ আমরা এটা দিতে পারবনা!
আমার অর্ডার কোথায়?
আমরা কি অন্যকিছু করতে পারিনা?
যেটা আমার রেসিপির মধ্যে নেই?
কিন্ত তারা এটাই অর্ডার করছে.
তাদেরকে অন্যকিছু অর্ডার করতে বল.
বলে দাও যে সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে.
কিন্ত রেস্তোরাঁ তো মাত্রই খুলল.
আমার কাছে এক আইডিয়া আছে.
কেননা আমরা তা-ই বানাই যা তারা অর্ডার করেছে!
আমরা করে ফেলব.
শুধু বল তুমি কীভাবে করেছ.
জানিনা কীভাবে করেছিলাম.
কিন্ত কাস্টমারদের কিছু না কিছু বলতে হবে.
বলে দাও... বল যে...
- এরকম করনা.
- রেমী. রেমী.
না! থামো!
তারা তোমাকে দেখে ফেলবে. থামো.
আমরা নিজের কথা বলছিনা.
আমরা বলছি যে...
ইঁদুর!
- রেমী!
- আমার তলোয়ার কোথায়.
তাকে ছুবেনা!
ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ, পিচ্চি শেফ.
জানি ব্যাপারটা অদ্ভুত, কিন্ত...
কখনো কখনো সত্যটা অদ্ভুত শোনায়.
কিন্ত তবুও ওটা সত্যি.
আর সত্যটা হল, আমি রান্না করতে পারিনা.
কিন্ত এই ইঁদুরই ঐসব রেসিপির মূল ছিল.
সে-ই বাবুর্চি. আসল বাবুর্চি.
সে আমার টুপির নিচে লুকিয়ে থাকত.
আমার ভাববঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করত.
এই পিচ্চি শেফই আমাকে দিয়ে ঐসব জিনিস
বানিয়েছে যেটা সবাই পছন্দ করেছে.
আর এর কারণেই ইগো আজ এখানে এসেছে.
তার কর্মের সুনাম তোমরা আমাকে দিয়েছ.
জানি ব্যাপারটা বিশ্বাস করা মুশকিল.
কিন্ত তোমরা ভেবেছিলে যে আমিই বাবুর্চি, তাই না?
দেখো, কাজ হবে.
ব্যাপারটা অদ্ভুত, কিন্ত হবে.
আমরা প্যারিসের সেরা রেস্তোরাঁ হতে পারব,
আর এই প্রতিভাবান পিচ্চি শেফ
আমাদেরকে সাহায্য করবে.
তাহলে কী বল? সাথে আছ?
বাবা.
বাব, বুঝতে পারছিনা কী বলব.
আমি তোমার বন্ধুকে ভুল ভেবেছিলাম,
আর তোমাকেও.
তুমি এটা ভেবনা যে
আমি তোমাদের জায়গা তাকে দিয়েছি.
সত্যি বলতে, আমার জন্য দুজনই আপন.
আমি এসব কথা বলছিনা.
আমি বলছি সাহসের কথা.
বাবুর্চি হওয়াই তোমার স্বপ্ন ছিল, তাই না?
আমরা বাবুর্চি নই, কিন্ত তোমার সাথে আছি.
তুমি শুধু বল কী করতে হবে,
আর আমরা সেটা করে ফেলব.
- ঐ হেল্থ ইনস্পেক্টরকে আটাকাও!
- ডেল্টা টিম, যাও, যাও, যাও!
অন্যসবাই রেমীকে সাহায্য করো.
৩ নাম্বার দল মাছ রান্না করবে.
৪ নাম্বার ভুনা করবে.
৩ নাম্বার দল মাছ রান্না করবে.
৪ নাম্বার ভুনা করবে.
৫ নাম্বার গ্রিল. ৬ নাম্বার সালাদ.
সবাই কাজে লেগে পড়. যাও, জলদি!
যারা খাবার রান্না করবে তারা দু পায়ে চলবে.
একজন ওয়েটার দরকার.
দেরির জন্য দুঃখিত,
কিন্ত আজ লোকজন একটু কম.
প্লিজ, যত সময় দরকার নিতে পার.
একদম ভাল ভাবে নরম করা চাই.
ঠিক আছে. হ্যা. জলদি. জলদি.
লবণ কম. মাখন বেশি.
শুধুমাত্র উন্নতমানের পনির ব্যবহার করবে.
সালাদ এরকমভাবে সাজাবে যেন ছবি আঁকছ.
ধনিয়া পাতা দিতে ভুলে যেওনা.
পনিরের টুকরো বেশি বড় করনা.
তুমি ডাল নাড়াতে থাকো.
চুলোর আঁচ ঠিক রেখো.
আমাকে দেখাও. চামচ নিচে.
ভাল. লবণ বেশি. ভাল.
বেশিক্ষণ রেখনা তাহলে পুড়ে যাবে. এমিল!
দুঃখিত.
কোলেট, থামো! কোলেট.
- তুমি ফিরে এসেছ. কোলেট...
- কিচ্ছু বলবেনা.
ঐ ব্যাপারে ভাবলে হয়তোবা মন পাল্টে যাবে.
শুধু এটা বল ঐ ইঁদুরটা কী রান্না করতে চায়.
রাটাটূই? এটা তো চাষীদের খাবার.
তুমি কী ইগোকে এটাই দিতে চাও?
কী? আমি রাটাটূই বানাচ্ছি.
তুমি হলে কী করতে?
রাটাটূই? নিশ্চয়ই মজা করছে.
Mmm.
না, এ হতে পারেনা.
কে রান্না করেছে রাটাটূই?
আমার চোখের সামনে এসো!
আমার মনে নেই যে আমি কবে
কোন ওয়েটারকে বলেছিলাম
শেফকে অভিনন্দন জানাতে.
কিন্ত এখন আমি অনেক বড় বিপদে পড়েছি যে
যে নাকি আমার ওয়েটার সে-ই আমার শেফ.
ধন্যবাদ, কিন্ত আজরাতে আমি শুধু আপনার ওয়েটার.
তাহলে খাবারের জন্য আমি কাকে ধন্যবাদ জানাব?
একটু অপেক্ষা করুন.
তাহলে তুমিই সেই শেফ...
যদি শেফের সাথে দেখা করতে চান,
তাহলে আপনাকে কাস্টমারদের
যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে.
ঠিক আছে তাহলে.
প্রথমে, ইগো ভেবেছে আমরা মজা করছি.
কিন্ত যখন লিঙ্গুঈনি বুঝিয়ে বলল,
ইগোর হাসি গায়েব হয়ে গেল.
প্রশ্ন করা ছাড়া সে আর কিছুই বলেনি.
আর যখন কাহিনী শেষ হল,
ইগো দাড়াল, খাবারের জন্য ধন্যবাদ জানাল...
খাবারের জন্য ধন্যবাদ.
... আর কিছু না বলেই চলে আসল.
পরেরদিন তার লেখা ছেপেছে.
বলা যেতে পারে,
আমাদের ক্রিটিকের কাজ অনেক সহজ.
তাদেরকে কোন ঝুঁকি নিতে হয়না,
কিন্ত তবুও তার থেকে মর্যাদা বেশি দেওয়া হয়
যার কাজের সমালোচনা সে খুব সহজেই করে ফেলে.
আমরা অন্যের সমালোচনা করে খ্যাতি অর্জন করি,
যেটা পড়ে ও লিখে খুবই আনন্দ পাওয়া যায়.
কিন্ত আমাদের ক্রিটিকদের
এই তেঁতো সত্যিটা মেনে নিতে হবে যে,
আমরা যাদেরকে ফালতু বলি, তাদের
মহত্ব আমাদের সমালোচনা থেকেও
অনেক বেশি.
শুধু একটা জায়গাতেই
একজন ক্রিটিককে ঝুঁকি নিয়ে হয়
আর সেটা হল নতুন প্রতিভা খুজে বের করা
আর সেটা রক্ষা করা.
এই পৃথিবী নতুন প্রতিভা আর সৃষ্টির প্রতি নির্দয়.
নতুন শিল্পীদের প্রয়োজন ভাল বন্ধু.
গতরাতে এরকমই কিছু হয়েছে,
এক অসাধারণ সুস্বাদু খাবার অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে.
যার রান্না করা এই খাবার,
রন্ধনশিল্পে আমার ধ্যানধারণা পাল্টে দিয়েছে
তারা আমাকে ভেঙ্গে চুড়মাড় করে দিয়েছে.
এটা কোন লুকানো ভাণ্ডার নয় যে
শেফ গুস্তোর নীতিবাক্য "যে কেউ রাঁধতে পারে"
নিয়ে আমি অনেক মজা করেছি
কিন্ত এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে
তিনি আসলে কী বলতে চেয়েছিলেন.
সবাই ভাল শিল্পী হতে পারেনা,
কিন্ত একজন ভাল শিল্পী
যেকোন জায়গা থেকেই আসতে পারে.
যেই মহান শিল্পী গুস্তো'র রেস্তোরাঁয় রান্ন করছে
তার চেয়ে সহজ কোন জীবের
কথা চিন্তা করাই মুশকিল,
আমি একজন ক্রিটিক হয়ে এটা নিশ্চিত বলতে পারি,
সে ফ্রান্সের সেরা বাবুর্চি.
আমি খুব শীঘ্রই গুস্তোয় আসব, ক্ষুধা মিটাতে.
আমি খুব শীঘ্রই গুস্তোয় আসব, ক্ষুধা মিটাতে.
খুব চমৎকার রাত ছিল.
আমার জীবনের সেরা রাত.
কিন্ত ভাল কিছু পেতে হলে
অবশ্যই কিছু হারাতে হবে.
আমরা স্কিনার আর
হেল্থ ইনস্পেক্টরকে ছেড়ে দিয়েছি,
কিন্ত তারা আমাদেরকে ছাড়েনি.
খবার যতই ভাল হোক না কেন.
কিন্ত যখন এই খবর বের হল যে
রেস্তোরাঁয় ইঁদুর ছিল,
বাপ্রে বাপ, রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়েছে
আর ইগোর চাকরী আর রেপুটেশনও চলে গিয়েছে.
কিন্ত তার জন্য আফসোস করনা.
এক ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে সে খুব কামাচ্ছে.
- আর সে খুব খুশি.
- তুমি কীভাবে জানো?
যেতে হবে. ডিনার টাইম.
তুমি তো তার পছন্দ জানই.
ধন্যবাদ, পিচ্চি শেফ.
ডেজার্ট নিবেন, স্যার?
- তবে নতুন ভাবনার সাথে.
- কি ধরনের, স্যার?
যা ইচ্ছে, দাও.
সত্যি বলছি, ঐ কাহিনী আমি বললে
বেশি ভাল লাগবে, বুঝলে?
শুনছ. কিছু খাবার দাও এখানে,
ক্ষুধায় মারা যাচ্ছি!